নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

-৭১ ভিনদেশী বনাম ১৭ স্বদেশী : কর্ম একই!-

১৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯



গতকালকে খবরে কাগজে পড়লাম, আপন জুয়েলার্স এর কর্ণধার মোঃ দিলদার আহমেদ এর দম্ভক্তি দেখে মনে হলো মেয়েদের ইজ্জত বলতে কিছু নেই। তিনি বললেন, ছেলে আকাম করেছে তো কি হয়েছে!? আমিও তো করি। আমি কি বুড়ো হয়ে গেছি!? আমি ও তো মাঝে মাঝে এইসব করি!?


তার কথা শুনে মনে হলো- এই দেশে এদেরকে কিছু করার মতো এমন কোনো শক্তি এখনো জম্ম হয়নি কিংবা তাদের শাস্তি দেয়ার মতো আইন এখনো তৈরি হয়নি! যে পিতা তার সন্তানকে কুকর্ম করার ব্যপারে সহযোগিতা মূলক আশ্রয় গ্রহন করে, আমার মতে; ঐ ছেলের বিচার করার পূর্বে তার বাপের বিচার আগে করা অতীব প্রয়োজন। কারণ, অন্যায় যে করে, সেতো অপরাধী বটে আর অন্যায় করার জন্য যে সহযোগিতা করে সে তার চেয়ে বড় মাপের অপরাধী। যে পিতা, ছেলেকে এসব অপরাধ করার জন্য বডিগার্ড নিয়োগ দিতে পারেন সে পিতা আর যাই হোক সমাজের কোনো ভালো কাজে আসতে পারেন না।

শুনেছি, তার শো-রুমে নাকি প্রায় ৪৫০কেজি সোনা পাওয়া গেছে এবং সেসব সোনার কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন হলো- আমাদের দেশে এতো এতো স্বর্ণের চোরা চালান আটক করার পরেও কিভাবে তারা অবৈধভাবে এতো স্বর্ণ শো-রুমে জমা রাখতে পারলো? তাহলে তাদেরকে কারা এসব করার ব্যাপারে উৎসাহ কিংবা সহযোগিতা দিয়ে আসতেছেন? ধর্ষণের দায়ে ৭১ এর মানবতা বিরোধী অপরাধে যেখানে ফাঁসি’র মতো কঠিন শাস্তি হচ্ছে সেখানে ১৭ সালে এসে একই কর্ম করার জন্য কোনো ফাঁসি দেয়ার মতো বিচার হবে না, তা ভাবা যায় কি ভাবে!? হয়তো কেউ বলবেন ৭১ তো ১৭ নয় কারণ ৭১ উল্টে গেছে তাই বিচার ব্যবস্থাও উল্টে গেছে!!! আমরা বলবো-৭১ এর নথিপত্র খুঁজে পাওয়া কঠিন হলেও ১৭ সালের সকল কুকর্মের নথিপত্র স্বাক্ষুসমান রয়েছে। তাই এসবের বেলায় দীর্ঘ সূত্রতার প্রয়োজন নেই। বিচার কার্য সঠিক এবং নিষ্ঠার সাথে হওয়া চাই।

ইদানিংকালে নাকি, হোটেল রেইনট্রি এবং আপন জুয়েলার্স এর মালিকের প্রতি সমবেদনা এবং তাদেরকে রক্ষা করার জন্য নাকি সরকার দলীয় এমপি মন্ত্রীরা লবিং করতেছেন। সাংবাদিক সম্মেলন এর আয়োজনও করেছেন। কারণ হোটেল রেইনট্রি এর মালিক একজন সরকার দলীয় এমপি’র। তাই শুনে অবাক হয়েছি! গণধর্ষন কারীদের হয়ে যারা লবিং করতেছেন তারা আর যাই হোক দেশের মানুষের জন্য ভালো কোনো কাজ করতে পারেন না। এখন আমরা বলতে পারি - সরকার দলের মধ্যে কেউ অন্যায় করলে তার জন্য সাতখুন মাফ আর অন্য কেউ করলে সাতখুন জেল কিংবা ফাঁসি!!! তা তো হতে পারে না। একই কর্মের জন্য দুই ব্যাক্তির দুই রকম শাস্তি হতে পারে না। কখনোই না।

যে পিতা নিজ মুখে স্বীকার করলেন যে, সেও একজন ধর্ষক এবং তার ছেলেও একজন ধর্ষক; তাহলে আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার করা কঠিন কাজ হবে কেনো!? নাকি এখানেও আইন অন্ধ!?
গতকালকে খবরে কাগজে পড়লাম, আপন জুয়েলার্স এর কর্ণধার মোঃ দিলদার আহমেদ এর দম্ভক্তি দেখে মনে হলো মেয়েদের ইজ্জত বলতে কিছু নেই। তিনি বললেন, ছেলে আকাম করেছে তো কি হয়েছে!? আমিও তো করি। আমি কি বুড়ো হয়ে গেছি!? আমি ও তো মাঝে মাঝে এইসব করি!?

তার কথা শুনে মনে হলো- এই দেশে এদেরকে কিছু করার মতো এমন কোনো শক্তি এখনো জম্ম হয়নি কিংবা তাদের শাস্তি দেয়ার মতো আইন এখনো তৈরি হয়নি! যে পিতা তার সন্তানকে কুকর্ম করার ব্যপারে সহযোগিতা মূলক আশ্রয় গ্রহন করে, আমার মতে; ঐ ছেলের বিচার করার পূর্বে তার বাপের বিচার আগে করা অতীব প্রয়োজন। কারণ, অন্যায় যে করে, সেতো অপরাধী বটে আর অন্যায় করার জন্য যে সহযোগিতা করে সে তার চেয়ে বড় মাপের অপরাধী। যে পিতা, ছেলেকে এসব অপরাধ করার জন্য বডিগার্ড নিয়োগ দিতে পারেন সে পিতা আর যাই হোক সমাজের কোনো ভালো কাজে আসতে পারেন না।

শুনেছি, তার শো-রুমে নাকি প্রায় ৪৫০কেজি সোনা পাওয়া গেছে এবং সেসব সোনার কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন হলো- আমাদের দেশে এতো এতো স্বর্ণের চোরা চালান আটক করার পরেও কিভাবে তারা অবৈধভাবে এতো স্বর্ণ শো-রুমে জমা রাখতে পারলো? তাহলে তাদেরকে কারা এসব করার ব্যাপারে উৎসাহ কিংবা সহযোগিতা দিয়ে আসতেছেন? ধর্ষণের দায়ে ৭১ এর মানবতা বিরোধী অপরাধে যেখানে ফাঁসি’র মতো কঠিন শাস্তি হচ্ছে সেখানে ১৭ সালে এসে একই কর্ম করার জন্য কোনো ফাঁসি দেয়ার মতো বিচার হবে না, তা ভাবা যায় কি ভাবে!? হয়তো কেউ বলবেন ৭১ তো ১৭ নয় কারণ ৭১ উল্টে গেছে তাই বিচার ব্যবস্থাও উল্টে গেছে!!! আমরা বলবো-৭১ এর নথিপত্র খুঁজে পাওয়া কঠিন হলেও ১৭ সালের সকল কুকর্মের নথিপত্র স্বাক্ষুসমান রয়েছে। তাই এসবের বেলায় দীর্ঘ সূত্রতার প্রয়োজন নেই। বিচার কার্য সঠিক এবং নিষ্ঠার সাথে হওয়া চাই।

ইদানিংকালে নাকি, হোটেল রেইনট্রি এবং আপন জুয়েলার্স এর মালিকের প্রতি সমবেদনা এবং তাদেরকে রক্ষা করার জন্য নাকি সরকার দলীয় এমপি মন্ত্রীরা লবিং করতেছেন। সাংবাদিক সম্মেলন এর আয়োজনও করেছেন। কারণ হোটেল রেইনট্রি এর মালিক একজন সরকার দলীয় এমপি’র। তাই শুনে অবাক হয়েছি! গণধর্ষন কারীদের হয়ে যারা লবিং করতেছেন তারা আর যাই হোক দেশের মানুষের জন্য ভালো কোনো কাজ করতে পারেন না। এখন আমরা বলতে পারি - সরকার দলের মধ্যে কেউ অন্যায় করলে তার জন্য সাতখুন মাফ আর অন্য কেউ করলে সাতখুন জেল কিংবা ফাঁসি!!! তা তো হতে পারে না। একই কর্মের জন্য দুই ব্যাক্তির দুই রকম শাস্তি হতে পারে না। কখনোই না।

যে পিতা নিজ মুখে স্বীকার করলেন যে, সেও একজন ধর্ষক এবং তার ছেলেও একজন ধর্ষক; তাহলে আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার করা কঠিন কাজ হবে কেনো!? নাকি এখানেও আইন অন্ধ!?

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫

রুপম হাছান বলেছেন: আইন সবার জন্য সমান হলে ৭১ এর জন্য ট্রাইব্যুনাল ১৭ এর জন্যও প্রযোজ্য হবে।

২| ১৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে যে কিলো কিলো সোনা আসে শাহ জালাল দিয়ে, সেগুলো কার হাতে যায়?

২৪ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭

রুপম হাছান বলেছেন: সেই কথায় তো বলছিলাম। এদের (স্বদলীয়) জন্য সাতখুন মাফ আর অন্যর (বিরোধীর) বেলায় সাতখুন জেল কিংবা ফাঁসি! একই কর্মের জন্য দুই ব্যাক্তির দুই রকম শাস্তি হতে পারে না। কখনোই না। আমার মনে হচ্ছে (স্বদলীয়দের জন্য) এখানেও আইন অন্ধ!?

৩| ১৮ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫

আখেনাটেন বলেছেন: শেষমেষ যে লাউ, সেই কদু হবে...উপরওয়ালার আশির্বাদ নাকি পড়তে শুরু করেছে।

২৪ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩

রুপম হাছান বলেছেন: একজন সাধারণ চিন্তক হিসেবে ভয় সেখানেই। অর্থাৎ ন্যায় বিচার দুর্বলের জন্য প্রযোজ্য হলেও এখানে দেখতে পাচ্ছি; সবলই সব সময় অন্যায় করে বেঁচে যাচ্ছে। আর তাদের (অন্যায়কারীদের) হয়ে স্বয়ং প্রশাসনই দায়দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিচ্ছেন! যাতে করে ভুক্তভোগী ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়!

৪| ১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তনু, তকি, সাগর-রুনি, সাত খুন সব কই গেল? আজ থেকে দু' বছর পর বলবো, আপন জুয়েলারস গেল কই? দশ কোটি খায়নি, একশো কোটির লোভ কী সামলাতে পারবে? অথবা পাঁচশো কোটির লোভ?


স্যার, উনি ঘুষ খায় না।
কতো টাকা ঘুষ খায় না? দশ কোটি, একশো কোটি, পাঁচশো কোটি ?
স্যার, আমার মাথা ঘুরায়।
এই তো তুই বুঝছস! যা অর মাথা ঘুরাইয়া দিয়া আয়।

২৪ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

রুপম হাছান বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর ভাবে আপনি বলেছেন। সত্যি এটাই চলছে এদেশে। তবে সত্যিই যদি আইন নামক একটি উপাদান রাষ্ট্রের কোষে থেকে থাকে, তবে হলফ করে বলতে পারি; এই আইনই একদিন তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে। যেমনটা দাঁড়িয়েছে ৭১ এর অপরাধীদের জন্য। এক কথায় বলা যায়- কোনো অন্যায়কারীই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

৫| ১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:২২

আবদুল মমিন বলেছেন: ধর্ষণের দায়ে ৭১ এর মানবতা বিরোধী অপরাধে যেখানে ফাঁসি’র মতো কঠিন শাস্তি হচ্ছে সেখানে ১৭ সালে এসে একই কর্ম করার জন্য কোনো ফাঁসি দেয়ার মতো বিচার হবে না, তা ভাবা যায় কি ভাবে!? হয়তো কেউ বলবেন ৭১ তো ১৭ নয় কারণ ৭১ উল্টে গেছে তাই বিচার ব্যবস্থাও উল্টে গেছে!!! আমরা বলবো-৭১ এর নথিপত্র খুঁজে পাওয়া কঠিন হলেও ১৭ সালের সকল কুকর্মের নথিপত্র স্বাক্ষুসমান রয়েছে। তাই এসবের বেলায় দীর্ঘ সূত্রতার প্রয়োজন নেই। বিচার কার্য সঠিক এবং নিষ্ঠার সাথে হওয়া চাই।

২৪ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:১৭

রুপম হাছান বলেছেন: সহমতের জন্য ধন্যবাদ। আমরাও ন্যায়ের পক্ষে বিচার প্রার্থী। সব সময়ের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.