![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’
বিশ্ব মিড়িয়া এখন কোথায়? তারা চুপ কেনো? আনান কমিটির কাজ কি ছিলো? আনান কমিটি মায়ানমার সরকারকে, রোহিঙ্গাদেরকে সেই দেশের নাগরিক করে নিয়ে দ্রুততার সাথে সমস্যা সমাধান করে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যে মিয়ানমার সরকার এবং তার সেনাবাহিনী সাধারণ রোহিঙ্গাদের ওপর দমনপীড়ন, সন্ত্রাসী, নারী নির্যাতন, আগুন দিয়ে ঘরবাড়ি পোড়ানো এমনকি সে দেশে থেকে বিতাড়িত করা শুরু করেছেন, তাতে করে অবাক না হয়ে পারা যায় না!! মিয়ানমার সরকার এবং তাদের দোসরদের কর্মকান্ড দেখে মনে হচ্ছে ‘আনান কমিটি’ ছিলো একটি লোক দেখানো ভুয়া কমিটি। যার কোনো গুরুত্ব মিয়ানমার সরকারের কাছে নাই। তাহলে প্রশ্ন রাখতে চাই ঐ সকল অবিবেচক রাষ্ট্র নেতাদের কাছে- যখন হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, ইহুদিদের মধ্যে সামান্যতম সমস্যা হলেই পুরো বিশ্বনেতারা একযোগে মুসলমানদেরকে সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দিয়ে দেন, এখন আপনারা কি চোখে পট্টি বেঁধে নাকে সরিষার তেল মেখে ঘুমাচ্ছেন...!!!??? দেখতে পাচ্ছেন না, বিশ্বে কি হচ্ছে…!!!!????
আবার আপনারাই বড় বড় কথা বলেন মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে, অথচ দিনের পর দিন রাতের পর রাত একটি দুর্বল, সাহায্যপ্রার্থী গোষ্ঠীকে তার দেশ থেকে নির্যাতন করে বিতাড়িত করা হচ্ছে; কেড়ে নেয়া হচ্ছে বেঁচে থাকার ন্যুনতম অধিকারও। আজ সেসব বিশ্ব নেতারা চোখ খুলে রেখে কানার অভিনয় করছেন সব মুসলিমদের সাথে। আমি বলতে চাই- ঐসব অবিবেচক রাষ্ট্রনেতারা না হয়, না দেখার ভান করছে কিন্তু মুসলিম বিশ্বের একটি বড় সংগঠন ‘ওআইসি’ তারা কি করছে? আপনারাই বলেন, মুসলিম হচ্ছে ভাই ভাই। এক ভাই সমস্যায় পতিত হলে তার আরেক ভাই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবে। তাহলে এখন কোথায় আছেন বড় ভাই ‘ওআইসি’…!!!? আঙ্গুল চুসতেছেন…!!!???
এরা শুধু নিজের ক্ষমতাকে নিজ কেন্দ্রিক কুক্ষিগত করে রাখার জন্য ঐসব অবিবেচক রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে নিজ ঘরের মানুষের শত্রুতা করিয়ে দিতেই পছন্দ করেন মাত্র! কারণ তা না করলে যে, নিজ ক্ষমতার চেয়ার দখল ছাড়া হয়ে যাবে। আরে-ও বেইনসাফের দল, ভয় কর সেই দিনের কথা; যেখানে তোদের জন্য কোনো চেয়ার থাকবেনা, থাকবেনা কোনো প্রাসাদ। আসবেনা কেউ তোকে সাধুবাদ জানাতে, করবেনা কেউ তোয়াজ। না থাকবে তোর ক্ষমতার বাহাদুরি, না থাকবে তোর ক্ষমতায় যাওয়ার নেশা! তবে কেনো এখনো তোদের ঘুম ভাঙ্গেনা……!!!
তোরা কি শুধু মুসলিম জাতির মাঝে সন্ত্রাসীর গন্ধ খুঁজে বেড়াছ? তাহলে তোদের এতো পড়াশুনা দিয়ে কি হবে। বিল ক্লিনটন যখন ইরাক যুদ্ধে তার দেশের সৈন্য পাঠাতো তখন নাকি সে সময় বাইবেল পড়তো। ও অবিবেচক রাষ্ট্রনেতারা, তোদেরকে প্রশ্ন রাখি-তোরাই নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে সভ্য জাতি আর মানবাধিকার সংরক্ষণের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। তবে কেনো তোদের চোখে পৃথিবীতে দুই শ্রেণীর (ধর্মের) লোকের জন্য তোদের দৃষ্টিভঙ্গিও দুই রকম হবে? এটা কি স্ববিরোধিতা নয়!!!? এটা কি তোদের ধর্মের বিরোধিতা নয়?
তোদের হাত ধরে আজঅব্দি পর্যন্ত ইরাক, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেন আজ পর্যদুস্ত! এসব দেশ কার ওপর এত জুলুম করেছিলো যার কারণে তোরা এসব দেশগুলোতে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিলি এবং ধ্বংস করে দিলি তাদের জাতিগত ঐতিহ্যকে। হত্যা করলি হাজার হাজার নিরিহ লোককে! তোদের কোন ধর্ম দিয়েছিলো ঐসকল নিরিহ লোককে হত্যা করার অধিকার? তোরা কি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইজরাইল, আর মায়ানমার এর মধ্যে সন্ত্রাসীদের দেখোছ না!? যারা দিনের পর দিন, রাতের পর রাত নিরিহ নর-নারীদের নির্যাতন করে হত্যা করে চলেছে প্রতিনিয়তেই!!! তোদের ধর্মনীতি যদি তোরা ছাড়া অন্যদের সুরক্ষার কথা না বলা থাকে তবে ‘ধিক তোদের’! ধিক তোদের ধর্মনীতিকেও’!!!
সাথে সাথে বলতে চাই, বিশ্বে যারা নোবেল শান্তিতে পুরষ্কার দেয় তারা কিসের ভিত্তিতে নোবেল দেয়; সেটা পুরোপুরি পরিষ্কার করা দরকার। বিশ্ব বিবেক আজ পুরো সত্য জানতে চায়। যদি বিশ্বে শান্তির প্রতিষ্ঠায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কাজ করার কারণে মূল্যায়িত হন এবং কেবল তাকেই কিংবা তাদেরকেই নোবেল দেয় কমিটি তবে সব কিছু ঠিকঠাক আছে। আর যদি তার ব্যতিক্রমও হয় তবে এই ব্যবস্থা খুব দ্রুত বিলুপ্ত করাও জরুরী বলে মনে করি। আমরা লক্ষ্য করছি ইদানিং, যারা এখন পর্যন্ত শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন তার বেশির ভাগই অশান্তির হোতা হিসেবে চিহ্নিত। যার ফলশ্রুতিতে এই শান্তিতে নোবেল হয়ে উঠেছে অশান্তির প্রতিক হয়ে। তাই উক্ত কমিটির কাছে আবেদন থাকবে -‘শান্তিতে নোবেলে'র ইজ্জত যদি রাখতে চায় নোবেল কমিটি, তাহলে অবশ্যই ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস এবং সুচি’র কাছ থেকে যেনো নোবেল প্রাইস ফেরত নেওয়া হয়। কারণ আজ তারা বিশ্ব অশান্তির অগ্রদূত হয়ে কাজ করছেন বলেই বিশ্বাস করি। যা প্রতিষ্ঠিত সত্য।
বিশেষ অনুরোধ : মায়ানমার সরকার তাদের সকল জনগণকে নাগরিকত্ব দিয়ে দেশপ্রেম দেখাবেন। আপনারা নিজ দেশে অন্য ধর্মালম্বীদের সকল কাজে সমান সুযোগ নিশ্চিত করবেন। নিজেদের ভিতরের সমস্যা নিজেরাই মানবিক পদ্ধতিতে সমাধান করবেন, এইটাই কাম্য। বাংলাদেশ ঘনবসতিতম দেশের একটি। বোঝাই নৌকায় ডিমের ভার নেয়'না। আমাদের এই চোট্ট দেশটিতে আমাদেরই সংকুলান হয় না তাই হয়তো আমরা পারবো না, আপনাদের বাড়তি এই জনগোষ্ঠিকে ঠাঁই দিতে। হয়তো সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতেই পারি আপনাদের জন্যে। আপনাদের জন্য হৃদয় হাহাকার করে ওঠে কিন্তু অক্ষমতার কারণে নিরুপায় আরমা। তাই বলবো- আমার জলেই টলমল করে আঁখি / তোমার চোখের অশ্রু কোথায় রাখি
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭
বিজন রয় বলেছেন: ওরা তো সব ওরাই ওরাই। আর আমরা তো সব আমরাই আমরাই।
প্রথম বিশ্ব আর তয় বিশ্ব।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:২৬
রুপম হাছান বলেছেন: বিশ্ব বিবেকে আজ ঘুণে ধরেছে...
৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৫২
ধ্রুবক আলো বলেছেন: বিশ্ব মিড়িয়া এখন কোথায়? তারা চুপ কেনো?
বিশ্ব মিডিয়া এখন গাঁজা খাচ্ছে, যদি কোনো জায়গায় সিলিন্ডার ফেটে যায় জোরে শব্দ করে তাহলে জঙ্গিবাদ তত্ত্ব নিয়ে হাজির হবে।
এইসব মিডিয়া, ও বিশ্ব নেতাদের ধিক্কার জানাই।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:২৭
রুপম হাছান বলেছেন: সহমত থাকলো....
৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:০০
তারেক ফাহিম বলেছেন: মিয়ানমার বিশ্বের ছোট একটি দেশ। অশিক্ষিত, কুসংস্কার নিরীহ দেশ বলে আনান কমিটি চুপ হয়ে বসে আছে।
মনে হচ্ছে রোহিঙ্গা নিজেদের মধ্যেই মিল নাই। বা তাদের কোন সাহসি লিডার নাই যে, রোহিঙ্গাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলবে।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:২৯
রুপম হাছান বলেছেন: সাহসী লোক আছে কিন্তু প্রতিবেশীদের সাপোর্ট নাই বলেই তারা মার খাচ্ছে...
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮
রুপম হাছান বলেছেন: মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সমস্যা লাঘবে দ্রুততার সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশা রাখি।