![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’
মিয়ানমারের সাহায্যপ্রার্থী দুর্বল জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গা মুসলিমদের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারে। আন্তজার্তিক ভাবে এই পদক্ষেপটি উপস্থাপন করা যেতে পারে বলে আমি মনে করি। আমার দৃষ্টিতে পদক্ষেপটি উভয় দেশের জন্য ভালো হবে বৈ মন্দ হবে না। বাংলাদেশ ভারতের সাথে চিটমহল বিনিময় করে যেমনি নিশ্চিত করেছে কিছু মানুষের ভূমি প্রাপ্তীসহ নাগরিক সকল সুযোগ সুবিধা তেমনি নিশ্চিত করেছে তাদের ভোট দানের মৌলিক অধিকারও। রক্ষা করা হয়েছে তাদের মানবাধিকারও।
এখন মায়ানমার সরকার যেহেতু তাদের দেশের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে গ্রহন করতে চায় না, স্বীকারও করেনা নিজ দেশের নাগরিক হিসেবে; সেহেতু মায়ানমারের সকল রোহিঙ্গা মুসলিম নর-নারীদেরকে বাংলাদেশের সকল বৌদ্ধ/খ্রিস্টানসহ (মুসলিম ধর্ম অনুসারী ব্যতিত) অন্য সব ধর্মের লোকের বিনিময়ে গ্রহণ করা হউক। আমার মতে তাহলেই কেবল মায়ানমারের দুর্বল জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গা মুসলমানেরা ফিরে পেতে পারে তাদের নিশ্চিত মৌলিক অধিকার এবং ভোগ করতে পারে সর্বোচ্চ মানবাধিকার। বাংলাদেশ সব সময় অসাম্প্রদায়িক নীতিতে বিশ্বাসী হয়েও অধিক ঘনবসতী হওয়ার কারণে রোহিঙ্গা ইস্যু একটি বাড়তি সমস্যা সৃষ্টি করেছে বলে মনে করে। তাই সবার মতামত নিয়ে এমন একটি পদক্ষেপ সরকার গ্রহণ করলে হয়তো জাতিগত ব্যাপারটির একটি সুন্দর সুরাহা হয়ে যেতে পারে। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে, যারা এই রোহিঙ্গা ইস্যু তৈরি করেছে তারা মূলত রোহিঙ্গাদের কিংবা উভয় দেশের নাগরিকদের ভালো চায় তো!? নাকি এশিয়ার মধ্যে নতুন কোনো দাবার চাল হচ্ছে শক্তির মেরুকরণ ঘটানোর জন্য!? সেটাও বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা অতীব জরুরী বলেও মনে করি।
মনে রাখতে হবে, সারা বিশ্বে মুসলমানের বিরোদ্ধে সবাই। কেউ মুসলিমদের পক্ষে কথা বলবে না, যদিও মুসলিম সঠিক ভাবে সঠিক যুক্তিতে সঠিক তথ্যে সঠিক থাকেন কিন্তু একজন মুসলিম ব্যতিত অন্য ধর্মের অনুসারী যদি হাজারো মিথ্যা তথ্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকে তবুও সারা বিশ্ব তারপক্ষেই কথা বলবে। এই পর্যন্ত আমার দেখা অভিজ্ঞতা তাই বলছে। উদাহরণ স্বরুপ বলতে পারি-ইজরায়েল রাষ্ট্র ফিলিস্তিন রাষ্ট্র তথা তার দেশের নাগরিকদের কিভাবে দিনের পর দিন ধ্বংস করে চলেছে। অথচ পুরো বিশ্ব তাদের হয়েই ওকালতি করছে কিন্তু ইজরায়েলের কর্মকান্ডকে থামানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আজ পর্যন্ত দেখিনি!
তাই আমাদের সরকারের উচিত হবে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আন্তজার্তিক আদালতের দারস্থ হওয়া এবং তাদের ন্যায়গত অধিকার রক্ষার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতার সহিত কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো। আমরা আশা করবো, জাতিসংঘসহ সকল মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান পুরো পৃথিবীতে যেসকল দেশ তাদের দেশের নাগরিকদের ওপর অকারণে অত্যাচার/হত্যা/ নির্যাতন/ বাড়িঘর পড়ানো/ ধর্ষণ/ এমনকি নিজ দেশ ত্যাগে বাধ্য করতেছেন সেসকল দেশের নাগরিকদের রক্ষার ব্যাপারে কঠোর থেকে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। হতে পারে সকল দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বন্ধ করে দেবেন কিংবা একসাথে অনেকগুলো নিষেধাজ্ঞা জারি করে এমন পদক্ষেপ থেকে পিছু হটার জন্য চাপ প্রয়োগ করবেন। আমরা আন্তজার্তিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে এমন কিছুই সব সময় আশা করছি, যেখানে সকল দেশের সকল নাগরিক (ধর্ম বিশ্বাস যাই হোক) সমান সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে সক্ষম হবে। ধন্যবাদ।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১২
রুপম হাছান বলেছেন: প্রথমত, আপনি পুরো লেখাটি পড়েন নি বলেই মনে হচ্ছে। কারণ সেখানে চিটমহল বিনিময়ের কথা উল্লেখ করা ছিলো এবং প্রতিকারের কথাও ঠিক সেভাবেই বলা হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, মৃত্যুভয় যেখানে থাকে সেখান থেকে বাধ্য হয়ে যদি কাউকে ঘর ছাড়তেই হয়, তবে নিরাপদ আশ্রয়ে গিয়ে স্থায়ী ঠিকানা পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকলে সকলেই সেটা গ্রহণ করবে।
তৃতীয়ত, সেটা কেবল ঐ দেশের সরকার এবং যারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তারাই ভালো বলতে পারবে। আমি কিংবা আপনি নন, কারণ আমরা শুধু বাইরের দিকটা দেখে অনুমান করেই কিছু বলে থাকি। ধন্যবাদ।
২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
"এখন মায়ানমার সরকার যেহেতু তাদের দেশের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে গ্রহন করতে চায় না, স্বীকারও করেনা নিজ দেশের নাগরিক হিসেবে; সেহেতু মায়ানমারের সকল রোহিঙ্গা মুসলিম নর-নারীদেরকে বাংলাদেশের সকল বৌদ্ধ/খ্রিস্টানসহ (মুসলিম ধর্ম অনুসারী ব্যতিত) অন্য সব ধর্মের লোকের বিনিময়ে গ্রহণ করা হউক। "
-এই শতাব্দীতে এত কম মগজের বাংগালী যে বাংলায় আছে, ধারণা করা কঠিন।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৭
রুপম হাছান বলেছেন: কি জানি, আপনি কত মন মগজের উত্তারাধীকারী আর কোন যুগের বাঙ্গালী হয়ে বাংলায় আছেন, জানিনা। তবে ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু বলে একমাত্র শয়তান, মানুষ নন। আমি একজন মানুষ, তাই বর্তমান এবং বাস্তবতা নিয়েই লিখতে পছন্দ করি।
৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন:
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৭
রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬
হানিফঢাকা বলেছেন: ১। মানুষ কি পণ্য যে একজনের সাথে আরেকজন কে বিনিময় করবে?
২। ধরেন আপনি মুসলমান না। সেই খেত্রে আপনাকে বাপ দাদার ভিটা ছেড়ে মায়ানমার পাঠালে আপনি যাবেন? আপনি কি বলেছেন বুঝতে পারছেন?
৩। মায়ানমারে যে সব লোকদের মারা হচ্ছে তাদের কেন মারা হচ্ছে? তারা রোহিঙ্গা বলে নাকি মুসলমান বলে? এইটা কি জাতিগত দাংগা নাকি ধর্মিয় দাংগা?