![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’
গতকালকে মহাখালী থেকে বাসে উঠতে না পেরে পায়ে হেঁটে সৈনিক ক্লাব হয়ে মিরপুর ১৪ নং পর্যন্ত যাওয়ার নিয়ত করেই রওনা হয়েছিলাম। যদিও অনেক সময় বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থেকে তারপর রওনা দিয়েছিলাম। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিলো কিন্তু বিপত্তি বাঁধে কচুক্ষেতের ঠিক আগের এমপি চেকপোষ্টে পৌঁছলে। হঠাৎ বিভিন্ন দিক থেকে কিছু আর্মি এসে (সোলজার+অফিসার) রাস্তা ক্লোজ করে দিলো সাধারণ পথচারীদের জন্য। সবাইকে উদ্দেশ্যে করে বলতে লাগলেন, সামনে যাবেন না এখানেই দাঁড়ান! এমনকি সেই সময় ঐ রাস্তা দিয়ে চলতে থাকা আর্মিসহ ভিআইপি গাড়ীগুলোকেও উল্টো পথে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছিলেন দায়িত্বরত ট্রাফিক আর্মিরা। আমি অবাক হয়েছিলাম যখন দেখলাম, সোলজারদের কমান্ডিং এর সাথে আর্মি অফিসারদের গাড়ীও ঠিক উল্টো পথে চলে যেতে দেখে! মনে হচ্ছিল না এমনটা আমাদের অন্য কোনো বাহিনী মেনে নিতে পারতো। তবুও তারা এমন আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ভালো লাগার মতো।
গতকালকে এমনিতেই সৈনিক ক্লাব থেকে ভেতরের রোড়ে সাধারণদের চলাচল চোখে পড়ার মতোই ছিলো কারণ তুলনায় গাড়ী ছিলো কম। যদি গতকালকে কেউ ঐ রাস্তায় সন্ধ্যার পর গিয়ে থাকেন তাহলে আমার লিখার সত্যটা বুঝতে পারবেন। যখন ঐ দায়িত্বরত আর্মি ট্রাফিকরা রাস্তা বন্ধ করে দিলেন অর্থাৎ সাধারণ পথচারীদের চলাচল স্থীমিত করে দিলেন তখন সময় প্রায় সন্ধ্যা ৬:১০মিনিট-৬:১৫ মিনিট হবে। কৌতূহলী পথচারীরা জিজ্ঞেস করতে লাগলেন, কি হয়েছে সামনে? কোনো সমস্যা নাকি? যারা সিগন্যালের সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা হয়তো ব্যাপারটা তাৎক্ষণিক বুঝতে পেরেছিলেন কারণ দায়িত্বে থাকা আর্মি ট্রাফিকরা বলছিলেন আমাদের প্রেসিডেন্ট মহোদয় যাবেন তাই সাময়িক সময়ের জন্য রাস্তা বন্ধ করতে হয়েছে। যাই হোক-
সময় যাচ্ছে কিন্তু আমাদের প্রেসিডেন্ট তো আসে না। মিনিটের পর মিনিট যায় এরপরও আসেনা দেখে কিছু পথচারী খুব আক্রমণাত্তক বাণী ছুঁড়তে শুরু করলো, যা এখানে প্রকাশ করা যাবে না। যদিও একজন আর্মি অফিসার গাড়ী থেকে নেমে দাঁড়িয়েছিলেন এমন সময় প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যে গালিগুলো অফিসার মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করতে লাগলেন। কিন্তু কোনো উপায় না দেখে তিনিও একটু ক্ষিপ্ত স্বরে সকলে মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করলেন। কিছুক্ষণের জন্য সকলে চুপ থাকলেও মাননীয় প্রেসিডেন্ট আরো সময় ক্ষেপন করার কারণে সাধারণ পথচারী আর ধর্য ধারণ করতে পারছিলেন না। তারা এরপর স্লোগান দিতে থাকেন খারাপ কথার মাধ্যমে।
যদিও সেখানে নারী-পরুষের সমান উপস্থিতি ছিলো। সবাই একরকম বিরক্তি প্রকাশ করতে লাগলেন। সবাই এও বললেন, প্রেসিডেন্ট চলে যাওয়ার পর আমরা কিন্তু ব্রিজে উঠতে পারবোনা, নিচ দিয়ে যাবো, পারলে ঠেকাবেন! আর্মিরা সদয় আবেগসহকারে পথচারীদের এই অনুরোধ রাখার চেষ্টা করবেন বলে আশ্বস্ত করার পর সাধারণ পথচারীরা একটু শান্ত হয়েছিলো। ঠিক ঐ সময়ের মধ্যে সৈনিক ক্লাব থেকে কচুক্ষেত পর্যন্ত সাধারণ পথচারীদের ভীড় লেগে গিয়েছিলো এবং কচুক্ষেত থেকে ১৪ নম্বর পর্যন্ত গাড়ীর তীব্র জ্যাম লেগে গিয়েছিলো।
পথচারীরা এবার শান্ত কন্ঠে দায়িত্বরত অফিসারকে জিজ্ঞেস করলেন, আর কত সময় আমরা দাঁড়িয়ে থাকবো? সারাদিন অফিস করে তারপর গাড়ী না পেয়ে পায়ে হেঁটে এখানে এসে এতো সময় একটানা দাঁড়িয়ে থাকা খুবই কষ্ট লাগতেছে। অফিসার সকলকে অনুরোধের সুরে বললেন আর ৩মিনিট সময় লাগবে, আপনারা ধর্যসহকারে অপেক্ষা করুন। ৫ মিনিট চলে যাওয়ার পর এবার আবার সাধারণরা বলতে শুরু করলো, হালাগোরে ভোট দেয় আমাগোরে কষ্ট দেওনের লাইগ্যা!!! হা হা হা। কেউ বলছেন, জনগণের টাকায় যখন সুখের বিলাসিতা তখন না হয় জনগণের আরো কিছু টাকা দিয়ে ওনাদের প্রত্যেকের জন্য একটি করে হেলিকপ্টার কিনা দরকার। যাতে করে কোথাও আসা-যাওয়ার জন্য যাত্রী সাধারণ কিংবা পথচারীদের এভাবে আর কষ্ট করতে না হয়। তাহলে সারাদিনের কর্ম ঘন্টাও নষ্ট হবে না আর অফিস শেষে বাসায় ফিরতে গেলে এমন নিষ্ঠুরভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে হবে না।
অবশেষে আমাদের প্রেসিডেন্ট ৩৩ মিনিট পথচারীদেরকে দাঁড় করিয়ে রাখার পর মুক্ত পায়ে হেঁটে যাওয়ার সুযোগ প্রদান করিলেন। কিছু সময়ের জন্য আমরা উনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিলাম। যদিও আমরা আমাদের দেশীয় নেতা/উপনেতা/পাতি নেতাদের এমন কর্মকান্ডে যারপরনায় কষ্টপ্রাপ্ত এবং ব্যথিত!
ছবিঃ গুগল।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫
রুপম হাছান বলেছেন: ঠিক বলেছেন, আমরা কিছু বলবো না তবে দেশের সাধারণ মানুষ বলছে এবং বলবে।
ভালো থাকবেন।
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আধুনিক যুগে, আধুনিক শক্ষিত মানুষ দরকার
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯
রুপম হাছান বলেছেন: কার হাত ধরে আসবে?
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
অবশ্য আপনার লেখায় একটু সন্দেহ আছে।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১১
রুপম হাছান বলেছেন: প্রমান দিতে পারবো না কারন প্রমান সংরক্ষন করিনি। তবে গতকালকে সন্ধ্যায় যদি কেউ ঐ রাস্তায় গিয়ে থাকেন তবে আশা করছি আমার লেখার সত্যটা নিশ্চিত হতে পারবেন। ধন্যবাদ আপনার কৌতূহলী সন্দেহ প্রকাশে কৃতার্থ করার জন্য।
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭
মোটরসাইকেল ভ্যালী বলেছেন: দু:খজনক
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩
রুপম হাছান বলেছেন: চিরন্তন সত্য। আসলেই কষ্টদায়ক ছিলো।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৫০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভোট আবার কবে দিলেন???
সবতো নিজ দায়িত্বেই দিয়ে নেয়! ১৫৪ সিট অনির্বাচিত!!!!!
আর এই ভৌগান্তি মূলত তাদের সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতারই ফল।
সার্বিক ট্রাফিক স্পিড যেখানে ১০িকিমেত নেমে এসেছে-থখোন উনারা ঝড়ের গিতেত চলতে চলতে ভাবেন- জনগণ এইরকম বলেই!!
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮
রুপম হাছান বলেছেন: হা হা হা। ব্যাপারটা সন্দেহাতীত হলেও সত্য বলেছেন বটে। আমি যদিও বর্তমান দলের অনুসারী তবে আমিও ভোট দিতে পারিনি!!!
অন্যদের ব্যাপারে বলতে পারবো না তবে প্রেসিডেন্টের ব্যাপারে কারো অভিযোগ আছে বলে আমার মনে হয় না তাই উনার স্বাভাবিক চলাফেরাই আমাদের কাম্য। কিন্তু তিনিও ঠিক এক কদম এগিয়ে গেলেন বলেই গতকালকের অভিজ্ঞতায় তাই বলছে।
ভালো থাকবেন।
৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০১
রাজীব নুর বলেছেন: দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০
রুপম হাছান বলেছেন: আর সেই উন্নয়নের সফলতা ভোগ করেছি ৩৩ মিনিট। হা হা হা। ভালো বলেছেন ভাই রাজীব নুর।
ভালো লাগলো মন্তব্যটি। ভালো থাকবেন।
৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বাজে সিস্টেম। কবে যে সভ্য দেশ হব আমরা...
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬
রুপম হাছান বলেছেন: প্রচলিত সত্য।
আমরা আশাবাদী তবে তা সময়ে বলে দিবে...।
অনেক অনেক ধন্যবাদ থাকলো। ভালো থাকবেন।
৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩৩
আবু তালেব শেখ বলেছেন: প্রেসিডেন্ট বলে কথা। কিন্তু ক্ষমতার চেয়ে ভিআইপি বেশি
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭
রুপম হাছান বলেছেন: হুম।
তবে এটা শুধু এই দেশেই বেশি দেখা যায়...
অনেক অনেক ধন্যবাদ থাকলো। ভালো থাকবেন সব সময় এবং সকল ভালোর সাথেই থাকবেন।
৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২০
এম আর তালুকদার বলেছেন: নির্বাক...
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪১
রুপম হাছান বলেছেন: প্রথমেই দুঃখিত জানাচ্ছি দেরি করে আপনাকে উত্তর দেয়ার জন্যে। সত্যি আমরা নির্বাক। মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ জানবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২৪
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: হুম কিছু বলার নাই।