![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(বেশী লম্বা লেখায় অনেক পাঠকরা বিরক্তি বোধ করেন।তাই লম্বা লেখাটাকে কয়েকটা পর্বে ভাগ করে নিলাম।)
এটা ঘটবেই,ওটা হবেই।এমন কথা কি কেউ কখনও বলতে পারে কোন জিনিষের ব্যাপারে?সোজা কথায় এর উত্তর হবে, না।পৃথিবীর কোন জিনিষের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চয়তা দেয়া সম্ভবনা।আবার পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকেই একটা জিনিষের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র কোন অনিশ্চয়তা ছিলনা কখনও।সেটা কি?এর উত্তর খুঁজতে কাউকে জিজ্ঞেস করতে হবেনা,নিজের অজান্তেই মুখে চলে আসবে একটা শব্দ।মৃত্যু।হ্যা মৃত্যু,অমোঘ,সুনিশ্চিত এবং অবশ্যম্ভাবী।
মৃত্যুকে এড়ানোর কোন উপায় আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি।কোন রকম সন্দেহ ছাড়াই বলে দেয়া যায় যে কখনও হবেওনা।যদি কখনও হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় তাহলে পুরো পৃথিবীর মাষ্টারপ্ল্যান ভেঙ্গে পড়বে।যা এই পৃথিবীর স্রষ্টা,সমগ্র জাহানের মালিক কখনও হতে দিবেনা।
আমাদের জীবনে প্রতিদিন,প্রতি মুহূর্তে ঘটে যায় নানা ঘটনা,মাঝে মাঝে দেখতে হয় অনাকাঙ্খিত অঘটন।এইসব ঘটনা কিংবা অঘটন কখনও ঘটে জীবনের স্বাভাবিক নিয়মে,কিছু আবার অস্বাভাবিক।কিছূ ঘটে যায় হুট করেই আবার কিছুর জন্য নিতে হয় প্রস্তুতি,করতে হয় অপেক্ষা।যেমন চাকরির ইন্টারভ্যু।কত প্রস্তুতি কত অনুশীলন।সবশেষে কখন ডাক আসবে,কখন বসব ইন্টারভ্যু বোর্ডের সামনে তার জন্য দূরুদূরু বুকে অপেক্ষা।চোখ বন্ধ করলেই সামনে ভেসে উঠে রাগী প্রফেসর টাইপ বোর্ডের কর্তাদের ছবি।অবশ্য এই প্রস্তুতি,অনুশীলন ও অপেক্ষার মাঝেও থাকে এক ধরনের সুখানুভূতি।থাকে স্বপ্নের জাল বুনন।চাকরিটা হয়ে গেলে আর পায় কে?
কেউ কেউ অবশ্য এত টেনশনের ধার ধারেননা।থাকেন ড্যামকেয়ার একটা ভাব নিয়ে।একটা না হলে আর একটা হবে।আরে বাবা আল্লাহর দুনিয়ায় চাকরি তো আর একটা না,হাজার হাজার,লাখ লাখ।
আর এই হু কেয়ার্স ভাবটাতেই যত সমস্যা।মৃত্যু পরবর্তী যে পরীক্ষাটা হবে ওটাকে হালকাভাবে দেখার কিংবা ওটা নিয়ে টেনশন না করার কেনো সুযোগ নেই দুটি কারণে।প্রথমত মৃত্যু পরবর্তী
অবশ্যম্ভাবী ঘটনাগুলি এড়ানোর কোনো উপায় নেই।কারো জন্যই না,তা সে যে ধর্ম,বর্ণ বা মতেরই হোকনা কেন?রাজা,প্রজা কিংবা ভিখারী,উচুঁ,নীচু কিংবা মধ্যম সকলকেই মৃত্যু পরবর্তী জীবনটার মুখোমুখি হতে হবে।
©somewhere in net ltd.