নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গোলাম রব্বানী ৮৪

আমি গোলাম রব্বানী,পেশা-ব্যবসায় (আই,টি)

গোলাম রব্বানী ৮৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যু অমোঘ,সুনিশ্চিত হে মৃত্যু পথযাত্রীরা,তৈরী তো?পর্ব-০২

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

(বেশী লম্বা লেখাতে অনেক সময় পাঠকরা বিরক্ত বোধ করেন।তাই লম্বা লেখাটাকে কয়েকটা পর্বে ভাগ করে নিলাম।)
পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকেই একটা জিনিষের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র কোন অনিশ্চয়তা ছিলনা কখনও।সেটা কি?এর উত্তর খুঁজতে কাউকে জিজ্ঞেস করতে হবেনা,নিজের অজান্তেই মুখে চলে আসবে একটা শব্দ।মৃত্যু।হ্যা মৃত্যু,অমোঘ,সুনিশ্চিত এবং অবশ্যম্ভাবী। (প্রথম পর্বের অংশ বিশেষ)
অনেকেই আছেন যারা বলবেন,আরে আমি তো সৃষ্টিকর্তাই মানিনা আর তার মুখোমুখি হওয়াকে মানবো।তাও আবার মৃত্যুর পর।যতসব বুরবাক!
কেউ বা বলবেন গম্ভীর মুখে ‘আমি মৃত্যু পরবর্তী জীবন মানিনা।’
কেউবা থাকেন খুব জ্ঞানীভাব নিয়ে,বলেনও ভাল ‘আমি অবশ্যই আস্তিক’।এর পক্ষে যুক্তিও দেখান বিস্তর কিন্তু কাজের বেলায় ঠনঠন।
মৃত্যু পরবর্তী জীবনে সফল হতে গেলে ইসলাম ধর্ম শুধুমাত্র আস্তিক হওয়াটাকেই যথেষ্ট মনে করে না বরং পুরো জীবনটাকেই ইসলামের মানদন্ড কোরআন ও হাদীসের আলোকে পরিচালনা করতে বলে।এই জায়গাটাতেই ইসলাম ও অন্যান্য ধর্ম ও মতবাদের বিস্তর ফারাক রয়েছে।বর্তমানে পৃথিবীতে প্রচলিত কোনো ধর্ম ও মতই তার অনুসারীদের জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট ও সুনির্ধারিত দিকনির্দেশনা দিতে পারেনা।এই জায়গাটাতে অনেকেই হয়ত কোমরটা কষে বাঁধবেন বিতর্কের জন্য।তাই জিনিষটা আরও খোলাসা করছি,ইসলাম জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনাপূর্ণ একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা।একজন মানুষের জন্ম থেকে নিয়ে মৃত্যূ পর্যন্ত,প্রসাব-পায়খানা থেকে শুরু করে বিয়ে-শাদী পর্যন্ত,স্বামী-স্ত্রীর মিলন থেকে নিয়ে সন্তানের লালন-পালন,ব্যাক্তিজীবন থেকে নিয়ে রা্ষ্ট্রীয় জীবন,চাকরি-বাকরি,ব্যবসায়-বানিজ্য,অর্থণীতি,পররাষ্ট্রনীতি সর্ব ক্ষেত্রে ইসলাম দিয়েছে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা ও সীমারেখা।যার বাইরে যাওয়ার সুযোগ ইসলাম ধর্মালম্বীদের নেই এবং যাওয়ার প্রয়োজন ও পরবেনা কারণ দিকনির্দেশনা ও সীমারেখাগুলো স্বয়ং স্রষ্টার পক্ষ থেকেই,তার অবতীর্ণ মহাপবিত্র গ্রণ্থ আলকোরআন থেকে নেওয়া যার ব্যখ্যা হিসেবে রয়েছে যার উপর এই কোরআন নাযিল হয়েছে তার মুখ নি:সৃত হাদীস।তবে মাঝে মাঝে সীমাবদ্ধতা উপলদ্ধি হয় আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে এবং ধর্মীয় মূলনীতি গুলো আমাদের সামনে ভুলভাবে উপস্থাপিত হওয়া কারণে।
অন্যান্য ধর্ম ও মতবাদে কোথাও শুধু উপাসনাকেই একমাত্র ধর্মীয় কাজ বলে মনে করা হয় এবং সেটাকেই বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়েছে,কোথাও আবার বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়েছে মানবতাকে,কোথাও আবার সুনির্দিষ্ট বিষয়েরর উপর ফোকাস করা হয়েছে বেশী বাকি অনেক বিষয় থেকে গেছে একেবারই অবহেলিত ও উপেক্ষিত।
চলবে

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.