![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকের রোযাটা একটু বেশি ই কঠিন হয়েছে।বেশ কয়েকদিন বৃষ্টির পর আজ ছিল একেবারে কাঠফাটা রোদ তারপর আবার সারাদিনই থাকতে হয়েছে দৌড়ের উপর।ইফতারটা বসে ঠিকমত করতে পারব কিনা তা ও বুঝতে পারছিলামনা।অবশেষে
একসময় দৌড়ের পরিসমাপ্তি হল,আল্লাহর অশেষ রহমতে ঘর্মাক্ত দেহ নিয়ে আযানের ঠিক দু মিনিট আগে ইফতার নিয়ে বসতে পারলাম।ফ্রিজের হিমশীতল ঠান্ডা পানি দিয়ে বানানো লেবুর শরবতের গ্লাসটা দেখেই মনটা জুড়িয়ে গেল কিন্তু গ্লাসের গায়ে জমে থাকা বিন্দু বিন্দু পানির ফোটাগুলো হৃদয়টাকে মনে হয় মরুভূমির তপ্ততা দিয়ে আরও রুক্ষ করে দিতে চাচ্ছে। ।পরের একটা মিনিট মনে হল আমার জীবনের সবচেয়ে দীর্ঘতম মিনিট।অবশেষে ইফতারের সাইরেন বাজল তড়িঘড়ি করে শরবতের গ্লাসটা হাতে নিলাম কিন্তু বিধিবাম শরবত মুখে নেওয়ার আগেই আরেকটা হাতের থাবা এসে পড়ল গ্লাসটার উপর কিছুটা পানি ছিটকে মাটিতে পড়ল বাকিটা হাতের মালিক ঢকঢক করে পান করতে শুরু করলেন।জানিয়ে রাখা ভাল ভদ্রলোক কিন্তু রোজাদার ছিলেননা।
আমি রাগী মানুষ।এমতাবস্থায় কি করা উচিত ছিল অথবা পাঠক নিজে হলে কি করতেন সে বিবরন আরেকদিন হয়ত শুনব।আমি কি করেছি সেটার মধ্যেই লেখা সীমাবদ্ধ রাখব।
আমি তাকে জড়িয়ে ধরে তার হাত থেকে গ্লাসটা নিয়ে নিজেই তার মুখে তুলে শরবতটা খাইয়ে দিলাম,চুমোয় চুমোয় তার গালদুটো ভরিয়ে দিলাম সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল সারাদিন প্রচন্ড গরমে পরিশ্রমের ধকলটা নিমিষেই অনাবিল আনন্দের শীতলতায় রূপ নিল।
কি ভাবছেন?আমি মহাপুরুষের ভাব নিতেছি?
নারে ভাই,মহাপুরুষ টহাপুরুষ কিছু না।
আসল কথা হচ্ছে আমি একজন বাবা আর ঐ ভদ্রলোক হচ্ছে আমার আঠার মাস বয়সী
ছেলে।যাকে প্রায় সবসময় একজন জাপটে ধরতে হয় আর একজন খাওয়াতে হয়।
আশা করি আমার অনাবিল প্রশান্তির উৎস ও কারণ বুঝাতে আর একটা শব্দও খরচ করতে হবেনা।
©somewhere in net ltd.