![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের সম্পর্কে লেখার মতকিছুই নাই , খুব ই অগোছালো মানুষ আমি । গোরস্থান পাহারা দেওয়ার বাইরে টুকটাক লেখালেখি করি। গান গাইতে খুব ভালোবাসি !
বিষন্ন হতাশাচকিত চোখে সেদিন দেখেছিলাম রাস্তায় পড়ে থাকা,
ধুলোয়-লূটিপটি খাওয়া এক বিমূর্ত কিশোরের মুখ,
যার বয়স এখনো পাঁচ-এ পৌছেনি,মা তাকে ফেলতে চেয়েছিল,
গর্ভাপাতের সময় ডাস্টবিনের পঁচা-নর্দমার কোন ডোবা নালায়,
শিশুটির অপরাধ! জানতে চেয়েছিলাম বারবার,উত্তর পায়নি,
শুধু জেনেছিলাম পরকীয়া প্রেমের ফসল এই বিমূর্ত ক্ষুধার্ত শিশুটি।
পরকীয়া! নষ্ট প্রেমের এই অশোভনতায় পৃথিবীটা আজ নষ্ট হওয়ার যন্ত্রণায়,
নি:শব্দেই কেঁদে কেঁদে অভিসম্পাত দিয়ে যায়,
নষ্ট পাপাচারে বিষন্নআধাঁরেই হটাৎই নেমে আসে,
পৃথিবীর বুকে দূর্যোগ-ঝড়-ভূকম্পন,
বড়ই আফসোস ওই নষ্ট মানুষগুলো চিৎকার করে ডাকতে থাকে মহান প্রভুকে।
তোমার নাম কি? জিজ্ঞেস করি অভূক্ত শিশুকে,
আলামিন , , , ,
হতাশা চকিত দৃষ্টির মাঝে চোখ তুলে তাকিয়ে বলে,
জানেন ভাই,আমার না মা নেই;কেউ নেই আমার এই পৃথিবীতে,
রাস্তায় কাগজ কুড়িয়ে ফিরে এক ভিক্ষুক মায়ের হাতে তুলে দেই এই রোজগার,
আমাকে দশটা টাকা দিবেন পটেটো চিপস্ কিনে খাব,খুব ইচ্ছে করে,
আমার চোখে হঠাৎই জলোচ্ছাসে কেঁপে উঠে,
কোন বিলম্ব না করেই মানিব্যাগ থেকে বের করে দেই বিশ টাকার একটি নোট,
ভাইয়া এটা দশ টাকা নয়;ভুলে বিশ টাকা দিয়েছেন,এই দেখেন দেখেন…
দেখতে হবে না রে ওটা তোমাকেই দিয়েছি।
শুনেন ভাইয়া;
কি বলো,আরও কিছু খেতে ইচ্ছে আছে তোমার,
না হাতটা বাড়ান আমি একটি জিনিস দেব, বাড়ান না;
হাত বাড়ালাম—
চোখ বন্ধ করেন—
কেন?
করেন না?
আমি হাত বাড়াই,আলামিন আমার হাতে তুলে দেয়,
একগুচ্ছ শিশির ভেঁজা গোলাপ,
চোখ খুলেই বিস্মিত হই,শিশুরাও ফিরিয়ে দেয় না—
বারবার মনে হয়েছিল সেদিন ভোরের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়টি,
আমার হাতে তুলে দিয়েছিল শিশু আলামিন পৃথিবীর অমূল্য ভালবাসার মোড়কের ভিতর
এক অকৃত্রিম সন্তানের সজীব ভালবাসা।
©somewhere in net ltd.