নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি গর্বিত আমি বাঙ্গালী

নিজের সম্পর্কে লেখার মত কিছুই নেই , খুব ই অগোছালো মানুষ আমি । গোরস্থান পাহারা দেওয়ার বাইরে টুকটাক লেখালেখি করি। গান গাইতে খুব ভালোবাসি !

গোরস্থানের প্রহরী

নিজের সম্পর্কে লেখার মতকিছুই নাই , খুব ই অগোছালো মানুষ আমি । গোরস্থান পাহারা দেওয়ার বাইরে টুকটাক লেখালেখি করি। গান গাইতে খুব ভালোবাসি !

গোরস্থানের প্রহরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবাইকে ইংরেজী নববর্ষের শুভেচ্ছা

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৮

সময় কি ভাবে চলে যায় বুঝতে ই পারি না , অনেক ঘটন-অঘটন, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, চড়াই-উৎরাই, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও আনন্দ-বেদনার সাক্ষী হয়ে কালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে এ বছরটি। আজ রাতটুকু পেরোলেই কাল পুবাকাশে উঠবে নতুন সূর্য। এ সূর্য নতুন বছরের, এ সূর্য নতুন দিনের, নতুন স্বপ্নের। নতুন সূর্যালোকিত দিনের প্রতি অসীম প্রতীক্ষা ও প্রত্যাশা মানুষের। উৎসব-আয়োজনের মধ্য দিয়েই সারা দেশের মানুষ স্বাগত জানাবে খ্রিস্টীয় নতুন বছর ২০১৪ সালকে। বিশ্ববাসীও মেতে উঠবে নতুন বছরের আগমনী উল্লাসে।পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করতে নানা দেশে চলছে নানা আয়োজন। অতীতের ময়লা ঝেড়ে ফেলে নতুন বছরে একটি পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর দেশ, জাতি ও সমাজ পাবো এটাই সবার প্রত্যাশা।



ব্যস্ততা জীবন কে অনেক বেশি যান্ত্রিক করে ফেলছিল আর তাই আবার নিজের জন্য একটু সময় বের করে আনা ,আপনাদের সাথে সুখ দুঃখ শেয়ার করা ,একটা সময় ব্লগ আর ফেসবুক ই ছিল আমার একটা মাত্র নির্ভেজাল আনন্দ আর একান্ত অবসর এর জায়গা , যে কোন ভাবেই হোক ছেদ পরেছে তাতে , ব্যস্ত তার সাথে সাথে এটা ই মেনে নিলাম হয়ত আমিই খুব পুরানো মানসিকতার হয়ে গেছি , আমি জানি ভালবাসার কাছে মানুষ বরাবরই বন্দী , আমি ও তেমনি বন্দী আমার সে ই প্রিয় মানুষ গুলোর ভালবাসার কাছে , যাদের ভেতর আছেন অনেকেই বিশেষ করে ভালবাসার দেয়াল ভাই, সাইক্লোন ভাই ,মরু বেদুইন ভাই , মুরুব্বি ভাই , বই পাগল ,রাজিন আরও অনেকে যাদের নাম এখন মনে পরছে না এবং অবশ্য ই ছায়েদা আলী। এখানে অনাকাঙ্ক্ষিত কোন কিছুই আমাদের জন্য সুখকর হতে পারে না এমন টাই আমি মনে করি , আসুন সবাই মিলে মাতি প্রাণে , আনন্দে , নির্ভেজাল মমতায় ।

বহুমাত্রিক ও আলোড়ন তোলা নানা ঘটনার জন্ম দিয়ে মহাকালের পরিক্রমায় বিদায় নিচ্ছে আরো একটি বছর। জীর্ণ ঝরাপাতার মতো ঝরে যাবে বিদায়ী বছরের ক্যালেন্ডারও। আজ ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রক্তিম সূর্য অস্ত যাওয়ার মধ্য দিয়ে হারিয়ে যাবে ঘটনাবহুল এ বছরটি। আজ মধ্যরাতের প্রথম প্রহরে সূচিত হবে দীপ্ত আশায় উদ্ভাসিত নতুন বছর ২০১৪।



ইংরেজী সাল আমাদের দেশে এলো যেভাবেঃ

গ্রেট ব্রিটেনে এই গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডার প্রচলিত হয় ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে। এই ক্যালেন্ডার আমাদের দেশে নিয়ে আসে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে।

গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডারের আগে নাম ছিল জুলিয়ান ক্যালেন্ডার। খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ অব্দে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার মিসর দেশে প্রচলিত ক্যালেন্ডারটি রোমে এনে তার কিছুটা সংস্কার করে তাঁর রোম সাম্রাজ্যে চালু করেন। এই ক্যালেন্ডারে জুলিয়াস সিজারের নামে জুলাই মাসের নামকরণ করা হয়। মিসরীয়রা বর্ষ গণনা করত ৩৬৫ দিনে। মিসরীয়দের ক্যালেন্ডার সংস্কার করে জুলিয়াস সিজার যে ক্যালেন্ডার রোমে প্রবর্তন করলেন তাতে বছর হলো ৩শ’ সাড়ে পঁয়ষট্টি দিনে। এখানে উলেস্নখ্য যে, মিসরীয় ক্যালেন্ডার পরীৰা-নিরীৰা করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলেছেন এই ক্যালেন্ডারের প্রবর্তন করা হয় খ্রিস্টপূর্ব ৪২৩৬ অব্দে।



গ্রিকরা মিসর থেকে ক্যালেন্ডারের ব্যবহার রপ্ত করে। রোমানরা গ্রিকদের নিকট থেকে এটা রপ্ত করে সংস্কারের মাধ্যমে। রোমানদের প্রাচীন ক্যালেন্ডারে নাম ছিল দশটি। তারা বর্ষ গণনা করত ৩০৪ দিনে। মধ্য শীতকালের ৬০ দিন তারা গণনায় আনত না। তাদের বছরের প্রথম মাস ছিল মার্চ। ১ মার্চ তারা নববর্ষ উৎসব পালন করত। শীতকালের ৬০ দিন গণনায় না আনার কারণে বর্ষ গণানায় যে দু’টো মাসের কমতি হতো তা পূরণ করতে তাদের অনির্দিষ্ট দিন সমূহের দ্বারস্থ হতে হতো। এই সব দুর্বোধ্যতা ও জটিলতার কারণে সাধারণ জনগণের মধ্যে তখন ক্যালেন্ডার ব্যবহারের প্রবণতা একেবারেই ছিল না।



রোমের উপাখ্যান খ্যাত প্রথম সম্রাট রোমুলাসই ৭৩৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রোমান ক্যালেন্ডার চালু করবার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। এই রোমুলাসই ৭৫৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ইতালির টাইবার নদীর তীরে রোম নগরী প্রতিষ্ঠা করেন এবং তাঁরই নামে রোমের নামকরণ করা হয়।



পরবর্তীকালে রোমান সম্রাট নূমা বছরের মাসগুলোকে সঠিক বিন্যাসের লৰ্যে প্রচলিত ১০ মাসের সঙ্গে জানুয়ারি ও ফেব্রম্নয়ারি নামে আরও দুটো মাস যুক্ত করেন। জানুয়ারি মাসকে বছরের প্রথম মাস হিসেবে এবং ফেব্রম্নয়ারি মাসকে বছরের শেষ মাস হিসেবে স্থাপন করা হয়। জানুয়ারি মাসকে ধার্য করা হয় ২৯ দিনে এবং ফেব্রম্নয়ারি মাস ২৮ দিনে। এ ছাড়াও তিনি মারসিডানাস নামে অতিরিক্ত একটি মাসেরও প্রবর্তন করেন।

জুলিয়ান ক্যালেন্ডার চলছিল। কিন্তু ডাইওনিসিয়াম এঙ্গুিয়াস নামের এক খ্রিস্টান পাদ্রি যিশুখ্রিস্টের জন্মের বছর থেকে গণনা করে ৫৩২ অব্দ থেকে খ্রিস্টাব্দের সূচনা করেন। ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে রোমের পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরী জ্যোতির্বিজ্ঞানীগণের পরামর্শ নিয়ে ক্যালেন্ডারটির কিছুটা সংস্কার করেন। তাঁর নির্দেশে ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসের ৫ তারিখকে ১৫ তারিখ ধরা হয়। তিনি ঘোষণা করেন যে সব শতবর্ষীয় সন ৪০০ দ্বারা বিভক্ত হবে সেই সব শতবর্ষ লিপইয়ার বলে গণ্য হবে।



ইংরেজী সনের জানুয়ারি মাসের নামকরণ করা হয়েছে দ্বাররৰী দেবতা জানুসের নামে, রণদেবতা মারস বা মারফের নামে মার্চ মাসের নামকরণ করা হয়েছে, দেবরাজ জুপিটারের পত্নী জুনোর নামে নামকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া জুলিয়াস সিজারের নামে যেমন জুলাই মাসের নাম হয়েছে তেমনি সম্রাট অগাস্টারের নামে হয়েছে অগাস্ট বা আগস্ট মাস।



পৃথিবীর বেশ কিছু দেশ আছে যেখানে সেই দেশের অভ্যনত্মরে ইংরেজী ক্যালেন্ডারের ব্যবহার নেই। সেসব দেশে যার যার নিজস্ব ক্যালেন্ডার বা পঞ্জিকা ব্যবহৃত হয়। অবশ্য আনত্মর্জাতিক যোগাযোগ ও কাজকর্মের খাতিরে ইংরেজী তারিখ প্রযোজনের তাকিদে ব্যবহৃত হয়।



সব মিলিয়ে বিদায়ী বছরটি ছিল বৈচিত্র্যময়। অতীত পেছনে ফেলে সামনে নতুন বছর। এখন নতুন বছর ও নতুন সূর্যের অপেক্ষায় সবাই। নতুন বছরে সকলের কাছে আমার প্রত্যাশা, আসুন পুরনো বছরের হিংসা, বিদ্বেষ, শত্রুতা সব ভুলে গিয়ে নতুন বছরে নিজেকে নতুন করে গড়ে তুলি। পুরনো বছরের পাপগুলো মনে মনে হিসেব করে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। আর নতুন বছরটিতে পুরনো পাপগুলো পুণরায় না করার দৃঢ় সংকল্প করি। মনে রাখি, সংকল্পই আমার মাঝে পরিবর্তন আনবে।

পুরাতন বছরের সমস্ত দুঃখ, কষ্ট ও গ্লানির দাগ ধুয়ে মুছে যাক সবার জীবন থেকে এই প্রত্যাশায় সবাইকে জানাই নতুন বছরের প্রানঢালা উষ্ণ শুভেচ্ছা।



শুভ ইংরেজী নববর্ষ “২০১৪” শুভ হোক ২০১৪ সাল সবার। :) :)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.