নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুরক্ষিত আধারে ধারন করছি সব কষ্ট, দু:খ আমরন। \"এমন মানব জনম আর কি হবে। মন যা কর, ত্বরায় কর এই ভবে।\"

গার্ডেড ট্যাবলেট

সুরক্ষিত আধার

গার্ডেড ট্যাবলেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

টিকার দিশা ও পাপন নাচন। আমরা ও আমাদের সরকার

২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১২



আমাদের দেশে আসন্ন করোনা টিকা সংকটের মূল কুশীলব ভারতের টিকা উৎপাদনকারী সেরাম;অনুঘটক সরকারের নিস্ক্রিয়তা এবং যথাসময়ে উদ্যোগহীনতা। জড়িত পক্ষগুলোর রাজনৈতিক, কৌশলগত বা অর্থনৈতিক অভিসন্ধির সম্মিলিত চাপ অনেক বড় হয়ে বিভ্রান্ত করছে সাধারন জনগনকে। গতকাল টিকা প্রাপ্তি ও আমদানি নিশ্চিত করতে অতিউৎসাহী সরকারি কমিটির সভার আলোচনা বিষয়ে লিখেছিলাম। (Click This Link) এত তাড়াতাড়ি আবার লিখবো তা ভাবনায় আসে নি।

ঢিলেমি বা অযোগ্যতা ঢাকতে অজুহাত বা খোঁড়া যুক্তির সমারোহ সরকারের কাছে অপ্রত্যাশিত নয় কিন্তু দুঃখজনক হলেও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে এই পরিপক্কতার পীড়াদায়ক অভাব আমাদের অসহায়ত্বকে উপহাস করছে। গতকাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সংবাদপত্রে যেভাবে সেরাম-বেক্সিমকোর যোগাযোগের সর্বশেষ অবস্থার বরাত দিয়ে টিকা সরবরাহে সেরামের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা অ আন্তরিকতা বারবার নিশ্চিত করছিলো তাতে আমরা আশা করছিলাম সরকারি উদ্যোগ; নিতান্ত হলেও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য যা আমাদের আশ্বস্ত করতে পারতো। চলমান অচলাবস্থায় সরকারের নিস্ক্রিয়তা আমাদের অবাক হবার মাত্রাতে নতুন রেকর্ড গড়ছে সময়ের যেকোনো একক ব্যবধানে। এদিকে ২৪ ঘন্টায় যেন ইউটার্ন নিলো সেরামের আশা জাগানিয়া তৎপরতা। কিভাবে? তার আঁচ পাওয়া গেলো পাপন সাহেবের অধিকার-অনধিকারের বয়ানে। গতকালের ইত্তেফাকে ছাপা রিপোর্টের একটি অংশ খেয়াল করিঃ ‘টিকা চেয়ে ভারতের উত্পাদক প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐ বেসরকারি কোম্পানিটি যোগাযোগ করলে তারা বলেছে, আমরা টিকা দিতে প্রস্তুত। কিন্তু এটা এখন ভারত সরকারের বিষয়। তাদের ভ্যাকসিন প্রস্তুত আছে। ভারতের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ক্লিয়ারেন্স পেলেই তারা আমাদের দিতে পারে।’ পাপনের গলায়ও একই সুরে একই গান - ‘আরো ৫০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি রেখেছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। এ জন্য ভারতের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি এখনো পাওয়া যায়নি। ঐ মন্ত্রণালয় ছাড়পত্র দিলেই তারা করোনার টিকা পাঠিয়ে দিতে পারবে।’ সেরামের এহেন সৎ আত্মপক্ষ সমর্থন এবং তার সাফাই গাওয়া পাপন কেন এখন নেচে-কুঁদে জেরবার! কেন হুংকার ছাড়লেন - ‘টাকা দিয়েছি, টিকা আটকানোর অধিকার সেরামের নেই’ বলে? গতকাল পর্যন্ত অভিযোগ ছিলো ভারত সরকারের প্রতি। আর আজ সেরামকে বলা হলো আসল কালপ্রিট! তবে কি আমাদেরকে এসব ঘটনার সত্যাসত্য নিয়ে অন্ধকারে রাখা হচ্ছে? এ নিয়ে হম্বিতম্বি করার সুযোগ আছে কিন্তু তা এই মুহূর্তে সংকট নিরসনের গুরুত্ব বিবেচনায় অর্থহীনভাবে নিস্প্রয়োজন। ব্যাপারটাতো আর নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে মাশরাফি-তামিমদের চাহিবামাত্র বেতন বৃদ্ধি নয়!

সেরাম তাদের দায় ভারত সরকারের উপর বর্তাচ্ছে আর ভারত সরকারের তরফ থেকে হ্যাঁ-না কোনো সংকেতই পাওয়া যাচ্ছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সেরাম কূটচালের খেলোয়াড় এবং তারা বাংলাদেশের ন্যায্য পাওনা মেটাতে আপাতত অনিচ্ছুক অন্তত জুন-জুলাইয়ের আগে নয়। বিশিষ্ট বেনিয়াধিপতি পাপনকে সাধুবাদ জানাই সেরাম চরিত্র দেরিতে হলেও বুঝতে পারার জন্য। তবে এখানে প্রশ্ন আসে পাপন পীরের গত পরশুর বক্তব্যে। তিনি বলেছিলেন, ‘এপ্রিল-মে মাসে টিকা নিয়ে একটু ঝামেলা হবে। জুন মাস থেকে কোনো সমস্যা হবে না।’ তার মানে পাপন গং সেরামের কাছ থেকে যে জবাব পাচ্ছে তাতে সেরামের তরফ থেকে কোনো গোমর নেই।

হাতে গুনে তিনদিন হলো পাপন ইনিয়ে বিনিয়ে সেরাম থেকে টিকা আমদানি সংকট নিরসনে নিজেদের অপারগতা প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারকে মধ্যস্থতাকারির জোরালো ভুমিকা নিতে অনুনয় করছেন। এই দুর্যোগ পরিস্থিতিতে দরবেশ বাবার টিম বেক্সিমকো ফার্মার ক্যাপ্টেন পাপনের আর্জি সরকার আমলে নিচ্ছে না কেন? সরকার যে টিকা হাহাকারের এই পরিস্থিতিতে বেকার বসে আছে এমন নয়। পরিস্থিতির গতিপ্রকৃতি সুবিধার নয় তা আঁচ করে উত্তরে আর পশ্চিমে টিকা সংগ্রহের ব্যাপক চেষ্টা শুরু হয়েছে। তাদের নেপথ্য অঙ্গুলি হেলনে প্রশাসন-কূটনীতিবিদরা এখন এতোটাই তৎপর যে ভূলোকের সর্বকোণ-সর্বদিক থেকে সন্দেশ আসছে টিকা পাওয়ার। এ বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশে বন্যা হবে কিনা তার আভাস জানা না গেলেও আগামী মাস দুয়েকের মধ্যে টিকার বানে যে আমরা ভাসবো তার লক্ষণ কেয়ামতের মতো স্পষ্ট। আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের নির্ঘুম-ঘোরকাটা কূটনীতিকদের আহবানে সাড়া দিতে মরিয়া রুশ-চৈনিক-মার্কিন প্রশাসন তাদের রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে বাংলাদেশের টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করতে একঘাটে কেবল জল খাচ্ছেই না যেন গেটোরেট আর আদাজলের কনকোকশন খেয়ে পুরাই অস্থির!!

কিন্তু এতো ডামাডোলের মধ্যেও ভারতের সাথে যোগাযোগে মুখে এখনও কুলূপ এঁটে বসে আছে আমাদের সরকার। এই অযথা সময় ক্ষেপন কিসের আলামত? প্রাপ্য টিকার হিস্যা আদায়ে ভারতের কাছে অনুনয়-আর্জি পেশ কিংবা চাপ সৃষ্টি সময়ের দাবী। সরকারের টনক নড়ে কি নড়ে না তা আমাদের সাধারন বোধের ঊর্ধ্বে। তাই সম্বিত ফিরে পাওয়া সরকারের কাছ থেকে আমরা আশ্বাস চাই। হোক না তা ভোট পাওয়ার জন্য দেয়া প্রতিশ্রুতির মতো মিথ্যার ফুলঝুরি! করোনা মোকাবিলায় অসহায় জনগণ ধৈর্য নিয়ে তাদের দিকেই তাকিয়ে আছি।




ছবিঃ ইয়াহু নিউজ

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তঘললি কাণ্ড !!

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

তুঘলকি কাণ্ড !!!

২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:১৫

গার্ডেড ট্যাবলেট বলেছেন: সেরামের সাথে চুক্তি থেকে শুরু করে টিকার চালান ঢাকা পৌঁছা পর্যন্ত আমাদের পাপন ভাইয়ের ঠাট-বাট, ভাব চক্কর আর পিআরের ক্যারিজমা দেখলে তুঘলকও ভিমরি খেতো নিশ্চিত!! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪৯

শাহ আজিজ বলেছেন: এই খানিক আগে টুইটারএ দেখলাম আমেরিকা ভারতকে ভ্যাক্সিনের র ম্যাটেরিআল দেবেনা বা দিচ্ছে না । তাতে ভারত আটকে গেছে । এই পলিটিক্সের আন্তঃ কাহিনী জানতে পারব রাতেই ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:২৯

গার্ডেড ট্যাবলেট বলেছেন: অ্যামেরিকা কোভিড সহ সব ধরনের টিকার কাঁচামাল রপ্তানি বন্ধের জন্য যে ব্যবস্থা নিয়েছে তা গত কয়েকদিনের ঘটনা নয়। বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেন ক্ষমতায় আসার দ্বিতীয় দিনেই একটা নির্বাহী আদেশে সই করেন যার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ মহামারি/অতিমারি মোকাবিলায় বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও আনুষঙ্গিক সরবরাহের পর্যাপ্ততা সুনিশ্চিত করতে প্রশাসনকে নানাবিধ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেয়। মূল নির্বাহী আদেশের বিস্তারিত জানতে দেখুন Click This Link

এই ব্যাপক পরিকাঠামো ডিকেন্স প্রটেকশন অ্যাক্ট নামে পরিচিত যার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের নিজস্ব ব্যবহার ও ভবিষ্যৎ মজুদ নিশ্চিতকরনের বাইরে সবরকম টিকার কাঁচামাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সবকিছু ভালোই চলছিলো কিন্তু ভারতে সাম্প্রতিক করোনা ঢেউয়ের প্রেক্ষিতে টিকার বাড়তি চাহিদা ও উৎপাদন তাদের কাঁচামালের অভ্যন্তরীন মজুদ দ্রুত ফুরিয়ে দিচ্ছে। এ অবস্থায় গত দিন দশেক ধরে অনন্যোপায় হয়ে কাঁচামালের জন্য অ্যামেরিকার কাছে ধর্না দিচ্ছে। ভারতের কূটনৈতিক সক্ষমতার দৌরাত্তে ব্যাপারটা আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের ফলাও হয়। তার মানে যুক্তরাস্ট্র নতুন করে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি বরং চলমান এক্সপোর্ট ব্যান ভারতের মাথাব্যাথার কারন। আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন Click This Link

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশের কি যোগ্যতা হল না মানসম্মত একটি প্রতিষ্ঠান তৈরী করতে! যেখানে জটিল রোগের বিস্তার রোধের উপর গবেষণা করা যাবে?

এইসব প্রস্তুতি নিয়ে নাকি মধ্যম আয়ের দেশ! ...

বিদেশীদের টেনে লাভ নাই, যেখানে নিজেরাই ঠিক নাই।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৪৫

গার্ডেড ট্যাবলেট বলেছেন: বিভিন্ন টিকা উৎপাদনে আমাদের জাতীয় জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের সক্ষমতা প্রমানিত ও প্রশ্নাতীত। এতো গেলো সরকারি সক্ষমতা। বিভিন্ন বেসরকারি ওষুধ কোম্পানির সক্ষমতাও কারো অবিদিত নেই। কিন্তু করোনা ব্যবস্থাপনার সব পর্যায়েই, হোক সে টিকা আমদানি কি উৎপাদন, আমাদের সরকার চরম উদাসীনতা ও অদূরদর্শীতার পরিচয় দিয়েছে। এখন দুঃখ হচ্ছে বেক্সিমকো সেরাম কমিশনের পুরো অংশ পকেটে পুরতে পারলো না আর যদি সরকার মহলের বাট্টা আগেভাগেই মিটিয়ে দেয়া হয় তবে তো সেই ক্ষতির শোক ভুলতে পাপন সাহেবকে দলবল নিয়ে তুরস্কে গিয়ে তুর্কি নাচন শিখে আসতে হবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩২

মা.হাসান বলেছেন: টিকার মযুদ যা আছে তাতে আর এক সপ্তাহ বা দশ দিন চালানো যাবে। ৫৮ লাখের কাছাকাছি লোক ১ম ডোজ নিয়েছে। সবাইকে ২য় ডোজ দিতে গেলে আরো কম করে ৩৫ লাখ টিকা লাগবে। আট সপ্তাহের যায়গায় ১২ সপ্তাহ ব্যবধানে ২য় ডোজ দিলে সরকারের কাছে একমাসের মতো সময় আছে। এর মধ্যে টিকা আনতে হবে। ১০ কোটি টিকা আনা অর্থহীন। দেশের লোক টিকা নিতে আগ্রহি না। সব মিলিয়ে হয়তো কোটি খানেক লোক টিকা নেবে।

অগ্নিকান্ডে সিরামের প্ল্যান্টে কিছু ক্ষতি হয়েছে। ভারতে অভ্যন্তরিন চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। তবে আমাদের দেশের মানুষদের মানসিকতার সাথে ভারতের লোকদের মানসিকতার পার্থক্য কম। এখানে ১০-১৫% লোক টিকাতে আগ্রহী হলে ভারতেও এভারেজ এর কাছাকাছি হবে। কম হলেও অবাক হবো না। কেনোনা ওখানে সরকারি নেতারা মদ্যপান, গোমূত্র পান, গোবর মাখা এসব নিদানের কথা বলছে, মানুষ এসব ফলোও করছে। কাজেই ভারত ৩০-৪০ বা ১০০ কোটি লোককে টিকা দেবে এটা আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।

ভারত বাংলাদেশকে টিকা দেবে। তবে একটু খেলিয়ে। গনতন্ত্রে জন্মদাতা দলটি যে রকম এর্শাদ কাকুকে চাপ দিয়ে যা খুশি করিয়ে নিচ্ছিলো, ভারত বাংলাদেশকে একটু চাপ দিয়ে কি করিয়ে নিতে চাচ্ছে দেখার অপেক্ষায়।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৪:০৮

গার্ডেড ট্যাবলেট বলেছেন: ১০ কোটি টিকা সংখ্যাটা বাংলাদেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর প্রেক্ষিতে অপ্রতুল। তাতে মেরে কেটে প্যাঁচ কোটি লোকের টিকা সংস্থান নিশ্চিত হবে মাত্র। কেন ব্যাখ্যা করলে সাতকাহন হবে। কয়েকটা পয়েন্টে সক্ষেপে বলি।

ভারতের মতো দ্রুত সংক্রমনের ঝাপটা আসার আগে যত দ্রুত যত বেশি মানুষকে টিকা নেয়ানো যাবে ততোই করোনা মোকাবিলায় এগিয়ে থাকা যাবে। বর্তমান অবস্থা বিচারে এতো বিপুসংখ্যক টিকা মাস দুয়েকের মধ্যে যোগাড় করা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু এবছর শেষ হবার আগেই এই ন্যুনতসংখ্যক টিকার মজুদ নিশ্চিত করতে হবে। ফাইজার/মডার্নার জনপ্রতি দুই থেকে বেড়ে তিনে যাবে তা নিশ্চিত। জনসংখ্যার কত ভাগ টিকা নিতে ইচ্ছুক তার টালি গণনা সময় সাপেক্ষ। বিয়ের দাওয়াতে কয়জন গরু/খাসি খাবে না তার হিসেব করে আয়োজন করা হয় না তেমনি টিকা সংগ্রহ টিকা নিতে সবাই ইচ্ছুক এই প্রিসাম্পশন সাধারণভাবে প্রযোজ্য হবে। টিকার প্রকৃত সংখ্যা নির্ভর করবে করোনা মোকাবিলার স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা সমন্বয়ের উপর। এ বিষয়ে আলোচনা আরেকটি দীর্ঘ লেখার প্রস্তাব রাখে।

সেরামের প্লান্টে অগ্নিকান্ডের ক্ষয়ক্ষতির চেয়ে ক্রিটিকাল হলো টিকা তৈরির কাঁচামালের সরবরাহৃ শৃঙ্খল সমন্বয় নিশ্চিত করা যার সবই নির্ভর করছে অ্যামেরিকার কাঁচামাল রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া বা বজায় রাখার উপর। আর সংক্রমনের মাত্রা ছাড়ানো এই অবস্থায় ভারতে অভ্যন্তরীন চাহিদা কিছুটা নয় বরং প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে। আবার টিকা নিতে ইচ্ছুক জনসংখ্যার শতকরা হার এদেশে বা ভারতে ১০-১৫ ভাগ আপনার এই উপাত্তের ভিত্তি এবং যৌক্তিকতা প্রশ্নসাপেক্ষ। অ্যামেরিকাতে পার্টি লাইন ধরে বিবেচনা করলে শতকরা ৫০ ভাগ জনগন যারা রিপাবলিকান সমর্থক তারা টিকা নিতে আগ্রহী নয়। তার উপর ডাক্তারি পেশা সংশ্লিষ্টসহ অনেকেই অ্যাণ্টি ভ্যাক্সার।তাহলে কিভাবে সে দেশে ১৬ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের বেশি অন্তত এক ডোজ টিকা পেয়েছে। ইচ্ছা-অনিচ্ছার সেই হিসাব টানলে তো সংখ্যাটা এত হতো না। এখানে আপনি সভ্য দেশ বা শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর দোহাই দিতে পারেন কিন্তু একথা আপনাকে বিশ্বাস করতেই মার্কিনীদের অন্তঃসারশুন্যতা কিংবা কূপমন্ডুকতা সাধারন বৈশিষ্ট্য না হলে ট্রাম্পের মতো অথর্ব ২০২০ এর নভেম্বরের নির্বাচনে এত বিপুসংখ্যক ভোট পেতে পারতো না।

ভারতেবাংলাদেশকে নিয়েখেলার ইতিহাস আমরাস্বাধীনতার পর থেকেইদেখেআসছি। কিন্তু ভারত প্রীতি বা বিরোধীতার কাঁচে না তাকিয়েও বলা যায় ভারত এখন খেলানোর অবস্থায় নেই। তাদের নিজের মাথার ঘায়ে কুত্তা পাগল অবস্থা। মার্কিনীদের তোয়াজ করে কাঁচামাল পাবার জামিন পেতে তাদের হাতের ভাগ্যরেখা মুছে যাবার দশা!!

৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২২

মা.হাসান বলেছেন: আবার টিকা নিতে ইচ্ছুক জনসংখ্যার শতকরা হার এদেশে বা ভারতে ১০-১৫ ভাগ আপনার এই উপাত্তের ভিত্তি এবং যৌক্তিকতা প্রশ্নসাপেক্ষ।
বাংলাদেশ সরকার ফেব্রুরারির শুরুতে যে টিকা কার্যক্রম চালু করে তাতে ৪০+ বয়সের এবং কিছু বিশেষ পেশার সব বয়সের (১৮+) লোক টিকা পাবে বলা হয়। পরে এই লিস্টে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুলের শিক্ষক, স্টাফ, কিছু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। টিকার জন্য আবেদন করার যোগ্য লোকের সংখ্যা সরকারি হিসেবে সাড়ে পাঁচ - ছয় কোটির কাছাকাছি।
টিকার জন্য আবেদন পড়েছে ৭০ লাখের মতো। শুরুর দিকে দিনে ২ লাখের বেশি আবেদন আসলেও, পরে এটা কয়েক হাজারের ঘরে চলে আসে। এখন এটা দিনে দেড় হাজারের মতো। কয়েক দিন আগে দিনে যখন মৃত্যু ১০০ জনের বেশি হচ্ছিলো, তখনও আবেদনের সংখ্যা দিনে ২ হাজারের নিচে ছিলো। কাজেই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়লে বা কোভিডের ভয়াবহতা বাড়লে টিকা নেয়ার লোকের সংখ্যা বাড়বে এমন ভাবতে পারছি না।
জোর করে লোককে টিকা দেয়া যায় না।
সরকারের অনেক প্রচারনার পরেও সাড়ে পাঁচ কোটির মাঝে ৭০ লাখের মতো নিবন্ধন করেছে, আরো কিছু লোক করবে, আশি লাখের বেশি হবে কি না বলা মুশকিল। সাড়ে পাঁচ কোটির মাঝে আশি লাখ লোক হিসেবে ১৫% এর কাছাকাছি হয়।

দেশের পাঁচ কোটি লোক টিকা নিতে আগ্রহি এমন কোনো পরিসংখ্যান থাকলে জানানোর জন্য অনুরোধ করছি।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৩২

গার্ডেড ট্যাবলেট বলেছেন: কষ্ট করে আপনার মতামত এর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। বাংলাদেশে করোনার টিকা আমদানি ও ব্যবস্থাপনায সফলতা অর্জন করার জন্য এ মুহূর্তে কি রূপরেখা অনুসরণ করা দরকার তার ধারণা নিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে দৃষ্টি দেয়া যাক।

তেত্রিশ কোটি জনসংখ্যার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রাপ্তবয়স্ক প্রায শতাংশ। তার মানে টিকা নেয়ার যোগ্য ২৫ কোটি জনগোষ্ঠীর জন্য কেবল ফাইজার ও মডার্নার কাছ থেকে মোট ৬০০ মিলিয়ন বা ৬০ কোটি টিকার চুক্তি করেছে মার্কিন সরকার যা দিয়ে বলা যায় পুরো জনসংখ্যাকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা যায়। উপরন্তু জনসন্স এর সাথে ২০০ মিলিয়ন টিকা হিসেবে আনলে ৮০ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার বন্দোবস্ত সেরেছে বাইডেন সরকার। জনসংখ্যার শতকরা কত ভাগ টিকা নিতে ইচ্ছুক অনিচ্ছুক সেই হিসাব কষে করোনা মোকাবেলার টিকা ব্যবস্থাপনা করলে প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার অর্ধেকের টিকা নিশ্চিত হওয়ার সাথে হাত গুটিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতো।

করোনার মতো মহামারী, যা টিকাগ্রহনের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, মোকাবেলায় যে কোন দেশের সরকারি নীতিতে জনসংখ্যার কত অংশ টিকা নিতে অনিচ্ছুক তা মূল নিয়ামক হতে পারেনা। আরেকটি কথা ভুলে গেলে চলবে না যে করোনার জন্য টিকাদান এক মৌসুম বা এক বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। টিকা নেওয়ার পরে ইমিউনিটি পাঁচ-ছয় মাসের মতো স্থায়ী হবে ধরে নিয়ে ফাইজার ও মডার্না তাদের টিকার তৃতীয় ডোজের জন্য ট্রায়াল' শুরু করে দিয়েছে। ভবিষ্যৎ সংক্রমণ এবং দীর্ঘমেয়াদী টিকা কর্মসূচি বিবেচনা করলে আমাদের দেশে ৫ কোটি মানুষের জন্য টিকা নিশ্চয়তা কোনভাবেই পর্যাপ্ত হতে পারে না। জনসংখ্যার মোট ৭০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ধরে নিলে বাংলাদেশে প্রায় ১৩/১৪ কোটি মানুষকে টিকাদানের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এ বিপুল জনগোষ্ঠীর জন্য টিকাদান কর্মসূচি সম্পন্ন করতে এবছর ছাড়িয়ে ২০২২ এর শেষ নাগাদ চলে আসবে। করোনা মোকাবেলায় ট্রাম্প প্রশাসন এর ভুল বা উল্টোনীতি যদি বাইডেন ক্ষমতায় আসার পরেও বজায় রাখতেন তবে কিন্তু গণটিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে এখন পর্যন্ত যে টিকা দানের হার বা আপাত লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে তা আদৌ সম্ভব হতো না। এ প্রসঙ্গে জেনে নেয়া ভালো যে বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর টিকা নিশ্চিত করণ চুক্তির মাধ্যমে টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো থেকে দ্বিগুণেরও বেশি টিকার মজুদ নিশ্চিত করেছে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে বাংলাদেশে এ বছরের শেষ নাগাদ কিংবা আগামী বছরের প্রথম দিকে যে টিকা দেয়া হবে তা এখনই নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ সরকার যদি আরো উদ্যোগী হয়ে কেবলমাত্র ভারতের সেরামের উপর নির্ভর না করে অন্যান্য উৎস থেকে টিকা নিশ্চিত করে রাখতো তবে আমাদের কে আসন্ন টিকা সংকট নিয়ে দুশ্চিন্তিত হতে হতো না। নতুন ঢেউয়ের অপেক্ষা না করে সরকার যদি ব্যাপারটাকে আরও গুরুত্বের সাথে নিয়ে কঠোরভাবে টিকা কর্মসূচি চালাতে পারতো তবে হয়তো মার্চ এপ্রিল মাসের এই সংক্রমনের ঢেউ এবং জাতীয় জনস্বাস্থ্যের বাড়তি দুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব করা যেতো।

৭| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ৩:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: আচ্ছা, এই টিকা নিলে কি আর করোনা হবে না?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.