![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুরক্ষিত আধার
'স' তে সাথে থাকা
আমার চিঠিটা যখন ডাকে পৌছবে তুমি চমকে যাবে নিশ্চিত। আমাদের মাঝে অবাক করা বোঝাপড়া। তাই তো একে অপরকে একটুখানি শুনতে চাওয়া বা বেতার চিঠির অপেক্ষার অনুভূতি অহর্নিশ আলোড়ন তোলে। কিন্তু এত কিছুর পর হাতে কলম নিয়ে দু লাইন লিখে নীল খামে ভরে পাঠানো হয়ে ওঠে না। আমি জানি তুমি আমার হাতের লিখা দেখতে চাও। পারলে প্রতিদিন হাতে লিখে পাঠাই আমি তুমি তাই চাও। আমরা একসাথে থাকলে আমি প্রতি রাতে তুমি ঘুমিয়ে গেলে পাতা ভর্তি করে প্রেমপত্র লিখতাম। সকালে ঘুম ভাঙলে আমার লিখা পড়ে তোমার দিন শুরু করতে! আমাদের অদ্ভুদ সম্পর্ক স্থান-কাল পাত্তা না দিয়ে অনেক জমাট। অনেক না পাওয়ার মাঝে একটু পাওয়ার আবেগ অনেক বড়; অদ্ভুতও বটে। যেমন অদ্ভুত আজ তোমার সকালটার শুরুটা। আর তোমাতে মাতানো আমার সন্ধ্যা!
আমাদের পরিচয়ের তিন বছরে তুমি কত কতবার চেয়েছো তোমার বাড়ির পেছনের খোলা মাঠে শীতের ভোরে খালি পায়ে ঘাসে জমা শিশির ছুঁয়ে আসবে। তেমনি কত শতবার চেয়েছো আমি তোমাকে চিঠি লিখে পাঠাই। তুমি কি জানো আমার ভালোলাগার অনেক কিছুই তোমাকে বলা হয়ে ওঠে না। এটা আমার আড়ষ্ঠতা যতটা তারও বেশি অনিচ্ছা বলতে পারো। আমি জানি যদি কম্পিউটারে লিখতাম তবে হয়তো এই লিখাটা ড্রাফটে পড়ে থাকতো আরও অনেক না পাঠানো ইমেইলের ভিড়ে। তবে এখন খুব করে ইচ্ছে করছে জানাতে যে তুমি ঘাসে জমে থাকা শিশির দেখতে গিয়েছো আমার তা খুব ভালো লেগেছে! আর সেই ভালোলাগা জানিয়ে দেবার তাড়নায় হাতে নিয়েছি ঝর্না কলম। কেবল তুমি এভাবে লিখো বলে। ভালো লেগেছে যে তুমি তাৎক্ষনিকভাবে হলেও আমাকে মনে করেছো; জানিয়েছো। তোমার যত্ন করে তোলা ছবিগুলোও খুব ভালো লাগার! জানি বিশেষ উপলক্ষের আনুষ্ঠানিকতা সারতে আমরা অনেক কিছু বলি বা করি কিন্তু সাধারন ভালোবাসার অসাধারনত্ব জানান দিই না। কাকতালিয় হলেও আজ ভালোবাসা দিবস। এদিনে আয়োজন করে তোমাকে লিখিনি কখনও। আজ তো লিখলাম। লিখে জানালাম আমার ভালোবাসা। ভালো থেকো তুমি। এভাবেই থেকো এই কামনা করি।
তোমাকে কত বিচিত্র নামেই আমি ডাকি। আজ আমার প্রিয় ফুলের নামে ডাকলাম। হ্যাপি ভ্যালেন্টাইনস কৃষ্ণচূড়া!
'ম'তে মিশে যাওয়া
** ছবি এবারের ভালোবাসা দিবসে গুগলের ডুডল
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫১
গার্ডেড ট্যাবলেট বলেছেন: ধন্যবাদ নয়ন আপনার মন্তব্য এবং ভালোলাগা জানিয়ে যাবার জন্য। কৃষ্ণচূড়ার প্রতি আমার আবেগ অন্যরকম। খুব ছোটবেলার নার্সারি থেকে বড়বেলার বিশ্ববিদ্যালয় - আমার সব বিদ্যাপীঠে কৃষ্ণচূড়ার উপস্থিতি কাকতালীয় হলেও আবেগ ছাড়িয়ে বাস্তব হয়ে অনুরিত হয় আমার মনে। এখনও সুযোগ পেলে মার্চ এপ্রিলে বেরিয়ে পড়ি এ ফুল দেখতে। ব্রহ্মপুত্রের ধারে কিংবা কর্ণফুলীর ব্রীজ পেরিয়ে মেঘলা ছাই আকাশে আগুন ঝরা কৃষ্ণচূড়া। আহ!
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর ও দারুন আবেগময় চিঠি।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৭
গার্ডেড ট্যাবলেট বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩৩
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: আমার প্রিয় ফুলের নাম কৃষ্ণচূড়া। এর গাছের পাতা আর মাঝের ফুলে নিজের দেশের পতাকাকে দেখতে পাই বলে, ছোটবেলা থেকেই আলাদা একটা টান ছিলো এই ফুলের প্রতি। যা এখনও আছে...