নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলে যাব- তবু যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল।

হাবিব

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র।

হাবিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাঠ প্রতিক্রিয়া-০২: "বহতা নদীর মতো সতত বহমান", "রঞ্জনের প্রেমিকারা", "ছহি রকেট সায়েন্স শিক্ষা"

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩১



পাঠ প্রতিক্রিয়া: "বহতা নদীর মতো সতত বহমান"

আমি যখন নিজের দোষ বুঝতে পেরে
লজ্জিত হই,
অনুতপ্ত হই,
ক্ষমাপ্রার্থী হই,
কিন্তু মুখে ক্ষমা চাইতে পারি না,
তখন খুব করে চাই,
কেউ আমার চোখ দুটো দেখে পড়ে নিক
আমার নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দরখাস্তটা।

কোন কথা যখন মনের সাথে মিলে যায়, তার ভাব তখন অন্তরকে স্পর্শ করে। বার বার পড়তে ইচ্ছে করে সেই লেখাগুলি। মনে হয়, আহা..... আমারই তো কথা। আমিও তো এরকম করেই ভাবতে পছন্দ করি।

বলছিলাম "বহতা নদীর মতো সতত বহমান" কাব্যগ্রন্থ থেকে। প্রতিটি কবিতা পড়ি আর ভাবি। ভাবতে শিখি নতুন করে। কখনো কোন কবিতা পড়ে শিহরিত হই। এভাবেও ভাবা যায়? লেখা যায় মনের কথা? "কৃতজ্ঞতা হৃদয়ের গভীরে" কবিতাটি পড়লে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কবির ভালোবাসা টের পাওয়া যাবে সহজেই।

"প্রভু, তোমার দয়ার কথা ভেবে হই নতশির
নি:শ্বাসে প্রশ্বাসে তোমার নাম হৃদয়ে গভীর"

"বৃক্ষ হবো" কবিতায় কবি হতে চেয়েছেন বৃক্ষের মতো। কবি বলেছেন,

"তুমি যদি চাও,
বৃক্ষের মত দাঁড়িয়ে কাটাবো আমার বাকীটা জীবন
চুপিচুপি শুষে নেব তোমার সব অঙ্গারায়িত প্রশ্বাস,
আর তোমার বুকে ছড়িয়ে আসবো আমার অক্সিজেন।"

খায়রুল আহসান ভায়ের কবিতা পড়লে বুঝা যায় কতটা বাস্তবমুখী তাঁর কবিতা। প্রতিটি পংক্তি যেন একেক ফোঁটা মৌ, যা হাজারটা ফুল ঘুরে ঘুরে মৌমাছিরা সংগ্রহ করে।

"একদিন শুধু ছবি হয়ে যেতে হবে" কবিতায় বিদায়ের কথা মনে করিয়ে দিতে চাইছেন কবি। যত রকম বাস্তব উপমা আছে সব এনেছেন, এক্কেবারে হৃদয় নিংড়ে। ভালো লাগার মতো করেই লিখেছেন ভালো না লেগে কোথায় যাবে? অবশ্যই মুগ্ধ হবেন কবিতাটি পড়ে। আমিও হয়েছি। কবি খায়রুল আহসান ভাই এই কবিতার একটি জায়গায় বলেছেন,

"শীতল হয়ে যাবে একদিন চেনা বিছানার ওম,
নিরর্থক হবে সব আদর সোহাগ আর বকেয়া চুম্বন।
সকাতর কোন আঁখি হয়তো কাঁদবে গোপনে নিরবে,
একটি নির্বাক ছবির দিকে তাকিয়ে, জানিনা কোথা কবে!"

এভাবেই মনের ভাব বর্ণনা করেছেন কবি খায়রুল আহসান। ব্লগে যার কবিতা মানেই হিট। তার কাব্যগ্রন্থও সবার মনে জায়গা করে নিবে এমনই প্রত্যাশা আমার, আমাদের সবার।

"কিছু চাওয়া" কবিতার দু'টি লাইন আমাকে ভীষণ ভাবে টেনেছে,

"তারাদের ঝিকিমিকি আলো আসবে নিত্য নয়নে,
চাঁদের স্নিগ্ধ আলো আমায় চুম দিয়ে যাবে শয়ানে!"

কাঠগড়ায়: "বহতা নদীর মতো সতত বহমান"

১) বইটির অধিকাংশ অক্ষরের নিচে যেখানে উ-কার আছে তা সঠিক স্থানে কেন বসেনি বুঝতে পারলাম না।
২) ৭০ নম্বর কবিতার নামের বানানটা ভুল ছিলো বেখেয়ালে হয়তো। বানানটি লেখা আছে এইভাবে " দুটোতেই কবুিা"
৩) ৮ম কবিতায় "দু'পায়ে" লেখা আছে। অর্থাৎ দু এর পর একটা বিলুপ্তি সূচক চিহ্ন আছে। কারন শব্দটা আসলে দুই এর সংক্ষেপিত রূপ। কিন্তু ৭০ নম্বর কবিতা সহ বেশ কয়েকটি কবিতায় এমন অক্ষরের ক্ষেত্রে বিলুপ্তি চিহ্ন ব্যবহার করা হয়নি।
৪) অদৃশ্য প্রয়াতের প্রতি ভালোবাসার বার্তা কবিতায় কবি বলেছেন,

"এখানে কোন সাবমেরিন কেবল নেই,
কোন ওয়াইফাই সংযোগও নেই,
ইথারে কোন কন্ঠ ভেসে আসবে না-
বার্তা বিনিময়ের কোন সুযোগ নেই।

তবে আছে বার্তা প্রেরণের একমুখী পথ,
প্রেরক থাকবে দাঁড়িয়ে, আনত আননে।"

"আনত আননে" হবে নাকি "আনত নয়নে" হবে? বুঝলাম না! যদি "আননে" হয় তাহলে "আনন" মানে কি?

সব মিলে সত্যিই অসাধারণ কিছু কবিতার সমাবেশে এই বইটি সমৃদ্ধ। বইটির জন্য শুভকামনা।


পাঠ প্রতিক্রিয়া: রঞ্জনের প্রেমিকারা

--আসসালামু আলাইকুম। আপু, "রঞ্জনের প্রেমিকারা" বইটা দেন তো।
: "রঞ্জনের প্রেমিকারা!" "রঞ্জনের প্রেমিকারা!" ....... "এই বই কি আমাদের? এই বই তো নাই!"

কয়েকবার মাথা চুলকাতে চুলকাতে পার্ল পাবলিকেশন্সে দাঁড়িয়ে থাকা এক বিক্রয় কর্মী জবাব দিলো।

--অনলাইনে তো তাই দেখলাম। লিখেছেন শিখা রহমান। "না, আমাদের কাছে নাই! আপনি অন্য কোথাও খুঁজেন।"

উত্তর শুনে হতাশ হয়ে ফিরছিলাম। প‌্যান্টের পকেটে ডান হাত ঢুকিয়ে মোবাইল ফোন বের করে সময় দেখে নিচ্ছিলাম। অন্যপাশ থেকে আরেকজন ডাক দিয়ে বললো, " স্যার! কি বই চাইলেন?" "রঞ্জনের প্রেমিকারা?" আছে তো, দাঁড়ান, এখনি দিচ্ছি। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখোঁজি করার পর বললেন, "স্যরি স্যার! বইটি আসে নাই হয়তো এখনো!"

আচ্ছা মুশকিল তো, আমি কি ভুল করছি? পার্ল পাবলিকেশন্সই তো দেখলাম লেখা। ভুল হবার কথা নয়...... মনে মনে রাগ হচ্ছিলো খুব। স্টল থেকে বের হচ্ছিলাম সেই সময় প্রথম বিক্রয়কর্মী ঠিক সামনে থাকা বইটি দেখিয়ে বললো, "এইতো বইটা! নিন।"
যাক পেলাম অবশেষে। "বইটার প্রচ্ছদ যেন কেমন!" হাতে দিতে দিতে মেয়ে বিক্রয়কর্মী বলছিলো! "কেমন?" প্রশ্ন করতেই তার সোজা উত্তর "এমন ডিজাইন করেছে যে সামনেই সাজানো তাও দেখায় যায় না......."

বলছিলাম রঞ্জনের প্রেমিকারা বইটি কেনার সময়কার ঘটনা। বইটা হাতে পেয়েই দেরী না করে কিনে আনলাম। বাসে আসতে আসতে পড়ছিলাম...... "বাতাসে নষ্ট গন্ধ, গতকাল বড়ো ছেলেবেলা ছিলো, রঞ্জনের প্রেমিকারা, দু:খ পোষা মেয়ে, বেলীফুলের চেয়ে সাদা ভাতই বেশি সুন্দর, একটি চেনাচেনা গল্প, পাথুরে লাবণ্য, মুখোশের আড়ালে, জোছনার দেবশিশু, একছড়া তেতুল বা একটি হরিণের কাহিনী, স্বামী এবং ভক্ত, উদাসীন সঙ্গম, গল্পটা অন্যরকম হতে পারতো, ভালোবাসার জাল বুনেছি।" বাহ..... সুন্দর সুন্দর সব গল্প!

"রাহাতের সাথে বিকেলটা খারাপ কাটছে না। যদিও অরনীর একদমই আসতে ইচ্ছে করছিলো না কিন্তু অনেক দিন পরে বাসা থেকে বেরিয়ে ভালো লাগছে। ধানমন্ডি সাতাশ নম্বরে রেষ্টুরেন্টে খেতে খেতে গল্প করার সময় ওর মনে হচ্ছিলো সব আগের মতোই আছে, কিচ্ছু বদলায়নি। সন্ধ্যা নামি নামি করছে; মরা বিকেলের বাদামী কমলা আলোতে অন্য অনেক দিনের মতোই ওরা দুজনে রিক্সায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ঘুরতে বেরুলো।

রিক্সায় এলোমেলো কথা বলতে বলতে রাহাত অরনীর পিঠের পেছনে হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরলো। অরনী অস্ফুট চীৎকার করে উঠলো; রাহাত কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধাক্কা দিয়ে হাত সরিয়ে রিক্সা থামাতে বললো। অরনী নেমে হনহন করে ফুটপাতে হাঁটছে। বিস্ময়াভূত রাহাত রিক্সা ছেড়ে ওকে ধরার জন্য পিছু ছুটলো।

“অরু!!! কি হয়েছে? একটু থামো না...বুঝতে পারছি না কি হলো!!!” রাহাত ওর হাত ধরে থামাতেই “তোমরা সব পুরুষরা একই রকম। গায়ে হাত দেয়ার সুযোগ খোঁজো...হাত ছাড়ো...খবরদার গায়ে হাত দেবে না!!!” অরনী এত্তো চীৎকার করছে যে পরোপকারী পথচারীরা জড়ো হয়ে গেলো।

“আফা!!! এই লোক কি আপনারে বিরক্ত করতেছে?” কিছু লোকের চোখে মুখে রসালো গল্পের আশায় আনন্দিত আভা। “গায়ে হাত দিছে নাকি? কি করছে ডিটেইলসে বলেন...” লোকজনের চেঁচামেচিতে অরনীর সম্বিৎ ফিরলো “ও আমার বয়ফ্রেন্ড...সব ঠিক আছে...আপনারা যান!!!” লোকজন পরোপকার করতে না পেরে যারপনাই বিরক্ত “রাস্তায় এই সব লদকালদকি ক্যান?? হোটেল ভাড়া নিয়া মিটমাট কইরা লন...যত্তোসব টাইম নষ্ট!!!”


বলছিলাম রঞ্জনের প্রেমিকারা বই থেকে। "বাতাসে নষ্ট গন্ধ" ছোট গল্পের কিছু অংশ। স্বার্থক ছোট গল্প। এক্কেবারে বাস্তবতার নিরিখে লেখা। অরনী কোথাও জব করতো। সেখানে এক বসের নষ্ট মানসিকতার শিকার অরনী। অবশেষে প্রেগন্যান্ট! চারপাশের মানুষগুলোও কেমন যেন আচরণ করে অরনীর সাথে। অরনীর বয় ফ্রেন্ডও ওর শরীরের দিকে লোভ বেশি। নাহ, এসব পুরুষদের আর ভালো লাগে না...... অবশেষে একদিন সিদ্ধান্ত নেয়। আইনের আশ্রয় নিবে। তাতেও কি লাভ হবে? হয়তো এর চেয়ে আরো ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে!

শিখা রহমান আপু! যেমন তার গল্পের ধরন তেমনি কবিতার। কোনটাতেই কম যান না। সমান তালে চলে কিবোর্ড। লিখলেই মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় স্বার্থক কোন গল্প বা কবিতা।

কাঠগড়ায় রঞ্জনের প্রেমিকারা

১) প্রচ্ছদটা আরো ভালো করা যেত। বিশেষ করে প্রচ্ছদের উপরে বইয়ের নাম লেখার স্টাইল ভালো লাগেনি আমার কাছে।
২) প্রচ্ছদের নিচে বইটি সম্পর্কে কিছু কথা লেখা আছে। "সুক্ষ্ম", "গল্পবলার গুণে" শব্দ দুটি "সূক্ষ্ম", "গল্প বলার গুণে" হবে মনে হয়। আরেকটি শব্দ, শব্দটি "ঘূর্ণীবর্ত" না "ঘূর্ণাবর্ত" হবে? আসলে আছে "ঘূর্ণীবর্ত"
৩) বইয়ের নাম আমার কাছে ভালো লাগেনি।
৪) বইয়ের ভূমিকায় লেখিকা নিজেই তাঁর প্রশংসা করেছেন এইভাবে: "এইটুকু নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি যে আমার গল্পগুলো শব্দের ঝংকারে ছুঁয়ে যাবে, লেখনীর গুণে আপ্লুত করবে ও ভাবাবে। আমার গল্পেরা ঠিক এমনটাই ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য।" যা আমার কাছে ভালো লাগেনি। আসলে লেখার মান বা গুণ বিচার করবেন পাঠকেরা।
৫) বইটা হাতে নিয়েই "ঘামের টকটক গন্ধ" কথাগুলো কেমন যেন লাগছে। গল্পটি পরেও দেয়া যেত। এই গল্পের চার নম্বর লাইনের বাক্য এরকম লেখা: " আনকোরা খবরের কাগজের নিউজপ্রিন্টের গন্ধ.....।" বাক্য গঠন মনে হচ্ছে ঠিক হয়নি
৬) "রঞ্জনের প্রেমিকারা" গল্পে দেখানো হয়েছে রঞ্জন ছবি আঁকতে পছন্দ করতো বলে তিনজন মেয়ে তাঁকে পছন্দ করে। রঞ্জন এখন মৃত। আজ রঞ্জনের জন্য মিলাদ হবে। কিন্তু সেই মৃত রঞ্জনের মিলাদে যাওয়া নিয়ে কথা বলার ছলে তিন মেয়ে বন্ধু তাদের সাথে রঞ্জনের অন্তরঙ্গ মূহুর্তের বর্ণনা দিচ্ছে। এমন বর্ণনা মৃত মানুষের জন্য না দিলেও হতো। গল্পটির বর্ণনা ভঙ্গি ভালো ছিলো কিন্তু লেখার বিষয় পছন্দ হয়নি আমার কাছে।
৭) "উদাসীন সঙ্গম" গল্পের বর্ণনায় দেখানো হয়েছে একজন নারীকে তার স্বামী মারদোর করে। আর সে বসে বসে মার খায়। হাসে! আবার রাতে মহিলার স্বামী তাঁর সাথে শারিরিক সম্পর্ক করে। যা নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে। এই জন্য গল্পের নাম "উদাসীন সঙ্গম।" কিন্তু কেন মারদোর করছে বা কেউ মার খেলে যেভাবে প্রতিক্রিয়া থাকার কথা তেমনটি গল্পে অনুপস্থিত।

সতর্কতা: "বাতাসে নষ্ট গন্ধ" গল্পটি প্রথম আলোর ইউরোপ সংখ্যায় অপূর্ব আহমেদ জুয়েল নামে লেখা দেখলাম। লেখাটি কেউ কি চুরি করলো?



পাঠ প্রতিক্রিয়া: "ছহি রকেট সায়েন্স শিক্ষা"

বইটি কেনার কোন ইচ্ছাই ছিলো না। ভাবছিলাম হাসান মাহবুব ভায়ের একটা উপন্যাস কিনবো। কিন্তু উপন্যাস না কিনে রকেট শিক্ষার সুফল পেতে মনটা আকুপাকু করলো বইটা হাতে নিয়েই। সেই আকুপাকুর বিশালতা টের পেলাম বইটির সূচিপত্র পড়ার পর। সূচিপত্রের সূত্র ধরে এগুলাম সামনের দিকে। না, আর থামতে ইচ্ছা করছিলো না। মনে হলো রকেটের সাথে সাথে আমিও .......

কি জাদরেল লেখনি রে বাবা! এভাবেও যে লেখা যায় তা হয়তো হাসান মাহবুবের লেখা না পড়লে বুঝতামই না। এমনভাবে প্রত্যেকটা অধ্যায় লেখা যাতে করে যে কেউ বইটি হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ পড়লেই কেনার আগ্রহ প্রকাশ করবে। হতাশার কথা হলো, বইটির দাম একটু বেশি! :P

বইটিতে আপনি রকেট শিক্ষার মতো কিছুই পাবেন না। পাবেন নৈতিকতার শিক্ষা। ইসলামের সুমহান দর্শন পেলেও অবাক হবার কিছুই নেই। লেখক নিজের জীবন থেকেই সবটা লিখেছেন বলেই হয়তো এতোটা ভালো লেগেছে। রকেট চালানোর ইচ্ছা নিয়ে বইটি কিনতে চাইলে আগেই সাবধান করে দিচ্ছি, কোন লাভ হবে না। :P আকাশে উঠার রকেট চালানোর কোন জ্ঞান লাভ না হলেও জীবনের রকেট চালানোর জ্ঞান আপনার আয়ত্ত্বে আসবেই। এখানেই বইটির স্বার্থকতা।

লেখক কখনো কথা বলেছেন নিজের সাথে কখনো বা কথা বলেছেন কাল্পনিক এলিয়েনের সাথে। নিজের জীবন দিয়ে এক্সপ্রিমেন্ট করা পরীক্ষণ থেকে কোনটা ক্ষতিকর উড্ডয়ন আর কোনটাতে সফলতা তা খুব ভালোভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন। আর্লি ম্যারেজ ক্যাম্পেইন কিংবা নারী স্বাধীনতার কুফল লেখা পড়ে লেখককে নারী বিদ্বেষী বলতে পারেন যে কেউ। কিন্তু ঠান্ডা মাথায় ভাবলেই বুঝবেন লেখক শুধু সত্য বলেন নি, আসলেই সত্য বলেছেন।

কাঠগড়ায় "ছহি রকেট সায়েন্স শিক্ষা"

"নারী স্বাধীনতার কুফল" নামে যে লেখাটি আছে তাতে বলা হয়েছে: "দেখেন, আমেরিকা-সুইডেনের মতো উন্নত দেশগুলোতে, ফ্রি মিক্সিংয়ের দেশগুলোতে দর্শনের হার সবচেয়ে বেশি। মুসলিম দেশ সৌদি আরবে দর্শন কম। বাংলাদেশে ধর্ষণ বাড়তেছে ইদানিং, তবে এসবের জন্য মেয়েদের উলঙ্গপনাই দায়ী। ছিলা কলায় তো মাছি বসবেই। কী বললেন? সৌদি আরবে সব রেপ রিপোর্ট হয়না দেখে স্ট্যাটিসটিকসে আসে না? আরে অদ্ভুত! মেয়েরা রেপড হবার পর কী ধেই ধেই করে নেচে গেয়ে বলবে যে আমি রেপ হইছি? এই শিক্ষা দিছে আপনার পরিবার?" উক্তিটির সাথে আমার মতো অনেকেই একমত হবেন না।

শুভকামনা সকল বইয়ের জন্য। ছহি রকেট সায়েন্স শিক্ষা করে বহতা নদীর মতো সতত ভালো থাকুক রঞ্জনের প্রেমিকারা।

সহজ স্বীকারোক্তি: বইগুলো কেনার পর বাসে আসতে আসতে যতটুকু পড়া হয়েছে তার উপরই প্রতিক্রিয়া জানালাম। ভুল মার্জনীয়।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: রিভিউ ভালো লাগলো ....


বইগুলোর সফলতা কামনা করছি।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৮

হাবিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবির ভাই। আপনার প্রথম মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা। কোনটা বেশি ভালো লাগলো জানাবেন।

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২০

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: রিভিউ দেখে তো মনে হচ্ছে বইগুলো কিনতেই হয়। বিশেষ করে শিখা আপুর .....প্রেমিকারা, আর রকেট শিক্ষা। কবিতা তেমন একটা ভালো লাগে না আমার, বুঝতেও পারি না। তবে আপনি না সত্যি ভাল রিভিউ দিতে পারেন।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৭

হাবিব বলেছেন:




অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার শেষ কথাটায় কৃতজ্ঞতার বাধনে বাঁধলেন।
রকেট সায়েন্স সত্যিই অসাধারণ। আমার ভালো লেগেছে। আপনারও ভালো লাগবে।
আর শিখাআপু কেমন লিখেন তা আর নতুন করে নাইবা বললাম।

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: হাসান ভাইয়ের বইটা এবং শিখার আপু বইটা কেনার ইচ্ছা আছে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

হাবিব বলেছেন: তারেক মাহমুদ ভাই, দেরিতে উত্তর দেয়ার জন্য দু:খিত। বই পড়ে আপনিও প্রতিক্রিয়া শেয়ার করতে পারেন। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। শুভ রাত্রি।

৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: গতকাল বই মেলায় গিয়েছিলাম। কিন্তু পরিচিত কোন ব্লগারের বই চোখে পড়লো না আমার।
আফসোস।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৫

হাবিব বলেছেন: মাহমুদুর রহমান ভাই, আপনি লিস্ট ধরে এগুলেই বইগুলো পেতেন। আশা করি ভালো আছেন। শুভরাত্রি

৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিবভাই,

পাঠকের প্রতিক্রিয়া হিসেবে আপনার পোস্টটি পড়লাম খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন । অনেকগুলো বিষয় তুলে ধরেছেন । এখন দেখার সম্মানীয় ব্লগারবৃন্দ কিভাবে বিষয়টির কনফেস করেন ......

বাসন্তিক শুভেচ্ছা রইল ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪২

হাবিব বলেছেন: প্রিয় পদাতিক দাদা, লেখকেরা কেউ আসেন নি আমার পোস্টে। আপনার মনোবাসনা পূর্ণ হলো না। আপনিও বাসন্তিক শুভেচ্ছা নিবেন।

৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি রিভিউ দেওয়ার আগেই আপনি রিভিউ দিয়ে দিলেন?

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৪

হাবিব বলেছেন: রাজিব ভাই, আপনিও দিয়েন রিভিউ। আপনি খুব ভালো লিখেন। আপনার পোস্ট থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। ভালো থাকবেন সতত। আমি এবারের বই মেলায় আপনার একটা বই কিনেছি। সময় করে রিভিউ দেব।

৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪

নীল আকাশ বলেছেন: পোস্টের প্রেজেন্টেশন সুন্দর হয়েছে। আপনি আজকাল ভালো সমালোচক হয়ে গেলেন দেখি! ;)
বইয়ের লেখকরা এসে যদি দেখত তবে ভালো হতো।
একটা বইও পড়া হয়নি। তাই ঐ রাস্তায় আর হাটলাম না। বইগুলি পড়ার ইচ্ছে আছে...
ধন্যবাদ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৬

হাবিব বলেছেন: নীল আকাশ ভাই, আপনার প্রশংসা শুনে ভালো লাগলো। সমালোচক ঠিক না, বইগুলোর এক ধরনের প্রচারও বলতে পারেন। কিন্তু লেখকেরা কেউ আসেন নি আমার পোস্টে।

৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৩

সুমন কর বলেছেন: প্রতিক্রিয়া ভালোই হচ্ছে। চলুক.......

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৬

হাবিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন ভাই, সাথেই থাকবেন। শুভরাত্রি

৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১৩

শায়মা বলেছেন: এইগুলা তো আমাকেও কিনতে হবে! :)

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৯

হাবিব বলেছেন: কিনেন কিনেন, রিভিউ দিয়েন আপু। আমার ম্যাডামের কপি কি পাঠাইছেন?

১০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:১৬

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: খায়রুল হাসানের লেখা গভীর, হাসান মাহবুবের প্রখর। আশা করি তাঁদের লেখা ব্যাপক পাঠক সমাদৃত হবে।

আমাদের লেখকগণ প্রুফ রিডিং-এর মতো সহজ অথচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে কেন উপেক্ষা করেন, কেন প্রকাশককে এ বিষয়ে ছাড় না দিতে বাধ্য করেন না, বিষয়টি মাথায় ঢুকে না।

এবার আপনাকে কাঠগড়ায়: আনন মানে বদন, মুখমণ্ডল, মুখ। দশানন হচ্ছে রাবণ। :)

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৩

হাবিব বলেছেন:




মামুন রশীদ ভাই, লেখকদের সম্পর্কে আপনার মন্তব্য একদম ঠিক।

প্রুফ রিডিং হলেই বইগুলো আরো পারফেক্ট হতো।

আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা, সুন্দর করে শিখিয়ে দেবার জন্য।
আল্লাহ আপনাকে সুস্থ রাখুন।

১১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:০২

সোহানী বলেছেন: হাবিব স্যার ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ রিভিউ এর জন্য।

গুনী তিন ব্লগার ও লেখককে তুলে এনেছেন এবার যা সত্যিই ভালো লাগছে।

হামা ভাইয়ের ব্যাপারে আমি চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারি অসাধারন। উনার গল্প পড়ার পর নিজে লিখার আগ্রহ হয় না কারন উনি এতোটা ভালো লিখেন।

শিখা, ব্লগে নতুন হলেও অসাধারন লিখে। গল্প বা কবিতা... সবকিছুতেই যেন আমার আত্মার কথা বলছে।

আপ প্রিয় খায়রুল ভাই এর কথা কি বলবো, এমনভাবে কথা বলেন যে আমার দৈনন্দিন ভাবনার যেন প্রতিফলন।

সবার বই ই আগ্রহ নিয়ে আছি পড়ার জন্য।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৬

হাবিব বলেছেন: সোহানী আপু, সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। লেখকদের ব্যাপারে আপনার মন্তব্য একদম ঠিক। আপনার আগ্রহ দেখে আমারও ভালো লাগলো। বই পড়ার পর জানাবেন আপনার প্রতিক্রিয়া। আপনার বই সামনের মেলাতে আসবে আশা করি। আপনার বইয়ের রিভিউ আগে দেব ইনশাআল্লাহ। শুভ রাত্রি

১২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১০

আরোগ্য বলেছেন: সত্যি বলছি হাবিব স্যার আমিও রকেট সায়েন্স নাম শুনে ভেবেছিলাম একটা সায়েন্স ফিকশন। আপনার রিভিউ পড়ে লাভ হলো। আবার যেয়ে কিনে নিবো ইনশাআল্লাহ।

তা কই আছেন। সারাদিন ব্লগে ছিলেন না। গ্রামে নাকি?

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৯

হাবিব বলেছেন:





আরোগ্য, আপনি বইটি কিনলেই বুঝতে পারবেন কতটা ভালো হয়েছে বইটা।
রসাত্মক লেখার সাথে কঠিন বাস্তবতার ইসলামী নির্যাস, সব মিলিয়ে অসাধারণ।

গ্রামে ছিলাম। দুপুরের দিকে আসছি। আশা করি ভালো আছেন।

১৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৭

শায়মা বলেছেন: না নিজেই তো পাইনি বইগুলা!!

পেলেই পাঠাবো। ডোন্ট ওয়ারী! :)

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৪

হাবিব বলেছেন: মিছা কথা, পাঠাবেন না জানি

১৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০১

শিখা রহমান বলেছেন: হাবিব আপনার রিভিউ হঠাতই অফলাইনে চোখে পড়লো। আজ অনেকদিন পরে বইমেলায় যাইনি আর তাই একটু সময় পেলাম। দেশে আসার পরে এমন ব্যস্ত সময় কাটছে যে ব্লগে বা অন্য কোন কোথাও সময় দিতে পারছি না।

লগইন করতেই হলো যখন দেখলাম যে আমার "বাতাসে নষ্ট গন্ধ" গল্পটি চুরি করে ছাপানো হয়েছে। ব্লগে এই গল্পটি আমি দিয়েছি ২০১৬ সালে, নীচে লিঙ্ক দিচ্ছি।
বাতাসে নষ্ট গন্ধ

ফেবুতে দিয়েছি লেখার সাথে সাথেই ২০১৫ সালে ( স্ক্রিণশট দিচ্ছি, যেহেতু বুয়েটের ক্লোজড গ্রুপে প্রথম দেয়া ও আমার ফেবুতে এখন প্রাইভেসী সেটিং অনলি মি করে দেয়া)।


খুব রাগ লেগেছে। কবিতা তো হরদমই চুরি হচ্ছে। কিন্তু তাই বলে কষ্ট করে লেখা এই প্রিয় গল্পটা!! X(

ধন্যবাদ ব্যাপারটি বলার জন্যে। ভবিষ্যতে গল্প অনলাইনে দিলে আরো সতর্ক হোবো।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৮

হাবিব বলেছেন:




আপু এমন লেখা চুরি হলে যে কারোরই রাগ লাগবে।
নিজের লেখা সন্তানের মতোই আদরের।
সেই লেখা কতটা কষ্টের ফসল যে লিখে সেই জানে।

আপনার সাথে সাক্ষাত হলে ভালো লাগতো।

১৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৩

শিখা রহমান বলেছেন: হাবিব বইমেলার স্টলে আপনার অভিজ্ঞতার জন্যে দুঃখিত। নতুন লেখক বলেই হয়তো আমাকে বিক্রেতারা চেনেন না। আরো একজন আমকে এমন অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন আর আমি স্টলের লোকদের বলেছি। আশা করি এমনটা আর ঘটবে।

প্রচ্ছদের ব্যাপারে আমি একমত আপনার সাথে। আমি প্রকাশকের সাথে অনেক অনেকবার ঝগড়া করেছি এই প্রচ্ছদ নিয়ে। প্রচ্ছদ আমার পছন্দ হয়নি একদমই। কিন্তু প্রকাশক যখন ছাপাচ্ছেন নিজের অর্থে তখন অনেক সময়েই লেখকের কথা গ্রাহ্য হয় না। :(

আপনি যে তিনটি গল্পের কথা বলেছেন সে তিনটাই আমার খুব প্রিয় গল্প। আর ঐ যে বললাম ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য, আপনি কিন্তু আসলেই শব্দের মাঝে গন্ধ টের পেয়েছেন। পাঠক আমার কাছে কি আশা করতে পারেন সেটাই ভূমিকায় বলার চেস্টা করেছি মাত্র। :)

কবিতায় আমি প্রেমময় হলেও গল্পে আমি বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে পারি না। আমার গল্পেরা অনেকক্ষেত্রেই মানবমনের অন্ধকারের চিত্র আঁকে। আর ভালো না লাগলেও এই অন্ধকারকে আমি গল্পে এঁকেছি কারণ অন্ধকারের অস্তিত্ব না স্বীকার করলে যে আলোকে খোঁজা অসম্ভব।

ভাল থাকুন আর এই দ্রুত পড়ে রিভিউ দেবার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও একরাশ ভালোলাগা।

শুভকামনা প্রয় ব্লগার ও কবি।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৬

হাবিব বলেছেন:




প্রিয় শিখা আপু, আপনি অচিরেই পরিচিতি পাবেন আশা করি।
আপনার বিনয় আমাকে মুগ্ধ করলো।
সহজ স্বীকারোক্তি ভালো লাগলো।

সময় করে বাকি কথা হবে আশা করি।

১৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রিয় হাবিব স্যার, আসসালামু আলাইকুম!
প্রথমেই আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আপনার আলোচনায় আমার মত নগণ্য একজন লেখকের বই কে স্থান দেবার জন্যে, তাও আবার ‘কবিতার বই’! আপনার “পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ বহতা নদীর মত সতত বহমান” পড়ে এতটাই আনন্দিত হয়েছি যে সেটা শুধু এখানেই বলে যাচ্ছি তা নয়। আপনার “পাঠ প্রতিক্রিয়া” নিয়ে আজ সকাল সকাল একটা আলাদা পোস্টই লিখে ফেললাম। আশাকরি, সময় করে একবার দেখে নেবেন।

অনেক ধন্যবাদ, আপনার সুআলোচনা এবং সহৃদয়তার জন্য। ধন্যবাদ, আপনার “সহজ স্বীকারোক্তি”র জন্যেও। বাসে বসে যেটুকু পড়েছেন, তার উপর ভিত্তি করে এ আলোচনাটুকু লিখেছেন। বলতেই হচ্ছে, হয় আপনার পড়ার স্পীড খুব বেশী, নয়তো বাসটি ছিল লং ডিসট্যান্স বাস!

@সামুপাগলা০৭, হায় হায়, এ কী বলেন! “কবিতা তেমন একটা ভালো লাগে না আমার, বুঝতেও পারি না” – এর জন্য যদি আপনারা মোটেই কবিতার বই না কেনেন, তবে ব্লগের কবিকূল তো মাঠে মারা যাবে! না বুঝা কোন ব্যাপার না, তবুও বই কিনুন!

@তারেক_মাহমুদ, “হাসান ভাইয়ের বইটা এবং শিখার আপু বইটা কেনার ইচ্ছা আছে” – আর খায়রুল আহসানকে এতটা উপেক্ষা করতে পারলেন? আচ্ছা, ঠিক আছে!

@মাহুমুদুর রহমান, হায় হায়, জাগৃতি, ঝিঙেফুল আর শব্দরূপ- এ তিনটের একটি স্টলও আপনার চোখে পড়লো না? শেষোক্তটা বাদে বাকী দুটো তো বেশ বড়সড় স্টল বলেই মনে হলো, অন্যগুলোর তুলনায়।

@পদাতিক চৌধুরী, “এখন দেখার সম্মানীয় ব্লগারবৃন্দ কিভাবে বিষয়টির কনফেস করেন ......” – কনফেস বলেন আর ডিফেন্স বলেন, সবই করে দিয়ে এসেছি আমার আজকের পোস্টে। একবার সময় করে দেখে নেবেন।

@হাবিব স্যার, “লেখকেরা কেউ আসেন নি আমার পোস্টে। আপনার মনোবাসনা পূর্ণ হলো না” – এই তো এসেছে, আসছে, আসবে!

@নীল আকাশ, “বইয়ের লেখকরা এসে যদি দেখত তবে ভালো হতো” – উপরের মন্তব্যটি এখানেও প্রযোজ্য!

@এস এম মামুন অর রশীদ, “আমাদের লেখকগণ প্রুফ রিডিং-এর মতো সহজ অথচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে কেন উপেক্ষা করেন, কেন প্রকাশককে এ বিষয়ে ছাড় না দিতে বাধ্য করেন না, বিষয়টি মাথায় ঢুকে না” – বিষয়টি এবারে আমার মাথায় ঢুকেছে। আগামীতে ইন শা আল্লাহ!

@সোহানী, আপনার এ মন্তব্যে মুগ্ধ হ’লাম। শুধু আমার ব্যাপারে যা বলেছেন, তার জন্যেই নয়। বাকী দু’জন সম্পর্কে যা কিছু বলেছেন, তার সাথে আমিও একমত।

@শিখা রহমান, আপনার এত সুন্দর গল্পটা চুরি হয়ে গেল? খুবই দুঃখ পেলাম। কুম্ভীলকদের এহেন কার্যকলাপ সত্যিই বিবমিষার উদ্রেক করে

পোস্টে প্লাস + + এবং বলাই বাহুল্য, পোস্টটি "প্রিয়"তেও গেল!!!

সুন্দর পোস্ট এবং মন্তব্যের মাধ্যমে আলোচনার জন্য লেখক ও পাঠক, সকলকে অনেক ধন্যবাদ!!!!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩২

হাবিব বলেছেন:




প্রিয় খায়রুল আহসান ভাই, আপনার পোস্ট দেখে আমিও আপ্লুত।
আমাকে যেভাবে উপস্থাপন করেছেন আমি তেমন কিছুই করিনি,
শুধু নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলেছি।
আর আপনার লেখার ব্যাপারে অতটুকু না বললে যে অকৃতজ্ঞ বান্দাহ হবো।

পোস্টটি প্রিয়তে নিয়েছেন দেখে আমারও ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সব সময়

১৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: @মাহমুদুর রহমান, আমার উপরের মন্তব্যটিতে আপনার নামটি টাইপ করার সময় হঠাৎ বেখেয়ালে এমন ভুল করে ফেলেছি, এজন্য দুঃখিত!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৩

হাবিব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই। ভালো থাকবেন সব সময়

১৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০৫

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: @খায়রুল ভাই- আসলে যে কবিতা বুঝি না তা বললে মিথ্যে কথা বলা হবে। কিন্তু আমি ভাই সহজ সরর মানুষ, গল্প বা উপন্যাস পড়ে সহজেই তার মর্মকথা বুঝতে পারি, কিন্তু কবিতার মর্মবাণী উদ্ধারে আমার একটু সময় লেগে যায়, তাই সময় বাঁচাতেই এ হঠকারিতার আশ্রয় নেয়া।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৫

হাবিব বলেছেন: খায়রুল আহসান ভাইয়ের কবিতা খুবই সহজ করে লেখা, আপনার অবশ্যই বুঝতে কোন অসুবিধা হবে না।

১৯| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: @সামুপাগলা০৭, ছোটবেলায় যখন নোট বইয়ে কোন কবিতা সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে দেখিতাম, "এইখানে কবি বলিতে চাহিয়াছেন".... ইত্যাদি ইত্যাদি, তখন খুব বিরক্ত বোধ করিতাম। কবি কী বলিতে চাহিয়াছেন, উহা তো কবিতায়ই লিখা রহিয়াছে। উহাকে যদি তৃতীয় একজন ব্যক্তির আসিয়া বুঝাইয়া দিতে হয়, তাহা হইলে কবি তো সেইখানেই পুরাপুরি ব্যর্থ হইয়া গিয়াছেন! :)
(উল্লেখ্য যে, আমাদের ছাত্রত্বের সময় সাধু কিংবা চলিত, উভয় ভাষাতেই উত্তর লিখা যাইত, এবং সাধু ভাষায় লিখিলে বাংলার শিক্ষক মহাশয় খুশী হইয়া নম্বর একটু বেশীই দিতেন। :) )

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৬

হাবিব বলেছেন: ছোটবেলায় যখন নোট বইয়ে কোন কবিতা সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে দেখিতাম, "এইখানে কবি বলিতে চাহিয়াছেন".... ইত্যাদি ইত্যাদি, তখন খুব বিরক্ত বোধ করিতাম। কবি কী বলিতে চাহিয়াছেন, উহা তো কবিতায়ই লিখা রহিয়াছে। উহাকে যদি তৃতীয় একজন ব্যক্তির আসিয়া বুঝাইয়া দিতে হয়, তাহা হইলে কবি তো সেইখানেই পুরাপুরি ব্যর্থ হইয়া গিয়াছেন!
---- লেখাটুকু পড়ে না হেসে পারলাম না। B-) B-)

২০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গুড রিভিউ। বইগুলো পড়ার ইচ্ছে আছে।, +++

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২২

হাবিব বলেছেন: বইগুলো পড়ে আপনার মূল্যবান মতামতও জানাতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে ।

২১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: হাবিব ভাই যে বইগুলোর আলোচনা করেছেন বইগুলো সংগ্রহ করার ব্যাপক ইচ্ছা পোষণ করছি। হয়তো সংগ্রহ করে নিব কোন না কোন মাধ্যমে। ব্লগে এই তিনজন ব্লগার আমার অনেক প্রিয়ও সম্মানিত ব্লগার। আপনার মতো বই মেলাতে গিয়ে হয়তো পারবোনা। আপনার আলোচনাও চমৎকার। বইগুলোর বহুল বিপণন কামনা করছি।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৮

হাবিব বলেছেন: মাহমুদুর রহমান সুজন ভাই, আসসালামু আলাইকুম। আশা করি ভালো আছেন। আপনার এমন সুন্দর মন্তব্য এবং বইগুলো কেনার আগ্রহ দেখে খুশি হলাম। বইগুলো সম্পর্কে আপনার মনোবাসনা পূর্ণ হোক। সতত সুস্থ থাকবেন। আমার জন্যও দোয়া করবেন।

২২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২১

মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: রিভিউটা উপভোগ্য।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩২

হাবিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হাসিব ভাই, আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য

২৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০০

বলেছেন: হাবিব ভাই,

আপনি তো সার্থক সাহিত্য বিশ্লেষক হিসাবে নিজেকে জাহির করলেন -

প্রথমই বলি খায়রুল আহসান স্যারের কবিতার কথা ---- কেউ আমার চোখ দুটি দেখে পড়ে নিক ---- কবিতার ভাবের অসাধারণ প্রকাশ বললে মনে হয় ভুল হবে। কবির মনোজগতে যে কবিতার ভাবনার ফল ফসলে ভরপুর তা বলার অপেক্ষা রাখে না।


শিখা রহমানের গপ্প -- প্রথম আলোয় তাও চুরি করে অন্যর লেখা -- আজব আর জটিল চুর।
চুরকে যে ধরেছেন তার জন্য শিখা রহমানের উচিৎ আপনাকে পুরস্কার দেয়া ।

যাই হোক আমি পড়ে এই লাইনে আটকে গেলাম যে --- এই প্রজেক্টটার জন্য, উইন নিড সামওন ভেরি লাইকাবল অ্যান্ড অ্যাপ্রোচেবল লাইক ইউ। উই নিড টু আর্ন দ্য ট্রাস্ট অব লোকাল পিপল টু ইমপ্লিমেন্ট ইট।

হাসান মাহবুব - এক কথায় সত্য কথণ ও ভালো বিষয়ে সহীহ লেখা

ভালো থাকুন।
আসসালামু আলাইকুম।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩২

হাবিব বলেছেন: ওয়ালাইকুমুসসালাম। লতিফ ভাই, আমি নিজেকে সাহিত্য বিশ্লেষক মনে করছি না। আমি শুধু নিজের মতামত ব্যক্ত করেছি। এর আগে কখনো কোন বইয়ের রিভিউ করিনি। আপনার মতামত পেয়ে ভালো লাগলো।

ভালো থাকবেন। শুভ রাত্রি।

২৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার রিভিউ !
আমি এবারে বই মেলায় গেলে ও আহসান ভাইয়ার বই আর হাসান মাহবুবের বই সংগ্রহ করতে পারি নাই এখন ও। তবে সবগুলো ই লেখকের অটোগ্রাফ সহ সংগ্রহের ইচ্ছে আছে।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৬

হাবিব বলেছেন: মনিরা আপু, আপনার প্রশংসা পত্র এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বইগুলো সংগ্রহ করবেন আশা করি। আমার কাছে ভালো লেগেছে। পাঠ শেষে আপনার প্রতিক্রিয়া আশা করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.