নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলে যাব- তবু যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল।

হাবিব

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র।

হাবিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলতে ফিরতে শিখি

০১ লা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:১৬



"দুই টাকা?"
অবজ্ঞার সুরে কথাটি বলে আমার কোলের উপর ছুঁড়ে মারলো দুই টাকার কয়েন। এক ভিক্ষুককে দুই টাকা ভিক্ষা দিয়েছিলাম। ভিক্ষুক কয়েনটি হাতে নিয়ে এমন ভাবে ছুড়ে মেরেছিল যে, আমার কোল থেকে বাসের মেঝেতে পরে গেলো। ভিক্ষুকের কান্ড দেখে পাশে থাকা লোকজন হাসলো কিছুক্ষণ। কয়েনটি হাতে নিয়ে মানি ব্যাগ থেকে আরো এক টাকা বের করে তিন টাকা দিলাম। তবুও নিলো না।

গত মাসের দ্বিতীয় শুক্রবারে গিয়েছিলাম গাজীপুর। চন্দ্রা মোর থেকে ইতিহাস পরিবহনের বাসে উঠলাম নবীনগর যাবার উদ্দেশ্যে। বাস তখন নন্দন পার্কের সামনে। কয়েকজন লোক উঠলো সেই অঘোষিত স্টেশন থেকে। এক ভিক্ষুকও উঠলো। তাকেই ভিক্ষা দিতে গিয়ে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলাম।

বৃহস্পতিবার গিয়েছিলাম বই মেলায়। কমিশন বাদে ২০৭ টাকা দামের একটি বই কিনে ২১০ টাকা দিয়েছিলাম। সেখান থেকেই তিন টাকা খুচরা দিয়েছিলো।

বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ। ভিক্ষুকদের এমন পরিবর্তনে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তারাও যুগের সাথে তাল মিলাচ্ছে। কিন্তু রাস্তায় বের হলে যে পরিমান ভিক্ষুক সামনে হাত বাড়ায় তাতে ৫ টাকা করে দিলেও দৈনিক শত টাকা খরচ হয়ে যাবে। তার উপর হিজরা তো আছেই। এদিকে টেকনিক্যাল মোর আর ঐদিকে আব্দুল্লাহপুর থেকে বাসে উঠবে। এ এক মহা যন্ত্রণার নাম। ওরা আবার আরো একধাপ এগিয়ে। ৫ টাকা নিবে না। দশ টাকা দিতে হবে। দিতে অস্বীকার করলেই গায়ের উপর পড়বে। অশ্লীল কথা বলে। প্রতিবাদ করলে কেউ কেউ বলে উঠে "ওরা নিবেই! ওদের পাশ আছে।" কি সাজ্ঞাতিক!

একদিন মধুপুর জাতীয় উদ্যানের সামনে থেকে বাসে উঠেছিলো এক হিজরা। হিজরাদের মেকাপ দেখলে কে হিজরা আর কে হিজরা সাজার অভিনয় করছে বুঝাই কঠিন। এক ছেলে টাকা দিতে অস্বীকার করেছিলো। আর কই যাবি! যা তা বলে গালি তো দিলোই আর সবার সামনেই কাপড় খুলে এক্কেবারে কঠিন অবস্থা। কোন মতে তাকে সামাল দেয়া গেছে।

সেদিন বক চত্তর থেকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম ধরে হাঁটছিলাম। যাব গুলিস্তান। ফাইনাল গন্তব্য ধামরাই। রাস্তা থেকে বাসে উঠলে সিট পাবোনা বলে স্টেশন থেকে বাসে উঠার জন্যই গুলিস্তান যাচ্ছিলাম। বক চত্তর থেকে পাতাল মার্কেট পর্যন্ত আসলাম। গাড়িগুলো যেভাবে দাঁড়িয়ে ছিলো এখনো সেভাবেই আছে। সুতরাং রিকশা নেয়ার কোন মানেই হয়না। হাফ কেজি বরই কিনে খেতে খেতে যাচ্ছিলাম। ফ্লাইওভারের নিচে সদরঘাট যাবার যে রাস্তা সেখানে পৌঁছানোর পর ঘটলো নতুন বিপত্তি। এক ঠেলাগাড়ি বাজিয়ে দিলো ডান পায়ে ঠিক পকেট বরাবর, যেখানে মোবাইল রাখা ছিলো। মোবাইলে লেগেছিলো বলে শরীরে অতটা চোট লাগেনি। তখন বুঝিনি যে মোবাইলটা ফেঁসে গেছে! সামনে খানিকটা এগিয়ে যাবার পর বিআরটিসির কাউন্টারের সামনে গিয়ে সময় দেখার জন্য মোবাইলটা বের করেছি। দেখি সর্বনাশ! মোবাইলের টাচস্ক্রিন ফেঁটে চৌচির। মোবাইলটা সেদিন জীবন দিয়ে আমাকে আঘাত থেকে বাঁচিয়েছিলো।

মোবাইলের কথা ভাবতে ভাবতে খেয়াল করিনি যে, সামনে এক মহিলা বাচ্চা কোলে নিয়ে হাত পেতে দাঁড়িয়ে আছে। "ভাই কিছু দেন!" কথা শুনে চমকে উঠি। মানিব্যাগে ভাংতি টাকা ছিলো না। বললাম, বড়ই নিবেন? "দেন" বলে সম্মতি দিলো। তিন-চারটে বরই বের করে হাতে দিয়েছি সবে মাত্র। দেখি কোত্থেকে যেন আরো পাঁচ-ছয় জন মহিলা সামনে হাজির। সবাই "আমাকে দেন, আমাকে দেন" বলে পথ আগলে দাঁড়িয়েছে। কি আর করার। আরেকজনের হাতে দুইটা দিলাম। পাশ থেকে আরেক মহিলা পলেথিন টান মেরে নিয়েই দৌঁড়। বড়ই হারিয়ে মোটেই দু:খ নেই। ভাগ্যিস মানি ব্যাগ বের করেনি। তাহলে তো আম-ছালা দুটোই যেত! জ্যামের কারনে সময় গেল, মোবাইল গেল আর বরইয়ের থলি তো ফাও!

২০১৫ সালের কথা। টিউশনিতে যাবো বলে দুপুর বেলা খেয়ে-দেয়ে বের হয়েছি। আয়েশাকে বলে এসেছি তাড়াতাড়ি ফিরে আসবো। বের হওয়ার সময় মানিব্যাগ আনতে ভুলে গেছি। অটোতে উঠে পকেটে হাত দিয়ে দেখি মানিব্যাগ আনিনি। প‌্যান্টের পকেট সার্চ করে কোন টাকা পেলাম না। বুক পেকেটে হাত দিয়ে দেখি ২০ টাকার একটা নোট। বাহ, ভাগ্য তো খুব ভালো। টাকাটা বের করে দেখি ভেতরে আরো পাঁচ টাকার একটি নোট। যে নোটের মধ্যে স্মৃতিসৌধের ছবি আছে একপাশে, সেই টাকা। অটো ভাড়া পাঁচ টাকা ছিলো বিধায় সেই স্মৃতিসৌধের ছবিওয়ালা টাকাটাই দিলাম।

সন্ধ্যাবেলা টিউশনি থেকে বের হয়ে ভিক্টোরিয়া রোডে অটোর জন্য দাঁড়ালাম। অটোতে উঠবো এমন সময় একজন মহিলা ভিক্ষুক ভিক্ষা চাইলো। আমার যেতে লাগবে পাঁচ টাকা, আর পকেটে আছে বিশ টাকা। ভাবলাম পাঁচ টাকা দেই। বিশ টাকার নোট হাতে দিয়ে বললাম, পাঁচ টাকা রাখেন এখান থেকে। টাকা হাতে নিয়েই মেলা......। দিলোই না ফেরত! কি আর করা। বাধ্য হয়ে হেঁটেই রওনা হলাম। যেতে যেতে মাগরিবের আযান দিয়ে দিলো। কলেজপাড়া মসজিদে নামাজটা পড়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। ওদিকে আয়েশা যে টেনশন করছে সে কথা খেয়ালই নেই। মোবাইলটাও সাইলেন্ট করা। বেশ কয়েকবার ফোন দিয়েছে। ধরতে পারিনি। বাসায় যাবার কথা মাগরিবের আগে। আমার দেড়ি দেখে আয়েশা যে এভাবে কাঁদবে ভাবিনি। বাসায় এসে দেখি, সে কি কান্না! যাবার সাথে সাথে জড়িয়ে ধরে আরো জোরে জোরে কান্না শুরু করলো। কিছুতেই থামছে না। কোন কথাও বলছে না। কিছুক্ষণ পর কান্না কমিয়ে বলছে, "আমি তোমার জন্য কত চিন্তা করতেছি। তুমি এখনো আসোনা দেখে কত আজেবাজে কথা মনে আসছে। আবার কোন সমস্যা হলো কিনা। তুমি ফোনও ধরছো না। আমি একটা বাচ্চা মানুষ, এতো টেনশন কি নিতে পারি!" আবেগ মাখা কথা আর কান্না দেখে আমারও চোখ ভিজে উঠলো। সান্ত্বনা দিয়ে বললাম, "আর এমন হবে না টুকটুকি।"

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:২৯

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: কয়েকদিন আগে এই ভিক্ষুকদের নিয়েই কার যেন একটি পোষ্ট পড়েছিলাম। খুবই মজা লাগলো পোষ্টটি পড়ে। আজকাল ভিক্ষুকরা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে আছে।

আমি নিজে কখনও কাউকে ভিক্ষে না দেওয়ার চেষ্টা করি। কারণ ভিক্ষা দিয়ে একজনকে উৎসাহিত না করে চেষ্টা করব তাকে চিরতরে ভিক্ষামুক্ত জীবন যাপন করার সুযোগ দিতে, এটা আমার একটি ইচ্ছা।

রাস্তায় বেরুলে এমন এমন ভিক্ষুক দেখা যায় যাদের ভিক্ষা দেওয়াটা উচিত নয়। নকলের ভিড়ে আসল ভিক্ষুক চেনা বড়ই মুশকিল! এর পরও শুনি ঢাকা শহরে রয়েছে ভিক্ষুক সিন্ডিকেট, ভিক্ষুক কোম্পানী, ভিক্ষুক লীগ...... ইত্যাদি ইত্যাদি......।

০১ লা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭

হাবিব বলেছেন:




পোস্টের প্রশংসা এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া/আপু। ভিক্ষুকমুক্ত হবে কিনা জানিনা তবে ভিক্ষুক কমানো যেত সরকার চাইলেই। নেয়াহেত ফকির মিসকিনদের ভিক্ষা দিলেও তা যে সিন্ডিকেটের পকেটে যাবে না তার নিশ্চয়তা নেই। ভিক্ষুকদেরকে নাকি ওদের দল থেকেই এলাকা ভাগ করে দেয়া হয়। কিন্তু সমস্যা হলো কোন ভিক্ষুক ভিক্ষা চাইলে না দিয়ে থাকতে পারি না। তারা এমন করুন সুরে ভিক্ষা চাই! মাঝে মাঝে পায়েও ধরে। মিরপুর ফ্লাইওভারে কিছু ছেলে আছে এমন কাজ করে। নবীনগর ফ্লাইওভারেও এমন একই কাহিনী। তবে গুলিস্তান এলাকায় ভিক্ষা দিতে গেলে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

এখন তো হিজরাদের জ্বালা আরো বেশি। এসব কি বন্ধ হবে না?

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪

ওমেরা বলেছেন: বাংলাদেশে কত ধনী মানুষ আছে শুনাইলেন তো শুধু ভিক্ষুকের গল্প!!

০১ লা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৪১

হাবিব বলেছেন:



তাদের কথা আর কি বলবো, তাদের অনেকেই ডাকাত! বড় লোকেরা চাইলেই পারে একেকটা ভিক্ষুককে স্বাবলম্বী করে দিতে। সরকারও অবশ্য এ ব্যাপারে কাজ করছে। যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি হলে ধনী-গরীব বেদ দূর হতো।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ওমেরা। ভালো থাকবেন

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:০২

মুক্তা নীল বলেছেন: কিছু কিছু পরিচিত ভিক্ষুক আছে যারা একেক দিন একেক জায়গায় বসে। এদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে একটা মহল। কষ্ট লাগে রাস্তা ঘাটে ছোট ছোট বাচ্চা, পঙ্গু, বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য ।
তারপরও তো টাকা দেয়া লাগে এবং দিতে হয় ।

ভাই, কষ্টের কথা গুলো শেষ করলেন সুন্দর একটি ভালোলাগা জীবনের অংশ দিয়ে । ভালো থাকবেন সবাইকে নিয়ে ।

০১ লা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:০৪

হাবিব বলেছেন:



বয়স্ক লোকেরাও কি সিন্ডিকেটের শিকার? আসল কথা হলো কেউ হাত পাতলে আমি কেন যেন "মাফ করেন" কআটা বলতে পারিনা। ভীষণ লজ্জা লাগে। নিজের কাছে ছোট মনে হয়। আমি এমনিতেই ৫ টাকার কম দেই না। সেদিন আসলে ১০০ টাকার নোট ছিলো। তাই ২ টাকা দিয়েছিলাম।

লেখার প্রশংসা এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমার সব ধরনের পোস্টে আপনার উপস্থিতি আমাকে আনন্দ দেয়। আপনিও ভালো থাকুন স্বজনদের নিয়ে।

৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: ভিক্ষুকদে আসলে দশ টাকার কম দেওয়া ঠিক না। যেখানে একটা সিগারেট ১২ টাকা।

জিনিস পত্রের দাম খুব বেশি।

০১ লা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:০৭

হাবিব বলেছেন:



প্রায়দিনই বের হতে হয়। ১০ টাকা করে দিলে তো অনেক খরচ হবে।
তবে চেষ্টা করি সবাইকে দেয়ার জন্য।
সহজে কাউকে খালি হাতে ফেরাই না।

ভিক্ষুকরা বিড়ি খায়, সিগারেট খায় না। আমি অনেক ভিক্ষুককে বিড়ি খেতে দেখেছি।

৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:০৭

নয়া পাঠক বলেছেন: রাজিব ভাইয়ের সাথে সহমত তাদের ১০ টাকা থেকে ১২ টাকা দেওয়া উচিত যেখানে ১টি বেনসন সিগারেটের দাম ১২ টাকা, যতদুর মনে হয় ঢাকা শহরে একজন ১ম শ্রেণীর কর্মকর্তার চেয়ে একজন ভিক্ষুকের আয় বেশি। এদের নিয়ে আমারও একটি মজার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ইচ্ছে হলে পড়ে দেখতে পারেন।

০১ লা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:১৪

হাবিব বলেছেন:



তদুর মনে হয় ঢাকা শহরে একজন ১ম শ্রেণীর কর্মকর্তার চেয়ে একজন ভিক্ষুকের আয় বেশি
-- হা হা হা, অনেকটাই ঠিক বলেছেন। একজন ভিক্ষুকের সাক্ষাতকার দেখেছিলাম, সে নাকি মাসে ৩ বার ভারতে যায়।
সেখানে নাকি তার ফ্ল্যাটও আছে।

ভিক্ষুকরা কি সিগারেট খায়? একদিন জিজ্ঞেস করবো।

আপনার মজার অভিজ্ঞতা ভালো লেগেছে। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ নয়া লেখক!

৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

স্ত্রীর ভালোবাসাই জীবনের সবকিছু

০১ লা মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮

হাবিব বলেছেন: জীবনের সবকিছু না হলেও জীবন সাজাতে স্ত্রীর ভালোবাসার তুলনা হয়না। সচ্ছল অসচ্ছল সর্বাবস্থায় স্ত্রী পাশে থাকলে জীবনের বোঝা হালকা মনে হয়। আর যদি বেশি গ্যানর গ্যানর করে তাহলে জীবন ত্যানা ত্যানা।

৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫৯

আরোহী আশা বলেছেন: অভিজ্ঞতা কাজে লাগান

০১ লা মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯

হাবিব বলেছেন: ওকে ওকে ঠিক আছে।

৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পের শুরুতে বদমাইশ ভিক্ষুকটার আচরণের কথা পড়ে মেজাজটা বিগড়ে যাচ্ছিল। কিন্তু গল্পের শেষাংশে যে ভালবাসাময় জীবনের কিছুটা পরিচয় দিয়ে গেলেন, সেটা পড়ে একেবারে দিলখোশ!!! :)
আল্লাহতা'লা আপনার সাদাকা খয়রাত এর উত্তম বিনিময় দিন, আপনার পরিবারকে সুরক্ষা করুন এবং ভালবাসার চাদরে আবৃত রাখুন!

০১ লা মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬

হাবিব বলেছেন:




হা হা হা, আসলেই লোকটা রগচটা ধরনের ছিলো।
আমার অবশ্য রাগ লাগেনাই, তার কান্ড দেখে পাশের লোকদের মতো আমিও হেসেছিলাম।

জীবনের মূহুর্তগুলো এমনি রঙিন করে রাখে আমার টুকটুকি। আল্লাহ তায়ালা আপনার প্রার্থনা কবুল করুন।
আজকের পোস্টে আপনাকে শ্রেষ্ঠ মন্তব্যকারীর পুরস্কার প্রাপ্ত ঘোষণা করলাম।
সাধারণ লেখাটি সম্পর্কে আপনার অসাধারণ মতামতে আমারও দিলখোশ!!

আপনিও ভালো থাকবেন খায়রুল ভাই। আপনার অসাধারণ কাব্যধারায় মুগ্ধ করে চলুন অবিরত, আমাদের সকলকে।


৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:০৬

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন!

০১ লা মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭

হাবিব বলেছেন: আমিন। আল্লাহ আপনার প্রার্থনা কবুল করুন

১০| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:০৯

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: গল্পে 'বরই' হবে মনে হয়

০১ লা মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭

হাবিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ঠিক করে দিলাম।

১১| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: বর্তমানে ভিক্ষুকেরা আপনার আমার চাইতে বেশী টাকা পয়সার মালিক।আর হিজরা এরাতো রীতিমতো চাঁদাবাজির মতো করে।

০১ লা মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯

হাবিব বলেছেন:



আপনার কথা একদম ঠিক। এখন ভিক্ষাবৃত্তিকে অনেকেই পেশা হিসেবে নিয়েছে।
হিজরাদের উৎপাত অসহনীয়

১২| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:০৮

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আমি একদিন ধানমন্ডি লেকে বসে ছিলাম।এক মহিলা এসে বললেন,বাবা কিছুটাকা দাও,আমি তাকে ১ টাকা দিলাম,কিন্তু সে নিলো না। উল্টো রাগ দেখিয়ে বলল, "নাহ নিমু না"।আমি পকেট থেকে দশ টাকা বের করে দিয়ে বললাম ৫ টাকা দেন।সে তখনও তার স্থানে অটল।পরে বললাম আচ্ছা লাগবেনা যান।

০১ লা মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

হাবিব বলেছেন:



হা হা হা....... ওরা তো অনেক ভদ্দর লোক। কি আর করা।
একজনে বলেছিলো ভিক্ষুকদের সংঘঠন থেকে নাকি ৫ টাকার কম ভিক্ষা নেয়া নিষেধ।

১৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া যাক অবশেষে টুকটুকিমনির জন্য তোমার সারাদিনের আপদ বালাই বিদায় হলো! :) :P

০১ লা মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

হাবিব বলেছেন:



শায়মা আপু, সারাদিনের ক্লান্তি ভুলি টুকটুকিমনির কাছে গিয়েই।
ওর কাছে থাকলে মন খারাপ করে থাকা ইম্পসিবল।

১৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:২৯

জগতারন বলেছেন:
ব্লগার চাঁদগাজী সম্প্রতি মন্তব্যের পরে যতীঃ (। , ;ঃ ' ".।।" ) চিহ্ন ব্যাবহার করেন না কেন ?
কেউ কি জনেন ?

০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:১৯

হাবিব বলেছেন:



আচ্ছা, চাঁদগাজীদাকে জিজ্ঞাস করে দেখছি। কি বলেন?
আপনি পোস্ট সম্পর্কে কিছু বলুন....

১৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৩৮

বলেছেন: একটা সিরিজ লিখতে পারেন - আবেগের টান আর সমাজের যত সমস্যা ---


ভালোলাগা

০২ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৪২

হাবিব বলেছেন: ধন্যবাদ লতিফ ভাই, সুন্দর মন্তব্যের জন্য। চেষ্টা করবো, দোয়া করবেন। ভালো থাকবেন

১৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিবভাই,

হা হা হা বেশ! গল্প লিখলেন।

" ভালোবাসার জন্য আমি হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়েছি,
বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি 108 টা নীল পদ্ম।"
তবে এখানে বরুনা থুড়ি আয়েশাভাবি পাশে আছে বা কথা রেখেছেন।

শুভকামনা ও ভালোবাসা আপনার গোটা পরিবারবর্গকে ।

০২ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৪৪

হাবিব বলেছেন:



প্রিয় পদাতিক দাদা, শুরুতেই শুভেচ্ছা নিবেন মন্তব্যের জন্য।
দোয়া করবেন যেন সবসময় তাকে পাশে পাই।
আপনার ও আপনার পরিবারের জন্যও শুভকামনা ও ভালোবাসা

১৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ১:০২

আরোগ্য বলেছেন: বর্তমানে অধিকাংশ ভিক্ষুক অভাবে না স্বভাবে ভিক্ষা করে।

হিজরাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হলে হয়তো তাদের দৌরাত্ম্য কমবে।

আল্লাহ পাক আপনার ও আয়েশা ভাবীর জোড়া ইহকালে ও পরকালে কায়েম রাখুক।
আট সন্তানে আপনাদের ঘরে খুশির আলো সর্বদা জ্বলজ্বল করুক।

০২ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৪৭

হাবিব বলেছেন:



অনেকটাই তাই, এ জন্যও ভিক্ষুক এতো বেশি।
হিজরাদের ব্যাপারে সরকারের আরো সতর্ক দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
যদিও চাকরির বিজ্ঞাপনে তৃতীয় লিঙ্গ বলে একটা অপশন রাখা আছে।

আল্লাহ আপনার প্রার্থনার কিছু অংশ মঞ্জুর করলেও আমি খুশি।
আরোগ্য, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ!

১৮| ০২ রা মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:৪৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক ঝামেলার কথাগুলো বললেন ভাই, তবে আমি মজা করেই পড়েছি। মাঝে মোবাইলের প্রাণ বিসর্জনের দিতে চাওয়ার কাহিনি দুঃখিত করলেও সবশেষে আপনার জন্য একজন ভালোবাসার মানুষ আছে দেখে খুবই ভালো লাগলো, এই জগতে কে আর ভাবে কাকে নিয়ে একমাত্র মা বাবা ছাড়া!!

ভালো লাগলো আপনার জীবনের গল্প পড়ে

০২ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৫০

হাবিব বলেছেন:



ভালোবাসার এই মানুষের জন্য আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাই বারবার।

নাঈম ভাই, আমার অগোছালো জীবনের কিছু কথা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
সবসময় মন্তব্যে এসে উৎসাহ দেয়ার জন্য অনেক অনেক ভালোলাগা জানবেন।
ভালো থাকবেন সবসময়।

১৯| ০২ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:১০

আখ্যাত বলেছেন: :
হিজড়াদের জন্য কোটা চাই
ওরাওতো এ সমাজেরই অংশ

০২ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৫২

হাবিব বলেছেন:



হিজরাদের জন্য কোটা দরকার বলে মনে হয়।
কিন্তু তার আগে তাদেরকে শিক্ষা ব্যবস্থার আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া/আপু।

২০| ০২ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:০৮

নীল আকাশ বলেছেন: রাস্তায় বেরুলে ভিক্ষুক দেখলেই ভিক্ষা দেওয়াটা উচিত নয়। এটা দেবার আগে অবশ্যই চিন্তা করা উচিৎ যে, একে আসলেও দেয়া ঠিক হবে কিনা। কারন কর্মক্ষম ব্যক্তিকে ভিক্ষা দেয়ার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করে হয়েছে। ভিক্ষা করা ইসলাম ধর্মে নিষেধ। আমি কখনোই কর্মক্ষম ব্যক্তিকে ভিক্ষা দেই না। এটা দিলে তাকে এই জঘন্য কাজে বরং আরও উৎসাহিত করা হয়।

সংসার কি আপাতত ২ জনেরই নাকি বড় হয়েছে? আপনার জন্য ভাবীর আবেগ আমাকে মুগ্ধ করেছে। আপনাদের ২জনের আবেগ দেখে আমার একটা কথা মনে পড়ে গেল........।


লেখাটা ভালো হয়েছে। সাবলীল! এই ধরনের লেখা মাঝে মাঝেই লিখতে চেস্টা করুন। ব্লগে লেখালিখির ইচ্ছাটা কেন যেন মন থেকে চলে গেছে। কত গুলি গল্প শেষ করে বসে আছি। পাঠক না থাকলে লিখে লাভ কি?

ভালো থাকুন, সব সময়। শুভ কামনা রইল!

০২ রা মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫১

হাবিব বলেছেন:



একদম ঠিক বলেছেন। আমিও এখন থেকে কর্মক্ষম ব্যক্তিকে ভিক্ষা দেয়া থেকে বিরত থাকবো।

না নীল আকাশ ভাই, এখনো সদস্য সংখ্যা বাড়ে নি। দু'জনই আছি। আপনার আবেগ যেন সব সময় থাকে দোয়া করি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। এমন স্বর্গীয় ভালোবাসা যেন চিরকাল বেঁচে থাকে।

একটি চমৎকার ছবি ও সুন্দর কথায় মুগ্ধ করলেন ভাই। লেখার প্রশংসায় আবারো মুগ্ধ করলেন। ইনশাআল্লাহ, চেষ্টা করবো মাঝেমাঝে এমন লেখা পোস্ট করার জন্য।

কি যে বলেন ভাই, আপনার লেখা সবাই পড়বে। আমরা সবাই আপনার লেখা মিস করছি। দিয়েন সময় পেলে। ভালো থাকবেন খুব । পরিজন নিয়ে সুস্থ থাকুন এই কামনা করি।

২১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: পৃথিবী বদলে গেছে
যা দেখি নতুন লাগে

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৪

হাবিব বলেছেন: পৃথিবী নয়, বদলেছে মানুষ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.