নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলে যাব- তবু যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল।

হাবিব

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র।

হাবিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমকামি বুড়োর খপ্পরে একদিন!

৩০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৭



মেহগনি গাছের পুরাতন পাতাগুলো ঝরে পড়েছে কিছুকাল পূর্বে। পাতাবিহীন গাছগুলোকে দেখে মনে হলো যেন রাস্তার পাশে মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে। টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানের ভেতরে বিকেল বেলা মাগরিবের নামাযের ঠিক আগ মূহুর্তে। মেহগনি গাছের সর্বশেষ পাতাটি আমার গায়ের উপর এসে পড়লো। মনে হচ্ছিলো, পাতাটি আমাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে শেষ বিদায়ের কথা। এমন করেই খসে পড়বে একদিন জীবন আকাশের ঝলমলে তারকা। শীতের শেষে বসন্তের আগমন টের পাচ্ছিলাম।

আনমনে হাঁটছিলাম একা একা। প্রায়ই হাঁটা-হাঁটি করি এখানে। পেছন থেকে সালামের আওয়াজ পেলাম। ঘুরে দাড়িয়ে দেখি দাঁড়ি-চুল সাদা এক বৃদ্ধ বাঁধানো একটি কবরের উপর বসে আছে। সেই দিয়েছে সালাম। সালামের জবাব দিলাম। আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বসতে বলে কুশলাদি জিজ্ঞেস করলো।
-কেমন আছো দাদু?
-জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ। আপনি কেমন আছেন?
-আল্লাহ খুব ভালো রাখছেন। তা.... তোমার নাম কি দাদু? কি করো?
- আমি মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। নাম হাবিবুর রহমান। আপনি কোথায় থাকেন? মাঝে মাঝে আপনাকে এখানে বসে থাকতে দেখি?
- আমি পূর্ব আদালত পাড়া মোড়ে থাকি। ওখানেই আমার বাসা। আর এটা আমার স্ত্রীর কবর। বাসায় কেউ নেই। ছেলে মেয়ে থাকে আমেরিকা। এই বৃদ্ধ বয়সে আমি একা। কি আর করবো বলো। বসে বসে কথা বলি স্ত্রীর সাথেই। ও আমার কাছে এখনো জীবিত।

বৃদ্ধ লোকটার মুখে স্ত্রীর প্রতি এমন ভালোবাসার কথা শুনে মনটা যেন কেমন নড়ে উঠলো।
-আপনি আপনার স্ত্রীকে অনেক ভালোবাসতেন, তাই না?
বৃদ্ধ লোকটা আর কোন কথা বলতে পারলো না। চোখের চশমাটা খুলে মনের অজান্তে গড়িয়ে পড়া জল লোকানোর দৃশ্য আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম। আমি আর কথা বাড়ালাম না। লোকটার দাঁড়ি-চুল সাদা হলেও গায়ে-গতরে বয়সের ছাপ খুবই কম। বেশ শক্ত-সামর্থ। গায়ে গ্রামীন চেকের ফতোয়া আর পড়নে সাদা পাজামা স্টাইলের প‌্যান্ট। হাতে পাকা বাঁশের শক্ত লাঠি।

কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলার পর বেশ সখ্যতা গড়ে উঠলো বৃদ্ধ লোকটার সাথে। আমাকে দাদু বলেই সম্বোধন করে কথাগুলো বলছিলো। ততক্ষণে মিনার থেকে মাগরিবের আযান ভেসে আসছে।
-চলো দাদু, নামায পড়ি। তুমি নামায পড়ো তো?
- জ্বি দাদু, আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ি।
-মাশাআল্লাহ.......

নামাজের জন্য অযু করছিলাম। ট্যাপের পানিতে অযুটা সেরে উঠতে উঠতে ততক্ষণে প্রথম রাকাতের সূরা ফাতেহা শেষ। জায়গা হলো মসজিদের বারান্দায়। বৃদ্ধ লোকটির অযু ছিলো বিধায় মসজিদের ভেতরে জায়গা পেয়েছিলো। নামায শেষে আমি মসজিদের মাঠে অপেক্ষা করছিলাম সদ্য পরিচিত হওয়া দাদুর জন্য। কিছুক্ষণ পর দাদু বেরিয়ে আসলো মসজিদ থেকে।
-চলো দাদু আমার বাসায় যাই। কেউ নেই বাসায়। তুমি গেলে গল্প করা যাবে তোমার সাথে।
-আজ না দাদু। আরেকদিন যাবো।
-তোমার কি ফোন আছে? অবসরে যদি তোমাকে কল দেই তোমার কি সমস্যা হবে?
-জ্বি ফোন আছে। সমস্যা হবে কেন? আপনি ইচ্ছা হলে ফোন দিয়েন।

আমার ফোন নাম্বারটা নিয়ে একটা মিসকল দিলো। বললো, "এটা আমার নাম্বার সেভ করে রাখো"। আমিও সেভ করে নিলাম দাদু নামে।

আমার নিজের দাদা-দাদি নেই। আমি যখন এসএসসি টেস্ট পরিক্ষা দেই তখন আমার দাদী গত হয়েছেন। দাদী মারা যাবার পনের দিন পর দাদাও পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। আমার দাদার অবস্থা বেশি শোচনীয় ছিল। সকলের ধারনা ছিলো দাদাই আগে মারা যাবেন। খাদ্যনালী ছিদ্র হয়ে গিয়েছিল। কোন কিছুই খেতে পারতো না। যা খেতো বমি হতো। কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবশেষে চলেই গেলেন। দাদীকে হাসপাতালে নেয়ার সুযোগও দেয়নি মৃত্যুদূত!

নামায শেষে মেসে ফিরছিলাম। প‌্যান্টের ডান পকেটে থাকা ফিচার ফোন বেজে উঠলো। বের করে দেখি সেই দাদুর ফোন। রিসিভ করলাম।
- হ্যালো, দাদু। বাসায় চলে এসেছি আমি।
-ও আচ্ছা, আমি তো যাইনি এখনো।
-ঠিক আছে বাসায় যাও। পরে কথা হবে।
কথাটা বলেই লাইন কেটে দিলো। লোকটির এমন আন্তরিকতা দেখে আমার নিজের দাদার কথা মনে পড়ে গেল। আমার দাদা আমাকে কত আদর করতেন। দাদী তো চোখের আড়ালই করতে চাইতেন না। এমন একজন বৃদ্ধ মানুষকে একটু সঙ্গ দিতে পারলে মন্দ কি।

রাতে আরো দুইবার ফোন দিল। খেয়েছি কি না তারও খবর নিলো। আমি বেশ সমীহ করেই তার সাথে কথা বলতাম। আমিও দাদু ডাকতাম বৃদ্ধ লোকটাকে। মনে মনে নিজের পরলোকগত দাদার ছবি তার মধ্যে আবিষ্কার করার চেষ্টা করলাম।

ঘটনাটি ২০১১ সালের। তখন কেবল অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। অভ্যাস মতো সেদিনও হাঁটছিলাম গোরস্থানের পথ ধরে। সেই আগের জায়গাতেই বৃদ্ধ লোকটাকে আবিষ্কার করলাম। আগের মতোই পরিপাটি পোশাকে বসেছিল। আজকে আমিই আগে সালাম দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিলাম। সালামের জবাব দিতে দিতে আমার সাথে তার কুশলাদির পর্বও শেষ হল। তখনও আমার হাত ছাড়ছিলো না সে। ডান হাতটি ধরা অবস্থায়ই কথা বলছিলো নতুন পরিচিত দাদু।
-দাদু, তোমার হাত এতো নরম কেন? মেয়েদের মতো!
- কি যে বলেন দাদু, আমি তো তেমন কোন কাজ করি না। তাই হয়তো এমন। আমি হেসেই জবাব দিলাম।
আসলেই আমার হাত অন্য সবার মত অতো শক্ত না। একটু নরমই। কিন্তু এমনভাবে কেউ হাত ধরে রাখেনি কোনদিন।
-তোমার ঠোঁটে কি লিপস্টিক দাও নাকি দাদু?
-হা হা হা, না না....... আমার ঠোঁট এমনিতেই লাল। আর এখনো তো সন্ধ্যার দিকে হালকা ঠান্ডা বাতাস। তাই ভ্যাসলিন দিয়েছি।
সত্যি কথা বলতে তার এমন প্রশ্নে আমি মোটেও অবাক হইনি। কারণ আমার ঠোঁট নিয়ে এমন উক্তি অনেকেই করেছেন।
কথার টপিকস পাল্টানোর জন্য আমি নিজেই বললাম:
-দাদু, চলেন উঠি। আবার আযান দিয়ে দিবে।

বলতে বলতেই মাগরিবের আযান হয়ে গেল। দুজনেই উঠে দাঁড়ালাম নামাযের উদ্দেশ্যে। তখনও আমার হাত ছাড়ছিলো না সে। "আসো দাদু কোলাকুলি করি। কোলাকুলি করলে মহব্বত বাড়ে।" কথাটা বলেই আমাকে জড়িয়ে ধরলো। এমন শক্ত করে ধরলো যে আমার কষ্ট হচ্ছিলো। আরেকটু জোরে ধরলে হয়তো দম বন্ধ হয়ে যেত। ৬ ফুট ২ ইঞ্চির লোকটার গায়ে এখনো যে জোরের কমতি নেই তা ভালোভাবেই টের পেলাম। তখনও তার কুমতলব আমি টের পাইনি। সত্যি কথা বলতে বৌ মরা একজন বৃদ্ধ লোকের এমন কুমতলব থাকতে পারে তা কেইবা বুঝবে?

নামায শেষে আমি সেদিন আর লোকটার জন্য অপেক্ষা করলাম না। টিউশনি ছিলো। তাড়াতাড়ি সেখানেই চলে গেলাম।

কিছুক্ষণ পরে ফোন দিলো। ফোনটা নামাযের সময় সাইলেন্ট ছিলো বিধায় টের পাইনি। টিউশনি শেষ করে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি ১২ টা মিসড কল। এতো বার ফোন দিয়েছে দেখে আমি নিজেই ফোন ব্যাক করলাম। ফোন ধরেই একটু অভিমানের সুরে কথা বললো। আমি বললাম, " স্যরি দাদু, আমার আসলে টিউশনি ছিলো। তাই তাড়াতাড়ি চলে এসেছি। আমি একদিন সময় করে বাসায় গিয়ে আপনার সাথে গল্প করবো।" "আচ্ছা ঠিক আছে" বলে ফোন রেখে দিলো।

আমার খুব খারাপ লাগছিলো। আমার কারনে একটা লোক কষ্ট পাবে এটা কিছুতেই ভালো লাগছিলো না।

লৌহজং নদীর উপর তখন বাঁশের সাঁকো। সেই বাঁশের সাঁকো দিয়েই নদী পার হচ্ছিলাম। টাঙ্গাইল শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা এক সময়কার খরস্রোতা লৌহজং নদীর গল্প শুনেছি দাদার কাছে। এ নদীপথ দিয়েই নাকি টাঙ্গাইলের বিখ্যাত পোরাবাড়ির চমচম চলে যেত ঢাকা সহ সারাদেশে। সেই নদী এখন মরা খালের চাইতেও সরু। নদীতে নেই কোন স্রোত। কচুরী পানাগুলো নদীকে তাদের নিরাপদ আশ্রয় করে নিয়েছে।

পরের দিন আসর নামায পরেই গোরস্থানের পথ ধরে হাটঁতে গেলাম। পশ্চিম আকাশে রোদের তীব্রতা তখনও আছে। গোরস্থানের সেই স্থানটাতে বৃদ্ধ লোকটাকে দেখতে পাচ্ছি না। বুকের ভেতর কেমন যেন করে উঠলো। দাদুর কি কিছু হলো তাহলে! কোন অসুখ করলো নাকি আবার! ফোন দিতে চাইলাম। আবার কি মনে করে যেন ফোন দিলাম না।

সূর্যের বিদায় নেয়ার সাথে সাথে পাখিরাও দলবেঁধে নীড়ে ফিরছে। সকাল হলে আবার সূর্য ফিরে আসবে নতুন তেজ নিয়ে পৃথিবীর বুকে। এই যে গোরস্থানের ঘুমন্ত মানুষগুলো! তারা কি ফিরবে কখনো? না ফেরার দেশে আমাদেরও তো একদিন চলে যেতে হবে। সে দিনটা কারো খুব কাছে, কারো বা দূরে। কিন্তু পাড়ের কড়ি কি নিয়েছি আমরা? জীবনবোধের এই ভাবনা কজনই বা ভাবে?

ভাবনায় ছেদ পড়লো মুয়াজ্জিনের "আল্লাহু আকবার" ধ্বনিতে। আরেকটা সন্ধ্যা নামাযের সুযোগ পেয়ে শুকরিয়া আদায় করলাম। আজকে মসজিদের একেবারে সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে নামায পড়লাম। নামায শেষে ফোন দিলাম দাদুকে।
-দাদু কোথায় আপনি? অসুস্থ নাকি, আজকে আসেন নি কেন?
-হ্যাঁ দাদু, একটু অসুস্থ।
-আমি তাহলে আসতেছি। বলে ফোনটা পকেটে রেখে বৃদ্ধ লোকটার বলে দেয়া ঠিকানা মোতাবেক বাসার নিচে গিয়ে হাজির। আর এমনিতেও টাঙ্গাইলের সব অলিগলি আমার চেনা হয়ে গেছে। ইন্টারমেডিয়েটের ২ বছর কাটিয়েছি টাঙ্গাইলে।

বাসার নিচে গিয়ে ফোন দিলাম। আমার ফোন পেয়ে দোতলা থেকে আমাকে এগিয়ে নিতে আসলো বৃদ্ধ লোকটা। তাকে দেখে মনে হলো না সে অসুস্থ। প্রতিদিনকার মতোই মনে হলো।

গায়ে আমার ফুলহাতা শার্ট। হাতা কুচানো। বরাবর যেমন পড়ি আর কি। সাইকেল চালিয়ে এসেছি। সাইকেলটা নিচে সিঁড়ির সাথে তালা লাগিয়ে উপরে উঠলাম বৃদ্ধ লোকটার পিছু পিছু। দরজার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মাঝ বয়সী একটা লোক দরজা খুলে দিল। সাইকেল চালিয়ে আসতে গিয়ে ঘেমে গেছি অনেকটাই। রুমে প্রবেশের সাথে সাথে দরজা লাগিয়ে দিলো বৃদ্ধ লোকটি। দরজা লাগিয়েই আমার শার্টের বোতাম খুলতে লাগলো। একটা খোলার পর আমি বললাম, "দাদু আমার তো গরম লাগছে না।" তারপরও জোর করে দুইটা বোতাম খুললো। জামার ভিতরে হাত ঢুকিয়ে শরীরের যেখানটাই চর্বি জমা হয় সেখানটায় বেশ জোরেই চাপ দিল। আমি ব্যাপারটা তখনও আঁচ করতে পারিনি। একবার চাপ দিয়েই হাতটা বের করে আনলো। আমাকে টেনে সামনে নিয়ে বুকের সাথে বুক মিলালো সেই আগের মতো। দুইহাতের বাহু চেপে ধরে দুই গালে সজোরে চুমু খেলো। ভাব দেখে মনে হলো কামড় বসিয়ে দিচ্ছে। বৃদ্ধ লোকটার মোচের খোঁচায় আমার গাল ছিদ্র হবার উপক্রম। আমি বললাম, দাদু কি করছেন এগুলো? থামেন! লোকটা এবার থামলো। টেবিলের উপর রাখা জগ থেকে গ্লাসে পানি ভরে খেতে গেলো। এই ফাঁকে আমি চলে আসতে চাইলাম। দরজা খুলতে গিয়ে দেখি বাইরে থেকে লক করা। খুব ভয় লাগছিলো তখন। লোকটা কি না কি করে! যে লোকটাকে আমি কয়েক মিনিট পূর্বেও দাদুর আসনে বসিয়েছিলাম তার এমন কান্ড কারখানা আমাকে দারুনভাবে আতংকিত করলো।

দরজার কাছ থেকে ফিরে এসে ড্রইং রুমের টিভির সামনে বসলাম। স্টার স্পোর্টস চ্যানেল চলছিলো টিভিতে। এক গ্লাস পানি আমার সামনে ধরে খেতে বললো। আমি খেতে অস্বীকার করলাম। একটু পর আমি যেখানটায় বসে ছিলাম চেয়ার নিয়ে সেখানে এসে দাঁড়ালো লোকটা। আমার সামনে এসেই আমার বাম হাতটা ধরে তার পায়জামার ফিতা ঢিলা করলো। বৃদ্ধ লোকটি তখন তার চূড়ান্ত রূপ দেখালো। আমি আর বসে থাকতে পারলাম না। বসা থেকে একলাফে উঠে দাঁড়ালাম। বললাম, "আমি আজ যাই, আরেকদিন আসবো।" "এতো অস্থির হচ্ছো কেন? যাবেই তো।" বৃদ্ধ লোকটি কথাটা শেষ করতে না করতেই বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটি ১০০ টাকা মূল্যের তিনটি দলিলের ফাঁকা কাগজ এনে বৃদ্ধ লোকটার হাতে দিলো।

মৃদু হাসি দিয়ে বৃদ্ধ লোকটি বলতে লাগলো:
- তুমি আমাকে মজা দিবা, আর আমি তোমাকে মজা দিবো। তুমি যেভাবে চাও সেভাবেই হবে। তোমাকে অনেক টাকা দিবো। তোমাকে আমি বিয়ে করে আমেরিকা নিয়ে যাবো। তোমাকে অনেক সুখে রাখবো। তুমি এখানে অনার্স করে কি করবে। তোমাকে আমেরিকা নিয়ে গিয়ে ভালো ভার্সিটিতে ভর্তি করিয়ে দিবো।

কথাগুলো শেষ করেই ফাঁকা দলিল আমার সামনে এনে ধরলো। বললো, "এখানে সাইন করো"। আমি বললাম, "ফাঁকা দলিলে সাইন করবো না। আপনি লিখে রাইখেন। আমি আরেকদিন এসে সাইন করবো।" আমার নাম ঠিকানা আলাদা কাগজে লিখে দিয়ে আসলাম। তবে আমার নিজের নাম বাদে সবই ভুয়া লিখে দিলাম। নাম ঠিকানা লিখে রেখেই কোন মতে বৃদ্ধের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলাম সেদিন। নিচে নেমে সাইকেলটা বের করেই দ্রুত সেই বাসা ত্যাগ করলাম।

তারপর থেকে কোনদিন গোরস্থানের ভিতরে ঐ পথে যাইনি। ঐ বাসা থেকে আসার পর আমাকে অনেকবার কল দিয়েছে, রিসিভ করিনি। একদিন দেখি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেটে দাঁড়ানো। সেদিন আমি বাসে ছিলাম। তাই আর দেখা হয়নি। মানুষকে বিশ্বাস করে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে ভাবিনি কখনো। এমন যদি হয় তাহলে মানুষ কেন আরেকজন মানুষকে বিশ্বাস করবে?

সহজ স্বীকারোক্তি: ঘটনাটি সত্য। এর কোন অংশই বাড়িয়ে লেখা হয়নি।

ছবিঋণ: গুগল।

মন্তব্য ৫৯ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৫৯) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অবাক হইলাম, এমন মানুষও আছে! তাও আবার রীতিমতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া কোন বৃদ্ধা!!

সুন্দর লিখেছেন ভাই

৩০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৮

হাবিব বলেছেন:
আমিও অবাক হয়েছিলাম। সমকামি মানুষের কথা শুনেছিলাম। সেদিন দেখেছিলাম এক পিচাসকে।
লেখার প্রশংসায় ধন্যবাদ রইলো ভাইয়া

২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অত্যন্ত সর্বনাশের ব্যাপার দেখছি! আপনাকে বের হতে দিল দেখে আশ্চর্য হচ্ছি। এসব লোক হলো সাইকো। চিন্তা করতেও ভয় লাগে যে আমাদের সমাজে এ'ধরনের লোক আছে। :(

বাসায় এসে শুকরিয়া নামায পড়েন নাই?

৩০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১২

হাবিব বলেছেন: আসলেই ভয়ানক ব্যাপার ছিলো। এখনো শিওরে উঠি ঐ রাতটার কথা মনে হলে। সেদিন আমি খ্ব ভয় পেয়েছিলাম। ভয়ে দুইদিনের জ্বরও ছিলো। বাসায় এসে নামায তো পড়ছিই, সেই সাথে দোয়া করছিলাম লোকটা যেন আর সামনে না পরে। পরেও নাই সামনে। এধরনের মানসিকতার লোকগুলো আসলেই ভয়ানক হয়।

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৩

করুণাধারা বলেছেন: যেমন পদ‍্য রচনাতে, তেমনি গদ্য রচনাতেও আপনি সিদ্ধহস্ত হাবিব স্যার। এটা বাস্তব অভিজ্ঞতা! পড়ে খুবই অবাক হলাম, আর শিউরে উঠলাম।

৩০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬

হাবিব বলেছেন:
আপু, আসলেই সেই দিনটার কথা মনে হলে এখনো খুব কষ্ট লাগে। আসলে মাঝে মাঝে নিজের উপরই রাগ লাগে, কেন যে খুব সহজে মানুষকে আপন ভাবি?

আলহামদুলিল্লাহ। আপনার এমন প্রশংসারবাণী আমাকে মুগ্ধতার ছোঁয়ায় সিক্ত করে গেল। আপনার উপর শান্তি্বর্ষিত হোক।

৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পের শুরুটা দারুণ হয়েছে, বিশেষ করে মেহগিনি গাছের ঝরে পড়া পাতার শেষ বিদায় স্মরণ করিয়ে দেয়ার দার্শনিক কথাটা। আর গোরস্তানের মৃত মানুষগুলোর ক্ববরের পরপারের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়ার ভাবনাগুলো।
আর তারপরের কথাগুলো ঘৃণ্য, বিবমিষা উদ্রেককারী। আপনার উচিত ছিল ভীমরতি ধরা বুড়োকে আইনী-বেআইনী যেভাবেই হোক, একটা উচিত শিক্ষা দেয়া।

৩০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭

হাবিব বলেছেন: খায়রুল আহসান ভাই, শিক্ষা দিলে দিতে পারতাম হয়তো কিন্তু যাদের সাথে ছিলাম তারাও ঘটনাটা আর না বাড়ানোর পক্ষে ছিলো। কেন যেন তখন আমিও অনেক ভীতু ছিলাম।

গল্পের শুরুটার প্রশংসায় সুন্দর আর আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় খায়রুল ভাই। আপনার মত মানুষদের কাছ থেকে এমন মন্তব্য সত্যিই আকাঙ্খিত। ভালো থাকবেন সবসময়।

৫| ৩০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাইরে তালা লাগানোর অংশে এসে তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। বুড়োর তো দেখি একটা বাহিনীও আছে!
আপনার লেখাটা এতটাই সাবলীল যে, সমকামীরা এটাকে সুন্দর করে সমকামিতার পক্ষে সাজিয়ে একটা সার্থক গল্প বানিয়ে ফেলতে পারবে।

শুভেচ্ছা রইল।

৩০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬

হাবিব বলেছেন: খলিল মাহমুদ ভাই, ভয় আমিও কম পেয়েছিলাম না! আমার তো জ্বর করেছিলো ভয়ে। বুড়োর সেই লোকটাকে প্রথমে দাড়োয়ান মনে করেছিলাম। পরে বুঝলাম এর সহযোগিতায়ই বুড়ো পেকেছে।

লেখাটা একটানে লিখেছি। কোন ড্রাফট ছাড়াই। ২০১১ সালের ঘটনা। কিন্তু এখনো বুড়োর সাথে পরিচয় থেকে শুরু করে সবটাই মনে পড়ে।

পোস্টের এমন প্রশংসায় খুবই আনন্দ লাগছে। জীবনের এমন অনেক ঘটনা ব্লগে শেয়ার করার ইচ্ছা আছে। শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম। ভালো থাকবেন আপনিও, পরিবার নিয়ে।

৬| ৩০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভয়াবহ অভিজ্ঞতা!

হুম। এমন পারভার্টেড লোক প্রচুর আছে আশে পাশে। বাইরে ভালমানুষির মূখোশ!
ভেতরে সমকামী, বিষমকামী, বহুকামী, উভকামী!
বাইরে লোক দেখানো দাড়ি, টুপি, নামাজ! ভেতরটা কলুষিত!

আর ছেলেরা বিষয়গুলো একান্ত চেপে যায় বলে প্রকাশ হয় কম।
এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে আরো বেশি।

৩০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫০

হাবিব বলেছেন: একদমই ঠিক বলেছেন। এমন মানুষ সহজে অন্যকে ফাঁদে ফেলে। আমি যেমন সহজেই বিশ্বাস করেছিলাম। আসলে লেবাস বদলালেও ভেতরের কুলসিত মনোভাব তাদের রয়েই যায়। শুধু শুধু পোসাকের অপমান করে এমন লোকজন। এ ব্যাপারে আমলেই সচেতনতা জরুরী।

চমঃকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া

৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: হা হা হা, এমন একটা অভিজ্ঞতা আমারও আছে লিখবো কিনা ভাবছি।

৩০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

হাবিব বলেছেন: বলেন কি তারেক ভাই! আপনার এমন ঘটনা আছে তবুও হাসছেন??

৮| ৩০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:০১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: So sad...

৩০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:০৬

হাবিব বলেছেন: আসলেই স্যাড নিউজ

৯| ৩০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:২৩

আরোগ্য বলেছেন: গা শিউরে উঠার মত ঘটনা । আল্লাহর রহমত স্যার বেচে গেছেন।
আমার এক বন্ধুকে একবার হিজরা দাবড়ানি দিয়েছিল, দৌড়ে বেচেছে।

এসব কারণেই বিশ্বাস দিন দিন উঠে যাচ্ছে।

৩০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

হাবিব বলেছেন: মানুষ কাকে বিশ্বাস করবে বলুন? লেবাসধারীদের অবস্থা বেশী ভয়াবহ। এদেরকে চেনা কঠিন। আল্লাহর শুকরিয়া অল্পতে বেঁচে গেছি। আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।

১০| ৩০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বটে!

এই বৃদ্ধ লোকটি কি এখনও বেঁচে আছে? এই ভদ্র(!) মহোদয়কে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হলে সমাজের আর দশটা নিরীহ ছেলে সর্বনাশের হাত থেকে রক্ষা পেত।

যদিও বাস্তব অভিজ্ঞতা, তবুও খায়রুল আহসান ভাইয়ের সাথে সহমত পোষণ করে বলতে হয়, গল্পের শুরুটা বেশ আকর্ষনীয়ভাবেই করতে পেরেছেন মেহগনি গাছের পাতা ঝড়ে পড়ার দৃশ্যপটটাকে তুলে ধরে। সাথে গোরস্তানের মৃতদের ফিরে আসা না আসার ভাবনা এবং আমাদের পাড়ের কড়ি যোগারের ভাবনাটাকে জাগিয়ে দেয়ার বিষয়টি বেশি ভালো লেগেছে। জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার গল্প হলেও শিক্ষনীয় উপাদানে সমৃদ্ধ।

কিছু বানান ঠিক করে নিলে সুন্দর হতো। দেখি, সময় পেলে জানানোর চেষ্টা থাকবে।

বিদ্রোহী ভৃগু ভাই, খলিল ভাই এবং বোন করুনাধারার মন্তব্য ভালো লাগলো।

শুভকামনা। +++

৩০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩৯

হাবিব বলেছেন: নকীব ভাই, লোকটা এখনো বেঁচে আছে কিনা জানিনা। ওনার নিজের বাসা ছিলো সেটা। সেখানে খোঁজ নিলে জানা যাবে। আল্লাহ জানে আর কয়জনে এমন খপ্পরে পরেছিলো।

খায়রুল আহসান ভাই, করুনাধারা আপুর মতো আপনার কাছ থেকে লেখার প্রশংসা পেয়ে ক্রমেই গল্প লেখার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বানান ভুলগুলো ধরিয়ে দিলে আমার জন্য ঠিক করতে সুবিধা হবে। একটানে লিখেছে। কিছুটা ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে।

শেষমেশ প্লাস প্রদানে এবং শুভকামনার জানানোর জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা। আন্তরিক মন্তব্যের জন্য আবারো ভালোবাসার রেখে গেলাম। ভালো থাকবেন সবসময়।

১১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমে ভেবেছিলাম গল্প । যে কারণে যতই পড়ে গিয়েছে ততই মজা পেয়েছি। কিন্তু ফুটনোটে এসে চমকে উঠলাম। মুহূর্তে আমার বিশ্বাস সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেল। নবম শ্রেণীতে পড়াকালীন আমার জীবনেও এরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল। তবে সেটা আর এত দূর গড়ায়নি এই যা। আমি অবশ্য আপনার মত এতটা প্রকাশ্যে ঘটনাটি শেয়ার করতে অপারগ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় হাবিব ভাইয়ের গোটা পরিবারবর্গকে।

৩০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৪৫

হাবিব বলেছেন: পদাতিক ভাইয়া, আসলে শিরোনামেই "সত্য ঘটনা" লিখতে চেয়েছিলাম। পরে ভাবলাম না থাক, লেখার শেষে ফুট নোট দিলে ইন্টারেস্টিং হবে। আপনার মন্তব্য দেখ্য মনে হলো হয়েছেও তাও। আপনার জীবনেও এমন ঘটনা আছে জেনে উদ্ভিঘ্ন হলাম। না জানি আর কত মানুষের জীবনে এমন তিক্ত ঘটনা ঘটেছে! তবে দিনশেষে একটাই চাওয়া আর কেউ যেন এমন ঘটনার সাক্ষী না হয়।
প্রিয় ভাইয়ের পরিবারের জন্যও শুভকামনা ও ভালোবাসা।

১২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: এখন আমি যদি বলি নামাজ পড়া মানুষ গুলো বেশী বদ হয়- তাহলে আপনারা আমার উপর রেখে যাবেন।

৩০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৪৭

হাবিব বলেছেন: কি যে বলেন রাজীব ভাই, নামায তো মসজিদ ভর্তি লোকেও পড়েছে। সবাই কি এমন? আসলে কিছু মানুষ লেবাসধারন করে মানুষদের ঠকায়। আমাদের চোখ-কান খোলা রেখে চলতে হবে।

১৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:০১

মা.হাসান বলেছেন: হাবিব সার, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া এর চেয়ে ভয়ানক কিছু হয় নি। একদিনের ঘটনায় আপনার জ্বর এসে গেল। চিন্তা করুন, খারাপ পুরুষদের এরকম দৃষ্টির সামনে দিয়ে সমস্ত মেয়েদের প্রতিদিন বাইরে যেতে হয়, সামজিক কারণে অনেকে সমস্যার কথা বলতেও পারে না।
আল্লাহ অামাদের সৎ পথে থাকার শক্তি দিন।

৩০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:১৩

হাবিব বলেছেন: হাসান ভাই, আসলে আমি খুবই ভয় পেয়েছিলাম। আসলেই তো, একজন মেয়েকে প্রতিদিন কতনা লোভাতুর চোখের সামনে দিয়ে যেতে হয়। কতটা সহ্য করেন আমাদের বোনেরা! আল্লাহ যেন সবাইকে রক্ষা করেন খারাপ মানুষের কুমন্ত্রণা থেকে। আল্লাহ আপনার প্রার্থনা কবুল করুন। আমিন।

১৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৪০

নীল আকাশ বলেছেন: কিছু মনে না করলে একটা কথা বলি, ধর্মীয় অংশ যেমনঃ আযান, মুয়াজ্জিন, নামায, মসজিদ এইসব অংশগুলি ইচ্ছে করলেই বাদ দিয়ে বা কমিয়ে লিখতে পারতেন। সমকামীতা নিয়ে লেখায় এই সব শব্দ আমার কাছে দৃষ্টিকটু লাগছে। ইচ্ছে করেই আজকাল সিনেমা কিংবা নাটকে এইসব পোষাক পড়া লোকজনকে সবচেয়ে খারাপ চরিত্রতে দেখান হয়। আমার খুব খারাপ লাগে। বয়স হলে একদিন আমরাও ঠিক এই লেবাসে সুন্নাত মেনে দাড়ি টুপি পড়ে চলাফেয়ারা করব। সব জায়গায়ই যদি এই লেবাসে খারাপ চরিত্রকে দেখান হয়, তখন আমাদেরকেও লোকজন কি ভাববে বলুন? উপরে এই রকম মন্তব্য এসেছে। যা বললাম সেটা একান্তই আমার মনের কথা। আমি এইসব বিষয় খুব ভালো ভাবে মেনে চলি আমার লেখায়।

আমি আরেকটা মন্তব্যে গল্পটা আবার ভালো করে পড়ে গল্প হিসেবে কেমন লেগেছে সেটা বলব।
শুভ রাত্রী এবং শুভ কামনা রইল!!

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৩০

হাবিব বলেছেন: চাইলেই হয়তো অংশগুলো এড়িয়ে চলা যেত, কিন্তু এগুলোর সাথেই যে ঘটনাটি জড়িত। পরবর্তীতে লেখার ক্ষেত্রে আরো সতর্ক থাকবো। গল্প হিসেবে আহামরি কিছু হয়নি বলেই আমার মনে হয়। তবুও আপনার মূল্যবান মতামত পেলে আমার কাঁচাহাতের কচি লেখাগুলোও সবুজ হয়ে উঠবে আশা করি। আপনার মন্তব্যের প্রতিক্ষায় রইলাম।

১৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:৩০

বলেছেন: হাবিব ভাই ব্যাক ফরম ওল্ড ম্যান কেইভ ---


কচুরিপানায় ভরে যাওয়া লৌহজং নদের মতো
সমাজটায় ভরে গেছে উৎপাতসৃষ্টিকারী বৃদ্ধরা
মেহগনি পাতার ঝরে যাওয়ার সুরে কভু ওদের
ধারাবাহিক জীবনে প্রভাব ফেলে না।



৩১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৩২

হাবিব বলেছেন: লতিফ ভাই, চমৎকার করে বলেছেন কথাগুলো। আমরা অনেকেই এমন করে ভাবি না। সমাজের জঞ্জাল দূর হোক এমনটাই চাওয়া আমার /আমাদের। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

১৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ২:৫৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: নামাজ পড়লেই পবিত্র মানব হবে কথা নেই। আর সমকামী হলেই তাকে কলুষিত আখ্যা দেওয়া ঠিক হবে না। ভাল ও খারাপ নিয়েই মানুষ। Tag দেওয়া বন্ধ রেখে তার খারাপ বা অন্ধকার ব্যাপার নিয়ে আলোচনা স্বাপেক্ষে counsel করা যেতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে, এই বলে অপরাধ এর সাজা কিন্তু মওকুফ না হয়।

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৩৭

হাবিব বলেছেন: ভালো ও খারাপ মিলিয়েই মানুষ এটা ঠিক তবে খারাপকে খারাপ হিসেবে তুলে ধরতে হবে অবশ্যই। তাদের করালগ্রাস থেকে বেঁচে থাকার জন্যই। কিছু মানুষ নামাজ পড়ে পবিত্র হওয়ার জন্য না, শিকার ধরার জন্য। সুন্দর লেবাসকে অপমান করার জন্য। তবে আশার কথা হলো সমাজের বেশির ভাগ মানুষ এখনো দুষ্ট হয়ে যায়নি। মসজিদ ভর্তি মানুষের মধ্য থেকে দু-একজন খারাপ হলেই আমরা নামাযীদেরকে খারাপ বলতে পারি না। অপরাধী চিহ্নিত করে তাকে অবশ্যই সাজার আওতায় আনা উচিত।

১৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৩:২৪

টোনাল্ড ড্রাম্প বলেছেন: উপরে একজন ভাইকে আমার একটা প্রশ্ন, উনার পিতা মাতা, দাদা দাদী কিংবা নানা নানী কখনও কি নামাজ পড়েননি ? যদি পড়েই থাকেন তাহলে কি তারা খারাপ মানুষ ?

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৪০

হাবিব বলেছেন: রাজীব ভাই যে কথাটা বলেছেন তা ঠিক বলেন নি। আসলে মসজিদ ভর্তি মুসল্লীর মধ্য থেকে একজনে অপরাধ করলে সবাইকে খারাপ উপাধী দেয়া কখনোই উচিত নয়।

১৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৩:৫৪

সোহানী বলেছেন: সমকামিতা বিষয়টা যে এতোটা খোলামেলা এখানে তা দেশের বাইরে না এলে বুঝতে পারতাম না। এসব নিয়ে এখানে গর্বের সাথেই বলে কারন আইন ওদের সাথে।

যাহোক, বিশাল বিপদ থেকে বেচেঁ গেছেন। হয়তো আপনি একা নয় আরো অনেক সহজ সরল ছেলেরা ওর ফাদেঁ পা দিয়েছে। কারন ওরা সাইকো। আর দেশের আইন সমাজ ধর্ম ওদের বিরুদ্ধে হওয়াতে ওরা ফাঁদ পাতে নিরহ বাচ্চাদের জন্য।

চমৎকার লিখনিতে ভালোলেগেছে সত্য ঘটনা।

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৪৫

হাবিব বলেছেন: লূত নবীর সময়কার কথা কিংবা ডেড সীর কথা মনে আছে নিশ্চয়! তাদেরকে কিন্তু সমকামীতার জন্যই ধ্বংস করা হয়েছিলো। কোন সমাজে পাপ যখন খুব বেশি হয়ে যায় আল্লাহ তাদেরকে এমন পরিনতির দিকেই নিয়ে যান। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এমন অবস্থা থেকে রক্ষা করুন।

আল্লাহর শুকরিয়া যে বেঁচে গেছি। সমাজের কতজনের সাথে এমন ঘটনা ঘটে কে জানে! সব শেষে লেখার প্রশংসায় নতুন করে লেখার সাহস পেলাম। সব সময় সুস্থ ও সুন্দর থাকেন সোহানী আপু।

১৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৫৭

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার পোস্টে একটু নজর বুলিয়েছিলাম। সামান্য এডিটিং প্রয়োজন ছিল। এখন কি সেটা দিতে পারি?

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৪৯

হাবিব বলেছেন:




নকিব ভাই, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়ার জন্য।

"পাতাবিহীন গাছগুলোকে দেখে রাস্তার পাশে কিছু মানুষ মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে মনে হলো।" শুধু এই লাইনটার এডিট যুতসই মনে হলো না। আমার মতো করে লাইনটা আবার লিখলাম। পড়ে দেখবেন। সময় নিয়ে আমার লেখাটাকে গোছানোর জন্য আপনার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ভালো থাকবেন সব সময়।

২০| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:২৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অনেকের জীবনেই এমন ঘটে যায় এমন ঘটনা।

প্রকাশ করেনা বলেই জানা যায়না কোনটা মানুষ আর কোনটা মুখুশ।

যাক বেচে গেছেন। কম বয়সী ছেলেরা আরও বিপদে পড়ে, সর্বনাশ হয়।

১ম প্যারার ২য় লাইন ও ৩য় লাইন কিছুটা এডিট করে বাক্যের সামঞ্জস্যতা আনা প্রয়োজন।
+++++

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬

হাবিব বলেছেন: এখানে মন্তব্য করতে এসেই তারেক মাহমুদ এবং পদাতিক চৌধুরী জানিয়েছেন যে তাদের সাথেও এমন ঘটনা ঘটেছে কোন এক সময়। আপনার পরামর্শ অবশ্যই চিন্তা করে দেখবো। চাইলে আপনিও এডিট করে দিতে পারেন।

২১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৯

জাহিদ অনিক বলেছেন: গতকাল পড়েছিলাম, ভয়াবহ ঘটনা তাও আবার সত্য !
আপনার লেখা ভালো লাগছে।

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮

হাবিব বলেছেন: পাঠিন্তে মন্তব্য এবং লেখার প্রশংসায় কৃতজ্ঞতা জানবেন কবিবর!

২২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: :-&

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮

হাবিব বলেছেন: :| :|

২৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: এই গল্পে ঘটনাটা ২০১১ সালের প্যারাটার প্রথম কয়েক লাইন কনফিউজিং। উপরের লেখা অংশ তাহলে কখন ঘটছে?? সবাই তাড়াহুড়া করে পড়ে গেছে তাই এটা খেয়াল করে নি। এটা হবে একদম প্রথমে।

লেখার সময় কাল বা স্থান ভেদে আলাদা প্যারা করে দিলে পাঠকের পড়তে সুবিধা হয়। এতে পাঠক শুরুতেই বুঝে নেয় এটা আরেকটা সিন। যারা ঢুমঢাম করে পড়ে যায় তারাও অন্তত নতুন প্যারার প্রথম কিছু লাইন দেখে যায় নতুনত্বের জন্য। এটা ফলো করবেন।

পরিবেশের বর্ণনা কয়েক জায়গায় অতিরিক্ত। লৌহজং নদী কিংবা সূর্যের বিদায় অংশ লেখার সাথে মিল নেই। আমি হলে সূর্যের বিদায় অংশ একদম শেষ ফিনিসে নিয়ে আসতাম। প্রকৃতির বর্ননা অবশ্যই যেন মানবিক চরিত্রের সাথে মিলিয়ে দিতে হবে, আলাদা হবে না, নাহলে অতিরিক্ত মনে হবে।

আপনার গল্প আসলে শুরু হয়েছে একদম শেষ দিকে- বাসার নীচে গিয়ে ফোন দিলাম। এই সব ক্ষেত্রে ভুমিকা কয়েক লাইন লিখে পাঠককে আলাদা প্যারা করে আগের স্মৃতিতে ঘুরিয়ে আনবেন। বুঝিয়ে দেবেন আগে কি ঘটেছিল। আগের লেখা পরে আর পরের লেখা আগে হয়ে গেছে মনে হলো।

ছোট গল্পের শেষে ট্যুইস্ট থাকবে। এখানে কই? ফিনিস বা ডিছিসন আপনি দিবেন না। পাঠকের ঘাড়ে রেখে দিন। তাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন।

আমি জীবনেও ভাল করে না পড়ে কিংবা আন্দাজে কারো পোষ্টে মন্তব্য করি না। সেজন্যই আমার সময় লাগে। আর তাই এবারও সময় লাগলো।

ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:৩৫

হাবিব বলেছেন: গল্প হিসেবে আপনার পক্ষ থেকে আমি কাঙ্খিত মন্তব্য পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ। গল্প লেখার ক্ষেত্রে খুবই কাজে দিবে। এক্কেবারে মনের মতো মন্তব্য।

২৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: আর হেডিং নিয়েও সমস্য রয়েছে। পাঠক পড়ার আগেই তো জেনে ফেলল কি নিয়ে লিখছেন! তখন লাইন স্কীপ করে পড়বে। রূপক নাম করন নিয়ে কাজ করুন। যেন পাঠক একদম শেষে যেয়ে বুঝতে পায় হেডিং এর অর্থ কি!!
আমি হলে দিতাম - এক সন্ধ্যায় জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা বা এই ধরনের।
ধ্যনবাদ

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:৩৭

হাবিব বলেছেন: শিরোনাম নিয়ে যা বললেন সেটাও ১০০% ঠিক বলেছেন। সুন্দর দু'টি মন্তব্যের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ নীল আকাশ ভাই।

২৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২৭

তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন বলেছেন: একজন শিক্ষার্থীর এরচেয়ে খারাপ অভিজ্ঞতা আর হতে পারে না।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:৪৫

হাবিব বলেছেন: ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বলা চলে, এমন পরিস্থিতিতে আর যেন কেউই না পড়েন

২৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬

অন্তরা রহমান বলেছেন: এরকম ঘটনা একজন মেয়ের জীবনে কতবার যে ঘটে, কতবার যে ভয়ঙ্কর বিভীষিকাময় ট্রমার মধ্য দিয়ে আবারও জীবন গড়ে নিতে হয়।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৩২

হাবিব বলেছেন: মেয়েরা যে কিভাবে সব সামলায়!!!! ভাবতেই কেমন যে গা হিম ধরে আসে!! কিছু মানুষ কেন হায়েনার মতো হয়?

২৭| ০২ রা জুন, ২০১৯ রাত ৩:১৯

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: "সাইকোসেক্সুয়াল ডিজঅর্ডার " একধরনের 'পারভার্সন' বা মনোবৈকল্য ! পরিবার বিহীন একাকীত্ব আর সমকামী মানুষের সাহচর্য্য হয়তো এই বৃদ্ধকে কুপথে নিয়ে গিয়েছে ! সে আপনাকে আগে দেখে নির্বাচন করেছে, আপনি নামাজ পড়েন তাই ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ নেয়ার জন্যেই নামাজ পড়েছে ! তার পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছু ঘটেছে!
মহান আল্লাহপাক আমাদের সন্তানদের এমন জালেমদের হাত থেকে নিরাপত্তা বিধান করুন !

০২ রা জুন, ২০১৯ সকাল ৯:০৭

হাবিব বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন। আমিন

২৮| ০২ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: নিজের নাম -ঠিকানা না দিয়া ব্লগার সৈকতের নাম-ঠিকানা দিতে পারিতেন ,উনি সানন্দে আমেরিকা যাইতে রাজি হইতেন !!! ;)

১১ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:৩১

হাবিব বলেছেন: হা হা হা..........
আচ্ছা আবার দিবো নি.....

২৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:৫৯

ইসিয়াক বলেছেন: এখন আর আপনার লেখা ব্লগে পাই না কেন। খুব ব্যস্ত বুঝি?

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৫

হাবিব বলেছেন: প্রিয় ভাই, আমি আসলে অন্য একটা কারনে ব্লগে আসছি না। তবে যেদিন আবার নতুন পোস্ট দিবো সেদিন অনুপস্থিতির কারনগুলো বলবো ইনশাআল্লাহ। আমার জন্য দোয়া করবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.