নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলে যাব- তবু যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল।

হাবিব

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র।

হাবিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আঁধার রাতের গল্প।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:২০



-"লাইলির হাতের রান্না যে স্বাদ, একবার খেলেই মুখে লেগে থাকে!"
বেশ শুদ্ধ বাংলায়ই কথাটা বলে মেয়েটার প্রশংসা করছিলো ফরহাদ। লাইলির সাথে ফরহাদের তেমন কোন সম্পর্কই নেই। কিন্তু এমন ভাবে হেসে হেসে কথা বলে, দেখলে মনে হবে যেন স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক। লাইলি সাধারণ একটা কাজের মেয়ে। ফরহাদের বাড়িতো টুকটাক কাজ করে দেয়। কাজের বিনিময়ে পেট ভরে খেতে পারে, এই যা।

গল্পের লাইলি-মজনু, শিরি-ফরহাদ জুটির প্রেম কাহিনীর মতো ঘটনা। ঘরে ফরহাদের বউ আছে, আছে তিন তিনটা বাচ্চা। বউটা একটু রোগাটে কিনা! আর সেকারনেই পাশের বাসার লাইলিকে রাখা হয়েছে কাজের জন্য। লাইলির বাবা ইলিমউদ্দিনের ঘরে লাইলিসহ সাতটা মুখ খাইয়ে। এতগুলো মুখের আহার জোগাতে ইলিমউদ্দিন একাই খেটে চলছেন। কোন সন্তানকেই স্কুলে পাঠাতে পারেনি। যে ঘরে সন্ধ্যাবেলা বাতি দেয়ার মতো কেরোসিন থাকে না, নুন জুটলে পান্তা জুটেনা আবার পান্তা জুটলে নুন আনতে পাশের বাড়িতে কর্জের জন্য ছুঁটতে হয় সেখানে লেখাপড়া এক প্রকার বিলাসিতা। বড় ছেলেটাও বিয়ে করে বউ নিয়ে আলাদা থাকে। তাইতো একটা মুখও যদি কমে, সে আশায়ই লাইলিকে ও' বাড়িতে কাজে যেতে বাঁধা দেয়না লাইলির বাবা ইলিমউদ্দিন।

সেদিন ফরহাদের ঘরের চারপাশে মাটির লেপ দিচ্ছিলো লাইলি। ফরহাদের বউই দিতে বলেছে। কতটা দিন হলো বিছানায় পড়ে আছে ফরহাদের বউটা...। নিজের হাতে গড়া ঘরগুলোরও যত্ন নিতে পারছে না। ফরহাদ লাইলির কাজগুলো তদারকির ছুঁতোয় তার সাথে মেশার চেষ্টা করে। ফরহাদের অসুস্থ বউ বিষয়টা না বুঝলেও লাইলি ঠিকই টের পায়। ভেজা মাটি ডান হাতের তর্জনীতে নিয়ে লাইলির গালে আলতো করে মেখে দিলো ফরহাদ। আর তাতে হেসেই কুটিকুটি লাইলি। সে হাসিতে মোমের মতো আরো যেন গলে পড়ছে ফরহাদের ভেতরটা।

গায়ের রঙটা ছোটবেলায় বেশ কালো ছিলো লাইলির। বয়স এখন সতেরো ছুঁই ছুঁই। এই বয়সে এসে লাইলির কালোবর্ণ যেন আর চোখে পড়েনা। গায়ের রঙ যেমনই থাক উজ্জল শ্যামলা রঙের মুখটাতে যেন হাসি সব সময় লেগেই থাকে। এ বাড়িতে কাজ করতে এসে তিন বেলা ঠিক মতো খাবার পেয়ে কচি লতার মতো শরীরটা তার তর তর করে বাড়ছে যেন। ফরহাদ ওকে মুখে লাগানোর একটা ক্রিমও দিয়েছে। আর সেই ক্রিম লাগিয়ে সকাল সন্ধ্যা ফরহাদের সামনে দিয়ে ঘুর ঘুর করে।

-আহ, কি মধুর গন্ধ........ মনটা যেন নেচে উঠে।
ফেয়ার অ্যান্ড লাভলির গন্ধ ভেসে আসছে লাইলির মুখ থেকে। আর তা দেখেই এমন করে কামনার সুরে বলছিলো ফরহাদ।
-আপনে যে কি কন না..... শরমই করে।
উড়নার এক কোনায় মুখ ডাকতে ডাকতে কথাটা বলছিলো লাইলি। এমন আরো অনেক কথা আর সাথে উড়নায় মুখচাপা হাসিতে ফরহাদ-লাইলির রসায়ন ভালোই জমে উঠলো। পাতানো গল্প যখন দধির মতো জমাট বাঁধবে বাঁধবে ভাব তখনি ফরহাদের ছোট ছেলে আব্বা আব্বা করতে করতে হাজির।

- আব্বা আব্বা ছুঁত কইরা আহো, মা জানি কেমুন করতাছে.....
কথাটা শুনেই দৌঁড়িয়ে যায় ফরহাদ-লাইলি দুজনেই। গায়ে ক'দিন থেকেই বেশ জ্বর ফরহাদের স্ত্রীর। সেদিকে যেন খেয়ালই নেই ফরহাদের। এক পাতা প‌্যারাসিটামল যে এনে দিবে তাও যেন ভুলে গেছে। অথচ কাজের মেয়ে লাইলির জন্য মুখেমাখার ক্রিম থেকে শুরু করে সব প্রসাধনিই আসে। এসবই দেয় বউকে লুকিয়ে।
- এবার মনে হচ্ছে আর বাঁচবেনা। কি করি বলতো লাইলি।
-একটা ভ্যান ডাহেন, ছুত কইরা হাসপাতালে নিতে অইবো।

লাইলির কথা শুনে ফরহাদ বেড়িয়ে পরলো। লাইলি এই ফাঁকে উঠানে থাকা বদনাতে করে পানি আনতে গেলো পাগাড় পাড়ে। পানিটুকু পরম যত্নে ফরহাদের বউটার মাথায় ঢালতে ছিলো লাইলি। কিছুক্ষণ পড়ে যেন চোখ মেলে তাকালো ফরহাদের বউটা.....
- লাইলি, মা আমার, আমি যদি মইরা যাই আমার বাচ্চাগুলানরে দেহিশ......
-কি কন এগুলা চাচিআম্মা, আপনের কিচ্ছু হইবোনা। ছুত কইরাই ভালো অইবেন।
লাইলির কথা শেষ হতে না হতেই ফরহাদ ভ্যান নিয়ে হাজির। এদিকে উঠান ভর্তি মানুষ জড়ো হয়ে গেছে ফরহাদের বাচ্চাদের কান্নাকাটিতে। ফরহাদ আর লাইলি ধরাধরি করি ভ্যানে উঠালো হাসপাতালে নেয়ার জন্য। মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাবে। তখনো মেডিকেল কলেজ হয়নি। কখন আমরা কুমুদিনী হাসপাতাল বলেই চিনতাম। হাসপাতালে নিয়ে আসতে আসতে আসরের আযান দিয়ে দিলো। বেলাও পরে আসছে। জলদি করে ইমারজেন্সিতে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলো ফরহাদের বউকে। তিন তলার আট নাম্বার ওয়ার্ডে। এখানে ডাক্তার নার্স সবাই অনেক আন্তরিক। চিকিৎসার মানও ভালো। কিন্তু সমস্যা হলো ওয়ার্ডের কোন রোগীর সাথে কাউকেই রাতে থাকতে দেয়া হয় না। ফরহাদও তাই রাতে হাসপাতালে থাকতে পারবে না। চলে আসতে হবে বাড়িতে। কিন্তু বউটা যে ফরহাদের হাত ছাড়তেই চাইছিলো না। তবুও ফরহাদকে চলে আসতেই হলো।

বাড়িতে আসতে আসতে ফরহাদের একঘন্টা লেগে গেলো। রাত তখন আটটা বাজে। সিগারেটের আগুনে শেষটান টা দিয়েই ফরহাদ ঘরে আসলো। ছোট ছেলেটা ঘুমিয়ে পড়েছে। মেজো ছেলেকে লাইলি ভাত খাওয়াচ্ছিলো। এমনিতে লাইলি রাতের বেলা এ বাড়িতে থাকে না, তবে আজকে এমন অবস্থা আর তার মধ্যে মেজো ছেলেটা কিছুতেই লাইলিকে যেতে দিলো না বিধায় রাতে এ বাড়িতে থাকারই সিদ্ধান্ত নিলো।

বাড়িতে আসার সাথে সাথেই ছেলেটা দৌঁড়ে বাবার কোলে উঠে পড়লো। বড় মেয়ের বয়স আট কি নয় হবে। তাদের মা কেমন আছে জানতে চাইলো। "তোমাদের মা ভালো আছে, তোমরা চিন্তা করো না" বলে সান্ত্বনা দিলো সন্তানদেরকে। বললো কাল তোমাদেরকে মায়ের কাছে নিয়ে যাবো।

- "চাচিআম্মার কি হইলো? এহন কেমুন আছে?" লাইলি জিজ্ঞেস করলো।
সম্পর্কের দিক থেকে লাইলি আর ফরহাদ চাচা-ভাতিজি। ফরহাদের বউকে চাচিআম্মা বলে ডাকলেও ফরহাদকে চাচা বলে না লাইলি। ফরহাদই নিষেধ করেছে। চাচা বললে নাকি বৃদ্ধ বৃদ্ধ লাগে।
- জ্বি তোমার চাচিআম্মা ভালো আছেন। এখন রাখো তোমার চাচির খবর, এখন বলো তুমি কেমন আছো?
- "আমি ভালা আছি, নেন... কিছু খাইয়া লন, কত খাটাখাটনি গেল আপনার।" বলেই ভাতের থালাটা সামনে এগিয়ে ধরলো লাইলি।

ঘরে বাজার ছিলোনা, পালের মুরগির ডিম ছিলো আর পাগাড়ের পাড়ে কঁচুশাক শাকের খেত থেকে লতি এনেই রান্না করছে লাইলি। ডিম ভুনার পেয়াজে ভাত মাখিয়ে এক লোকমা মুখে দিয়েই প্রশংসায় ভাসিয়ে দিচ্ছিলো ফরহাদ।
-খুব তৃপ্তি করে খেলাম আজকে, কতদিন এমন রান্না খাইনি।
যদিও এ বাড়িতে কাজে আসার পর থেকেই লাইলিই রান্না করছে, তবুও এমন প্রশংসা এই প্রথম করছে। বউটা বাড়িতে ছিলো বলেই হয়তো প্রশংসা করতে পারেনি এতোদিন।
- আমি কি আইজ নতুন রান্ধি নিহি, পরতিই তো রানতাছি। আগে মজা লাগে নাই?
কিছুটা লাজুক লাজুক হাসি দিয়েই কথাগুলো বলছিলো লাইলি।
-তারপরেও, আজ বেশিই মজা লাগছে...।
কথাটা বলেই হা হা হা করে একটা হাসি দিলো ফরহাদ।

ফরহাদের মেয়েটে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আলাদা ঘরে ঘুমাতে চলে গেলো। মেজো ছেলেটাও এতোক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েছে। ফরহাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে না তার বউ অসুস্থ। প্রতিদিনের মতোই হাসি-তামাশা করে লাইলির সাথে কথা বলছে।

আজকে আমাবস্যার রাত না হলেও ঘুঁটঘুটে অন্ধকার, বাইরে দাঁড়ালে নিজের শরীর নিজেই দেখা যাচ্ছে না। আকাশে দু'-একটা তারা অবশ্য চোখে পড়ছে। প্রকৃতি কেমন যেন থম ধরে আছে। ঝিঁঝিপোকার ডাক ছাড়া আর কোন কিছুরই আওয়াজ সহজে কানে আসছে না। গ্রামে রাত ১০ টা বাজলেই যেন মাঝ রাত, সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ নেই-টিভি নেই কেনই বা অযথা বসে থাকবে! এমন অন্ধকার রাতেই যে ফরহাদের বউটার কপালও অন্ধকার হয়ে যাবে তাই বা কে জানতো?

চলবে,.....



মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৩৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: দারুণ সুন্দর গুছানো কথামালা গল্পের, ভিষণ ভালো লাগলো, মনে হলো ছুঁত করে পড়ে শেষ করে ফেললাম একটানে।

পরের গপ্পো শুনার আশায়

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৪১

হাবিব বলেছেন: ছুঁত করে ফেলে ছুঁত করে মন্তব্য করার জন্য ছুঁত করেই উত্তর দিলাম। গল্পটা কিন্তু মোটেই বানানো নয়। চরিত্রগুলোই সত্য। আমার চোখের দেখা ঘটনাই লিখছি নিজের মতো করে। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ নয়ন ভাই

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:০৩

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: শেষমেষ হাবিব স্যার গল্প লিখলেন তাইলে?
গল্পের প্লট সুন্দর তবে আমার মতো কিছু জায়গায় টাইপো আছে।
ব্যাপার না, গল্প ভাল হয়েছে এটাই প্রধান বিষয়।
পরের পর্বের আশায় রইলাম।++++

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫

হাবিব বলেছেন: কি আর করবো বলুন, নীল আকাশ ভাই বলেছিলেন লেখকের কোন সীমাবদ্ধতা থাকতে নেই, তাই এখন গল্প লেখার চেষ্টা করছি। ভুল-টুল ধরেন, নইলে শিখবো কিভাবে?

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ফরহাদ- লাইলির জীবনে নয়া প্রেম । জল কোন দিকে গড়াচ্ছে বোঝা যাচ্ছে। ঘটনা এগোতে থাকুক...
আপাতত পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

শুভকামনা ও ভালোবাসা হাবিব ভাইয়ের গোটা পরিবারবর্গকে।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৩

হাবিব বলেছেন:



জলের গতিবিধি খালি চোখে যা বুঝা যাচ্ছে তা কিন্তু হবে না.......
পরের পর্বের আশায় থাকলে হবে? সম্পাদনার কাজ কে করবে?

শুভকামনা ও ভালোবাসা গ্রহন করুন। আবার আপনার আগমন আশা করবো, সম্পাদনা সহ।

৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বেটারা এত লুইচ্চা হয় ক্যান আফসোস এদের জন্য .. এরা এই জিনিস ছাড়া যেনো কিছুই বুঝে না গর্দভ

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৫

হাবিব বলেছেন: লুইচ্চাদের জন্য আফসোস কেন আপু? আর সব ব্যাটারাই কি এমন নাকি? যারা এমন হয় গল্পটা তাদের নিয়েই....... সেখান থেকেই আমরা শিখি।

আপু মনে হয় পান্তা ভাত পছন্দ করেন না/////!!!!!

৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২৯

মা.হাসান বলেছেন: হাবিব সার, ফরহাদের বউয়ের অমন কপালের আঁধারই বা কি আর আলোই বা কি। জীবন এগিয়ে যায়। এটাই বাস্তব।
লেখা সুন্দর হয়েছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০৩

হাবিব বলেছেন: গল্পের শেষে এসে হয়তো দুজনেরই কপাল খুলবে, হয়তো একজনের কপাল গড়বে আরেকজনের ভাঙবে। তবে গল্পের শেষটাতেই যাবার আগে কোন ভবিষ্যৎবানীই করবো না, আপনাদের সাথে আমিও অপেক্ষায় রইলাম পরের পর্বের। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মা. হাসান ভাই, আপনার জীবন সুন্দর হোক।

৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৮

আরোগ্য বলেছেন: হাবিব স্যার ভালোই লিখছেন। কবিতার মতো গল্প ও জমে উঠেছে।
আশা করছি অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি রগরগে করে ব্যক্ত করবেন না।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০৭

হাবিব বলেছেন: কাওসার ভাই, নীল আকাশ ভাই, লতিফ ভাই, খলিল ভাইদের মতো বাগা বাগা গল্পকারের সামনে আমার লেখা কিছুই না। তবে কিছু ভুল-ভ্রান্তি ধরিয়ে দিলে আরো সুবিধা হতো লিখতে। সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করবো লেখার জন্য। পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ আরোগ্য। ভালো থাকবেন সবসময়।

৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:২৩

আরোগ্য বলেছেন: কাওসার ভাই. লতিফ ভাই খলিল ভাই নীল আকাশ ভাই একদিনে হয় নি। আপনি ও তাদের মতন হবেন। গল্প লেখায় আমি আনাড়ি তাই ভুল ধরার সাধ্য নেই তবে রগরগে লেখা পড়তে বিরক্ত লাগে।
আমার প্রিয় গল্পকার পদাতিক ভাইটি।
পরের পর্বের জন্য শুভকামনা রইলো।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯

হাবিব বলেছেন: ও রকম বর্ণনা আমারও ভালো লাগে না। গল্পের জাদুকরগণ সব কোথায়? কেউ কি আমাকে একটু পরামর্শ দিবেন না? পদাতিক ভাইও আজকাল ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শিখবো কোত্থেকে তাহলে?

৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৩১

বলেছেন: ৪ নাং মন্তব্যে মুখ চেপে হাসলাম -- দারুণ ডেলিভারি +++

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০

হাবিব বলেছেন: পোস্ট সম্পর্কে কিছু বলবেন না?

৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৩৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমাদের কবি ভাই গল্পের প্রতি মনোযোগ দিয়েছেন তাতো খুশির কথা। সুন্দর একটি পটভূমিতে গল্পটি দাঁড় করিয়েছেন। পড়তে ভাল লেগেছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩

হাবিব বলেছেন: ব্‌লগে সময় কাটাতে এসে কেমনে কেমনে যেন ক' লাইন লিখলাম আপনাদের উৎসাহেই। পোস্টের প্রশংসায় অনেক ধন্যবাদ। লেখার ক্ষেত্রে আপনাদের পরামর্শ চাই, কিভাবে আরো ভালো লিখতে পারি?

১০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


৪ নং মন্তব্যটা খুবই খারাপ মনোভাবের পরিচয়; বাংলা ভাষায় লুইচ্চা ইত্যাদি শব্দ শুনতে খুবই খারাপ লাগে।

গল্পে আপাতত কোন প্লট নেই, সাধারণ কাহিনী

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩৮

হাবিব বলেছেন: আপনার জানামতে, ব্লগের কার লেখা অনুসরন করলে ভালো গল্প লেখা যাবে মনে করেন?

১১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: চলুক----
দেখি সামনের পর্বে কি হয়।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩৯

হাবিব বলেছেন: ওকে ঠিক আছে, আমিও দেখবো কি হয় পরের পর্বে.......

১২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:২২

নীল আকাশ বলেছেন: কাজী ফাতেমা আপু, লুচ্চার কোনই জেন্ডার নেই। পাতে সর ঢেলে দিলে বিড়ালতো খাবেই! শুধু বিড়ালের দোষ দিলে হবে? ভুলে গেলেন নাকি, এক হাতে তালি বাজে না।

পরকীয়া নিয়ে গল্প লিখে তো দেখি সারা জায়গা গরম করে ফেললাম! সবাই তো দেখি একই রাস্তায় দৌড়াচ্ছে। যাক আমার চেস্টাটা কাজে লেগেছে। এর মাধ্যমে কিছুটা হলেও যদি সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি হয় তাও বা কম কিসের?

অনেক বানান ভুল হয়েছে। তবে একবার ভাল করে পড়লেই ঠিক করে ফেলতে পারবেন। আঞ্চলিক ভাষা লিখতে যেয়ে বেশ কিছু জায়গায় শুদ্ধ ভাষা অগোচরেই চলে এসেছে।

এই মন্তব্য পাঠক হিসেবে বললাম। আমাকে এখানে মন্তব্যে খুজছেন দেখলাম। সমালোচক হিসেবে আরেকটা মন্তব্য পাবেন তবে সময় লাগবে সেটাতে। আমি সমালোচক হিসেবে কিন্তু খুবই কাঠখোট্টা। পরে কিন্ত মন খারাপ করবেন না। আমি কোন কিছু বল্লে সব সময় সত্যটাই তুলে ধরি। ২টা পর্ব পড়ে একবারে দেব।

চমৎকার চেস্টা বলতেই হয়। লিখতে লিখতেই হাত খুলে যাবে বেশ! চলুক, আমি সাথেই আছি। আরও একটা পর্ব পড়ার পর আসল পরামর্শ দিয়ে মন্তব্য দেব।

ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪১

হাবিব বলেছেন:



জ্বি ভাই একদমই ঠিক বলেছেন, আপনার থেকেই প্রেরণা নিয়েছি।
ফাতেমাআপু বিষয়টা আশাকরি বুঝতে পারবে।
আপনার মূল্যবান মতামতের অপেক্ষায় থাকলাম। গল্প লেখা শিখেই ছাড়বো, ইনশাআল্লাহ

১৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:২৭

জাহিদ অনিক বলেছেন: বেশ! জীবন গল্পের মতই হয়-- আপনি জীবনের গল্প লিখছেন। আমি ভাবছি অন্যকিছু, দেখি ভাবনা চিন্তা কতদূর যায়।
সামনের পর্বের অপেক্ষা

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪২

হাবিব বলেছেন: মূল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদ কবিভাই, জীবন এগিয়ে চলুক

১৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লাইলি-মজনু, শিরি-ফরহাদ জুটির থেকে নতুন জুটির সৃষ্টি দেখা যাচ্ছে! লাইলি-ফরহাদ!!

ঘটনার পরিনতি তো অনুমান করা যাচ্ছে.....তবে লেখকের মনে কি আছে বোঝা মুশকিল। ঝরঝরে লেখা, সুপাঠ্য....আপাততঃ এটাই গুরুত্বপূর্ণ। সবে তো মাত্র শুরু.....দেখা যাক!

চলুক।।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪৫

হাবিব বলেছেন:



প্রেমের ব্যর্থ না হলে সে প্রেম ইতিহাসে অমর হয়ে থাকে না।
ইতিহাসের অংশ হয়ে থাক এই ঘটনাও।

পরিনতিটা কি হয় আমিও তা দেখবো আপনাদের সাথে। সাথে থাকবেন আশা করি সে অবধি।

১৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:১৭

অন্তরা রহমান বলেছেন: মাত্র গতকালই শীর্ষেন্দুর 'সাঁতারু ও জলকন্যা' পড়লাম। বেশ ভালো মিল আছে আপনার গল্পের সাথে, আবার নাইও। ভালো লাগলো পড়তে খুব। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪৬

হাবিব বলেছেন: অন্তরা আপু, আমার পোস্টে এটাই আপনার প্রথম মন্তব্য, শুভেচ্ছা জানবেন। আশাকরি পাশেই পাবো পরের পর্বগুলোতেও। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অনেক।

১৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: লেখা ভালোই লাগলো পড়তে, দেখি লেখক পাঠকদের কোন দিকে নিয়ে যান।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪৭

হাবিব বলেছেন: ধন্যবাদ তারেক ভাই সাথে থাকার জন্য। আমিও সেই অপেক্ষায়ই আছি।

১৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বাহ! সুন্দর লিখেছেন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪৮

হাবিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লিটন ভাই

১৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
কিয়া, কিয়া?
আপন কিয়া? পর কিয়া?
আহা কি ধাঁ ধাঁ জীবনে?

কে যে আপন কে যে পর খূঁজে পেয়েছে ক'জনে?
হা হা হা

চলুক গল্প!

+++

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪৯

হাবিব বলেছেন: হা হা হা...... জম্পেশ বলেছেন দাদা, আপনকে খুঁজে পাওয়া কি আসলেই কঠিন? মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।

১৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪১

নজসু বলেছেন:




চোখ বুলিয়ে গেলাম প্রিয় ভাই।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫০

হাবিব বলেছেন: শুধু চোখ বুলালেন? আশা করি ব্যস্ততার মাঝে পরিবার নিয়ে ভালোই আছেন।

২০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



গল্প পড়িনি। মন্তব্যগুলো দেখে গেলাম।

কেমন আছেন?

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২২

হাবিব বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি, আপনি কেমন আছেন? এটি একটি সত্য ঘটনা।

২১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:৩৩

নাসির ইয়ামান বলেছেন: ৪।কাজী ফাতেমা ছবির সাথে সহমত!

বাঙালী মরার সময়েও হুঁশ পায় না যে, সে মরতাছে!

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৫

হাবিব বলেছেন:




অনেকেই আগে-পরে কি হবে না ভেবেই কাজ করে। তারা মাথা মোটা টাইপের হয়।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নাসির ভাই।

২২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৫৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: স্যার,

সার্ভারগত সমস্যায় ব্লগে নিয়মিত আসতে পারিনি।

অাপনার পোষ্টগুলো অনেকটা মিস হল :((

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩

হাবিব বলেছেন: ফাহিম ভাই, তবুও যে ভালোবাসার পরশ রেখে গেলেন এটাই বা কম কিসে?

২৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪

নাসির ইয়ামান বলেছেন: হাবিব ভাই,শোনেন! ইনিয়ে বিনিয়ে ছিনিয়ে অনেক কিছুই লেখা যায়,যার জায়গা হয় ডাস্টবিনে!

এমন কিছু লিখুন,যা মানুষের অন্তরে গেঁথে যায়!
অমানুষের মন নানা উপায়েই জয় করা যায়।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:০১

হাবিব বলেছেন:




নাসির ভাই.... আপনার কথা একদমই ঠিক আছে। তবে আপনি কোন লেখার প্রক্ষিতে বললেন কথাটা বুঝতে পারলাম না! বর্তমান গল্প নিয়ে নাকি আগের কোন লেখা নিয়ে?

আর আমার অন্যান্য লেখা দেখতে পারেন সময় করে। আপনি আমাকে হিন্টস হিসেবে কারো নাম বলতে পারেন যার লেখা অনুসরণ করার মতো।

আশাকরি আপনাকে উত্তম শুভাক্ঙ্খী হিসেবে পাশে পাবো।

২৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪৮

নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো । বাস্তবের ছবিই ফুটিয়ে তুলেছেন ।
++++

শুভকামনা

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৩২

হাবিব বলেছেন: পরি আপু, আপনার সুন্দর মন্তব্য এবং প্লাস প্রদানের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.