নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলে যাব- তবু যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল।

হাবিব

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র।

হাবিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আঁধার রাতের গল্প: পর্ব-০৪

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৪



সেদিন খুব ভোরে প্রতিবেশী একজন মহিলা লাইলিদের বাড়িতে গিয়েছিলো খাবার দিতে। গিয়ে দেখে লাইলির বাবা কপালে হাত দিয়ে উঠানে বসে আছে। লাইলির মা বাঁশ দিয়ে বানানো চৌকির এক পাশে আরাম করে তখনো ঘুমোচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে তাদের বাড়িতে কিছুই হয়নি। এমন পরিস্থিতিতেও কি করে ঘুমোয় এভাবে! কথায় বলে না, "মায়েরা সাত জাত, মাছের মা হলে তো কথাই নেই!"

লাইলিকে বাড়িতে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। কোথায় গেছে তা প্রথমবার জিজ্ঞেস করে লাইলির বাবার কাছ থেকে কোন উত্তর পাওয়া গেলো না। দ্বিতীয় বার জিজ্ঞেসেও এমনভাবে উত্তর দিলো, শুনে মনে হলো কতদিনের না খাওয়া।
- "ওর মামুর বাড়ি গেছে।"
কথাটা বলতে যেন খুব কষ্ট হলো। গতকাল সকালবেলা সেই প্রতিবেশীর ঘর থেকে এক সের চাল এনেছিলো লাইলির মা। সেও লুকিয়ে। যদি আবার দেখে ফেলে লোকজন, তাহলে তো যাদের কাছ থেকে সাহায্য নিচ্ছে তাদেরও বিপদ হবে। কাপড়ের আঁচলের নিচে লুকিয়ে এনেছিলো।

প্রতিবেশী মহিলা একটু আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
- খান নাই কিছু?
- ক্যাইলক্যা বিহানে খাইছিলাম। এতো মাইনসের মধ্যে কয় নলা ভাগে পরে কও?

লাইলির বাবার শুকনো মুখের এমন কথা শুনে মহিলার মনে খুব মায়া জন্মালো। কিন্তু কয়দিনই বা এভাবে চলবে? বাড়ির কর্তাকে লুকিয়ে দুইবেলা খাবার দিয়েও ছিলো। শেষমেশ রাতে খাবার দিতে গিয়ে কর্তার কথা শুনে আর দিতে পারেনি।

লাইলির মামা বাড়ি বেশি দূরে নয়। মিনিট বিশেকের পায়ে হাঁটার রাস্তা। লাইলি তার মামার বাড়ি গেছে সপ্তাহ হয়ে এলো। এর মধ্যে লাইলির মামা লাইলিকে থানায়ও নিয়ে গেছিলো। ঘটনা বৃত্তান্ত শুনে লাইলির মামাকে আলাদা রুমে ঢাকলো থানার ওসি। কি যে বলছিলো তা এ রুম থেকে লাইলি স্পষ্ট বুঝতে পারলো না। পাশের রুম থেকে শুধু দু'জনের হাসার শব্দ ভেসে আসলো লাইলির কানে। এমনিতেই বাচ্চা হবার সময় হয়ে এলো, তার উপর হাতে পায়ে পানিও এসেছে ক'দিন ধরে। বসে থাকতে খুবই কষ্ট হচ্ছে লাইলির। তার সামনে এমন হাসির আওয়াজ কানে বিষের মতো বিঁধছিলো!

গ্রামে তখনো ডিশ লাইন যায়নি। উপরে অ্যান্টেনা লাগানো বিটিভিই ভরসা। টিভিতে একটা নাটক হচ্ছিলো তখন। সেই নাটকই দেখছিলো লাইলি। মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক নাটক। নাটকে দেখানো হচ্ছে একজন গর্ভবতী মায়ের কতটা যত্ন নেয়া প্রয়োজন, কতবার ডাক্তারের কাছে যাওয়া প্রয়োজন, কিভাবে শিশুর যত্ন নিতে হয়.... এইসব আর কি। লাইলির মনটা খুবই খারাপ হয়ে গেলো। কই, তাকে তো কেউ এমন যত্ন নিচ্ছে না। ডাক্তারের কাছে চেকআপ করার বদলে তাকে দৌঁড়াতে হচ্ছে থানার বারান্দায়! ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! না জানি এই ভুলের জন্য আরো কত খেসারত দিতে হবে.....। ভাবতে ভাবতে চোখটা ঝাপসা হয়ে এলো লাইলির।

ওর মামা বাড়িতে খাওয়া পড়ার কোন অভাব নেই। কিন্তু কখনো নিজের বোন-ভাগ্নিদের একটু খোঁজও নেয় না। বাড়িতে বিড়াল-কুকুর থাকলেও তাদের প্রতি একটা মায়া জন্মে। মামার মনে তেমন কোন দয়া কখনোই দ্যাখেনি লাইলি। হঠাৎ করে কেমন যেন বদলে গেছে ওর মামা, যেন একটু বেশিই খেয়াল রাখছে লাইলির দিকে। যদিও আগের মতোই বেখেয়াল লাইলির মামা তার নিজের বোন, মানে লাইলির মায়ের প্রতি!

লাইলির মামা পাড়ার মাতাব্বর ডেকে শালিসের আয়োজন করলো একদিন। গ্রামের মাতাব্বার টাইপের লোকজন সবাই উপস্থিত। ফরহাদও আছে শালিসে। ফরহাদের পক্ষ থেকেও এসেছে অনেকে। প্রথম দফায় ফরহাদকে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। ফরহাদ অকপটে সব স্বীকার করে নিলো। সে এও বললো, আমি লাইলিকে বিয়ে করতে চাই। লাইলিকে বলা হলো তার কোন কথা আছে কি না। সে শুধু "আমার মামা যা বলবে তাই" কথাটা বলেই থেমে গেলো। কিন্তু আপত্তি জানালো লাইলির মামা। সে স্রেফ জানিয়ে দিলো, "ঐ বাড়িতে নিজের ভাগ্নিকে কিছুতেই বিয়ে দিবো না। এর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আমাদের অনেক বড় ক্ষতি করেছে ফরহাদ। আমরা এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।"

পাশ থেকে লাইলির বাবা বলে উঠলো "আমি এই বিয়াতে রাজি!" কথাটা শুনে লাইলির মামার সে কি রাগ! মনে হচ্ছে তার বড় কোন ক্ষতি হয়ে গেলো। রাগে গড় গড় করতে করতে উঠে গেলো শালিস থেকে। যাওয়ার সময় বলে গেল, "মাইয়ারে আর আমার বাড়ি পাঠাইয়ো না। আমার উপর মাতাব্বরি করলা, তোমরাই বুঝো বাকিটা। আমি নাই এর মধ্যে।"

চলবে......

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আবার ব্যবসা শুরু হয়া গেলো
স্বার্থপর মানব জাতি

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৬

হাবিব বলেছেন: কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ! একজনের ঘরে আগুন লাগছে অন্যজন তাতে আলু পুড়ে খেতে চাচ্ছে, এই আর কি। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ফাতেমা আপু।

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৮

করুণাধারা বলেছেন: জীবনের ছবি খুব সুন্দর ভাবে আঁকছেন হাবিব স্যার। এতদিন গল্প তৃতীয় পুরুষে ছিল, এখন আবার প্রথম পুরুষের প্রবেশ ঘটলো (যখন আমার মা উল্লেখ করলেন)। উৎকন্ঠিত অপেক্ষায় রইলাম পরের পর্বের জন্য।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০

হাবিব বলেছেন: প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ করুনা আপু। গল্প ঘটনা যে আমার চোখের সামনেই ঘটছিলো। প্রথম পুরুষে যে আসতেই হলো। আপনার অপেক্ষার প্রহর দ্রুতই শেষ হবে আশাকরি। সাথে থাকবেন সে অবধি।

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মানুষ কেন খারাপ প‌থে যা‌বে? পো‌স্টে *

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫১

হাবিব বলেছেন: কোন কোন মানুষ ওতেই যে শান্তি পায়! পোস্টে প্লাস নাকি স্টার দিলেন সাজ্জাদ ভাই?

৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯

বলেছেন: পড়লাম - আবারো আসবো

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২

হাবিব বলেছেন: আবার আসার অপেক্ষায় রইলাম। সংশোধনসহ আসবেন আশাকরি।

৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০২

আরোগ্য বলেছেন: করুণাধারা আপুর মত আমিও প্রথম পুরুষের কথাটা বলতে চেয়েছিলাম। প্রতিউত্তরে বুঝতে পারলাম ।

মামাতো নিজেই এক লাখ টাকার কথা বললো, বাবা সায় দেয়াতে রাগ করলো কেন বুঝতে পারলাম না ।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। চলুক...

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৩

হাবিব বলেছেন:




আসলে লাইলির মামা চাচ্ছিলো বিয়ে না দিয়ে টাকা নিতে। কিন্তু যদি বিয়েই হয়ে যায় তাহলে তো আর টাকা পাবে না। লাইলির বাবা বিয়েতে মত দেয়ার ফলেই রাগ করেছিলো লাইলির মামা।

ঠিক করে দিয়েছি। এখন শেষের প‌্যারাটা পড়ে দেখেন। পাঠ শেষে দ্রুত মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আরোগ্য।

৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিবভাই,

গল্প গল্পের মতোই বেশ এগোচ্ছে।আর্লি প্রেগনেন্সি ও সন্তানসম্ভবার মধ্যে একটা সময়ের ব্যবধানের সঙ্গে হবু মায়ের আচরণগত বৈশিষ্ট্য প্রকট । গল্পে বড্ড বেশি তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে বিষয়টি একাকার হয়ে গেছে। তবে সন্তানসম্ভবা লাইলীকে নিয়ে মামার 'শকুনি মামার' চিত্রটি বেশ লাগলো।
গল্পে পুরুষ ধরে রাখাটা বিরাট ফ্যাক্টর। এই অংশটি আপনাকে এডিট করে ঠিক করতেই হবে। অন্যথায় গল্পটির কাঠামো দুর্বল হতে বাধ্য। বেশ কিছু টাইপো চোখে পড়ল। যেটা আপনার পোস্টের সঙ্গে বড্ড বেমানান।

শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় হাবিব ভাইয়ের গোটা পরিবারবর্গকে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১৭

হাবিব বলেছেন: প্রিয় পদাতিক ভাইয়া, গল্পের তাহাহুড়ো করার বিষয়টি আমি অস্বীকার করবো না। মাঝখান থেকে মামার চরিত্রটি বেশ লাগলো বলেই রক্ষে। নইলে তো গল্পের কিছুই থাকতো না। আপনি আমাকে যে কথা বলতে চেয়েছিলেন তা আবার বইলেন। মনে হচ্ছে ভালোভাবেই প্রশিক্ষণ নিতে হবে। পুরুষ সমস্যা ঠিক করা হলো। মতামত প্রদানের জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা। শুভকামনা আপনার ও আপনার পরিবারের জন্যেও।

৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্প তো ভালোই এগুচ্ছিলো, কিন্তু এই পর্বে সমস্যা করে ফেলেছেন।

১. গল্প শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এক পুরুষেই হতে হবে। প্রথম না তৃতীয় সেটা আগেই ঠিক করে নেয়া উচিত ছিল। গল্পের মাঝে এটা বদলানো আইনতঃ দন্ডনীয় অপরাধ :)! মজা করলাম, তবে এটা একেবারেই ঠিক না। গল্পের পেস নষ্ট হয়ে যায়!
২. প্রথম থেকে তৃতীয় পর্ব পর্যন্ত যে ছবি ফরহাদের বাড়ীর দিয়েছেন, তাতে ওর মা ফিট করে না। হঠাৎ করে মা'কে আনলেন। মা থাকলে কিন্তু ফরহাদ এভাবে লাইলীর সাথে থাকতে পারতো না। তাছাড়া ঘরের বউ না থাকলে নাতী-নাতনীর সাথে ওর মায়েরই ঘুমানোর কথা। আরও ব্যাখ্যা আছে.....বড় হয়ে যাচ্ছে, তাই বললাম না। সবমিলিয়ে দৃশ্যপটে মায়ের এই এন্ট্রি একেবারেই যাচ্ছে না।

এতো কথা বল্লাম, আবার কিছু মনে কইরেন না। আপনার ব্যাখ্যার অপেক্ষায় আছি। :)

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২২

হাবিব বলেছেন:




পুরুষ সমস্যা ঠিক করে দিলাম। ফরহাদের মা নয়, লাইলির মা। আসলে লাইলির মা সব জানতো। মাঝে মাঝে এটা সেটা পাওয়ার লোভে লাইলিকে ফরহাদের বাড়িতে যেতে বাঁধা দেয়নি। এখানেও সে নিশ্চিন্তে ঘুমুচ্ছে।

কি যে বলেন, আপনাদের মতো শুভাকাঙ্খী আমার সবসময় কাম্য। এই পর্বে আপনি, পদাতিক চৌধুরী ... যে পরামর্শ দিলেন তা অনেক কাজে দিবে। আপনাদের এমন আন্তরিকতা আগামী দিনেও পাবো আশা করি।

আরো কিছু বলার থাকলে অবশ্যই বলবেন। আমি সেই অপেক্ষায়ই রইলাম।

৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভায়া, তাড়াহুরোর কিছূ নেই। ধীরে ধীরে গল্পের ভঙ্গিতেই টানে নিয়ে যান।
আমরা আছি পাশে :)

শকুনি মামাকে আরেকটু খোলাসা করবেন কি? সামনে না এই পর্বেই বিদায়?
পদাতিক দা ভুয়া মফিজ ভায়ার সাথে সহমত।

চলুক গল্প
+++++

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩১

হাবিব বলেছেন:




ওকে ভায়া, আপনার কথা একদমই ঠিকআছে।

শকুনি মামা লাইলির আপন মামা। নিজের বোনের দিকে কখনোই নজর ছিলো না তার। এমন বিপদের দিনে মামা পাশে থাকবে এটা ভাবাই যায় না। অথচ সেই মামাই বেশি খোঁজ রাখছিলো লাইলির। মামার কাহিনী এখানেই শেষ নয়। সামনের পর্বে আসবে। টাকার লোভ কি এতো সহজে থামে? তবে আর বেশি আগাবো না। ভাবছি আর এক পর্বেই শেষ দেবো ।

বড় গল্প আর ধরবো না। প্রথমে ছোট গল্পের দিকে যাওয়া উচিত ছিলো। শুভাকাঙ্খী হয়ে সেই দিনগুলোতেও পাশে থাকবেন আশা করি। ভালো থাকবেন পরিজনদের সাথে।

৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: হাবিব স্যার, বিচলিত হবেন না। গল্পের ধারাক্রম ঠিক রেখে এগিয়ে যান। পাঠক আমরা যাই কোথায় একবার যখন পড়া শুরু করেছি সাথেই আছি। মনে রাখবেন আপনি গ্রাম বাংলার একটি চিত্র ফোটাতে চাচ্ছেন। খেয়াল রাখতে হবে গ্রামের জীবন ব্যাবস্থা ও সময় কাল। ভালো থাকবেন সেই কামনা অবিরত।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫০

হাবিব বলেছেন:




সুজন ভাই, আপনার সান্ত্বনার বাণী আমাকে নতুন করে লেখার শক্তি জোগাবে।
সাথে আছেন বলেই তো লেখছি।

আপনার জন্যও আরোগ্য থাকার প্রার্থনা করছি।

১০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: বাশের চৌকি মানে? বাশ দিয়ে চৌকি বানানো যায়? আমি দেখেছি বাশ দিয়ে গ্রাম দেশে চায়ের দোকানে বা পুকুর পাড়ে বসার জন্য বেঞ্চ বানায়। চৌকিও যে বানায় জানতাম না।


লেখা বেশ ভালো এগিয়ে যাচ্ছে। ভেরি গুড।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫২

হাবিব বলেছেন:




বাঁশের চৌকির উপর থাকে খরের বিছানা। তার উপর খেজুর পাতার পাটি। গ্রামের অনেক ঘরেই ছিলো।
এখন অবশ্য খুঁজে পাওয়া যায় না।

সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ রাজিব ভাই। ভালো থাকবেন পরিজনদের নিয়ে।

১১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১২

নীল আকাশ বলেছেন: হাবিব ভাই,
২,৫,৬,৭ মন্তব্য এটাই প্রমান করে আপনি গল্পটা প্রয়োজনের চেয়েও বড় করে ফেলছেন। অতিরিক্ত লেখা হলেই তখন পুরুষ, স্থান, কাল ইত্যাদি বিভিন্ন ভুল হতে শুরু করবে। কিছু কিছু জায়গা আমার কাছে হুট করে চলে এসেছে মনে হলো। আপনি হুট করেই প্রেগন্যান্সির লাস্ট স্টেজে নিয়ে এসেছেন। এই জন্যই প্যারা করে এক দুই তিন হেডিং দিয়ে লেখা উচিৎ। তাহলে আপনি এই প্যারার শুরুতেই আপনি বলে দিতে পারতেনঃ পাঁচ বা ছয় মাস পরের কথা..., ব্যাস, কেস ফিনিস!!

সালিসের ব্যাপার স্যাপার আপনি অনেক পরের দিকে নিয়ে এসেছেন। এটা প্রেগন্যান্সির ৫ বা ৬ মাসের দিকে আনলে বেশি বাস্তব হতো বলে আমার ধারনা। কেবল যখনই মেয়েদের দেখলেই বুঝা যায়। গ্রামগঞ্জ ৮ বা ৯ মাস পর্যন্ত দেরি করে বলে মনে হয় না!! এইসব ঘটনা সারা জায়গায় হুলস্থুল ফেলে দেয়ার কথা!!

লাইলির মামা চরিত্রটা আরও বেশি করে ফুটিয়ে তোলা দরকার ছিল। কোন চরিত্র ভবিষ্যতে আসবে মাথায় থাকলে আগেই তাকে হালকা করে পাঠকের সাথে পরিচিত করে রাখবেন। যেমনঃ আমার লাস্ট নাবিলার গল্পে রূপমকে আমি নিয়ে এসেছি, কারন পরের কিছু পর্বের ওকে এ্যাকশনে দেখতে পাবেন। এই বুদ্ধিটা কখনই ভুলবেন না। বড়ই কাজের বুদ্ধি এটা।

লাস্ট কথাঃ আগামি ১বা ২ পর্বের মধ্যেই এটা শেষ করে দিবেন। মনে রাখবেন লেবু বেশি কষলে শেষমেষ তিতাই হয়ে যায়!!

খুবই ক্লান্ত। শুধুই আপনার সাথে সম্পর্কের খাতিরে এসে ঘুরে বলে গেলাম।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১৩

হাবিব বলেছেন: নীলআকাশ ভাই, এই গল্পটা শুরু করে অনেক কিছুই শিখা হলো। জানিনা কতটুকু প্রয়োগ করতে পারবো। তবে সাধ্যমতো চেষ্টা করবো আপনাদের পরামর্শ মেনে চলতে। শত ব্যস্ততার মাঝেও আমাকে সময় দিয়েছেন, সুন্দর পরামর্শ দিয়ে কৃজ্ঞতার বন্ধনে জড়িয়ে নিলেন। আপনার সুস্থতা কামনা করছি।

১২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৪৭

বলেছেন: জুম্মা মোবারক ইয়া হাবিবি,

আবারো আসলাম কিন্তু এসে দেখি দুজন লিজেন্ড আপনাকে যে মমত্ব দিয়ে মন্তব্য করেছেন তাতে আমারও তো অনেক কিছু জানা।

পদাতিক দাদা ও মফিজ ভায়াকে ধন্যবাদ দিতে হয়।

যা হোক - একসের চাল এনেছিলেন তাও লুকিয়ে এরপর আবার বললেন কাপড়ের আঁচলের নিচে লুকিয়ে - রিপিটেড বাক্য মনে হলো। এক লাইনে লিখলে কি দোষ হতো।
সাথে আছি

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১৫

হাবিব বলেছেন: লতিফ ভাইয়া, সব লিজেন্ডের মাঝে আপনিও কম নন। আপনার থেকেও অনেক কিছু শেখা হলো। সমস্যা হলো ঠিকমতো প্রয়োগ করতে পারি না। দোয়া রাখবেন। আপনার জন্যও সুস্থতার দোয়া করছি। সাথে থাকবেন সবসময়ের জন্য আশা করি।

১৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:৫৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সময় পেলে প্রথম থেকে পড়বো। শুভ সকাল, কেমন আছেন স্যার?

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১৭

হাবিব বলেছেন: সাদা মনের মানুষ, আপনার দেখা পেলাম অনেকদিন পর। আমি ভালো আছি আল্লাহর রহমতে। আশা করি আপনিও কুশলেই আছেন।

১৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:০৪

নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো এগোচ্ছে গল্প ।স্বার্থপর সমাজটাকে ভালো তুলে ধরেছেন ।

++
শুভকামনা

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১৮

হাবিব বলেছেন: সমাজের অসঙ্গতির কিছুটা তুলে ধরার চেষ্টা ছিলো। জানিনা কতটুকু পেরেছি। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ নীলপরি।

১৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩

অন্তরা রহমান বলেছেন: কাহিনীর গতি ভাল, মোচড় গুলোও চমৎকার। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১৯

হাবিব বলেছেন: অন্তরা আপু, আপনার মন্তব্য সবসময়ের জন্য প্রেরণার। আশা করি ভালো আছেন।

১৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



আঁধার রাতের গল্প পড়ে দেখতে হবে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২০

হাবিব বলেছেন: সময় করে পড়ে নিবেন। আপনার অনুভূতি জানার অপেক্ষায় রইলাম।

১৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬

মুক্তা নীল বলেছেন:
কষ্টের বহিঃপ্রকাশ করছি অন্তর থেকে ফরহাদের স্ত্রী'র জন্য।
যেহেতু সত্যি ঘটনা। উনার সম্পর্কে জানার আগ্রহ রইলো।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২১

হাবিব বলেছেন: সবার কষ্ট দূর হোক এই কামনা করি। সময় মানুষকে কোথায় নিয়ে যায় কেউ জানেনা। ভালো থাকুক গল্পের মানুষগুলো। শুধরে যাক মানুষের কাতারে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ মুক্তা!

১৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:৪৬

মা.হাসান বলেছেন: লেখায় মুগ্ধতা । অনেকদিন আগের কথা কিন্তু অনেক ছোটখাট বিষয়ও তুলে ধরেছেন, বোঝা যায় বিষয়টা আপনার কিশোর মনে বড় ধাক্কা দিয়েছিল।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৩৫

হাবিব বলেছেন: মা. হাসান ভাই, আপনার উচ্ছ্বসিত প্রসংশা আমাকে লেখাটা জুড়ে প্রেরণা জুগিয়েছে। আসলেই সে সময়টাতে আমাকে এই ঘটনা খুবই নাড়া দিয়েছিলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.