নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সর্বশ্রান্ত বড় ক্লান্ত

আমি বিধাতারই রঙ এ আকা এক অস্পষ্ট ছবি আমি তারই কবিতায় অনুপ্রেরিত বিদ্রোহী এক কবি

সর্বশ্রান্ত পথিক

দুইয়ে দুইয়ান্বিত স্বাভাবিক মানুষ

সর্বশ্রান্ত পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বকাপ ফুটবল, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এবং বিবিধ

৩০ শে মে, ২০১৪ ভোর ৪:১৭

সেই অতি প্রাচীন যুগ থেকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলাধুলার মধ্যে ফুটবল অন্যতম । ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপ । বর্তমান বিশ্বের ফুটবলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পরাশক্তি এবং সাবেক পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ ফুটবলের বিশতম আসর । মাত্র দিন কয়েক বাকি । বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা তাই স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের মধ্যে উন্মাদনা প্রচুর । বিশ্বকাপ শুরুর মাসখানেক আগ থেকেই শুরু হতে থাকে এ উন্মাদনা । চায়ের কাপে , আড্ডায় সবখানে এক টপিক- বিশ্বকাপ ফুটবল । বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশীরাও মেতে ওঠে বিশ্বকাপ উত্তেজনায় । বাংলাদেশের খুব কম সংখ্যক মানুষ মাঠে গিয়ে ফুটবল বিশ্বকাপ উপভোগ করার সামর্থ্য রাখে । এ কারণে টিভিই হয় বিশ্বকাপ উপভোগের প্রধান ভরসা । বাংলাদেশে যারা ফুটবল ভক্ত তাদের সিংহভাগ ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনার ভক্ত-সমর্থক । অন্যান্য দেশের হাতেগোনা সল্পসংখ্যক ভক্ত আছে । বিশ্বকাপ শুরু হতে হতে পুরো দেশ ছেয়ে যায় ব্রাজিল- আর্জেন্টিনার পতাকায় । উন্মাদনা থাকবে স্বাভাবিক তাই বলে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পতাকার অবমাননা করে উন্মাদনা????????? নিজ দেশের পতাকার চেয়ে অন্য দেশের পতাকার বৃহদাকৃতি কিংবা নিজ দেশের পতাকার উপরে অন্য দেশের পতাকা আকাশচুম্বী উচ্চতায় উড়ানো কি জাতীয় পতাকার অবমাননা নয়?? :(



আসুন জেনে নিই জাতীয় পতাকার ব্যাবহারবিধিঃ-

জাতীয় পতাকার আকার, মর্যাদা, ব্যাবহারবিধি সহ নানা বিষয় “পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ ফ্ল্যাগ রুলস, ১৯৭২”(সংশোধিত-২০১০)-এ বর্ণিত আছে ।

অনলাইন থেকে সংক্ষেপে -

“জাতীয় পতাকার আয়তনঃ

গাড় সবুজ রঙের আয়তাকার ক্ষেত্রের মধ্যে লাল রঙের ভরাট বৃত্ত সম্বলিত আমাদের জাতীয় পতাকার স্বাভাবিক দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত হবে- ১০:৬ । ভবনে ব্যবহারের জন্য পতাকার আয়তন হবে ১০’*৬’ বা ৫’*৩’ বা ২’*১’। ভবন ব্যতীত গাড়ীতে ব্যাবহারের জন্য পতাকার আয়তন হবে ১৫’’*৯’’(বড় গাড়ীর জন্য) বা ১০’’*৬’’(মাঝারি বা ছোট গাড়ীর জন্য)। এছাড়া আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স বা দ্বি-পক্ষীয় আলোচনার জন্য টেবিল পতাকার আয়তন হবে ১০’’*৬’’।



কোন কোন ভবন সমূহে এবং কোন কোন দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হবে?

সাধারণ নিয়ম হচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ সরকারী ভবন ও অফিস সমূহ যেমন- রাষ্ট্রপতির বাসভবন, সংসদ ভবন, হাইকোর্ট ও জেলা ও দায়রা জজ আদালত সমূহ, সচিবালয়, কেন্দ্রীয় ও জেলা কারাগার সমূহ, পুলিশ স্টেশন সমূহ প্রভৃতি স্থানে প্রত্যেক কার্য দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হবে। এছাড়া, বিশেষ দিবস সমূহ যেমন- মহানবী (সঃ) এর জন্ম দিবস, ২৬-শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ১৬-ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস সহ সরকারী প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত অন্যান্য দিবস সমূহে বাংলাদেশের সর্বত্র সরকারী- বেসরকারি ভবন সমূহ ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন সমূহের অফিসগুলোতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলিত থাকবে।



কোন কোন ব্যক্তিবর্গ তাঁদের মোটর গাড়ী ও জলযানে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ উত্তোলনের অধিকারী হবেন?

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রীবর্গ ও সম স্টাটাসের ব্যক্তিবর্গ, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা প্রমূখ ব্যক্তিবর্গ উক্ত মোটর গাড়ী ও জলযানে শুধুমাত্র তাঁদের ভ্রমণ কালীন সময়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অধিকারী হবেন। উল্লেখ্য, ‘৭২ সালের ফ্ল্যাগ রূলসের মাধ্যমে কোন সংসদ সদস্য বা সিটি মেয়রদের তাদের গাড়ীতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অধিকার প্রদান করে নি।



জাতীয় পতাকার সম্মান রক্ষার্থে পতাকা বিধি প্রদত্ত নির্দেশাবলীঃ



•সর্বদা জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান ও মর্যাদা প্রদর্শণ করতে হবে;

•পতাকা দ্বারা মোটর গাড়ি, রেলগাড়ী, নৌকা বা অন্য কোন যান বাহনের সামনের ভাগ, পিছনের ভাগ বা পার্শ্ব ভাগ আচ্ছাদিত করা যাবে না;

•যেক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের পতাকার সাথে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয় সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পতাকার জন্য স্থান(place of honour) সংরক্ষিত থাকবে;

•যেক্ষেত্রে দুটি পতাকা অথবা রঙিন পতাকা উত্তোলিত হয় সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পতাকা ভবনের ডান দিকে উত্তোলিত হবে;

•বাংলাদেশের পতাকার উপরে অন্য কোন দেশের পতাকা বা অন্য কোন রঙিন পতাকা উত্তোলন করা যাবে না;

*বাংলাদেশের পতাকা শোভাযাত্রার মধ্যভাগে বহন করতে হবে অথবা সৈন্যদলের অগ্রগমন পথে ( Line of March) শোভাযাত্রার ডান দিকে বহন করতে হবে;

•যেক্ষেত্রে অন্য দেশের পতাকার সাথে বাংলাদেশের পতাকা একত্রে উত্তোলন করা হয় সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পতাকা প্রথমে উত্তোলিত হবে এবং নামাবার সময় সর্বশেষে নামাতে হবে;

•যেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পতাকা অর্ধনমিত থাকে, সেক্ষেত্রে প্রথমে পতাকাটি সম্পূর্ণরুপে উত্তোলন করে অর্ধনমিত রাখা হবে এবং পতাকা নামানোর সময় পুনরায় পতাকাটি চূড়া পর্যন্ত উঠিয়ে তারপর নামাতে হবে;

*কবরস্থানে জাতীয় পতাকা নিচু করা যাবে না বা ভূমি স্পর্শ করানো যাবে না; পতাকা কখনোই মেঝেতে, ভূমিতে, পানিতে বা সমতলে স্পর্শ করানো যাবে না;

•জাতীয় পতাকা কোন কিছুর আচ্ছাদন হিসাবে ব্যাবহার করা যাবে না তবে কোন ব্যক্তিকে যদি পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় সমাহিত করা হয় তাহলে তার কফিনে জাতীয় পতাকা দ্বারা আচ্ছাদন করা যেতে পারে;

•পতাকা এমন ভাবে ব্যাবহার করা যাবে না যাতে পতাকা ছিড়ে যায় বা অন্য কোন ভাবে ময়লা বা নষ্ট হয়; এছাড়া সরকারী অনুমোদন ছাড়া ব্যাবসায়িক উদ্দেশ্যে পতাকা কোন ট্রেড মার্ক,ডিজাইন, শিরোনাম বা অন্য কোন প্যাটেন্ট হিসাবে ব্যাবহার করা যাবে না;

•পতাকা দ্রুততার সাথে উত্তোলন করতে হবে এবং অত্যন্ত সস্মমানে নামতে হবে।



এছাড়া জাতীয় পতাকা ব্যাবহারের সাধারণ নিয়মের মধ্যে রয়েছে যে, গাড়ী, জলযান বা ঊড়োজাহাজ ব্যাতীত অন্য স্থানে পতাকা শুধুমাত্র সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উত্তোলিত থাকবে।তবে বিশেষ কারণে যেমন- সংসদের অধিবেশন চলাকালীন বা শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান চলাকালীন রাতের বেলায়ও জাতীয় পতাকা উত্তোলিত থাকতে পারে। এছাড়া, পতাকার উপর কোন কিছু লেখা, লিপিবদ্ধ করা বা ছাপানো যাবে না। এবং গাড়ীতে পতাকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে গাড়ির চেসিস বা রেডিয়েটর ক্যাপের ক্লাম্পের সাথে পতাকার দন্ড দৃঢ়ভাবে আটকাতে হবে।



কোন বেসরকারি ব্যক্তি কি আইন নির্দেশিত দিবস ভিন্ন অন্য দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারেন বা উত্তোলনের নির্দেশ দিতে পারেন?

ফ্ল্যাগ রুলস’এর ৪ ও ৭ বিধি লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, কিছু নিয়ম ও সুনিদিষ্ট দিবস ছাড়া বেসরকারি জনসাধারণ কর্তৃক জাতীয় পতাকার যত্রতত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও জাতীয় পতাকার অবাধ ব্যবহারের উপর সীমাবদ্ধতা আরোপিত আছে; এই সীমাবদ্ধতা অারোপ করা হয়েছে শুধুমাত্র জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষার জন্য।”

পুরোটা- জাতীয় পতাকা ব্যাবহারবিধি (১৯৭২)

জাতীয় পতাকা ব্যবহারের এসব বিধি ভঙ্গ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং কেউ ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।



সকলের কাছে একটাই প্রত্যাশা- অন্যদেশের প্রতি ভালবাসা থেকে সে দেশের পতাকা উড়াবেন ভাল তবে অবশ্যই নিজ দেশের পতাকা অবমাননা না করে । আমাদের প্রজন্ম অনেক সচেতন এখন । নিজের অস্তিত্ব নিয়েও সচেতন থাকা দেশের দাবী ।

আসুন জাতীয় পতাকার মর্যাদা নিশ্চিত করি ।

রক্তের দামে কেনা পতাকা, কারো দানে পাওয়া নয় ।

নিজে সচেতন হই, অন্যকে সচেতন করি ।


Dopositive



মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০১

অবিবাহিত ছেলে বলেছেন: গাড়ি ঘোড়াকে টানছে.... পতাকা নিয়ে আমি একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম আর দেখলাম সবাই গড্ডলিকা প্রবাহে ঘা ভাসাচ্ছে... সুযোগ থাকলে পরে আসবেন মন্তব্যসহ
আবার শুরূ হচ্ছে ভিন দেশী পতাকা নিয়ে মাতামাতি X( X( X((

পোষ্ট পড়ে ভালো লাগলো.. +++

৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৪৬

সর্বশ্রান্ত পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ :)
গড্ডালিকা প্রবাহের জবাবটা অন্য সময় দিবো :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.