![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইউরোপের সবচাইতে উঁচু জায়গাটার নাম জুংফ্রাওশ বা টপ অফ ইউরোপ। আমার আবাসস্হল লুজান থেকে বেশ দুর। কিন্তু ওটা না দেখলে তো ইউরোপ ট্যুরই অসম্পুর্ণ, সুতরাং দেখতেই হবে। আরি ওটা না দেখলে তো সুইজারল্যান্ড ভ্রমনটাই অপুর্ণ থাকে!
ভাগ্নে সুজন যাবেনা কারণ সে বহুবার গেছে আর তার কাজও আছে। সুতরাং ঠিক হল তার দুজন বন্ধুকে নিয়েই যাব জুংফ্রাওশ বা টপ অফ ইউরোপ, আলপসের সবচাইতে উঁচু শৃঙ্গ। সকাল পাঁচটায় ভাগ্নেবৌ সিনথীয়া নাস্তা খাইয়ে দিল। হেঁটেই চলে গেলুম লুজান গাখ (Lausanne Gare) বা লুজান রেল স্টেশনে, কাছেই। অত সকালে সুইজারল্যান্ডে বাস চলেনা। যথারীতি ট্রেন সময়মতই এলো। আমরা সেই কার্তে জুখনী কেটে নিয়েছিলুম যাতে পুরো একদিনের ভ্রমনটা কভার করে। ঘন্টা তিনেক পর এক স্টেশনে নামলুম। সেখানে ট্রেন পাল্টে পাহাড়ে চড়ার বিশেষ ট্রেনে উঠলুম। ছবি দেখুন :
ট্রেনটা আকারে ছোট, গোটা তিনেক কম্পার্টমেন্ট, বিদ্যুতে চলে। এই ট্রেনটাতে চড়ার জন্য আলাদা টিকিট কাটতে হয়, ম্যালা দাম। আমাদের অবশ্য আর টিকিট কাটতে হয় নি। ট্রেনটার ইন্জীনের নীচে গিয়ারের দাঁত রয়েছে যা রেল লাইনের মাঝখানে অবস্হিত মাটির সঙ্গে যুক্ত গিয়ারের সাথে আটকে থেকে ট্রেনটাকে পিছলে যেতে না দেয়। কারণ ট্রেনটাকে কোন কোন জায়গাতে প্রায় ৩০ ডিগ্রী খাড়া উঠতে হয়, তার উপর বরফ তাকে প্রায়ই, সুতরায় পিছলে যেতে পারে যে কোন সময়। সেটা থেকে বাঁচার জন্যই মাটিতে আর ট্রেনে গিয়ার। ছবিতে খেয়াল করুন লাইনের গিয়ারগুলো।
অদ্ভুত তথ্য হচ্ছে এই ট্রেনলাইনটা বানানো হয় আজ থেকে একশ বছরেরও বেশি আগে ১৯১২ সালের দিকে! কল্পনা করুন তখনকার প্রকৌশল বিদ্যা ছিল একেবারে প্রাথমিক যুগের, ক্রেন ছিলনা, মাটি খোড়ার যন্ত্র বলতে হাতের কোদাল বেলচা হাতুড়ি।
আমরা প্রায় ঘন্টাখানেক খাড়া পাহাড়ের উপর চড়লুম, অবশ্যই ট্রেনে করে। অবশেষে পৌছলুম জুংফ্রাওশ নামক স্হানে যেটা সাগরপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৩০০০ ফুট উঁচু!
ট্রেনটা থেমেছিল একটা গুহাতে সেখানে নেমেই পড়লুম ঠান্ডায়। প্রায় -৭ ডিগ্রী। গুহাটার ভেতরে অনেক দেখার জিনিস। সেই শত বর্ষ পুরোনো বেলচা কোদাল রাখা ছিল যা দিয়ে এই রেলপথ তখন বানানো হয়েছিল। ছিল তখনকার সেই শ্রমিকদের ছবি যারা এই অপুর্ব সুড়ঙ্গ বানিয়েছিল পরবর্তি প্রজন্মের মানুষের জন্য, আমাদের জন্য! ভেতরে লিফট আছে আছে চমৎকার রেস্তোরা আর তাতে রয়েছে চমৎকার সব খাবার।
জায়গায় জায়গায় বরফের রাস্তা, বরফ দিয়ে মুর্তি বানানো আছে। গুহা পেরিয়ে বাইরে বেরিয়েই দেখলুম খোলা আকাশ আর সাদা বরফ। অপুর্ব সেই দৃশ্য। সেখানে লোকেরা হাঁটছে স্কীইং করছে বা রোপওয়ে দিয়ে চড়ে অনেকদুর গিয়ে লাফিয়ে নামছে। এর কোনটাই করার বয়স বা শক্তি আমার নেই তাই শুধু দেখলুম আর উপভোগ করলুম। বরফের রাজ্যে দুনিয়া আনন্দময়, অবশ্য বঙ্গসন্তান আমরা তিনজনই।
যদিও টেম্পারেচার গেজ বলছে তাপমাত্রা মাইনাস ৬- ৭ ডিগ্রী কিন্তু বেশ কিছু পুরুষ মানুষ দিব্যি হাতা কাটা টি শার্ট পড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে! আমার অবশ্য বাসা থেকে আনা মোটা কোট গায়ে ছিল, বেশ আরামই লাগছিল।
স্কী করতে বা রোপওয়েতে চড়ে কয়েকশ গজ গিয়ে লাফ দিয়ে নামা প্রতিটাই টিকিট কাটতে হয়। প্রত্যকটা টিকিটের দাম ৪০ থেকে ৫০ ফ্রাংক!
এখানে পর্যটকরা সবাই সাধারণত খুব বড়লোক হয় একটা টিকিট পাঁচ হাজার ফ্রাংক হলেও এদের আসে যায় না! আমি অবশ্যই সে দলে পড়িনা। পেঁজা তুলোর মত বরফে কেডস পড়েই খানিকটা হাঁটাহাঁটি করলুম, বেশ মজা লাগল্ । কয়েক ঘন্টা সব দেখে টেখে এলুম সেই রেস্তোরাতে।
এখানে মানে এই রেস্তোরাতে সুইশ ফ্রাংক ছাড়াও ইয়েন ডলার পাউন্ড চলে। শত শত লোক খাচ্ছে কথা বলছে কিন্তু মেঝেটা ঝা তক তকে পরিষ্কার। ৫-৬ বছরের একটি জাপানী বাচ্চা চকলেট খাচ্ছিল, হঠাৎ তার হাত থেকে চকলেটের কাভার কাগজটা পড়ে যায় সঙ্গে সঙ্গে তার মা'ই হবেন, মাটি থেকে কাগজটা কুড়িয়ে পাশেই ডাস্টবিনে রাখলেন। অন্যদিকে রেস্তোরা থেকে আরেকটি সাদা চামড়ার মেয়ে ছুটে আসছিল কাগজটা কুড়োবার জন্য। ভাল লাগল। আমাদের দেশের বাঙ্গালী কবে মানুষ হবে!
যাহোক আমরা খাবার দাবার খেয়ে আবার সেই ট্রেনে চড়েই সোজা নীচের স্টেশনে। ট্রেন কিন্তু একটা নয় অনবরত ট্রেন আসছে এক ঘন্টা পর পর। আপনার ট্রেন মিস করার কোন কারবার নেই!
সেখানে ট্রেন বদল করে লুজানের ট্রেন ধরে বাড়ি।
ক'দিন পর। প্ল্যান হলো যাবো পাশের দেশ ইতালী। রোমিও জুলিয়েটের শহর ভেরোনা বা খালের শহর ভেনিস, ঐতিহাসিক শহর পাদুয়া এসব দেখার ইচ্ছে।
টিকিট ফিকিট কেনা হল, যাবো আমি একাই। প্রথমে ইতালির শিল্প নগরী ভিসেনজা। আবার সেই সকালে একটা ব্যাগ কাধে করে লুজান স্টেশনে। সেখান থেকে পৃথিবীখ্যাত হাইস্পীড ট্রেনে করে ইতালী। টিভিজি ট্রেনটার ইন্জিনের গায়ে লেখা ছিল সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ৪৭৮ কিলোমিটার। আন্তর্জাতিক ট্রেন সুতরাং ওটা ঘন্টায় ঘন্টায় যায় না তবে দিনে তিন চার বার যায়। কিন্তু আপনি যেটার জন্য টিকিট কেটেছেন সেটাতেই যেতে হবে। এবারের টিকিটে আপনার সীট নম্বর আছে সময় দেয়া আছে। রিটার্ণ টিকিট।
হুড়োহুড়ি নেই, স্টেশনে শোরগোল নেই, অবশ্য কামড়াটাতে সীটের অর্ধেকই খালি দেখলুম। উঠে পড়লুম আমার কামড়াতে আর বসলুম আমার সীটে। পাশের চেয়ারটা খালিই থাকল সারা পথ্ । ভাল কথা গতি কিন্তু ঐ ৪৭৮ কিমি দেখিনি অনেক কম ছিল্ । পাসপোর্ট নিয়েছি, কারণ এক দেশ থেকে আরেক দেশ, সুইজারল্যান্ড থেকে ইতালী। একসময় সুইশ - ইতালী বর্ডার পড়ল কিন্তু কোন চেকার বা কাস্টমস ইমিগ্রেশন কিছুই চোখে পড়লনা্ একটা টানেল, ট্রেনটা টানেল পার হয়েই ইতালী। স্টেশনের নামের বানানগুলোর পরিবর্তন চোখে পড়ল্ এখন আর ফ্রেন্চ নেই ইতালীয়ান ভাষায় চলে গেছে।
বিখ্যাত শহর মিলানের স্টেশনে পৌছবার পর দেখি ট্রেনটা উল্টোদিতে যাচ্ছে। আমি ভাবলুম এখানে কি ট্রেন পাল্টাতে মিস করেছি নাকি কে জানে। সহযাত্রীটিকে জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হলুম না ঘাবরাবার কিছু নেই। ঠিক পথেই যাচ্ছে ট্রেন। আমার গন্তব্যস্হল ভিসেন্জা, একটা শিল্পান্চল যেখানে আমার কনটাকট কাম গাইড ভাগ্নে আজাদ আর বিপ্লব থাকে। ওরাই আমার গাইড আর ইতালি বেড়াবার সব আয়োজনটা ওরাই সম্পন্ন করেছে। বেলা বেগারোটার দিকে পৌছলুম ভিসেন্জা। স্টেশনেই ভাগ্নেরা গাড়ী নিয়ে হাজির ছিল। না ওদের অপেক্ষা করতে হয় নি, ইউরোপে ট্রেন লেট হয়না! ওখানকার কর্মকর্তারা যথেস্ঠ নিস্ঠাবান।
পাদুয়া শহরের কিছু ছবি।
চলবে:
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: আন্তরিক ভাবে দুঃখীত কারণ পোস্টটা মুছতে হয়েছিল কারিগরী কারণে। মাফ করে দিয়েন। ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬
মানবী বলেছেন: পুরোটা পড়েছি, ভালো লেগেছে চমৎকার বর্ণনা!
আন্তরিক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: পড়ার জন্য আর প্রসংসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ঢাকাবাসী ভাই আমার ১ম কমেন্টটা মুছে দিলেন! কেন? ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন নিরন্তর।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: আন্তরিক ভাবে দুঃখীত কারণ পোস্টটা মুছতে হয়েছিল কারিগরী কারণে। মাফ করে দিয়েন। আশা করি বুঝতে পারবেন। ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ভ্রমণ গল্প বেশ ভাল লাগলো । ছবিগুলো সুন্দর ।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: তারিফ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
প্রথমে দুইবার পোষ্টটা এসেছিলো কিন্তু প্রথম পোষ্টেই মন্তব্য করেছিলাম। কিন্তু প্রথম পোষ্টটাই মুছে দিলেন।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: বিশেষ কারণে পোস্টটাই মুছতে হয়েছিল, যার জন্য এই বিপত্তি। মন্তব্য মুছে যায় জানতুমই না। দুঃখীত। ধন্যবাদ আবার আসার জন্য।
৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩
জুন বলেছেন: আমি গতকাল থেকে ভাবছিলাম আপনার ইউরোপ ভ্রমন এর পরের পর্বের কি হলো!
পড়া শুরু করলাম।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০
ঢাকাবাসী বলেছেন: এটা খুব ভাল হয় নি। আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে, আর ভাল থাকুন।
৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩
সুমন কর বলেছেন: আপনার সাথে আমরাও ডিজিটাল ভ্রমণ করে নিলাম....
পোস্ট ভালো হয়েছে।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০
ঢাকাবাসী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সুমন কর।
৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫০
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দুর্দান্ত !
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১
ঢাকাবাসী বলেছেন: কি যে বলেন! আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ভ্রমন কাহিনী ভাল লেগেছে। ভিন্নদেশীয় অভিজ্ঞতা শেয়ারে অনেক কিছু জানা হল।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২
ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনার জানাতে আর ভাল লাগাতে আমার লেখার সার্থকতা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন।
১০| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২০
শামছুল ইসলাম বলেছেন: ভ্রমণ কাহিনী ভাল লেগেছে।
অনেক কিছু জানা হল।
ভাল থাকুন। সবসময়।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন সর্বদা।
১১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//শত শত লোক খাচ্ছে কথা বলছে কিন্তু মেঝেটা ঝা তক তকে পরিষ্কার। ৫-৬ বছরের একটি জাপানী বাচ্চা চকলেট খাচ্ছিল, হঠাৎ তার হাত থেকে চকলেটের কাভার কাগজটা পড়ে যায় সঙ্গে সঙ্গে তার মা'ই হবেন, মাটি থেকে কাগজটা কুড়িয়ে পাশেই ডাস্টবিনে রাখলেন। অন্যদিকে রেস্তোরা থেকে আরেকটি সাদা চামড়ার মেয়ে ছুটে আসছিল কাগজটা কুড়োবার জন্য। ভাল লাগল। আমাদের দেশের বাঙ্গালী কবে মানুষ হবে! //
-দেশের বাইরে এবিষয়টিই বেশি লজ্জিত করে।
-চমৎকার একটি পোস্ট
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: ব্যাপারটা খেয়াল করেছেন না? অনেক মন দিয়ে পড়েন আপনি। ভাল লাগল। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৫
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক অনেক অনেক শুভেচ্ছা আজকের পর্বের জন্য!!
খুব আকর্ষণীয় আজকের পর্ব!!!!
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: ওমা তাই বুঝি! খুশী হলুম আপনার পাঠ আর মন্তব্যের জন্য। আন্তরিক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সবসময়।
১৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৮
আরজু পনি বলেছেন:
জুংফ্রাওশ...আমার কী দরকার এতো কঠিন নাম মনে রাখার চেষ্টা করে...
পরিচ্ছন্ন থাকা আর আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখার অভ্যেসটা আমাদের বড়দেরই নেই...তাই ছোটরা শিখতে পারেনা ।
ওরা এদিক থেকে খুব সচেতন বলেই এগিয়ে যাচ্ছে
আর আমাদের ট্রেন কখন বাজে বারোটা...ইদানিঙ সময় মতো ছাড়লেও পৌঁছানোর সময়টা এখনও ঠিকমতো হয়নি ।
ভালো লাগলো ইউরোপ ভ্রমণ।
+++++++
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: আমরা জাতিগতভাবেই খুব অভদ্র আনকালচারড অশিক্ষিত মানসিকভাবে দীনহীন.... ইত্যাদি আরো অনেক গুনে গুণী। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
১৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৩
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার লেখার মাঝে সুক্ষভাবে আমাদের দেশের মানুষ, দেশের কিছু অসংগতি তুলে ধরেন যেটা সবাই হয়তো ধরতে পারে না, কিন্তু আমি মোটামুটি ক্যাচ করার চেষ্টা করি। যেমন মইনুল ভাই উপরে ধরে দেখালেন।
আপনার লেখার ছলে সংশোধনের এই চাওয়া/প্রবণতা সত্যিই আমার কাছে খুব ভাল লাগে। দেশ নিয়ে যে ভাবেন, দেশের প্রতি যে টান আছে সেটা এতে পরিস্কার বোঝা যায়।
(আপনার পোস্টের বর্ণনা অসাধারণ ও সাবলীল বরাবরের মতই) +
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষন ক্ষমতা দারুণ! আমরা হেন হচ্ছি তেন হচ্ছি তা শুনি পড়ি। তবে যদি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন পরিমাপের সুচকগুলো দেখেন তাহলেই দেখবেন আমরা দুনিয়ার সবচাইতে নিকৃস্ট একটা.........। তবে আপনাদের মত বুঝতে পারার লোকের বড়ই অভাব, আর ধীরে ধীরে সেটা নেই হয়ে যাচ্ছে! আমাদেরও যাবার সময় হয়ে আসছে। পাঠ ও প্রসংসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ গেম চেন্জার। ভাল থাকুন।
১৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯
কলমের কালি শেষ বলেছেন: দারুণ ভ্রমণ কাহিনী । ঘোরাঘুরি হচ্ছে বেশ তাহলে ।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: শেষ জীবনটা ঘুরেই কাটিয়ে দেয়ার ইচ্ছে, যতদিন ট্যাঁকে আর শরীরে কুলোয়। প্রসংসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
১৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৯
জুন বলেছেন: শেষ জীবনটা ঘুরেই কাটিয়ে দেয়ার ইচ্ছে, যতদিন ট্যাঁকে আর শরীরে কুলোয়।
আমাদেরও একই ইচ্ছে যতদিন শরীর কুলোয় ঢাকাবাসী।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: খুশী হলুম আবার এসে আমাকে সাপোর্ট করার জন্য। আপনার ইচ্ছে পূরণ হােক এই আশা করছি। আন্তরিক শুভেচ্ছা আর ধন্যবাদ।
১৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাকাবাসী ,
সহজ সরল অকপট বর্ণনা আপনার প্রতিটি লেখাতে ।
এই পর্বটা কেন যে দেখতে দেরী হলো , বুঝলুম না ।
ট্যাঁকে আর শরীরে কুলিয়ে যাক..............................।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে, আমার জন্য আপনার এই শুভেচ্ছা আমাকে উৎসাহ দিলো। বয়সের কারণে আলসেমী আর কি, আর সেজন্যই এই অনিচ্ছাকৃত দেরী। আবারো ধন্যবাদ। ভাল থাকুন চিরকাল।
১৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫০
প্রামানিক বলেছেন: ভাই, নতুন লেখা দেন। আপনার ভ্রমণ কাহিনী পড়ার জন্য বসে আছি।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: ওমা তাই নাকি? খুশী হয়েই লিখতে বসলুম। আসছি লেখা নিয়ে শিগগীরই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকুন।
১৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার লিখাটা মোবাইলে পড়েছিলাম , তাই কমেন্ট করা হয়নি ।
এখন করে গেলাম !
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: পড়া আর প্রসংসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
২০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪০
বাংলার ফেসবুক বলেছেন: নাইচ পোষ্ট।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম আর অনেক ধন্যবাদ।
২১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮
দীপান্বিতা বলেছেন: ভালো লাগলো
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: ব্লগে আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন।
২২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৫
সুলতানা রহমান বলেছেন: দেখলুম, করলুম শব্দগুলো খুব ভাল লাগে। বরফের ছবিগুলো খুব ভাল লেগেছে।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: বাস্তবে বরফের মুর্তিগুলো আরো সুন্দর। আমার এরকম স্টাইলে লেখাটার গুরু হচ্ছেন আমার প্রিয় লেখক শ্রদ্ধেয় সৈয়দ মুজতাবা আলী। ব্লগে এসে পড়ে মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন সর্বদা।
২৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৪
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: অবাক লাগে এরা কত আগে থেকেই এগিয়ে৷ শত বছর আগে তারা যা করেছে এর অনেক কিছু আমরা এখনও করতে পারি নাই৷ আমরা ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখছি৷ হয়ত হবও৷ তবে ২০৪১ সাল পর্যন্ত এই উন্নত দেশগুলো তাহলে আরও কত এগিয়ে যাবে সেটা কল্পনা করাও কষ্টসাধ্য৷
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
ঢাকাবাসী বলেছেন: জাতি হিসেবে আমরা অতীব নীচু মানের সম্ভবত সবচাইতে নিকৃস্ট এটা বহুবার প্রমানিত। বাগাড়ম্বর ছাড়া আমাদের আছেটা কি? এর বেশী আর বললুম না। আপনার সহৃদয় পাঠ আর আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: ভিসেঞ্জা, পাদুয়া, ভেনিস যাওয়া হয়েছে, কিন্তু সুইজারল্যন্ড একবার যাওয়া হয়েছিল- আস্ত্রিয়ায় থাকার কারণে। আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে আর একবার সুইস ভ্রমনে না গেলে হবেনা। তবে সুযোগ পেলে একবার অস্ট্রিয়া ঘুরে আসবেন,অদ্ভুত সুন্দর।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১২
ঢাকাবাসী বলেছেন: অস্ট্রিয়া এর পরের বার অবশ্যই যাব, আপনার কথা শুনে লোভ জাগছে। আপনার অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করুননা। পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
২৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০১
রাবার বলেছেন: হারায় গেলেন নাকি ভাই?
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: না ভাই বড্ড আলসেমীতে পেয়ে বসেছে। মনে করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকবেন, আসছি।
২৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬
তুষার কাব্য বলেছেন: আপাদত হাজিরা দিয়ে গেলাম । সময় নিয়ে আবার আসছি ।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা। আসুন, অপেক্ষায় রইলুম।
২৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৭
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ফ্রিকিং অসাম!
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: ওহ রিয়েলি! পাঠ আর প্রসংসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
২৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
অনেক ঘুরলেন, দেখছি!
সুইজারল্যান্ডে রাশিয়ান পর্যটক কি পরিমাণ দেখলেন? ভারতীয় অনেক?
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: ঘোরার কয়েক মাসে কোন রাশ্যান চোখে পড়েনি তবে ভারতীয় প্রচুর দেখলুম, অধিকাংশই পান্জাবী আর গুজরাটি (মোদীর প্রদেশ)। ইউরোপ ভ্রমনটা ভয়ংকর রকমের খরচের ব্যাপার (আমার কাছে), তাই মনে হয় রাশ্যান দেখিনইনি! ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
২৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: চমৎবার বর্ণনায়
সুন্দর ছবি ব্লগ!!
ভালো লাগলো।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাথে থাকার জন্য। ভাল থাকবেন।
৩০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: পোস্টে ++++++++++
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: আরিব্বাস অত্তোগুলো প্লাস! খুব ভাল লাগল আর ব্লগে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন। ।
৩১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৭
ডি মুন বলেছেন: টিভিজি ট্রেনটার ইন্জিনের গায়ে লেখা ছিল সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ৪৭৮ কিলোমিটার। ----------- আহ ! বাংলাদেশের ট্রেনগুলোর সর্বোচ্চ গতি কবে এরকম হবে !!!!!!
আপনার ভ্রমণ কাহিনী পড়তে খুব ভালো লাগছে। যেগুলো মিস করেছি, ওগুলোও চটজলদি পড়ে নিতে হবে।
++++
ভালো থাকুন প্রিয় ঢাকাবাসী ভাই
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: আরি ভাই অতো স্পীড লাগবেনা খালি টাইমলি আসা যাওয়া করলেই খুশী হতুম। কিন্তু আগে তো ট্রেনকে মন্ত্রীর বাড়ীতে থামতে হপে তারপর স্টেশনে আসবেন, তারপর কখন ছাড়বেন তা ভগবানও জানেননা! ইন্জীন নেই, কোচ নেই রেল লাইনের অবস্হা ভয়াবহ, ইন্জীনের ড্রাইভার নাই, বাসমালিকের কাছ থেকে ঘু.. নিয়ে ট্রেন আস্তে চলে, খামোখা একসিডেন্ট করে... আরো শুনবেন? দুনিয়াতে নিকৃস্টতম রেল যোগাযোগ হল বাংলাদেশে! আপনার প্রসংসাতে খুশী হলুম। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
৩২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪
রোমানো খোকন বলেছেন: ইন্টারলেকেন থেকে জুংফ্রাওশ বা টপ অফ ইউরোপ যেতে জনপ্রতি কত টাকা / ইউরো খরচ হতে পারে? (আসা-যাওয়া) যানালে উপকৃত হব।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪২
প্রামানিক বলেছেন: ভাইু বিরানী খেতে দিয়ে মন্তব্য হাওয়া হয়ে গেল। ঘটনা কি বুঝতে পারলুম না।