নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কেউ চিরদিন বেঁচে থাকে না তবু কেউ কেউ বেঁচে থাকে।

হাবিব শুভ

হাবিব শুভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ- "পাওয়া হয় নি তাকে"

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪

সুহানা আর শাহেদ একসাথে ভার্সিটি তে পড়ে। দুইজন খুব ভাল বন্ধু। কিন্তু শাহেদ সুহানাকে বন্ধু ভাবলেও সুহানা শাহেদ কে বন্ধুর চাইতে একটু বেশি ভাবে।সহজ কথায় ভালবাসে। সুহানা খুব খোলা মনের মেয়ে শাহেদ কে ভালবাসার কথা সে জানায়। কিন্তু শাহেদ সেটা কোনসময় ই সিরিয়াসলি নিত না। বলতো ধুর এটা আবার হয় নাকি।আমরা খুব ভাল বন্ধু। আর আমি তকে বন্ধু ছাড়া কিছু ভাবি না। শাহেদ খুব হেন্ডসাম ছেলে ওর জন্য অনেক মেয়েরাই পাগল। তাদের মধ্যে শাহেদ টিনাকে ভালবাসে।টিনা ওদের সাথে পড়ে। টিনাও শাহেদ কে ভালবাসে। যখন সুহানা শাহেদ কে ওর ভালবাসার কথা বলতো শাহেদ বার বার রিফিউজ করতো। ও বলতো আমি হেন্ডসাম একটা ছেলে আমাকে কারো ভাল লাগতেই পারে। তাই বলে আমি সবাই কে ভালবাসবো?? হাউ ফানি! সব সময় উপহাস করতো। তখন সুহানা বলতো তুই আমার মত কাউকে পাবি না যে তকে অনেক ভালবাসে। শাহেদ বলে যা আমার পেতে হবে না।আমার খুব ক্ষিদা লাগছে চল কেনটিনে চল কিছু খেতে হবে। শাহেদের আবার একটু পর পর ক্ষিদা লেগে যায়। শাহেদ আর সুহানা যখন এক সাথে কোথাও বেড়াতে যেত তখন সুহানা টিফিনে শাহেদের জন্য খাবার নিয়ে আসতো। কারণ সুহানা জানে শাহেদ ক্ষিদা লাগছে বলে ওর কাছ থেকে চলে যাবে তাই শাহেদকে এই সুযোগ টা দিবে না বলেই সুহানা শাহেদের জন্য টিফিন করে খাবার নিয়ে যায়। যাতে শাহেদ কোন এক্সকিউজ দেখিয়ে যেতে না পারে। একদিন শাহেদ এক্সিডেন্ট করলো। সুহানা শুনে তাড়াতাড়ি করে ছুটে এলো কিন্তু টিনা এলো না। কাজ দেখিয়ে শাহেদ কে দেখতে আসলো না। শাহেদ টিনার প্রেমে অন্ধ ছিল তাই হাসপাতালে দেখতে না আসায় কিছুই মনে করলো না আর সুহানাকে বলল তুই আর আসলি কেন আমি ত সুস্থ যা তকে আমার সেবা করতে কে বলেছে তুই বাড়ি যা। বলে আর হাসপাতালে থাকতে দেয় নি সুহানাকে। কয়েকদিন পর......
সুহানা শাহেদ কে ডেকে নিয়ে বলল দেখ ঘর থেকে আমাকে বিয়ের জন্য পাত্র দেখা হচ্ছে। আজকেও এক পক্ষ দেখতে আসবে যদি পছন্দ হয়ে যায় তাহলে এক মাসের মধ্যেই বিয়ে হয়ে যাবে।
এ কথা শুনে শাহেদ খুশি হয়ে বলে এই নিউজ টা তুই আমাকে এখন দিচ্ছিস? congratulation। দোআ করি তর এখানে বিয়ে হয়ে যায়।
সুহানা শাহেদ কে বলল দেখ ফাজলামি করিস না। আমি কিন্তু সিরিয়াস। তুই কি আমাকে একটু ও ভালবাসিস না??
শাহেদ→ strange আমি কেন তকে ভালবাসতে যাবো।we r just friend.best friend.No more than. কেন তুই এটা বুজচ্ছিস না?? তাছাড়া আমি টিনা কে ভালবাসি। তুই কেন আমাদের মাঝে Entry নিতে চাইছিস আমি সেটাই বুজতে পারছি না।
এ কথা শুনে সুহানা কাঁদতে কাঁদতে চলে যায়।
এর পরে আর সুহানা আর শাহেদের দেখা হয় নি। সুহানা আর ভার্সিটি তে ও আসে নি।
অনেকদিন পর..../
আজ সুহানার গায়ে হলুদ। চারিদিকে ফুল দিয়ে সাজানো হচ্ছে। শাহেদ সুহানাকে ফোন দিলো। কি রে তর কোন পাত্তা নাই?? By the Way তর নাকি আজ গায়ে হলুদ।
সুহানা→হে।
শাহেদ→ আমাকে দাওয়াত দিলি না??
সুহানা→ তকে দাওয়াত দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি নি তাই দেই নি।
শাহেদ→ তা তর Would be husband কি করে? দেখতে কেমন??
সুহানা→ জানি না।আমি দেখি নি ওরে।
শাহেদ→ আমি কিন্তু কাল তর বিয়েতে আসছি। তুই দাওয়াত না দিলেও আসবো।
সুহানা→ তুই আসবি না আমার বিয়েতে। দেখ আমি তকে ভালবাসি বিয়ের সময় তুই সামনে থাকলে আমার কষ্ট হবে।
শাহেদ→ আরে দূর আমি আসলে তর কষ্ট হবে না। আর আমি ছাড়া তর বিয়েটাই যে হবে না।
সুহানা→ তুই আসবি না বলে দিলাম। বলে ফোন কেটে দিয়ে।মোবাইল অফ করে দিল। আর কিছুক্ষণ কাঁদলো। মনে মনে ভাবলো কত নিষ্ঠুর। এত দিন ওর প্রেম কে রিফিউজ করে আবার বিয়েতে আসছে আমাকে কষ্ট দিতে।
.....
আজ সুহানার বিয়ে। চারিদিকে গান বাজনা আনন্দ কতকিছু।বর আসার সময় হয়ে গেলো।
হঠাৎ সব কিছু স্তব্ধ।
খবর এলো বরের গাড়ি একটা ট্রাকের সাথে ধাক্কা খেয়ে খালে পরে গিয়ে বর সহ আরও অনেকে মারা গেছে।
বরের রক্তাক্ত দেহ সুহানার বাড়িতে আনা হলো।
সুহানা কেঁদে কেঁদে বরের মুখ দেখার জন্য মুখের পর্দা টা সরাচ্ছে। এই প্রথম সুহানা ওর বরের মুখ দেখছে।
মুখ দেখার পর ও আরও জোরে চিৎকার দিয়ে কাঁদতে লাগলো।
কারণ ওর বর টা ছিল শাহেদ। যাকে ও এতদিন ধরে ভালবেসে গেছে কিন্তু প্রত্যাখ্যান ছাড়া আর কিছু পায় নি।
মূলত শাহেদও সুহানাকে খুব ভালবাসত। টিনার কথা মিথ্যা বলেছিল ওরে। সুহানাকে surprise দিবে বলে এতদিন সুহানার সাথে এমন করেছিল।
সুহানা কাঁদছে আর বলছে তুই আমাকে surprise দিচ্ছিস তাই না? আমার উপর রাগ করেছিস? তাই না? আমি তকে বলেছিলাম তুই আমার বিয়েতে আসবি না। তাই তুই অভিমান করেছিস আমার উপর?? দেখ আমি আর বলবো না তুই না আসতে। আর ফোন অফ করে দিব না তর উপর রাগ করে। আমি এই কান ধরছি প্লিজ তুই চোখ খোল। তর ক্ষিদা লাগছে তাই না? দাঁড়া আমি তর জন্য খাবার নিয়ে আসছি।
বলে দৌঁড়ে গিয়ে খাবার নিয়ে আসে সুহানা।
তারপরঃ-↓↓
সেদিনের পর থেকে,
.....(সুহানার বর্তমান ঠিকানা এখন পাগলা গারদে। পরনের বিয়ের শাড়িটাও আর খুলে নি) :(

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: : ওয়াও,ভাউ ওয়াও।কি করে এত সুন্দর করে লেখেন আপনি???চালিয়ে যান ভাউ।কেউ পুরষ্কার না দিলেও আমি আপনাকে নুপেল দিব।আপনি যেভাবে লিখছেন সেভাবে লিখতে থাকলে আগামী ১০বছরে জাতি একটা ব্র‍্যন্ড নিউ রবীঠাকুর পেয়ে যাবে।আমরা আপনার হাতে নুপেল দেখতে চাই। ;) ;) ;)

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

হাবিব শুভ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই :)

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১

হাবিব বলেছেন: ভাই আবেগ এ গেছি গা।এহন কি করমো

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:১২

হাবিব শুভ বলেছেন: একটু কাইন্দা নেন।।। :'(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.