নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কেউ চিরদিন বেঁচে থাকে না তবু কেউ কেউ বেঁচে থাকে।

হাবিব শুভ

হাবিব শুভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

" একটু খানি রম্য"

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮

চট করে সুন্দরী মেয়েদের প্রেমে পড়া ঠিক না হলেও কিছু কিছু সুন্দরীদের প্রেমে চট করেই পড়তে হয়। কারণ অনেকেই এদের লোভনীয় পণ্যের মতো মনে করেন। লোভনীয় পণ্য দেখা মাত্রই একে পাওয়ার স্বাদ জাগে। এই মেয়ে সুন্দরী কি না তা বুঝার উপায় নেই কারণ বোরকা আর নেকাবে মুখ শরীর ঢাকা। কিন্তু পায়ের আঙ্গুল আর হাতের আঙ্গুল দেখে বুঝা যাচ্ছে এই মেয়ের রঙ ফর্সাই হবে। এই সভ্য সমাজে ফর্সা মানেই সুন্দর। আমিও যেহেতু একজন সভ্য সমাজের বাসিন্দা সেহেতু আমারও এই ধারণা ভুল হবার কথা নয়। সুন্দরী মেয়েরা কারো প্রেমে পড়ে না তারা প্রেমে পড়ায়। কথিত আছে এক গাছে বড়ই ধরলে হাজার লোক ঢিল মারে। এই প্রবাদ টা সুন্দরী মেয়েদের জন্য প্রযোজ্য। ওদের দেখে হাজার ছেলে ক্রাশ খাবে। রিকশায় যাওয়ার সময় একটা চোখ টিপলে দশ টা ছেলে অজ্ঞান হয়ে ড্রেনে পড়বে, বৃদ্ধ রা আয়নার সামনে গিয়ে চুলে কলপ দিয়ে সাদা চুল কালো করবে আর যে ছেলে গুলো আগের দিন ড্রেনে পড়েছিল সে ছেলে গুলো পরের দিন ফেইসওয়াশ মেখে কালো মুখ সাদা করবে।
রাস্তায় একটি বোরকাওয়ালা মেয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় এসব কথা মনে মনে বলছে একটি ছেলে। ছেলেটির মনে হচ্ছে সে মেয়েটির প্রেমে পড়ে গেছে। কিন্তু মেয়েটি ওকে দেখেছে কি না তা বুঝতে পারছে না। মুখে নেকাব থাকলে বুঝার উপায় নেই মেয়েটি কোনদিকে তাকাচ্ছে।
অবশ্য সুন্দরী মেয়েরা সোজাসুজি কোন ছেলের দিকে তাকায় না। আড়চোখে তাকাবে আর বলিউডের নায়িকার মতো একটা হাসি দিয়েই ছেলের মনে লাড্ডু ফাটাবে। আর ছেলেটি মাধুরী, ক্যাটরিনা কিংবা দিপিকা পাডুকানের হাসির সাথে তুলনা দিয়ে নিজে দেব সেজে বলবে আহ! পরাণ যায় জ্বলিয়া রে পরাণ যায় জ্বলিয়া বলে শরীরখানা টেরাবাঁকা করে বুকের বাম পাশে এমন ভাবে হাত দিয়ে ঘষাতে শুরু করবে যেন সানি লিওনের শরীর বাঁকানোও ফেল হয়ে যাবে। তারপর এই মাত্র হার্ট বের করে এনে মেয়েটির হাতে তুলে দিয়ে বলবে এটা তোমার জন্য, গ্রহণ করে আমাকে ধন্য করো ওগো চান্দু..। তখন মেয়েটি উঠে বলবে আমি চান্দু না, আমি হলাম বিন্দু। ছেলেটি এই সুযোগে মেয়েটির নামও জেনে যাবে।
ছেলেটি এসব কথা ভাবতে ভাবতেই মেয়েটি হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে গেছে। আজকের মতো মেয়েটিকে ছেলেটি নিজের মনের কথা বলতে পারলো না। সে দুঃখে নিজের কপালে হাতের তালু দিয়ে একটা ঠাশ করে বারি মারলো।
বেচারা নিরাশ হয়ে ময়নার মতো মুখ খানা কে কাকের মতো করে চলে গিয়ে আবার পরের দিনের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো।
পরের দিন আবার ঠিক টাইমে ঠিক জায়গায় ছেলেটি গিয়ে দাঁড়ালো। মনে মনে ভাবছে আজকে মেয়েটিকে বলে দিতে হবে, তুমি আমার "এট ফার্স্ট সাইট লাভ"। তোমাকে দেখার পর থেকে আমার মনে বাইরাম বাইরাম করা শুরু হয়ে গেছে। মনে হয় কি যেন নাই, কি যেন নাই তারপর অনেক ভেবে দেখলাম তুমি ই আমার পাশে নাই। তখন মেয়েটি বলতে পারে, তুমি কি আমার মুখ দেখছো কোনদিন??
সে প্রশ্নের উত্তরও ভেবে নেয়া হয়েছে। আরফিন রুমির গানের দুই লাইন লিরিক টা বলে দিলেই হবে, গানটা হলোঃ-
"চোখে চোখে চোখ পড়েছে,
কি আর হবে মুখ টা ঢেকে।"
আমি বলবো, "কি আর হবে মুখ টা দেখে"।
আজকে আবার মেয়েটি আসছে। নীল রঙের বোরকা আর গোল্ডেন রঙের হিজাব দিয়ে আজ নেকাব বানিয়ে পরেছে। আহ! যদি একবার মুখটা দেখতে পারতাম বলে ছেলেটি আফসোস করছে।
ছেলেটি মেয়েটির সামনে গেলো। মেয়েটিকে বললো, তোমাকে আমি একটা কথা বলতে চাই।
মেয়েটি বললো, বলুন।।
ছেলেঃ- আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি। তোমাকে প্রথম দেখেই আমি ভালোবেসে ফেলেছি। তুমি আমার প্রথম এবং শেষ ভালবাসা। ব্লা ব্লা ব্লা....
মেয়েঃ- ব্লা ব্লা ব্লা কি??
ছেলেঃ- ব্লা ব্লা মানে আরও অনেক কিছু....।
কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর মেয়েটি ঠাশ করে ছেলেটির গালে দুইটা চড় মারলো...।
ছেলেটি তবুও কিছু বললো না। সুন্দরী মেয়েদের চড় খাওয়াও একটা সৌভাগ্যের ব্যাপার। এতে হাতের স্পর্শ মিলে। এদের হাতের স্পর্শ পাওয়ার জন্য কত ছেলে প্রতিদিন হুমরি খেয়ে মরে। সে সুবাদে এই চড় নিতান্তই সৌভাগ্যের ব্যাপার। সে মেয়েটির সামনে দাঁড়িয়ে থাকলো। কিন্তু মেয়েটি যখন ওর মুখের নেকাব খুললো তখন ছেলেটি হাওয়ার মতো দৌঁড়ে চলে গিয়ে... ভ্যানিশ হয়ে গেলো....।
মেয়েটি সাথে সাথে ছেলেটিকে ফোন দিয়ে বললো, তাহলে এই তোমার ভালবাসা তাই না?? আর কয়টা মেয়েকে এই কথা গুলো বলছো?? আজ থেকে তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই। ডোন্ট ট্রাই টু টক উইথ মি। তারপর ফোন কাট অফ+ সুয়িচড অফ।।
তারপর মেয়েটি একটু পর ফেইসবুকে গিয়ে একটা স্ট্যাটাস দিলো, এখনকার যুগের প্রেম হলো, কচু পাতার পানির মতো টপ করে আসে আর টুপ করে পড়ে। এরপর রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস সিংগেল করে দিলো।
আর ছেলেটি স্ট্যাটাস দিলো, "আমি জাতির কাছে জানতে চাই মেয়েরা কেন হিজাবের সাথে নেকাব পড়ে?? এদের কি পুলিশ দেখে না?? এরাই ভবিষ্যৎ আই.এস । এরা ঘোমটার ভিতর খেমটা নাচ করে।
সাথে সাথেই একটা মেয়ের আইডির কমেন্টঃ-
"আমিও একমত"
ছেলেটির চোখে আবার "লাভ ইমোশন".....
ছেলেটির রিপ্লাইঃ- "আপনি এতদিন কোথায় ছিলেন??"
মেয়ের রিপ্লাইঃ- "স্বামীর সাথে লন্ডন থাকি। গত মাসে দেশে এসেছি।"
ছেলেটি ফিলিং ব্রকেন হার্ট দিয়ে আবার স্ট্যাটাস দিলোঃ- "জাতি জানতে চায় মেয়েরা কেন ছেলেদের এভাবে মন ভাঙ্গে??"
বিঃদ্রঃ- (যে বোরকা পরা মেয়েটির প্রতি ছেলেটি ক্রাশ খেয়েছিল সে মেয়েটি ছিল বর্তমান প্রেমিকা। কিন্তু বোরকা আর মুখে নেকাব পরে ঢাকা ছিল বলে ছেলেটি চিনতে পারে নি। ছেলেটি ২য় প্রেম করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে।)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২২

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: মোবাইল নাম্বার পাইলো কখন? দৌড় দিতে দিতে মোবাইল নাম্বার দিয়া দিছে? :`>
খাপছাড়া লাগলো! তবে চেষ্টা ভালছিল। শুভ কামনা।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৫৮

হাবিব শুভ বলেছেন: মেয়েটার সাথে ছেলেটির আগে রিলেশন ছিল। রিলেশন থাকা অবস্থায় ছেলেটি আরেকটি প্রেম করতে চেয়েছিল। যে মেয়েটির সাথে আবার প্রেম করতে চেয়েছিল সে মেয়েটি ওর প্রেমিকা কিন্তু নেকাব পরা ছিল তাই চিনতে পারে নি। নেকাব খুলার পর ছেলেটি চিনতে পেরেছিল ওর প্রেমিকা এবং তখন ই ছেলেটি পালিয়ে যায়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.