![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ কোরবানি ঈদ। এক হতদরিদ্র ছেলে কাকের মুখে একটুকরো মাংস দেখে তার নিরুপায় মা কে বলেছিল,
মা আজকে কি আমাদের ঘরে মাংস রান্না হবে??
নিরুপায় মা সে কথা শুনে এক বড় লোকের বাড়ি থেকে কয়েক টুকরো মাংস যোগার করেছে। কিন্তু রান্না করার জন্য মশলা যোগার করতে পারে নি। সে জন্য রাস্তার পাশে একটা দোকান থেকে গরুর মাংসের মশলার পকেট চুরি করতে গিয়ে ধরা খায়।
ছেলেটি মাংস হাতে নিয়ে বাড়িতে অপেক্ষা করছে কখন তার মা এসে মাংস রান্না করবে। কারণ তার যে দেরি সইছে না। আশেপাশের সব বাচ্ছারা যে মাংস দিয়ে ভাত খেয়ে বিকেলে খেলতে এসেছে। তাদের হাতে মাংস দিয়ে ভাত খাওয়ার সুন্দর ঘ্রাণ বের হচ্ছে। কিন্তু তার মা এখনো কেন আসছে না??
মায়ের জন্য অপেক্ষা করতে করতে ছেলেটি রাত্রে ঘুমিয়ে পরে। কিন্তু রাত্রেউ তার মা আসে নি। একদিন যাওয়ার পর দুদিন হয়ে গেছে তার মা যে এখনো আসছে না।
মা দুদিন পর বাড়িতে এসে দেখে মাংস থেকে পচে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।
মাকে দেখতেই ছেলেটি মাকে জরিয়ে ধরে বললো, কোথায় গিয়েছিলে মা?? আর পচা মাংসের টুকরো মা কে দিয়ে বললো, মা আজকে আমরা মাংস দিয়ে ভাত খাবো??
নিরুপায় মা কি করে ছেলেকে বলবে যে তার মা চুরি করতে গিয়ে ধরা পরে জেলখানায় দুই দিন বন্ধী ছিল আর এই পচা মাংসের টুকরো গুলো যে আর খাওয়া যাবে না। ছেলেটির মা যেন নির্বাক নিথর হয়ে গেলো।
ছেলেটি মায়ের ছেড়া আচল টেনে বার বার খরের তৈরি রান্না ঘরের দিকে ইশারা করছে আর বলছে, মা আমি দুদিন ধরে কিচ্ছু খাই নি মা, মা এসোনা না রান্না করবে.....ছেলের অস্থিরতা দেখে মা আর চুপ থাকতে পারলো না।
শেষমেষ কাঁদোকাঁদো চোখে মা ছেলেকে বললো, বাবা তকে আমি পরেরবার মাংস খাওয়াবো। আমি ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম, ডাক্তার বলেছে এ বছর আমি মাংস খেলে অসুখ হয়ে মা মরে যাবো। তকে ছেড়ে মা এ পৃথিবী থেকে চলে যাবো। ছেলেটি মাকে আরও জোরে জড়িয়ে ধরে বললো, মা আমি আর জীবনেও মাংস খাবো না। তবু আমি তোমাকে মরতে দিবো না।
ছেলেটি মাকে শক্ত করে গলায় জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে আর মা ছেলেটিকে কোলে নিয়ে আসমানের দিকে চেয়ে চোখটিপে কাঁদছে।
মা ও কাঁদছে, ছেলেও কাঁদছে। এরকম আরও অনেক মা-ছেলে কাঁদছে। শুধু হাসছে এক শ্রেণীর বড়লোক মানুষেরা। সবাই যার যার মতো করে চলছে। কারো একটি কান্না যেন আরেকটি হাসির উপর কোন প্রভাব ফেলছে না। যার যার কাছে যার যার কাহিনী যেন একটি সহজ গল্প। শুধু প্রচ্ছদ টাই একটু ভিন্ন যেটা মানুষ দেখতে পায়।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৬
হাবিব শুভ বলেছেন: ধন্যবাদ।। আপনাকেউ ঈদের অনেক শুভেচ্ছা রইলো
২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: কিছুদিন আগে এক মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দিয়ে এসেছি। এটা ছিল আমার কুরবানি। স্রষ্টা খুশি হোক বা না হোক।
গবিরকে সাহায্যই যদি করতে হয় মহল্লার সবাই মিলে কি গবিরকে স্বাবলম্বী করার কর্মসংস্থান দেয়ার কোন উদ্যোগ নিলে কি হত না? সমাজ ও দেশের মঙ্গল হত না?
এখন তো আপনার টাকা মাংস হয়ে গরীবের পায়খানা হয়ে বের হবে আর কিচ্ছু হবে না।
কেন প্রাণীকে কচুকাটা করেই তাদের গারিবি মিটানো লাগবে ? প্রোটিন ? সেটা তো ডালেই যথেষ্ট আছে , পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া। কেন মাংসের নামে নানা রোগবালাই দিচ্ছ গরীবের ঘরে?
৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬
হাবিব শুভ বলেছেন: আপনি কোন ধর্মের মানুষ সেটা জানিনা কিন্তু আপনার কথায় মনে হলো আপনি যে ধর্মের ই হোক না কুরবানি দেয়ার পক্ষে আপনার দ্বিমত রয়েছে।
ডাল আর গরুর মাংস এক নয়। আপনি শুধু গরুর মাংস খাওয়ার ব্যাপার টাই দেখলেন। আচ্ছা সগিরু জবাই করে শুধুই কি খাওয়া জন্য?? আপনি কুরবানি কে পশু হত্যা ভাবছেন কিন্তু পাঠা বলি কি?? মুরগী কি?? মাছ কি??? এদের কি প্রাণ নাই?? না এগুলো জীব নয়?? আচ্ছা আপনি যে চামড়ার জুতো, জেকেট পরে থাকেন সে গুলো কি?? এগুলোর বেশির ভাগ ই ত গরুর চামড়া। তাছাড়া বিভিন্ন ফাস্ট ফুড খান সেগুলোর বেশির ভাগই কিন্তু গরু আর খাসির মাংস। কুরবানি চামড়া শিল্প কে সমৃদ্ধ করছে। যদি পৃথিবীতে গরু কুরবানি হত তাহলে চামড়া শিল্প ধ্বংস হয়ে যেত। প্রায় ৩০/৪০ % শিল্প চলছে চামড়া আর গরুর মাংস, চর্বির উপর ভর করে। যদি আপনি হিন্দু ধর্মের হন তাহলে বলবো, আপনি এই কথাটা বলেছেন শুধু মাত্র আপনারা গরু কে মা বলে ডাকার জন্য। আর যদি আপনি নিরপেক্ষ ভাবে কথাটা বলে থাকেন তাহলে বলবো, গরু কুরবানি তে আপনার দুঃখ লাগলে আপনি সব জীব হত্যা বন্ধ করে দেন। সব রকম মাংস ঝাওয়া বন্ধ করে দেন। কারণ গরুর মতো মাছ, মুরগীর ও প্রাণ থাকে। গরু হত্যায় কষ্ট হলে মুরগী হত্যায় কেন কষ্ট হয় না???
৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: যার যার কাছে যার যার কাহিনী যেন একটি সহজ গল্প। শুধু প্রচ্ছদ টাই একটু ভিন্ন যেটা মানুষ দেখতে পায়।
ভাল বলেছেন।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯
হাবিব শুভ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লাগল্
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১
হাবিব শুভ বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬
বিজন রয় বলেছেন: গল্পটি আরো বড় হতে পারতো।
++++
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২
হাবিব শুভ বলেছেন: আগামীতে আর ও বড় করার চেষ্টা করবো ভাই। ধন্যবাদ
৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: ভাই আমি হিন্দু না। খাদ্য ও পণ্য নির্বাচনের দিক দিয়ে আমি হচ্ছি ভিগান বা প্রানিবাদি। গরু, মুরগি, মাছ ইত্যাদি যেকোন প্রকার Sentient প্রাণীর হত্যাকে আমি অপ্রয়োজনীয়, অমানবিক মনে করি। আর তাদের ব্যবহার করা হয়েছে এমন কোন পণ্যও আমি ব্যবহার করি না। এমনকি দুধ, ডিমও না। না বুঝে না জেনেই যা ইচ্ছা তা বলা উচিত না আমাদের।
ভিগানিজম সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা পড়ুন " নিরামিষভোজীদের সম্পর্কে ভুল ধারনা (কিউ অ্যান্ড এ) পর্ব ১ " , কোঁথাও সমস্যা মনে হলে যুক্তি ও প্রমান নির্ভর কমেন্ট করুন।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৩
হাবিব শুভ বলেছেন: ভাই আপনি নিরামিষ খাবার খান মানলাম। আপনি sentient প্রাণী হত্যা অপ্রয়োজনীয় মনে করেন তাও মানলাম। কিন্তু নিরামিষ খাবারের অনেক জিনিশ যার উৎপাদন হয় উদ্ভিদ থেকে। আর উদ্ভিদের প্রাণ আছে। তার মানে উদ্ভিদ ও প্রাণী। এমন অনেক নিরামিষ খাবার আছে যা সংগ্রহ করলে উদ্ভিদ মরে যায়। আপনার ভাষায় যেটা প্রাণী হত্যা বলে।
আপনার কাছে যেটা অপ্রয়োজনীয় মনে হবে সেটা অন্যের নিকট প্রয়োজনীয় মনে হতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৫
সুমন কর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো।