নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কেউ চিরদিন বেঁচে থাকে না তবু কেউ কেউ বেঁচে থাকে।

হাবিব শুভ

হাবিব শুভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিপ্রেশন নিয়ে কিছু কথা

১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

একটা ছেলে যখন বলছে, সব মেয়ে খারাপ। সব মেয়ে ছলনাময়ী তখন এটা বুঝতে শিখুন যে এই ছেলের সাথে কোন একটা মেয়ে এমনভাবে ছলনা করেছে যে এই ছেলে আর কোন মেয়েকে ভাল ভাবতে পারছে না। যখন কোন মেয়ে বলে যে সব ছেলে প্রতারক তার মানে মেয়েটির বিশ্বাস এমন কোন ছেলে ভেঙ্গেছে যে ছেলে মেয়েটিকে শিখিয়েছিল বিশ্বাস কি। আর যখন মেয়েটি শিখেছিল বিশ্বাসের মানে ঠিক তখন ই ছেলেটি মেয়েটির বিশ্বাস এমনভাবে ভেঙ্গেছে যাতে মেয়েটি বলতে বাধ্য হচ্ছে যে, সব ছেলে এক। যে মানুষ টা প্রেম, ভালবাসার কথা শুনলেই একটা প্রতারণার গন্ধ পায় তার মানে তার জীবনে এই প্রেম জিনিশ টা একবার অভিশাপ হয়ে এসেছিল। আর যে অভিশাপের দুঃস্বপ্ন আজও তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। মানুষ একদিনে কোন ধারণা মনে কনসিভ করে না। একদিনে কাউকে বিশ্বাস কিংবা একদিনে কাউকে ঘৃণাও করে না। তার জন্য প্রয়োজন অনেক সময়। মানুষ যত সহজে কাউকে ভালবাসতে পারে তত সহজে কাউকে ঘৃণা করতে পারে না। ঘৃণা আর ভালবাসার একটা সম্পর্কের এপিঠ-ওপিঠ হলেও মানুষের মনে ভালবাসার এপিঠ উলটে ঘৃণার ওপিঠ টা আসতে অনেক দেড়ি হয়ে যায়। এটা ক্রিকেট কিংবা ফুটবল খেলার আগ মুহূর্তের টসের মত না যে টসে যাই উঠুক না কেন পরে একপক্ষ ঠিক ই ব্যাটিং কিংবা বলিং পাবে। এখানে ভালবাসা আসলে ঘৃণা আসার সুযোগ থাকলেও ভালবেসে একবার ঘৃণা আসলে সে ঘৃণা আর এত সহজে ভালবাসায় পরিণত হয় না। প্রয়োজনে মানুষ টা জ্বলে পুড়ে ছাই হলেও আর লোকটির উপর থেকে ঘৃণার প্রলেপ সরিয়ে ভালবাসার আস্তরণ দিতে যাবে না। আর যদিও যায় তাহলে সেটা নিছক অভিনয় ছাড়া আর কিছু নয়।
মানুষ যখন ই কোনকিছু থেকে ব্যর্থ হয় তখন তার পাশে এমন কাউকে প্রয়োজন হয় যার কাছে সে তার ব্যর্থতার কারণ বা ব্যর্থতার কষ্ট গুলো খুলে বলতে পারবে। আর যখন সে এই কথা গুলো কারো কাছে ফ্রিলি ডিসক্লোজ করতে পারে না কিংবা ডিসক্লোজ করার মতো স্কোপ পায় না। তখন তার জীবন টা একা মনে হয়। তার ভিতরে এক অদ্ভুত চিন্তা কাজ করে যে তাকে কেউ পছন্দ করে না, তাকে কেউ ভালবাসে না, কারো কাছে তার কোন গুরুত্ব নেই।এই হতাশা তার মৃত্যুর কারণ হতে পারে। খবরে প্রায় ই দেখা যায় যে প্রেমঘটিত কারণে ছেলে-মেয়ের আত্মহত্যা। কিংবা প্রেমঘটিত কারণে হাত কেটে রক্ত বের করা অথবা পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপের জন্য আত্মহত্যা। এই সব কিছু কি হুট করে হয়?? মোটেই নয়। আত্মহত্যা ভয়ের জিনিশ। কেউ এত তাড়াতাড়ি তার জীবনকে শেষ করে দিতে চাইবে না। কেউ আত্মহত্যা করলে সে বিষয়ে একটু ইনভেস্টিগেশন করলে দেখা যাবে যে সে ছেলে কিংবা মেয়েটি গত কয়েকদিন ধরেই ডিপ্রেশনে ভুগছিল। ফ্রাস্টেশন থেকেই মানুষ বেশি আত্মহত্যার মত ভয়ঙ্কর কাজ টি করে। কেউ এমনি এমনি তার লাইফ টাকে শেষ করে দিতে চাইবে না। প্রত্যেকের ই তার জীবনের জন্য মায়া আছে। তার সাথে আছে অন্যের জন্যও ভালবাসা। যখন তার জীবনের চাইতে অন্যকিছু বড় হয়ে যাবে আর সেই জিনিষ টা যদি ও না পায় ঠিক তখনি তার জীবন টা তার কাছে মিনিংলেস মনে হবে যার ফলস্বরূপ আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়।
প্রত্যেকের উচিত তার যে বন্ধু বা ঘনিষ্ঠ কেউ ডিপ্রেশনে ভুগলে তার পাশে দাঁড়ানো। প্রেমে ছেঁকা খেলা তাকে নিয়ে হাসিহাসি কিংবা কোন ছেলে/মেয়ের কারণে হাত কেটে অঝোরে রক্ত ঝড়ানো দেখে বিদ্রুপ না করে তাকে বুঝানো। তার দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানো। প্রেম ঘটিত হলে সাধারণত মা-বাবার কাছে সন্তানেরা কিছু বলতে চায় না এ ক্ষেত্রে ওরা কোন বন্ধুর পাশে যায়। সব কিছু বলতে চায়। একজন বেস্ট ফ্রেন্ড সেখানে ভাইটাল রুল পালন করতে পারে। পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হলে দেখা যায় মা-বাবার তিরষ্কার সহ্য করতে না পেরে সন্তানেরা আত্মহত্যা করে। প্রত্যেক মা-বাবার উচিত তার সন্তান কে তিরষ্কার না করে সামনের দিন গুলোর জন্য প্রস্তুত করা। যে ছেলেটি আর কাউকে বিশ্বাস করে না সে ছেলেটির কথায় মজা না নিয়ে তার দিকে বিশ্বাসের হাত বাড়ানো। ডিপ্রেশনে আটকে থাকা মানুষ গুলো সবসময় একা ফিল করে। জনসমুদ্রে থাকলেও তারা আটকে থাকে নির্জন কোন অন্ধকার দ্বীপে। প্রত্যেকের উচিত আমাদের আশেপাশের সেই সব মানুষ দের বুঝানো ফুল থেকে পাপড়ি ঝরে না পরলে সে ফুল থেকে ফল হয় না। ভবিষ্যতের ফলের জন্য হলেও তাকে আজকের স্মৃতি নামক ডিপ্রেশনের পাপড়ি গুলো ঝেরে ফেলতে হবে। বুঝাতে হবে তোমার প্রয়োজনে আমি সর্বদাই পাশে আছি। চেয়ে দেখো আকাশের দিকে, সূর্য ডুবে যাচ্ছে রাতে চাঁদ আসবে বলে

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

করুণাধারা বলেছেন: ভাল লাগল পড়ে।

কারো ডেঙ্গু, টাইফয়েড বা জণ্ডিস হলে আমরা উদ্বিগ্ন হই অথচ কারোর ডিপ্রেশন হয়েছে শুনলে আমরা বিরক্ত হই। বুঝতে চাইনা যে ডিপ্রেশন আক্রান্ত মানুষটি কতটা অসহায় - আমরা একটু সাহায্য করলেই সে ফিরে পাবে স্বাভাবিক জীবন আর নাহলে জীবনের শুন্যতার ভার সইতে না পেরে ম্রিত্যুকে বেছে নিতে বাধ্য হয়।

আশাকরি এই পোস্টটি ডিপ্রেসড মানুষদের প্রতি সচেতনতা বাড়াবে।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৭

হাবিব শুভ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.