![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার চিন্তা ভাবনা অনেকটাই ব্যক্তিকেন্দ্রিক, আরো ভালো করে বললে আত্মকেন্দ্রিক। দেখুন না! আজ স্বাধীনতা দিবসেও দেশ নিয়ে চিন্তা করার চেয়ে নিজেকে নিয়ে চিন্তা করছি বেশি। তবে আমার এ চিন্তার পেছনে আমার নিজ মনগড়া কিছু যুক্তিও আছে! আমার ধারণা 'অন্যের ক্ষতি না করে' আত্মোন্নতি ঘটালে সেটা দেশেরই উন্নতি; আর প্রতিটি ব্যক্তির 'ফলপ্রসূ' স্বাধীনতা থাকলে সেটাও দেশেরই স্বাধীনতা। সবাই একমত হবেন কিনা জানি না, আমি এরকমই ভাবি। দশটি ছোট-ছোট বিন্দু মিলে যেমন একটি বড় বিন্দু হয় তেমনি দশ-একশ-হাজার-লাখ-কোটি মানুষ মিলে হয় একটি দেশ। এই দশ-একশ-হাজার-লাখ-কোটি মানুষ যদি একটু একটু করে নিজের স্বাধীনতা ভোগ শুরু করে, তাহলে ভাবুনতো এই একটু একটু মিলে কত বড় স্বাধীনতার জায়গা তৈরি হবে দেশের জন্য!
কিন্তু এই ব্যক্তি স্বাধীনতা কীভাবে আসবে? এতই সহজ নাকি সব কিছু! আমি বলি আগে যদি ভালো দিকগুলো দেখে আস্বস্ত হই তবে কোন কিছুই কঠিন নয়।
স্বাধীনতার ব্যপারটা শুরু হতে পারে শিশুর জন্ম থেকেই, পরিবার দেবে শিশুকে সেই স্বাধীনতা। শিশুকে তার মত বেড়ে উঠতে দিন না! বেড়ে উঠতে সাহায্য করুন তাকে, ওই ছোট্ট শিশুর ওপর কোন ভার চাপিয়ে দেয়া কেন! আমার পরিচিত এক ছেলের বয়স মাত্র চার বছর। সে প্রতিদিন নয়টা আলাদা-আলাদা খাতা আর এগারোটা বই, পানির বোতল, টিফিন বাটি, জাম্বু আকৃতির পেনসিল বক্স নিয়ে স্কুলে যায়! ওর নিজের ওজনের চেয়ে স্কুল ব্যাগের ওজন বেশি। এখনতো বাসায় কোন শিক্ষক আসেন না, আরেকটু বড় হলে হয়ত এমন কেউও আসবেন পড়াতে, একাডেমিতে যেতে হবে নাচ-গান-অভিনয়-আবৃত্তি শিখতে, খেলার মাঠে গিয়ে এক ঘন্টার জন্য দৌড়াতে হবে আরো কত কী! আমি বলছি না যে এসব শিশুর জন্য খারাপ। কিন্তু আসলেই কি সে এসব একই গতিতে প্রতিদিন করতে চাচ্ছে? আমি জানি হিরো হতে সে একদিন চায়, প্রতিদিন নয়। তাহলে বাবা-মায়ের অপার প্রত্যাশা কি তার স্বাধীনতাকে খর্ব করছে না!
আরেকটু বড় হলে হয়ত তার মেধা ও আগ্রহের কথা চিন্তা না করেই তাকে দিয়ে দেয়া হবে সাইন্স/আর্টস কিংবা কমার্সে। বাচ্চাটা কি পারে বা না পারে, বা কি চায় তা দেখা ই হবে না! পূরণ হবে সমাজের প্রত্যাশা, বাচ্চাটির নয়।
ভাবুনতো প্রতিনিয়ত নিজের ঘাড়ে বোঝা নেয়া শিশুটি কেন বড় হয়ে ভালো মানুষ হবে! তার নিজের স্বাধীনতার খর্ব হয়েছে বলেই সে স্বাভাবিকভাবে অন্যের স্বাধীনতার মর্যাদা বুঝবে না হয়ত। অথবা না চাইলেও অবচেতন মনে অন্যের উপরে খবরদারি করবে কারণ সে পরিবেশ থেকে তা ই শিখেছে। তারপরও আমি আশা করছি যে প্রতিটি শিশু ভাববে
"না! আমি যা খারাপ আমার জীবনে দেখেছি তা আমি অন্যের জীবনে ঘটাবো না। আর যা ভালো আমার জীবনে ঘটেছে তা আমি বার বার ঘটাবো"
কিন্তু তা হয় না, আমার এ চাওয়া অস্বাভাবিক। স্বাভাবিক করতে যা করতে হবে তা হল চাপিয়ে দেয়া বন্ধ করতে হবে। শিশুকে ব্যক্তিস্বাধীনতার জ্ঞান দিতে হবে, আত্মসম্মানবোধ তার ভিতরে ইনজেকশন দিয়ে পুশ করতে হবে-দম্ভ নয়। তবেই সে নিজের সামনে কাড়ি কাড়ি কালো টাকা দেখেও ছুঁয়ে দেখবে না, নিজের সাবর্ডিনেট এর উপর অন্যায়ভাবে কিছু চাপিয়ে দেবে না, বস এর অন্যায় আবদারও মাথা পেতে নেবে না, অন্যের সাহায্যে নিজের উন্নতি ঘটিয়ে ঋণী থাকবে না বরং নিজের যা আছে তাই ব্যবহার করে নিজের উন্নতি ঘটাবে। মোটকথা মেরুদন্ডহীন মানুষ হবে না।
এভাবে যদি অন্তত পাঁচটি শিশুকে বড় করা যায় তবে সেই পাঁচ শিশুই পরে ২৫-৫০-৫০০-৫০০০------- এমন শিশুর জন্ম দেবে। দেশের স্বাধীনতা না এসে কোথায় যাবে! পরাধীনতা তল্পি-তল্পা গুটিয়ে পালাবে।
সবাই বলে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন, আমি বলি রক্ষা করা কঠিন যদি সবকিছুতেই আমরা শর্টকাট চিন্তা করি। লম্বা পথে ধীরে ধীরে আজ হাঁটলে কাল হয়ত দৌড়াতে পারবো, পরশু হয়ত উড়তে পারবো। অপেক্ষা করি না কাল-পরশুর জন্য! একদিন দেখবো এই কাল-পরশু আমাদের কাছে কাল-পরশুই এসেছে, এক যুগ পরে আসেনি!
সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। নিজের স্বাধীনতা নিয়ে চিন্তা করি, অন্যের টা আপনিতেই চলে আসবে। স্বাধীনতার স্বাধীনতা নিয়ে বেড়ে উঠি, পরাধীনতার স্বাধীনতা নিয়ে নয়।
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০
হালিমা সাদিয়া বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনাকেও শুভেচ্ছা
২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:২৭
এন এইচ মাসুম বলেছেন: Apni continue leka salie jan...ami apner leka pori...(from malay university)
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:০৩
হালিমা সাদিয়া বলেছেন: শুনে খুবই ভালো লাগলো
অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়...
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে...
অবশ্যই আমি নিয়মিত লেখা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো ভাই...
আবারো ধন্যবাদ আপনাকে
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:২৮
জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন: স্বাধীনতার স্বাধীনতা নিয়ে বেড়ে উঠি, পরাধীনতার স্বাধীনতা নিয়ে নয়
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:০৪
হালিমা সাদিয়া বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: নিজের স্বাধীনতা নিয়ে চিন্তা করি, অন্যের টা আপনিতেই চলে আসবে।
দারুন বলেছেন। স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা রইল।