![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিয়ে কবে করবা? তোমার বান্ধবীর তো বিয়ে হয়ে গেল! তোমার ছোট বোনেরও তো বিয়ে হয়ে গেল!
-- দেরি আছে।
মানিনা, মানবো না! কেন দেরি আছে?
-- আমার পড়াশোনা শেষ হতে এখনও তিন বছর বাকী।
ও! তিন বছর পর বিয়ে করবা?
-- না তারপর ক্যারিয়ারটাকে একটু গুছিয়ে নিব, আরেকটু সময় লাগবে।
বুড়া হয়ে যাবা তো! ২০ এর পরই মেয়েদের বিয়ে করার আসল সময়
--
চাকরি করে কি করবা! জামাই তো খাওয়াবেই তোমাকে! চাকরি করলে বাচ্চা দেখবে কে! রান্না করবে কে!
--
ও, বুঝেছি! সমবয়সী বয়ফ্রেন্ড ! তাই দেরি করে বিয়ে করবে?
-- জ্বী না, আমিই দেরি করতে চাই।
আহারে! বুঝেছি, তোমার বয়ফ্রেন্ড এর দেরি হবে। বাসায় বল এনগেজমেন্ট করিয়ে রাখবে, নাহয় কাবিন! পরে দেখা যাবে এই ছেলে তোমাকে বিয়েই করল না! তখন কই যাবা!............................................................ এভাবে কথা-উপদেশ-বাণী চলতেই থাকে, আর আমি শুনতেই থাকি আর তাল দিতেই থাকি।
তাল দেয়ার সময় আমার আসলেই যে উত্তরগুলো দিতে ইচ্ছা করেঃ
-- বান্ধবী-ছোট বোন বিয়ে করেছে এটা তাদের সিদ্ধান্ত ! আমাকে আমার সিদ্ধান্ত নিতে দিন !
-- একটা ছেলে শুধু তার বউ কে খাওয়াতে চাকরি করে না, আর কোনো মেয়েই জামাইর টাকায় ফুটানি করতে বড় হয় না, পড়াশোনা করে না। তার নিজস্ব পরিকল্পনা থাকে, নিজের ভাবনা-চিন্তা থাকে।
-- বাবা-মাও মেয়ে নিয়ে কখনো পানিতে পড়ে না যে আপনাকে খুঁচিয়ে মেয়ের কাবিন/এনগেজমেন্ট করাতে হবে!
-- আমি নিজে কবে বিয়ে করব-কাকে বিয়ে করব সেটা নিয়ে আমি আমার বয়ফ্রেন্ড এর উপর কখনোই নির্ভর করিনা। সুতরাং আপনার উপর নির্ভর করারতো প্রশ্নই আসে না! এটা সম্পূর্ণই আমার নিজস্ব ব্যপার। আমি কারো কিছু করায়, না করায় পানিতেও পড়ে যাই না আর সাঁতারও কাটি না।
-- আর কারো সাথে কারো বয়ফ্রেন্ডের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলার আগে একশবার ভাবুন। অন্যের সম্পর্ককে শ্রদ্ধা করতে না পারুন, লাথি দিবেন না দয়া করে। নিজের পা আস্ত ফিরে নাও পেতে পারেন অনেক সময়, তখন যেন অন্যকে দোষ দেবেন না!
সুতরাং এরপর আমার বা অন্য কোনো মেয়ের বিয়ে নিয়ে যদি কারো মাথা ব্যথা থাকে, ইনবক্সে নক করে নিজের সময় নষ্ট করার আগে দয়া করে এই স্ট্যাটাসটি পড়ে নিবেন। এরপরও যদি কোনো মাথা ব্যথা থাকে তখন নাহয় ইনবক্সে নক করলেন!
বিয়ে নিয়ে আমার এত সাফাই গাইতে হয়েছে যে ব্যাপারটা আর ব্যক্তিগত পর্যায়ে নেই, চাইলেই আমি একটি পাবলিক স্ট্যাটাস দিতে পারি এবং তা ই দিলাম। দয়া করে প্রগতিশীল-বখে যাওয়া মেয়ে বলে গালি দেয়ার আগে নিজের চরকায় তেল দিন।
সব শেষে এত কথা বলার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী,
এবং ক্ষমা করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
(লেখাটি আমার ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করেছিলাম)
০৩ রা মে, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪
হালিমা সাদিয়া বলেছেন:
২| ০৩ রা মে, ২০১৫ সকাল ১১:০৫
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বিয়েটা প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেলে দ্রুত করে ফেলাটাই উত্তম। কারণ, এতে চরিত্র হেফাজত করা সহজ হয়। বাবা মায়েরও এটা দায়িত্ব, ছেলে মেয়ে বিয়ের বয়সে উপনীত হলে ভাল পাত্র/পাত্রী দেখে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করা। তবে, অবশ্যই বিয়ের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাত্র বা পাত্রীর, সেটা নিয়ে বাবা মা জোর করতে পারেন না।
আর বেশী বয়সে বিয়ের করার কিছু নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াও আছে বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে, যেটা এখন চিকিৎসা বিজ্ঞানই বলছে। মেয়েদের গর্ভধারণ এবং সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে বেশী বয়স কিছু সমস্যা নিয়ে আসতে পারে যদি প্রথম সন্তানটা অনেক দেরীতে নেয়া হয়।
আরেকটা ব্যাপার, সন্তান শুধু জন্ম দিলেই হবে না, তাকে সুস্থ, সুন্দরভাবে বড় করেও তুলতে হবে। বাবা-মা যদি বেশী বয়সে বিয়ে করেন এবং বেশী বয়সে সন্তান নেন, সেক্ষেত্রে এই ব্যাপারটা অনেক ক্ষেত্রেই খুব ভালভাবে করা সম্ভব হবে না অধিকাংশ ক্ষেত্রেই।
একটা ব্যাপার বুঝতে হবে, সৃষ্টিকর্তা কিন্তু নারী পুরুষ উভয়কেই সন্তান ধারণের ক্ষমতা দেন নি ! নিশ্চয় এখানে নারী পুরুষের দায়িত্বের মধ্যে ভিন্নতা আছে ! দুই প্রজাতি কখনোই সমান নয় !
এই সব ব্যাপারগুলো বাস্তবতার নিরিখে ভাবলে আমার মনে হয় এ ধরণের সমস্যাগুলো কম হবে।
০৩ রা মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩
হালিমা সাদিয়া বলেছেন: আপনি অনেক সময় নিয়ে মন্তব্য করেছেন এবং আপনার যুক্তিও দিয়েছেন। জেনে খুবই ভালো লাগলো
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
অবশ্যই বাবা-মা এবং ছেলে-মেয়ে উভয়েরই দায়িত্ব প্রাপ্তবয়স্ক হলে বিয়ের চিন্তা করা। এবং দুই-পক্ষই কেউ কারো উপর নিজের মতামত চাপিয়ে দেয়া উচিত না। পারস্পরিক সমঝোতা এবং বোঝাপড়াই বাবা-মা এবং ছেলে-মেয়ের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্ধন। এবং এটিই তাদের মধ্যে ভালোবাসার প্রথম ভীত।
আর চরিত্রের যে কথাটা আপনি বললেন তা আলাদা আলাদা ব্যাক্তির মানবীয় গুণাবলির উপর নির্ভর করে বলে আমি মনে করি।
মাতৃত্ব নিয়েও আপনি বলেছেন এবং যৌক্তিক কথাই হয়ত বলেছেন। আমার অত উঁচু স্তরের পড়াশোনা নেই তাই আমি এই বিষয়ে তেমন কিছু বলতে পারছি না। তবে নিজের সাধারণ জ্ঞান দিয়ে এতটুকু বলি যে একটি মেয়ে কখন মা হবে বা আদৌ সে মা হতে চায় কিনা, অথবা একটি ছেলে কখন বাবা হবে বা আদৌ সে বাবা হতে চায় কিনা সেটা সম্পূর্ণই স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তারা নিজেরা আলোচনা করে ঠিক করবে যে তারা কী কোনো বাচ্চার বায়োলজিকাল বাবা-মা হবে কিনা অথবা পালক বাবা-মা হবে কিনা অথবা আদৌ তারা বাচ্চার বাবা-মা হবে কিনা!
এবং অবশ্যই সন্তান শুধু জন্ম দিলেই হয় না তাকে ভালোভাবে লালন-পালনও করতে হয়। এজন্যই "সময়" ব্যাপারটি বিবেচণায় আসে বলে আমি মনে করি।
অবশ্যই নারী-পুরুষের দায়িত্ব আলাদা। শুধু নারী-পুরুষ কেন, একটি পুরুষ থেকে আরেক পুরুষের দায়িত্বও আলাদা, এক নারী থেকে আরেক নারীর দায়িত্ব আলাদা। এবং এটা হবেই। কারণ আমরা প্রত্যেকে আলাদা আলাদা মানুষ। আমাদের প্রত্যেকের নিজস্বতা আছে।
আবারো ধন্যবাদ আপনাকে
৩| ০৩ রা মে, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: লেখাটা বেশ ভালই । আমাদের সমাজে এমন উটকো প্রশ্নের মুখোমুখি হতে, যা নিতান্তই বিরক্তিকর ।
তবে লেখার এই লাইনটা পড়ে আমি কনফিউজড "আমি নিজে কবে বিয়ে করব-কাকে বিয়ে করব সেটা নিয়ে আমি আমার বয়ফ্রেন্ড এর উপর কখনোই নির্ভর করিনা।"
সমস্যা কি মাথায়, নাকি চরিত্রে বুঝলাম না ।
০৩ রা মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯
হালিমা সাদিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুব মনযোগ দিয়ে পড়েছেন বোঝা যাচ্ছে।
আমি নিজে খুব মনযোগী পাঠক নই, তখনই মনযোগ দিয়ে পড়ি যখন পরীক্ষায় পাশের জন্য লেখা বিশ্লেষণ করে নম্বর পেতে হয়। লেখা বিশ্লেষণ করার সময় প্রতিটা লাইন পড়ি, এরপর লেখার পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ড পড়ি, দুই লাইন আগের কথার সাথে দুই লাইন পরের কথার মিল খুঁজি এরপরে লেখকের চরিত্রের সাথে তার লেখা মিলানোর চেষ্টা করি।
"আমি নিজে কবে বিয়ে করব-কাকে বিয়ে করব সেটা নিয়ে আমি আমার বয়ফ্রেন্ড এর উপর কখনোই নির্ভর করিনা।"- এই কথাটির সাথে প্রথম দিকের কিছু কথার মিল আছে।
দেখে থাকবেন যে কিছু লোক কথিত "সমবয়সী বয়ফ্রেন্ড" কে দোষ দিচ্ছে দেরী তে বিয়ের জন্য। অথচ কারো মাথায় কাজ করছেনা যে দেরীতে বিয়ের কারণ মেয়েটি নিজেও হতে পারে! তার নিজেরও সিদ্ধান্ত হতে পারে। তাহলে শুধু শুধু কেন ছেলেটিকে দোষ দেয়া! একারণেই আমি বলেছি "আমি নিজে কখন বিয়ে করবো..."
এরপরে হয়ত দেখে থাকবেন যে কিছু লোক বলছেন এই ছেলে তোমাকে যদি বিয়ে না করে! এমন ভাব যে ছেলে যদি বিয়ে না করে তাহলে মেয়েটির কী হবে! সে কোথায় যাবে! এমন কিন্তু কখনোই হয় না। কোন ছেলে বা মেয়েই একটি সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলে অসহায় হয়ে যায় না, হওয়া উচিতও নয়। এই কারণে আমি বলেছি "...কাকে বিয়ে করব..."
আশা করি আপনার কনফিউশন দূর হবে
আবারো ধন্যবাদ
৪| ০৩ রা মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২১
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
০৩ রা মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০
হালিমা সাদিয়া বলেছেন:
৫| ০৩ রা মে, ২০১৫ দুপুর ১:২৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: ঠিক আছে, এটা যদি কথার প্রক্ষিতে কথা হয়, বা একটু তাতাঁনো কথা হয়, তাহলেও ঠিক আছে ।
বলতে চাচ্ছিলাম, আপনার যদি কোন বয়ফ্রেণ্ড থেকে থাকে তাহলে আপনারা কখন বিয়ে করবেন এই সিদ্ধান্তটা আপনার বা আপনার বয়ফ্রেণ্ডের পক্ষে একা নেয়া সম্ভব নয় - একা একা তো আর বিয়ে করা যায় না, তাই না ? এক্ষেত্রে একা সিদ্ধান্ত নেওয়ার একটা উপায় হতে পারে সেই বয়ফ্রেণ্ড কে না জানিয়ে আরেকজনকে বিয়ে করে ফেলা । এটা ঠিক সুস্থ স্বাভাবিক "এমপাওয়ারমেন্ট" নয় বলেই মনে করি ।
আমি যদি সন্তান নিতে চাই, তাহলে আমাকে আমার স্ত্রীর উপর বা আমার স্ত্রীর আমার উপর নির্ভর করতেই হবে । কিছু সিদ্ধান্ত আছে যেগুলো একা নেওয়া যায় না । তবে এক্ষেত্রেও কেউ চাইলে অন্যের গর্ভে / ঔরষে সন্তান নিতে পারে । এটাও একধরনের স্বাধীনতা হবে হয়ত, যদি মাথায় বা চরিত্রে গোলমাল থাকে !!!!!!
০৩ রা মে, ২০১৫ দুপুর ২:০০
হালিমা সাদিয়া বলেছেন:
আমি আমার সবসময়ের বলা একটা কথা বলতে চাই, সমস্যার সমাধান সবসময়ই সহজ যদি আমরা আগে পজিটিভ দিকগুলো দেখে একটু নির্ভার হই, তারপরে নেগেটিভ দিকে আগাই।
প্রত্যেকে আলাদা আলাদা মানুষ, প্রত্যকের জীবন দর্শনও আলাদা। আবার একই সমস্যা প্রত্যেকে আলাদা আলাদাভাবে সমাধান করবে। এটাই স্বাভাবিক।
প্রত্যেকেই চাইবে নিজের মত করে বলতে এবং এটা আরো স্বাভাবিক যে যখন একজনের সাথে আরেকজনের যুক্তি মিলছে না তখন সে অন্যকেই আস্বাভাবিক ভাববে। অন্যকেই পাগল বা চরিত্রে সমস্যা বলবে।
আঙ্গুল আমাদের এক হাতে পাঁচটা, সব সমান নয়; কিন্তু দিন শেষে ওগুলো আমাদেরই আঙ্গুল, আমাদেরই হাত, অন্যের নয়।
ধন্যবাদ আপনাকে
৬| ০৩ রা মে, ২০১৫ দুপুর ২:২৫
শ্রাবণধারা বলেছেন: "প্রত্যেকেই চাইবে নিজের মত করে বলতে এবং এটা আরো স্বাভাবিক যে যখন একজনের সাথে আরেকজনের যুক্তি মিলছে না তখন সে অন্যকেই আস্বাভাবিক ভাববে। অন্যকেই পাগল বা চরিত্রে সমস্যা বলবে। "
আপনি কিন্তু আমার যুক্তির প্রেক্ষিতে একটা পাল্টা যুক্তিও দেন নি । তাই আপনার যুক্তিবোধ যথেষ্ট ধারালো নয় বলেই মনে হল ।
তবে আপনার লেখার যে মুল স্পিরিট / পয়েন্ট - মেয়েদের চিন্তা / মতের স্বাধীনতাকে মূল্য দেয়া, নারী হিসেবে সমাজের / লোকের উটকো মাতবরি / জ্ঞানদানকে উপেক্ষা করার ক্ষমতা অর্জন করা - এই ব্যাপারটার সাথে আমি পুরোপুরি একমত ।
তবে যে ব্যাপারটা আপনি চিন্তা করেন নি, তা হল নারী / পুরুষ হিসেবে কোন সিদ্ধান্ত গুলো আমার পক্ষে একা নেয়া সম্ভব, কোন গুলো নয় ।
চিন্তার স্বাধীনতা বা স্বাধীন ভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা অর্জন আসলে নারী বা পুরুষ উভয়ের জন্যই অনেক কঠিন । আমাদের মেয়েরা পোষাকের বা সামাজিক সেচ্ছাচারীতার স্বাধীনতার চাইতে, চিন্তার স্বাধীনতা অর্জন করুক এই শুভকামনা ।
৭| ০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ৯:৩৯
হালিমা সাদিয়া বলেছেন: আমি এবার বলতে বাধ্য হচ্ছি , আমাদের কারো কারো হয়ত স্বভাব যে আমরা না জেনে হুট করে ম্নন্তব্য করতে পছন্দ করি, অন্যকে সরাসরি আক্রমণ করতে পছন্দ করি এবং তার ভদ্রতাকে দুর্বলতা হিসেবে ধরে নেই অনেক ক্ষেত্রেই।
"সমস্যা কি মাথায়, নাকি চরিত্রে বুঝলাম না ।"
আপনি এই মন্তব্য করার পর আমি কিন্তু প্রতিউত্তরে খুব ভালোভাবে নিজের কথার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছি। আমি কিন্তু একবারও বলিনি যে আমি আমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে কি আলোচনা করি বা ঠিক কোন পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নেই। আমি বোঝাতে চেয়েছি যে একটা সম্পর্ক ভাংতেই পারে। একটা ছেলে আমাকে ছেড়ে যেতেই পারে। তাই বলে তাকে বেঁধে রাখার জন্য দ্রুত বিয়ে বা এঙ্গেজমেন্ট এর কথা কেন তোলা হবে! যে যাবার সে যদি চলেই যায় তাতে কী যায় আসে! সে চলে গেলে আমি তো পানিতে পরে যাবো না বা অসহায় হয়ে পরবো না! কারো জন্য জীবন থেমে থাকে না।
কিন্তু আপনি হয়ত আমার যুক্তি বুঝতে পারেন নি। আপনি কেন যেন ধরেই নিলেন যে "এক্ষেত্রে একা সিদ্ধান্ত নেওয়ার একটা উপায় হতে পারে সেই বয়ফ্রেণ্ড কে না জানিয়ে আরেকজনকে বিয়ে করে ফেলা ।"
কেন ভাই? একা সিদ্ধান্ত নেয়ার মানে এটাও তো হতে পারে যে সে চলে যাওয়ার পর আমি ঐ সিদ্ধান্ত নিচ্ছি! এমনও হতে পারে যে আমি তাকে জানিয়েই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি! হতে পারে না কি? তারপরও আপনি আবার সেই মাথায় সমস্যা এবং চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন করলেন। যেটা খুবই আক্রমণাত্মক এবং অপমানকর।
তাই বলে আমি কিন্তু পরের মন্তব্যে বলিনি যে আপনার বোঝার ক্ষমতা কম। আমি বলেছি আপনার বোঝার ক্ষমতা আলাদা। প্রতিটা মানুষ আলাদা হতেই পারে। তাই আমি আর বার বার একই যুক্তি আপনাকে বলতে চাইনি, কারণ ওটা দেখতেই চাননি। আপনি আগেই ধরে নিয়েছেন আমার মানসিক গঠন ঠিক না বা আমার চরিত্রে সমস্যা আছে। হতেই পারে আপনার চিন্তা-ভাবনা আলাদা। আমি এটা ভেবে ইগনোর করার চেষ্টা করেছি।
কিন্তু আপনি কি বললেন?
আপনি বললেন- "আপনি কিন্তু আমার যুক্তির প্রেক্ষিতে একটা পাল্টা যুক্তিও দেন নি । তাই আপনার যুক্তিবোধ যথেষ্ট ধারালো নয় বলেই মনে হল । "
কেন ভাই হুট করে মন্তব্য করা? আপনি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন? আমি আপনাকে আক্রমণ করে কিছু বলেছিলাম? আমার তো মনে পরে না! তাহলে কেন আপনি লেখার উপর মন্তব্য না করে বার বার আমার চরিত্র, আমার মানসিকতা আর আমার যুক্তিবোধ নিয়ে প্রশ্ন করছেন! এটা দেখে আমার আপনার সম্পর্কে কি মন্তব্য করা উচিত বলে আপনি মনে করেন? আপনাকে খুব যৌক্তিক বলা উচিত আমার? নাকি খুব ভদ্র বলা উচিত? নাকি বুদ্ধিমান? আমি জানি না কি বলা উচিত। আমি বলতেও চাই না, কারণ আপনাকে আমি চিনি না, শুধু শুধু এক-দুইটি মন্তব্য দিয়ে আপনাকে চেনার চেষ্টা করা বা মন্তব্য করাটাও হবে আমার বোকামি।
"তবে যে ব্যাপারটা আপনি চিন্তা করেন নি, তা হল নারী / পুরুষ হিসেবে কোন সিদ্ধান্ত গুলো আমার পক্ষে একা নেয়া সম্ভব, কোন গুলো নয় ।"
আপনার এই মন্তব্যের পর আমার আর কিই বা বলার থাকতে পারে! কোথাও একবার বলিনি যে আমি একা সিদ্ধান্ত নেব আমার পার্টনারকে ফেলে দিয়ে, তাকে না জানিয়ে, স্বেচ্ছাচারীর মত। কিন্তু আপনি তা ধরেই নিয়েছেন। এই লেখায় নারী-পুরুষ সম্পর্কের ব্যাপারে, তাদের সমঝোতার ব্যাপারে কিছুই বলিনি আমি। উদ্দেশ্যও ছিল না। কারণ ব্যাক্তিগতভাবে আমি পুরুষ-বিদ্বষী তো নইই, বরং তাদের প্রতি আমার সম্মান রয়েছে।
"আমাদের মেয়েরা পোষাকের বা সামাজিক সেচ্ছাচারীতার স্বাধীনতার চাইতে, চিন্তার স্বাধীনতা অর্জন করুক এই শুভকামনা ।"- আপনার শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ।
এত বড় মন্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত। আমি কখনোই আপনাকে আঘাত করে কিছু বলতে চাইনি, আক্রমণও করতে চাইনি। আপনি একজন সচেতন নাগরিক, এই হিসেবে আপনাকে শ্রদ্ধা করেছি আমি প্রথম থেকেই। এখনও করছি। কিন্তু আপনি আমার ভদ্রতাকে দুর্বলতা মনে করে ভুল ধারণা নিয়ে যাবেন আমার ব্লগ থেকে তা আমি হতে দিতে পারি না। তাই এত বড় মন্তব্য করা। এরপরও আপনার কিছু বলার থাকে অবশ্যই বলতে পারেন, আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতম। তবে আপনার সাথে যুক্তি-তর্কে যাওয়ার আগ্রহ আমি হারিয়েছি। তাই আমার পক্ষ থেকে এখানেই ইতি। ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন, শুভকামনা রইলো।
৮| ০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ১১:০৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: সত্যি বলতে কি, একেবারে সচেতনভাবেই আপনাকে এই এক লাইনের খোচাঁটা আমি দিয়েছিলাম - একেবারেই পুরুষবাদী খোচাঁ, দেখতে আপনি কি ভাবে ডিফেন্ড করেন । ফলাফল কি পেলাম, সেটা নাই বা জানলেন
তবে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মে, ২০১৫ সকাল ১০:২৭
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভাল। সবার একটা লক্ষ থাকা উচিত ।অন্যের প্রতি নজর দেয়ার খুব একটা দরকর নেই।নিজে ঠিক থাকলেই এনাফ