![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেদিন চুপচাপ শুনছিলাম তোমার কথা।
হাসছো?
ভাবছো, কতদিন তো দেখাই হয় না
ফোনের ডায়ালও ঘোরানো হয় না
তবে শুনলাম কোথায়?
আসলেই শুনছিলাম কিন্তু!
তুমি বললে, দূরত্ব তোমার ভালো লাগে
ভালোবাসার শক্তি যোগায়;
প্রতিদিন নাকি ভালোবাসতে নেই!
আটপৌরে শাড়ীর মতো গায়ে জড়ালে
ভালোবাসাও নাকি ছিঁড়ে যায়!
ভালোবাসাকে বেনারসি শাড়ীর মতো
আগলে রাখতে হয়।
আমি অবাক হয়েছিলাম
আম্মার বিয়ের শাড়ীটাও বেনারসি ছিল
কিন্তু সেই বেনারসি-কে তিনি ভালোবাসার নাম দেননি
তুলে রেখেছিলেন অবশ্য আলমারিতে;
আম্মাকে জিজ্ঞেস করতে হবে,
উনি কি ভালোবাসার জন্যই আগলে রেখেছিলেন?
আমি জানি না।
আমি আগলে রাখিনি ওভাবে
এজন্যই বুঝি টিকলো না আমাদের ভালোবাসা!
আমি পাখির মতো উড়তে চেয়েছিলাম
স্বাধীন হতে চেয়েছিলাম
তুমি চেয়েছিলে?
বলোনি তো কখনো!
শুধু বলেছিলে, পারবো না ভালোবাসতে!
কত সহজেই না বলে ফেললে!
কই! ভালোবাসার শুরুটাতো এত সহজ ছিল না!
তবে শেষটা কেন?
আমার জন্য শুরুটা যত সহজ ছিল
শেষটা ততই কঠিন ছিলো, জানো?
আকাশ ভেঙ্গে পড়েনি মাথায়
তবে বুকের বাম পাঁজরটা ভেঙ্গে গিয়েছিলো
হৃৎপিণ্ড ফুলে ফুলে উঠছিলো।
কবিতার মতো হাতটা ধরে বলেছিলে,
তুই কি আমার দুঃখ হবি?
আমি একগাল হেসে বলেছিলাম,
ধ্যাত! দুঃখ হয় নাকি মানুষ!
এরপর যেদিন চলে গেলে
বার বার বলতে ইচ্ছা হচ্ছিলো,
এই! হাতটা ধরো, প্লিজ!
আমি হবো, তোমার দুঃখ!
হাতটা যেন আমার ছিলই না
শুনলোই না আমার কথা!
তোমার কথা শুনে স্থবির হয়ে গেল
আর তুমি চলে গেলে
গট গট করে হেঁটে চলে গেলে।
সেদিন থেকেই আমার শেষের শুরু
হাসিমুখে মেনে নিয়েছি আমি
তুমি পেছনে ফিরে তাকাবে না, পণ করেছিলে
আমি তাকাই, প্রতিদিন তাকাই, প্রতি মুহুর্তে তাকাই
তোমার কথা মিথ্যা প্রমাণ করে তাকাই।
তুমি বলেছিলে, এত যে নিষেধ করছো!
একদিন ঠিকই ভুলে যাবে আমায়!
মেয়েদের মনে থাকে না, জানো তো?
কষ্ট হয় ছেলেটার, প্রচন্ড কষ্ট!
তোমার হয়তো এক মিনিটের জন্য মনে পড়বে!
এরপর আর মনেই থাকবে না!
আমি অবাক হয়েছিলাম সেদিন,
ভালোবাসার আবার ছেলে-মেয়ে কিসে!
কষ্টের আবার দাঁড়িপাল্লা হয় নাকি!
তুমি কি দাঁড়িপাল্লার ভার কমিয়ে দিয়েছো?
আমারটা কমলো না কেন?
এক মিনিট যে সারাজীবন হয়ে যাবে
সেটা বুঝিনি কেন?
আবার কি তবে শেষের শুরু হলো?
প্রতিদিনই কি হয়?
আজ তবে যাই?
প্রশ্ন করলে ফুরাবে না কখনোই
শুরুর কখনো শেষ হয় না যে!
* লেখাটি মোটেও কোন কবিতা না। কবিতা লেখার সামর্থ্য আমার নেই। বিগত বিশ মিনিটের ভাবনার ফসল মাত্র। ধন্যবাদ
* বানান ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আমি একবার লিখে ফেললে আর অপেক্ষা করতে পারি না এডিট করার জন্য
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২২
হালিমা সাদিয়া বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সময় নিয়ে এত বড় একটি লেখা পড়ার জন্য।
ভালোবাসার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রচন্ড সুখী একজন মানুষ। একজন বন্ধুর কথা শুনেছিলাম সেদিন, এরপর খুব অনুভব করছিলাম তার কষ্টগুলো। অনুভূতিগুলো লিখতে না পারলে আমার খুব অস্থির লাগে।
একজন না, আমার বেশকয়েকজন বন্ধুর মনের কথা এগুলো। তারা বলেছিলেন কোন একসময়ে, আমি সেগুলোই একটু অন্য ঢংয়ে লিখেছি।
অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ। আপনার ব্লগও ঘুরে আসলাম, সময়ের অভাবে শুধু শিরোনাম পড়ে ফিরতে হলো। আবার যাবো, পুরোটা পড়তে; শিরোনামগুলো ভালো লেগেছে।
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: হালিমা সাদিয়া ,
"....আটপৌরে শাড়ীর মতো গায়ে জড়ালে
ভালোবাসাও নাকি ছিঁড়ে যায়!..........."
আর -
"আজ তবে যাই?
প্রশ্ন করলে ফুরাবে না কখনোই
শুরুর কখনো শেষ হয় না যে! "
কবিতা হয়নি বলেছেন , তবে উপরের স্তবক দু'টিতেই কবিতা হয়ে গেছে ।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২১
হালিমা সাদিয়া বলেছেন: আমার পড়া শুরুই হয়েছে গদ্য দিয়ে। শুরুর দিকে কবিতা একদমই পড়তে চাইতাম না। মনে হতো, কবিতা আমার মতো পাঠকের জন্য নয়, একটু উচ্চশ্রেণীর পাঠকের জন্য; যারা উপমা বোঝেন, ভাব বোঝেন এবং সবচেয়ে বড় কথা বাংলার উপর বেশ দখল রাখেন।
ইদানীং এক ছোট ভাইয়ের কবিতাপ্রীতি দেখে নিজেরও একটু আধটু ইচ্ছা হচ্ছে কবিতা পড়ার। পড়তে এসে আবারো সেই ধারণাতেই ফিরে যাচ্ছি, আমি অত ধৈর্য্যশীল পাঠক নই এবং বাংলার জ্ঞান খুবই নগণ্য। কবিতা যারা লেখেন, ভাব মেলাতে পারেন তাঁদের অবস্থান আমার কাছে আরো উঁচুতে। এইজন্য, লেখাটিকে কবিতা বলতে প্রচণ্ড দ্বিধা আমার
তারপরও আপনার যদি মনে হয়ে থাকে এটি কবিতা, তবে তা-ই সই! যিনি লিখছেন তার যেমন স্বকীয়তা আছে, যিনি পড়ছেন তারও স্বকীয়তা আছে। পাঠক তার নিজের স্বকীয়তার কারণে যদি লেখকের স্বকীয়তারও বাইরের কোন অর্থবহ কিছু খুঁজে পান, তবে সেটাকেই আমি আমার সবচেয়ে বড় স্বার্থকতা বলে ধরে নেবো।
ধন্যবাদ
৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমার কাছে কবিতা সেই কিছু শব্ধ আর ছন্দ ও ভাবের সমন্ময়ই কবিতা। ছন্দ ওঠে যেতে পারে কারণ আজকার গদ্যকবিতাই জনপ্রিয় বেশি। ভাব আর শব্ধত আছে। লিখাটি একটি কবিতা। ভাল লাগল অনেকগুলো স্তবকে একটি বিশাল জীবনের কিছু কথা বলে যাওয়া। ভাল লেগেছে।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪৮
হালিমা সাদিয়া বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সময় নিয়ে এত বড় একটি লেখা পড়ার জন্য।
কয়েকজন বন্ধুর ব্যক্তিগত অনুভূতি নিয়ে লেখা, একজনের জীবন নয়। এমন হতে পারে যে আমি আমার দৃষ্টি দিয়ে দেখেছি বলে অনুভূতিগুলো একই রকম মনে হচ্ছে বা একজীবনের মনে হচ্ছে।
৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫
বিজন রয় বলেছেন: ২০ মিনিটেই এত বড় কবিতা!! তাও এমন সহজ-সরল-সুন্দর গুছিয়ে!!
আপনাকে ধন্যবাদ দিয়েই রাখলাম।
এই কবিতার চিরন্তন ভাবটি হলো কোন কিছুই অতিরিক্ত ভাল নয়।
অনেক ভাললাগা রইল কবিতায়।
আপনার জন্য শুভকামনা।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৬
হালিমা সাদিয়া বলেছেন: এত বড় লেখাটি সময় নিয়ে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
একদম বিশ মিনিটেই ভাবনা এসেছে তা বলবো না। কিছুদিন আগে এক ছোটভাই নাটকের মহড়া করছিলো। সেখানে কবিতার কিছু লাইনের মধ্যে ছিল, "তুই কি আমার দুঃখ হবি?" আমি হুট করে বলেছিলাম, ধ্যাত! মানুষ কেন দুঃখ হবে! (আমি কবিতা সম্পর্কে একদমই অজ্ঞ) ও তখন সুন্দর করে বুঝিয়ে বলেছিলো, আপু দুঃখ হওয়ার কথা বলেনি, দুঃখ ভাগ করে নেয়ার কথা বলেছে। এরপর তিনজন বন্ধুর জীবনে ঘটে যাওয়া ছোট ছোট কিছু ঘটনাকে মিলিয়ে প্লটটা মাথায় ঘুরছিলো, তবে কম্পিউটারে না বসলে আমার ঠিক কাগজে কলমে লেখা হয়ে ওঠে না। লেখাটা বিশ মিনিটেই লিখেছি।
আবারো ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭
সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: হুম, লিখাটা কেবলই কবিতা না। মনের ভিতর পুষে রাখা অভিমানী আবেগগুলো কলমের নিব বেয়ে অক্ষরর অক্ষরে সজ্জিত হয়ে কবিতার রূপ নিয়েছে। আমার একটা কবিতাও এভাবে অল্প সময়েই জন্মেছিল। অনেক আগের কথা। ফেসবুকে দিয়েছিলাম সাথে সাথে। আপনার লিখার কাছে যদিও সেটা কিছুই না, তবে আপনার লিখায় তুলে ধরা অনুভূতিগুলোর সাথে অনেক মিল ছিলো।
প্রতিদিন নাকি ভালোবাসতে নেই!
আটপৌরে শাড়ীর মতো গায়ে জড়ালে
ভালোবাসাও নাকি ছিঁড়ে যায়!
ভালোবাসাকে বেনারসি শাড়ীর মতো
আগলে রাখতে হয়।
এই উপমাটা অন্যরকম ভালো লাগলো। লিখালিখি চালিয়ে যান। শুভকামনা রইল।