![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাবিনী কোনদিন,
দেখা হবে তার সাথে।
এ অবেলায় ,
নদীর তীরে।
পাকা ডালিমের মত,
মুকখানা তার।
শুকিয়ে চৌচির,
জ্যৈষ্ঠের খররৌদে।
যৌবনে তাহার ,
পড়েছে ভাটা।
মায়াহীন রুক্ষ ,তার
লোচন জোড়া।
ফিটফিটে শরীর,
শুকিয়ে তরু।
শাড়ীর আচলে,
কুন্তল ঢাকা।
হাতেতে স্যুট-কেচ,
পায়ে চটি জোড়া।
দু’হাতে কাকন,
কপোলে অশ্রু রেখা।
গভীর নয়নে ,
তাকিয়ে সে গাঙ্গেঁ।
অথৈ জলে,
বালা গুলো চূড়ে মারে।
মনে আছে ওরে,
শেষ দেখেছি তারে।
কুড়ি বছর আগে ,
আমার ঘরে।
নীল শাড়ি আর,
মাটির গহনা।
চুলে দুটি বেনী ,
লাল ফিতে বাঁধা।
নূপুর জোড়ার,
মৃদু শব্দে।
ডাকতো আমায় সে,
নদীর ধারে।
সন্ধ্যা ঘনাতো যখন,
দরিয়ার তীরে।
চিমটি কেটে পালাতো ,
সে আমায় রেখে।
আজ সে অবেলায়
কেন এই নদীরধারে
কাছে গিয়ে,
ইচ্ছে করে জানতে।
হঠাৎ সে ডাকিয়া কহিলো।
ঐ যে দরিয়া,
আমায় নিয়াছে কেড়ে।
শৈশব, কৈশর আর,
যৌবন থেকে।
স্বপ্ন আর,
সুখের গালীচায়।
ভরপুর আজ,
সেথায় মরিচিকায়।
তাহার নয়ন জোড়ায়,
টলমল করে জলে।
দেখী আমি এই,
গোধূলীর আবছা আলোয়।
হঠাৎ আমায় জড়িয়ে,
সে বলে।
দাও গো.. .. বিদায়,
আর ফিরবোনা এধরায়।
পারিনী গো বাঁধতে,
আমার নয়ন দুটিকে।
কেন জানি আজ,
অশ্রু ঝরছে অঝর ধারায়।
সে যাচ্ছে চলে,
ধুলার সাথে মিশে।
আমি আছি দাড়িয়ে,
তার হতে অনেক দূরে।
চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে।
তোমায় বাসি ভালো,
এখনো আগের মতো।
একটুও বদলাইনী,
সয়েছি দুঃখযত।
©somewhere in net ltd.