![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাতারের ওপর অাকস্মিক যে চোট পড়েছে তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গত মে মাসে রিয়াদে ‘তলোয়ার নৃত্য’র সময়ই ঠিক করা হয়েছিল। তাছাড়া এই সফরে ১১ হাজার কোটি ডলারের সমরাস্ত্র চুক্তি হয়। সফরে আসার আগে এই অঞ্চলের ব্যাপারে ভালোভাবে অবগত ছিলেন না ট্রাম্প। উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র কাতার সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের মূল হোতা বলে জানানো হয় ট্রাম্পকে। এ ধরনের তথ্য পাওয়ার পরও তিনি কাতারের কাছে মার্কিন অস্ত্রের সুন্দর বাণিজ্যের প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেন। কারণ হয়ত এটিই যে, কাতারেই সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। এরপর কাতারি সংবাদমাধ্যম হ্যাকিংয়ের শিকারের ঘটনার পরপরই সৌদি অারব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মিসর, ইয়েমেন (দেশটির সরকারের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা নেই বললেই চলে) এবং লিবিয়া (দেশটির আংশিক শাসনের দাবিকারী সরকার) কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। তবে সৌদি আরবের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানসহ হিজবুল্লাহ, হামাস ও মুসলিম ব্রাদারহুডের মতো সংগঠনকে কাতারের সমর্থন নিয়ে রিয়াদের উদ্বেগই বেশি দেখা যায়। এটা কি কেবলমাত্র একটি কাকতালীয় বিষয় যে, ইরানকে প্রতিহত করতে ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির মনোভাব মিলে গেছে? এছাড়া আরেকটি দাবি আছে যে কাতারকে অবশ্যই আল-জাজিরা টেলিভিশন নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে, যদি বন্ধ করা না হয়। মধ্যপ্রাচ্যের এই নজিরবিহীন সংকটে কাতারের পাশে দাঁড়ানোর প্রস্তাব এসেছে ইরান, তুরস্কের কাছে থেকে। কাতারকে প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে এ দেশ দুটি। কাতারের জবাব দেয়ার অনেক কিছুই আছে কিন্তু কপটাচারী সৌদি আরব বিচারকের ভূমিকায় খুব কমই উপযুক্ত। এইযেন দাজ্জালি ফেতনার প্রতিচ্ছবি। মুসলিম নিধনই যেন তাদের উদ্দেশ্য। সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রর সেবাদাসে পরিণত হয়েছে। যে কাতারকে উদ্ধারের জন্য ইরাককে ধ্বংস করা হয়, আজ সেই কাতারকেই ধবংশের পায়তারা চলছে।
২| ১৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৪৮
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকানদের সবচেয়ে বড় বিমানঘাটি অবস্থিত।। সুতরাং একটিই ভাবার বিষয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যই একটি বিশাল দাবার বোর্ড।।
৩| ১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৫৯
নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: "যে কাতারকে উদ্ধারের জন্য ইরাককে ধ্বংস করা হয়, আজ সেই কাতারকেই ধবংশের পায়তারা চলছে"
এটা পুরনো বিলাতি চাল। কুয়েত উদ্ধারের নামে ইরাকে আগ্রাসন চালানো হল। প্রথম বিশযুদ্ধের পর তুর্কি আর আরবদের মধ্যে লাগিয়ে দেয়া হল। এখন এই পরিস্থিতিতে একজন চেঙ্গিস-হালাকুর খুব প্রয়োজন মুসলিম দুনিয়ার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৩২
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: সৌদি বাদশাহ এর নামে এতদিন অনেক রুপকথা চালু ছিল।তাদের আসল চেহারা এবার প্রকাশ পেল। এরা ইসরাইল এর সহচর।