![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাবা মা'র একমাত্র সন্তান রিহান।সে এবার ssc exam দিছে।সামনে লম্বা ছুটি,কোথায় ঘুরবে,কোথায় অবসরে থাকবে তা নিয়ে বাবা মা টেনশনে আছে,তারা সবসময় ছেলের মঙ্গল কামনা করে।কখনো ছেলের লালনপালন এ ত্রুটি হয়না বাবা মা'র।বাবা ব্যাংকের ম্যানাজার,মা গৃহিণী।বাবা টাইম টু টাইম মায়ের কাছে ফোন করে ওর খবর নেবে। বাবা মা সিদ্ধান্ত করেছে এবার লম্বা ছুটিতে রিহান তার দাদা দাদির সাথেই কাটাবে।এতে রিহানের কোনো মতামত নেই।কেননা সে তার পিতামাতারর আদর্শে গড়া সন্তান।সকাল ন'টা বাজে রিহান ঘুমের ঘরে মরা।মা রিহানকে দ্রুত ডেকে উঠালো। কেননা আজ সে গ্রামে দাদার বাড়ি যাবে,সময় মত স্টেশনে না গেলে ট্রেন ছেড়ে দিবে।রিহান দ্রুত রেডি হয়ে নিল,বাবা মায়ের সাথে নাস্তা সেরে নিল।মায়ের হাত থেকে গুছানো ব্যাগ ও মুঠোফোন নিয়ে বাবা মাকে সালাম দিয়ে বেরিয়ে পড়লো।স্টেশনে ট্রেন এখনো আসেনি।মিনিট ত্রিশ অতিক্রম করার পর ট্রেন আসলো। স্টেশনে জ্যাম একটু বেশিই ছিল তাই সে দ্রুত উঠে পরলো।দ্রুত সিট দখল করে নিল।ট্রেন মিনিট পাঁচেক পর ছাড়বে তাই সে হেডফোন বের করে মিউজিক শুনতে লাগলো।চোখে ঘুম একটু বেশিই ছিল তাই ঘুমিয়ে পড়লো রিহান।একটি মেয়ে এসে তার পাশের সিটে বসলো। কিচ্ছুক্ষণ পর মেয়েটিও ঘুমিয়ে পড়লো।তার সিটে দ্বিতীয় কেউ ছিল সেটা খেয়াল করেনাই ছেলেটি।ছেলেটি ঘুমে হঠাৎ মেয়েটির কাধে হেলিয়ে পড়লো।মেয়েটি অনেকবার সরিয়ে ও দিয়েছিল ছেলেটি ঘুমে বুজতে পারিনী।মেয়েটি বিরক্ত হয়ে জোরে ধাক্কা দিল। ছেলেটি পরে যাবে সিট থেকে অমনি মেয়েটি ছেলেটির হাত ধরে টান দিল,ছেলেটি নিজেকে কন্টোল করতে না পেরে ঝাপটে ধরলো মেয়েটিকে।মিনিট খানেক যাওয়ার পর ছেলেটি তার স্বস্তি ফিরে পেল।তাকে সরি বললো।মেয়েটি সুযোগ পেয়ে এক নাগালে শাসন করে গেল আর ছেলটি ও তার দিকে হা করে তাকিয়ে থাকলো।কতক্ষণ পর মেয়েটি বললো কিছু বুজলেন।ছেলেটি মাথা নেড়ে না সম্মতি জানালেন। মেয়েটি তার কারন জানতে চাইলে ছেলেটি বললোঐ রুপের তরে সব ভুলেই গেলাম। লজ্জা পেয়ে মেয়েটি জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে রইল।
মেয়েটি হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়লো।ছেলেটি মেয়েটির সাথে বিভিন্ন রকমের সেলফি তুলল তার অজান্তে।ছেলেটি আর ঘুমালোনা,ঘুম,টাও যেন মাটি হয়ে গেল।এক নাগালে দেখতে দেখতে কখন ঘুমিয়ে পড়লো টেরই পেলনা ছেলেটি।মেয়েটি ঘুম থেকে সন্ধায় উঠে দেখে আগের সেই অবস্থায় ঘুমচ্ছে ছেলেটি।রাগ করতে পাড়লো না।মাথার চুল গুলোতে আলতে করে হাত বুলাচ্চে মেয়েটি।হঠাৎ ছেলেটি জেগে উঠলো,আর বলে ফেলল সরি।কেননা আবারও সে একই ভুল করেছে।মেয়েটি অপর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো।মেয়েটি হাত মুখ ধুয়ে আসলো।ছেলেটিকে বললো হাত মুখ ধুয়ে আসতে।ছেলেটি এসে দেখে সামনে দুটি খাবারের প্লেট।বসো,,,,মেয়েটির কথায় বসে পড়লো।মেয়েটি খাওয়া শুরু করে দিল,ছেলেটি তার দিকে হা করে তাকিয়েই রইলো।খাও,,,,,মেয়েটি বললো,ছেলেটি স্বস্তি ফিরে পেল।ছেলেটি বলল আমি খেতে পারিনা।তাহলে খাও কিভাবে?আম্মু খাইয়ে দেয়,অবুজ বালকের মত এন্সার।মেয়েটি কিছু ভেবে বললো আমি খাইয়ে দিবো?হ্যা,,,,,মাথা নেরে সম্মতি দিল।প্রতিটি খাবার মুখে দেয় ছেলেটির প্রতি মেয়েটির মায়া ততই বেড়েই চলছে।খাওয়া শেষে নিজের ওড়না দিয়ে মুখ মুছে দিল মেয়েটি।ছেলেটি অবাক!হঠাৎ মেয়েটি জিজ্ঞেস করলো,তোমার নাম কি?আমার?হ্যা,রিহান,কি করো?পড়ালেখা,কিসে পড়ো?ক্লাশ টু,,,,,,,, :3What?না মানে ssc শেষ।ও ,,,কোথায় যাবে?রসুলপুর,বানা কোথায়?ঢাকাতে,রসুলপুর কে থাকে?দাদা দাদি থাকে,বাবা মা সহ আমি ঢাকাই থাকি।ও!তোমার নাম কি?,,,,,,,,,,,স্টেশনে ট্রেন থেমে গেল।মেয়েটি বায় বলে ছেলেটির থেকে বিদায় নিয়ে নেমে গেল। ছেলেটি টা টা দিচ্চে আর হাত নাড়ছে। আসলেই কিছু ভালোবাসা ক্ষনিকের জন্যই আসেআবার চলে যায়।তবে মিস কররার মত কিছু সৃতি রেখে যায়।
©somewhere in net ltd.