![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সামিহা নামের এই মেয়েটিকে অনেক ভালোবাসি তবে সে ভালোবাসে কিনা তা আমি জানিনা। আমি জানি আমার ভালোবাসা ও কখনো ফিরিয়ে দিবে না। ওকে ভাবতে ভাবতে কিছুক্ষন পর ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুমের মধ্যে ও চলে এলো। একটি পার্কের কোণে তাকে আমি কিছু বলার চেষ্টা করছি,,,,,,,
আমি:-সামিহা তোমাকে অনেক দিন ধরেই একটা কথা বলবো বলে ভাবছি।
সামিহা:-বলে ফেল মানা করলো কে?
আমি:- না মানে যদি তুমি অভয় দাও তো বলতে আমি পারি?
সামিহা:- আচ্ছা ঠিক আছে বলো
আামি:- আমি না তোমায়,,,,
সামিহা:- কি হলো?
আমি:- আমি না তোমায়,,,,,,,,,,,,,,,,,
ঘুমটা ভেঙ্গে গেল বাবার ডাকে।
ওকে প্রপোজ করার জন্য আমি প্রতিনিয়ত প্রাকটিস করে যাচ্ছি। একদিন না একদিন আমি তো সাফল্য অর্জন করতে পারবোই নিজের প্রতি সেই কনফিডেন্স রাখলাম। সেদিন ওকে ফোন দিয়ে ডেকে আনলাম পুচকা খেতে। ও ফুচকা খেতে ভালোবাসে সেটা আমি জানি বলেই আজ ওর জন্য এ আয়োজন। খানিকটা সময় পর ও আসলো। সব কিছু আগ থেকেই রেডি করা শুধু এখন ও আসলেই বলে ফেলবো আমার মনের কথা।
আমি:- কেমন কাটছে তোমার দিন কাল?
সামিহা:- ভালো,
আমি:- কোথায় যাবে মনে হয়?
সামিহা:- মানে কি!!! তোমার উদ্দেশ্য এখানে আশা আর তুমি বলছো কোথাও যাবো নাকি।
আমি:- তোকে আগের মতো রাগাতে ভালোবাসি তো তাই বললাম।
সামিহা:- আর রাগাতে হবে না ফুচকার অর্ডার দে।
আমি:- তোর কি আগের সেই অভ্যাসটা এখনো যায়নি?
সামিহা:- কোনটা?
আমি:- এই যে কারো কাছ থেকে খুজে খাওয়া।
সামিহা:- ও এটা!! এটা তো আমার নিত্য দিনের অভ্যাস।
আমি:- তো বাসায় আংকেল আংটি ওরা সব ভালো আছে তো।
সামিহা:- তোরে কমু কেন রে (একটু রাগের মুখে)
আমি:- না মানে আমি তো জিজ্ঞেস করতেই পারি তাতে সমস্যা কি?
সামিহা:- না সমস্যা নাই। আচ্ছা যার জন্য তুই ডেকেছিলি বল কি বলবি।
আমি:- না মানে ইয়ে ,,,
সামিহা:- কোন ইয়ে নেই যা বলার সরাসরি বল।
আমি:- আমার মনে নেই আরেকটু সময় দে আমি মনে করে বলছি।
সামিহা:- আর সময় দেয়া লাগবেনা বাবা ফোন দিয়েছে আমি এবার যাচ্ছি পরে ফোনে বলে দিস।
আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে।
তার “ক” দিন পর,,,,,,,,,,
আজ সামিহার বার্থডে ওকে আজ আমি আমার ভালোবাসা সারপ্রাইজ দিবো। গত রোজার ঈদে বাবার দেয়া নীল শার্টটা আজ পরিধান করলাম।
আয়নাতে দেখলাম নিজেকে বেশ ভালো ই লাগছে একদম শাহরুখ খানের মতো। আমার ভেতরের আতœা আমাকে বলতে লাগলো হিমেল তোকে না আজ সেই লাগছে, একদম তোর সামিহার প্রেমিকের মতো। যা আজই সেই সময় যে সময়টার জন্যে তুই এতো দিন অপেক্ষা করেছিস। যা তোর ভালোবাসার কথা বলে ফেল সামিহার কাছে, আর গোপন রাখিস না, নিজেকে আর কষ্ট দিস না। আমার আতœার কথা গুলো আমার কাছে কাটার মতো গাতছে। আমি আর দাড়িয়ে থাকতে পারলাম না, বাবার জামার পকেট থেকে নেয়া সেই পাচঁশত টাকা নিয়ে চলে গেলাম বাজারে। বাজার থেকে একটা ক্ষুদে গিফট কিনলাম ওর জন্যে। ওর বাসায় আজ নানান দেশের নানান মানুষ আজ আমি আমার মনের কথা বলবোই সামিহাকে একথা মনে মনে পণ করে রওনা হলাম তার বাসার দিকে। ওর বাসায় আজ অনেক মেহমান।ওর বিভিন্ন আতœীয়রা ওর বার্থডে উইস করতে এসেছে। ওদের হাতে রাখা যে দামি গিফট গুলোর কাছে আমার গিফট কিছুইনা। আমি জানি সামিহার কাছে আমার গিফটার দাম ওনেক বেশি। সামিহার সাথে দেখা করলাম গিফটা দিলাম। খুশি হলো আমার আসাতে। কেক কাটা হলো ওকে আমি খাইয়ে দিলাম ও আমায় খাইয়ে দিল। আমি সাথে সাথে ফেছন থেকে ফুল গুচ্ছ নিয়ে ওকে সবার সামনে প্রপোজ করলাম (ও খড়াব ণড়ঁ ঝধসরযধ) আমি তোমায় আমার জিবন থেকেও বেশি ভালোবাসি তোমায় ছাড়া আমি আমার জিবন কল্পনা করতে পারিনা। সবাই তো অপাক আমি কি পাগল হলাম নাকি? সামিহা আমার উদ্দেশ্য বলতে লাগলো,,,,,,
সামিহা:- আমি কখনো তোমাকে বলেছি আমি তোমায় ভালোবাসি?
আমি:- না বলো নাই কিন্তু আমি জানি তুমি আমায় অনেক ভালোবাসো। তোমার সাথে থাকা প্রত্যেকটা মুহুর্তকে আমি আমার ভালোবাসার আখিঁ দ্বারা দেখেছি।
সামিহা:- তুমি দেখতে পারো বাট আমি না
আমি:- কেন সামিহা আমার ভালোবাসা কি তোমার কাছে কোন মূল্য নাই ?
সামিহা:- না,,, তোমার ফ্যামিলি স্টাটিজ আর আমার ফ্যামিলি স্টাটিজ কখনোই মিলে না তোমার বাবা সামান্য একজন টিচার আর আমার বাবা একজন শিল্পপতি। আমি শিল্পপতির মেয়ে হয়ে তোমার সাথে ভালোবাসা বিয়ে এটা কখনোই আমি মেনে নিতে পারি না। তুমি চলে যাও কখনোই এই আবদার নিয়ে আমার কাছে এসোনা।
আমি:- হ্যাঁ আমি যাচ্ছি তবে চিরদিনের জন্যে আর কখনোই তোমার কাছে আমি ভালোবাসার দাবি নিয়ে আসবোনা।
পরদিন খবরের কাগজে বড় বড় করে হেডলাইন দিয়ে লিখা গলায় ফাসঁ দিয়ে হিমেল নামে এক অকাল যুবক মৃত্যুবরণ করলেন।
©somewhere in net ltd.