নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাসান রাব্বি

সময়ে অসময়ে পরিবর্তনশীল।

হাসান রাব্বি › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন কবি ও সাহিত্যে অশ্লীলতা প্রসঙ্গে

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫৬

আমি সাহিত্যবোদ্ধা নই কিংবা সাহিত্যের সমালোচকও নই।আমি এক নগন্য মধুকর।সাহিত্যের রস আস্বাধন করার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা করি।যার কারণে সাহিত্যালোচনা ও সাহিত্য সম্পর্কিত বিষয়ে একটুখানি মনোনিবেশের চেষ্টা করি।এর ফলে সম্প্রতি অনলাইনে সাহিত্যবোদ্ধাদের কবিতায় অশ্লীলতা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষের বাক্য বয়ান লক্ষ্য করলাম।

সাহিত্য কি শুধু রস আস্বাধনের বস্তু।নাকি সামগ্রিক জীবনাদর্শনের প্রতিফলন?আমার মতে সাহিত্য হচ্ছে সামগ্রিক জীবনাদর্শের প্রতিফলন।কবি কিংবা লেখকের কর্ম হচ্ছে সামগ্রিক জীবনাদর্শনকে কালির চাপে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়া।যাতে রচিত হবে মানব মনের আকাংঙ্খা থেকে শুরু করে হাসি-কান্না,বিপর্যয়-বিষন্নতা,প্রেম-কামাবেগ।যাতে রচিত হবে নির্মল সৌন্দর্য,স্বপ্নের দীপশিখা। জ্বলে উঠবে অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে কিংবা জনতার দাবী আদায়ের কন্ঠস্বর হয়ে।সেটাই সাহিত্য।



ব্যক্তি মানুষ আর সৃষ্টিকর্ম এক হতে পারে না।সৃষ্টিকর্ম যদি আস্বাধনে যোগ্য হয়।তবে কি সেটা পান করা শ্রেয় নয়?

ব্যক্তি মানুষের অসংখ্য অপরাধ থাকতে পারে।সে লুচ্চা,ভন্ড এমন কি প্রতারকও হতে পারে।অসৎ মানুষকে ত্যাগ করাই শ্রেয়।আর সে যদি জাতির দুশমনের চর হয়।তবে তাকে ত্যাগ করা আবশ্যক হয়ে পড়ে।



কবিতায় অশ্লীলতার কথা বলতে গেলে।প্রথমে বলতে হবে অশ্লীলতা কি?আমার মতে সেটাই অশ্লীলতা,যা সমাজে অশ্লীল বলে গণ্য।কিন্তু,বলার কিংবা কথার ঢংগে অশ্লীল মাঝে মাঝে অশ্লীল থাকে না।সেটা হয়ে ওঠে আনন্দের খোরাক কিংবা রসব্যঞ্জক।যেমন,বর্তমানে বাংলাদেশে শালা শব্দটাকে অধিকতর ব্যবহার করি।শালা এক অর্থে স্ত্রীর ছোট ভাইকে শালা বলে,আবার শালা শব্দটাকে গালি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।কিন্তু,শালা নামক গালিটা আমরা আজ আর গায়ে মাখি না।

সাইয়েদ জামিল'র কবিতায় যে শব্দগুলো অশ্লীর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।সেটা হয়ত শালা নামক গালিটা থেকে ভয়াবহ।কিন্তু,কবি তার কবিতায় সে সব শব্দগুলোকে কিভাবে চয়ন করেছে।সেটা দেখার বিষয়।আমি পূর্বেই বলেছি,অশ্লীল অনেক সময় আনন্দের খোরাক কিংবা রসব্যজ্ঞক হয়।

প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিকরা চোদা,ভোদা,হোগা,পোদ ইত্যাদি শব্দগুলোকে তাদের লেখনীতে ব্যবহার করে অন্যমাত্রায় নিয়ে গেছেন।যা রসব্যজ্ঞক ও পাঠক মনে আনন্দের সঞ্চার করেছে।যদি সে সময়ে তাদের কেউ কেউ সমালোচনার শিকার হয়েছেন এবং মামলা মোকদ্দমায় পড়েছেন।



মোদ্দাকথা হল,যদি সাহিত্যে রস না থাকে।তবে পাঠক কিসের লোভে শব্দ আওড়াবে।পাঠকহীন সাহিত্যের মূল্যই বা কতটুকু?



আমি ব্যক্তিগত ভাবে ব্যক্তি সাইয়েদ জামিল'কে ত্যাগ করলাম।কারন,তিনি দেশের দোসর রাজাকারদের পক্ষের(যতটা আমি জনি)।আর দেশে বিরুদ্ধাচারীদের সাথে আমি সজ্ঞানে কখনো মোলাকাত করিনা এবং করবো না।



আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় সাহিত্য সম্পর্কিত কিছু লেখার চেষ্টা করেছে।ভুল-ত্রুটিগুলো ক্ষমা করবেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:০৪

কাহাফ বলেছেন:
সাইয়েদ জামিল রাজাকারদের লোক হলেও চেতনাময়ী শব্দ লিখেছে তাই ওর হয়ে দালালী করতে দোষ নাই!!!

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮

হাসান রাব্বি বলেছেন: রাজাকারের পক্ষের দালালী করার কোন প্রশ্নই উঠে না।অন্যদিকে মূল বক্তব্যটা কিন্তু সাইয়েদ জামিলের কবিতা নয়।বক্তব্যটা হচ্ছে,সাহিত্যে অশ্লীল শব্দগুলো প্রয়োগের দৃষ্টিভঙ্গি ও সেটা প্রয়োগের মাধুর্যতা।#কাহাফ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.