নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ধূমমাত্র; তবু উত্থান আমার জ্বালাময় অগ্নি থেকে।

হাসান মাহমুদ চৌধুরী

হাসান পা

হাসান মাহমুদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিনিয়র বিড়ম্বনা : বাস্তবিক ভাবনা

১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩

স্কুলটি সহশিক্ষা মুক্ত অর্থাৎ বয়েজ স্কুল। যার কারণে স্টুডেন্টরা সারাক্ষণ পড়ালেখা কিংবা খেলাধূলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে আর বড় বড় স্বপ্ন দেখে।
.
স্কুলের কাছেই সে ঐতিহাসিক কলেজ। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন পড়তে আসে সেখানে। কিন্ত স্কুলটির স্টুডেন্টদের এক প্রকারের এলার্জি কাজ করে কলেজটির প্রতি। বিশেষ করে ছেলে মেয়ে এক সাথে আড্ডা দেয়া কোনভাবেই মেনে নিতে পারেনা তারা। কলেজটির সুন্দর একটি নাম থাকলেও স্কুলের স্টুডেন্টদের কাছে সেটি "প্রেম কলেজ" নামেই পরিচিত।
.
একবার সে কলেজের কমনরুমে ইন্টারমিডিয়েট সেকেন্ড ইয়ারে পড়ুয়া ছেলেরা স্কুলটির নবম শ্রেণীর এক ছাত্রকে এলোপাতাড়ি পিটাচ্ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, ছেলেটির নাম আবিদ। তার সাথে সেকেন্ড ইয়ারের জেরিন নামের এক মেয়ের রিলেশন ছিল যা রোমিওরা মেনে নিতে পারছেনা। তারা জেরিন কেও অপমান করল প্রচুর। বাইরের কোন ছেলে এসে কলেজের পরিবেশ নষ্ট করবে, তা কখনোই হতে দিবেনা। একথা জেরিনকে সাফ জানিয়ে দেয়া হল।
.
জেরিনের আর এইচ-এস-সি পরীক্ষা দেয়া হয়নি। এ ঘটনার অল্প কিছুদিনের মধ্যে লন্ডন প্রবাসী এক যুবকের সাথে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হল সে।
.
অন্যদিকে মাইর খেয়ে আবিদের সকল আবেগ উধাও। লেখাপড়ায় মন দিয়েছে সে। দেখতে দেখতে অনেকগুলো মাস কেটে গেল।
.
দশম শ্রেণীর টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে বের হবার পর, প্রেরকের নাম ঠিকানা বিহীন একটি চিরকুট আসল আবিদের কাছে। চিরকুটে লেখা ছিল, "হওয়ার কথা বাবা, হইয়া গেলা মামা"। এ কথার রহস্য উদঘাটন করতে পারল না সে।
.
এরপর কেটে গেল অনেকগুলো বছর। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে মাস্টার্স শেষ করে, পিএইচডি করার উদ্দেশ্যে সে চলে গেল জাপান।
.
দেশে আসার পর একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করল সে। এদিকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে লাগল তার পরিবার। মেয়ে দেখা ও শুরু করে দিল তারা।
.
অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘঠিয়ে বিয়ের পীড়িতে বসল আবিদ। পাত্রী সদ্য এইচএসসি পাশ করা কিশোরী।
.
বিয়ের সমস্ত কার্যক্রমের শেষ পর্যায়ে পাত্রীর মা আসল, মেয়েকে আবিদের হাতে তুলে দেয়ার উদ্দেশ্যে।
শ্বাশুড়ির চোখের দিকে তাকাতেই মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। মধ্যবয়সী এই মহিলাকে চিনতে মোটেও অসুবিধা হচ্ছেনা তার।
দুজনেই বাকরুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকল একে অপরের দিকে........

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:০১

কাজী শাহ এমরান বলেছেন: জটিল .........................................

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: কি শুনাইলেন ভাই.................

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৯

সাব্বির ০০৭ বলেছেন: B:-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.