![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যেকটি মহুর্তে আমরা একটু একটু করে বেড়ে উঠছি শরীরিক এবং মানসিকভাবে। আমাদের উপলব্ধি গুলো পরিবর্তিত হচ্ছে। চেঞ্জ হচ্ছে মাইন্ড পারচেপশন।
একটা সময় ছিল লুডু কিংবা ক্যারাম খেলতে বসলে সারাটি দিন চলে যেত কিন্ত ইন্টারেস্ট বিন্দুমাত্র কমত না। অথচ এখন কেউ জোড় করে এসব খেলতে বসালেও সর্বোচ্ছ ৫মিনিট খেলা হবে, কারণ আমার মস্তিষ্ক বলবে এসব লস প্রজেক্ট।
অর্থাৎ ধীরে ধীরে আমাদের একটা পরিপক্কতা আসতেছে। কোন একটা কমন বিষয় এখন যেভাবে চিন্তা করি গতমাসে সেভাবে চিন্তা করতাম না। গতবছর হয়তো আরো ব্যতিক্রম ভাবে চিন্তা করতাম। ইস্ট্রোজেন কিংবা টেস্টেস্টটেরন নিঃসরণেরও একটা হার আছে। এটি বয়সের সাথে পাল্লা দিয়ে চলে।
অনুভূতি গুলোও বয়সের সাথে পাল্লা দিয়ে পরিবর্তিত হয়।
.
সদ্য জন্ম নেয়া একটা শিশু সবকিছুতে অন্যের সহায়তা চাই। প্রস্রাব কিংবা আবর্জনা থেকে সে নিজেকে মুক্ত করতে পারেনা। খাদ্যের জন্যও সে অন্যের অধীন চাই। ধীরে ধীরে সে বড় হতে থাকে। একটা সময় সে নিজেকে কিছুটা স্পেশাল ভাবতে শুরু করে। তখন সে স্বধীনতা চাই, মুক্তচিন্তার স্বাধীনতা, যা খুশি বলার স্বাধীনতা, যা ইচ্ছা করার স্বাধীনতা।
সে নিজের অতীত কে ভুলে যায়। সে ভুলে যায় এই স্বাধীনতা যদি তাকে তার শৈশবকালে দেয়া হত তাহলে পৃথিবীতে তার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেত।
.
এখন তো প্রযুক্তির কল্যানে নিজেদেরকে আরো বেশি সেল্ফ-ডিপেন্ডেন্ট- ইন্ডিপেন্ডেন্ট জীব ভাবতে শুরু করেছে মানুষ। সে অনেক কিছু জানে, অনেক কিছু বোঝে। তার আগে যারা পৃথিবীতে এসেছিল তারা বেকুব, তাদের পরে যারা আসবে তারাও বেকুব। নিজেদেরকে এক অসাধারণ প্রজন্ম ভাবে।
কয়েকদিন আগে ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া এক ছোট ভাই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিছে "কিছু আবাল লিংকিং পার্কের সিল মাড়া গেঞ্জি পড়ে অথচ লিংকিং পার্ক কি জিনিস জানেনা। এসব আঁতেল কে কি করা উচিত" অর্থাৎ লিংকিং পার্ক চিনতে পেরে ছোট ভাই পৃথিবীর তাবৎ জ্ঞান অর্জন করে ফেলছে। লিংকিং পার্ক চেনাটা তার কাছে আধুনিকতা।
.
আচ্ছা গত একহাজার বছরের ইতিহাসে ভারত বর্ষ কিংবা প্রাচ্যের দেশগুলোতে এমন কোন এ্যবনরমাল শিশু কি জন্মেছে, যে শ্রেণী কক্ষে প্রবেশ করে তার সহপাঠী দের অস্ত্র চালিয়ে হত্যা করে নিজেও আত্নহত্যা করছে??
অথচ পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে এইরকম ঘটনা হরহামেশায় ঘটছে।
কারণ ভারতবর্ষ কিংবা প্রাচ্যের দেশগুলোতে এখনো পরিবারতন্ত্র আছে। এখানে ছোটরা বড়দের শ্রদ্ধা করে, এখানে কোন প্যারেন্টস ডে, ফাদার ডে, মাদার ডের প্রয়োজন হয়না।
.
যারা মনে করে পাশ্চাত্য মানেই স্মার্টনেস তাদের জন্য এক মিনিট নীরবতা, ৫ম শ্রেণী পড়ুয়া যেসব বালক-বালিকা এডাল্ট মুভি দেখে নিজেদের যথেষ্ট ম্যাচুরেট মনে করে তাদের জন্য ২ মিনিট নীরবতা। আর যেসব ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া বালক-বালিকা "in a relationship " স্ট্যাটাস দেয় তাদের জন্য ৩ মিনিট নীরবতা।
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩
হাসান মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন:
৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আসেন ছোটভাইদের সময় দেই, আমাদের চিন্তা ভাবনা, রুচি, নৈতিকতা শেয়ার করি। তাহলে হয়তো বা জেনারেশন গ্যাপ কমবে। সরব হয়ে উঠবে মুহূর্তগুলো।
৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: এত নীরবতা পালন করলে তো সারাজীবনই চুপ থাকতে হবে...
৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৭
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার গুছিয়ে লিখেছেন।
হুম ! ইদানিংকার পোলাপানদের কথাবার্তা-আচরণ দেখলে অবাক হয়ে যাই !!!
পোস্টে প্লাস।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
দরবেশমুসাফির বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে আমি ১ ঘণ্টার জন্য নিরব হয়ে গেলাম।