নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিচ্ছু নেই বলার মতো।এলোমেলো জীবন।যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াই।\'ভালো লাগা\'টাকেই প্রাধান্য দেই।

দূরের পথযাত্রী

কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে!!

দূরের পথযাত্রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

খরগোশ আর কচ্ছপঃ ঈশপের আধুনিক গল্প

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৮

মূলঃ স্টিফেন প্রাইম

একদা এক ছিল খরগোশ আর এক কচ্ছপ।
খরগোশটি লাল রঙয়ের ফেরারি ৫৫০ ম্যারানেলো গাড়ি চালাত আর সবসময় নিজের গাড়ির স্পিড নিয়ে গর্ব করে বেড়াত।
কচ্ছপ আর খরগোশ ঠিক বন্ধু ছিলনা যদিও তারা একই ভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছিলো এবং দুজনেরই চেনাজানা মানুষজন এক ছিলো।
তো একদিন খরগোশ কচ্ছপকে তার ভক্সওয়াগন জিটিআই ১.8 মডেলের গাড়ি নিয়ে ট্রাফিক লাইটে অপেক্ষা করতে দেখলো।
'হেই,কোথায় যাচ্ছ??'' খরগোশ তার গাড়ির রেডিওর বাজনা ছাপিয়ে কচ্ছপকে জিগ্যেস করলো।
'জঙ্গলের মধ্যে এক পার্টিতে'-কচ্ছপের জবাব।
হঠাৎ খরগোশ খেয়াল করলো যে কচ্ছপের পাশে এক সুন্দরী বসে আছে।সে তৎক্ষণাৎ মেয়েটিকে ইমপ্রেস করার জন্য নিজের গাড়ির শক্তি বুঝানোর চেষ্টা করলো।
'আমিও সেখানে যাচ্ছি' খরগোশ বললো।'চল তোমার সাথে রেস করি। যদিও জানি তুমি এই জন্মে আমার আগে সেখানে যেতে পারবেনা।'
'অকে।দেখা যাবে'-কচ্ছপ রাজি হলো।
দুজনেই রেডি হলো রেসের জন্য।খরগোশ এক মিনিটের মধ্যেই গাড়ির স্পিড ১১০ মাইল পার ঘন্টায় উঠালো।আর ধোঁয়া উড়িয়ে কচ্ছপকে পিছে রেখে অনেক দূর এগিয়ে গেল মুহুর্তেই।

'তুমি নিশ্চয়ই ওই গবেটটার সাথে রেস করতে যাচ্ছনা,তাই না??'' পাশে বসা মেয়েটা কচ্ছপকে জিগ্যেস করলো।
কচ্ছপ বললো-''অবশ্যই না।আমি শুধু ও যাতে আমাদের ফলো না করে সেজন্য এই কথা বলেছি।''দুজনে এই নিয়ে বেশ কিছুক্ষন প্রাণখুলে হাসলো।

এরপর ওরা যখন পার্টিতে পৌঁছল বিস্ময়ের সাথে খেয়াল করলো যে সেখানে খরগোশের টিকিটাও দেখা যাচ্ছেনা। এবং বুঝতে পারলো খরগোশ নিশ্চয়ই ভুল পথে চলে গেছে।
পরে তারা আবিষ্কার করলো যে খরগোশের দফারফা হয়ে গেছে।সে এক পরিবারের উপর গাড়ি উঠিয়ে দিয়েছিলো।বিপদজনক গাড়িচালনা ও অনিচ্ছাকৃত নরহত্যার জন্য তাকে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হয়েছে।
সেই সাথে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স আজীবনের জন্য কেড়ে নেয়া হয়েছে।সবচেয়ে বড় শাস্তি ছিল--- সে আর কখনোই তার বিবেককে ক্ষমা করতে পারেনি।যার কারনে সে প্রায় উন্মাদ হয়ে গিয়েছিল।
কারন যে পরিবারের উপর সে গাড়ি উঠিয়ে দিয়েছিল তা ছিলো তার নিজের পরিবার।



(ছোটখাট চেনাজানা গল্প।তাই অনুবাদ করে ফেললাম।তাছাড়া গল্পটিতে শিক্ষনীয় ব্যাপারও রয়েছে।নতুন মোড়কে পুরাতন গল্প আরকি।তাই 'ঈশপের আধুনিক গল্প' কথাটা মূল নামের সাথে জুড়ে দিয়েছি।লেখক স্টিফেন প্রাইম ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারে জন্মগ্রহন করলেও এখন জাপানে বসবাস করছেন।সেখানেরই এক ভার্সিটিতে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত আছেন)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো। +

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪২

দূরের পথযাত্রী বলেছেন: হাসান ভাই,জানি উৎসাহ দিচ্ছেন।আপনি অনেক বিনয়ী।

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪

ফয়সাল রকি বলেছেন: ব্যাপক মজা পাইছি... B-)
+++

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪

দূরের পথযাত্রী বলেছেন: আসলেই পাইছেন?? আমি তো ভাই আরো এইটা যে ক্যান অনুবাদ করছি সেইটা নিয়া আফসোস করি। হেহে। অখন আফসোসটা একটু কমলো। B-) B-)

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪

ফয়সাল রকি বলেছেন: আসলেই ভাল লাগছে। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.