![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রায় তিন বছর আগে বল্টু,নান্টু ও টিনা
ফেসবুকে অাইডি খুলেছিল।তারা একে
অপরকে মুখ চেনা চিনলে ও টিনার
সাথে বল্টু,নান্টু কেউ সামনা-সামনি
কথা বলেনি।তো প্রথম প্রথম কী নাম
দিয়ে আইডি খুলবে তা ভাবছিল।যাক
শেষমেশ এমডি বল্টু,এমডি নান্টু ও টিনা
বেগম ইংরেজীতে লিখে আইডি খুলে
ফেলল।বেশ কিছুদিন পর এই নাম তাদের
আর ভাল লাগল নাহ।তড়িঘড়ি নাম
চেঞ্জ করে রাখল বল্টু খান,নান্টু খান ও
টিনা সুলতানা।এর মধ্য টিনার স্টাটাস
এ কমেন্ট করতে করতে একদিন প্রেমে
পড়ে গেল বল্টু।টিনাও নিয়মিত ছবি
আপলোড থেকে বিরত থাকে নাহ। বেশ
ছেলেদের আবেগ মাখানো কমেন্ট এ
রিপলে ও দিতে মিস করে নাহ। তো
একদিন টিনা তাহসানের নীলপরি
নীলাঞ্জনা নামক নাটক দেখেই তার
আইডির নাম চেঞ্জ করে রাখল নীলপরি
টিনা।বল্টুর হবু গার্লফ্রেন্ড নাম চেঞ্জ
করাতে বল্টুও নাম চেনজ করে রাখল অবুঝ
বালক বল্টু।
এদিকে নান্টু তা কোন মতে সহ্য করতে
পারল না। তার আইডি শুটার নান্টু
থেকে একটা গ্রুফের সদস্য হয়ে টিনা ও
বল্টু কে রিপোর্ট দেওয়া শুরু করল।উদ্দেশ্য
তাদের মধ্য ফিকশান বন্ধ করা।
যাক কিছু দিনের মধ্য টিনার আইডি
ডিজেবল।নান্টু খুব খুশি।
ওদিকে বল্টু মাত্র প্রপোজ করল
টিনাকে।
সুতরাং একটা চাঞ্জ নেওয়ার জন্য
টিনার আইডি পুনরুদ্ধার এ নামল বল্টু।
কাজও সফল হল, প্রেম ও সফল হয়ে গেল।
ফেসবুকে স্টাটাস আসল ইন এ
রিলেশনশিপ বল্টু আর টিনা। এর মধ্য
টিনা নেম ভেরিফাই পরাতে তার
আইডির নাম চেঞ্জ করে আবার রাখল
আঞ্জেল টিনা।
কোন এক সকাল বেলা ফেসবুকে নান্টু
ডুকে সব বুঝতে পারল।
মিশন অ্যানসাক্কেসফুল বুঝতে পেরে
ফেক আইডি খুলে টিনাকে মেসেজ
দিতে শুরু করল আবার।আগের আইডি
থেকে বারংবারি ব্লক দেওয়া
হয়েছিল নান্টু কে।
.
.
এদিকে আবার কিছুদিন পর বল্টু-টিনার
প্রেমে হতাশা শুরু হল।তার একমাত্র
কারণ তাহসানের ফটো আপলোড
করাতে।
মানে বল্টু যে মাত্র তাহসানের পিক
আপলোড করা শুরু করল সে মাত্র
মেয়েদের মেসেজ এসে বল্টুর ইনবক্স ফুল
হত।
একপর্যায়ে মেসেজের রিপলে দিতে
গিয়ে টিনার হাতে ধরা পড়ল বল্টু।
কিছুদিন পর তাদের ব্রেকআপ হল।
ও দিকে নান্টু শুরু করল ফেক আইডি দিয়ে
টিনার সাথে নতুন প্রেম।
নান্টুর ফেকনামের আইডি তখন ছিলো
কিটকাট বয়।
.
.
২০১৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি....
জুকারবার্গ তিনজনের আইডি একদিনে
ডিজেবল করে দিল।
শহখানেক নান্টুর স্টাটাস;
আধা শহ খানেক বল্টুর সেলফি;
আর টিনার ৬০৭ খানেক ঘুম থেকে উঠা
আর ঘুমাতে যাওয়ার স্টাডাস।
.
.
আহ এই শোকে দশ টেরাবাইট আপসুস।
রেগে বেগে তিনজনে সিদ্ধান্ত নিল
ফেসবুক আর ইউজ ই করবে না।
তো শুরু করল নতুন সোশাইল চ্যাটিং।
মানে রবি চার্কেল।এখন আর আগের মত
রিপোর্ট খেতে হয় নাহ। শুধু পোক আর
পোক।
তবে মাঝে মধ্যে মুরব্বিদের মোবাইল
থেকে পয়েন্ট শেয়ার করতে গিয়ে
চটকনা খেতে হয় এ আর কি।
.
.
টিনা,নান্টু,বল্টু আমার গল্পের তিন
অখ্যাত চরিত্র।
তো জুকারবার্গ এর ফেসবুক নামক গল্পে
তার সংখ্যা কত তা নিশ্চয় আমার ও
আপনার অজানা।
©somewhere in net ltd.