![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইতিহাস কী বলল আর না বলল।একটু লজিক দিয়ে
বুঝিয়ে দিলেও আমরা দেশদ্রোহী।একটু সমালোচনা
করলে আমরা নারীর অধিকার হরণ করি। তখন
মানবাধিকার কর্মীদের মাঠ পর্যায়ে চেঁচামেচি করতে
দেখা যায়।তারা উপচে পড়ে হীন স্বার্থে।
অনলাইন নিউজ থেকে শুরু করে সব পত্রিকায় একটু
সংক্ষিপ্ত করে দেশবিদেশ কিংবা দশদিগন্ত নামক
কলামে দেখা যাচ্ছে বড় অক্ষরের একটা হেডিং।
লেখা আছে, " ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জুমার
নামাজে নারী ইমাম।"
.
.
অনলাইন নিউজটা এড়িয়ে গেলেও যুগান্তরের
দশদিগন্ত পাতায় খুব চোখে পড়ার মতো এই নতুন
গড়া ইতিহাস।
ফটোশুট এ খুব সুন্দর করে দেখা যাচ্ছে একজন নারী
জুমার নামাজের ইমামতি করছেন।কয়েকজন মুক্তাদি
দাড়িয়ে আছেন। আর অন্যদিকে ক্যামেরার পিছনে
নিশ্চয় ক্যামেরা ম্যানেরা ফটোশট করে দেখিয়ে
দিচ্ছেন, দেখ দেখ আমরা যুক্তরাজ্য নারীদের ক্ষমতা
দিলাম।
ওই কলামের সর্বশেষে বলা আছে, "কোরআন ও
হাদীসের আলোকে কোন নারী নামাজে ইমামতি করতে
পারেন নাহ।ইসলামের দৃষ্টিতে ইমামতি করার পূর্বশত
পুরুষ হওয়া।"
.
.
যাক এই সামান্য জিনিসটা এড়িয়ে গেলে হয় তো বড়
ধরণের ক্ষতি হয় না। তবুও
বিশ্ব মিডিয়া খুব সুন্দর করে ফটোশট আর কলামটা
ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
কারণ উনারা হয়ত মনে করেছেন,
এই ফটোশট দেখে ধর্মপ্রাণ মুসলমান খুব প্রতিবাদ
করে বেড়াবেন।তারা হাস্যকর হিসেবে নিবেন।
কিংবা তারা এটাও বুঝিয়ে দিচ্ছেন যুক্তরাজ্য নারীদের
অধিকার ফিরিয়ে দিতে পেরেছেন।
দেখুন এখন আমরা মুসলমান যদি এই নিউজের ঘোর
বিরোধীতা করি, খুব প্রতিবাদ জানিয়ে ফেলি,
আর অন্যদিকে তারা চেতনাধারী আর সহজ সরল
নারীদেরকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিবেন আমরা
মুসলমান নারীদের অধিকার থেকে বঞ্চিত রেখেছি।
তাদেরকে ইসলাম সমমর্যাদা দেয়নাহ।।
আর এতে নাস্তিক বাদীরা তাদের নাস্তিকতা পেশা
আরও বেশি করে চালাবেন, যেন আগামী একবছর পর
তারা সবাই যুক্তরাষ্ট্র নাগরিকতা পেয়ে যায়।
ফটোশটে যে মহিলা নামাজ পড়াচ্ছেন
তিনিও নাকি একজন লেখিকা।
দেখুন এর বিরোধিতা হলে অমুক-তমুক লজিক বুঝিয়ে
দিবেন উনি।
সব লজিক বুঝার আগে ইমামতি করার মর্যাদা উনাকে
বুঝতে হবে।অহংকার বশত টাখনুর নিচে প্যান্ট পড়ে
মুক্তাদিরা দাড়িয়ে গেল, আর ইমাম দাড়িয়ে গেল
একজন মহিলা।
.
.
খুব সুন্দর করে তারা লজিক গুলো খেলেন। কিন্তু সব
লজিকের পিছনে খোয়াসা রেখে যান।
যেন আমরা প্রতিবাদ করে বেড়াই।
নারীদেরকের আমরা ক্ষমতা দিলাম না তাই।যুক্তরাজ্য
ক্ষমতা দিয়ে দিল।
চলে যান। সিটিজেন হয়ে যান।
নাস্তিকতা চালিয়ে যান।কেউ বাধা দিবে নাহ। হিউম্যান
রাইটস আর কত কত বলবেন,আগে গিয়ে নিজেদের পেট
চালান, তারপর না হয় আইডিটা ও ভেরিফাইট করে
দিবেন উনারা।
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৩
হাসান তারেক বলেছেন: ভালো লিখেছেন। সহজ কথায় জটিল বিষয়।
৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬
হাতেম তায়ী বলেছেন: উভয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫২
আমি মিন্টু বলেছেন: ভালো বলছেন