![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জামাইষষ্ঠীর চড়া বাজারে হাত পুড়ছে শাশুড়ির৷ সবজি, ফল তো ছিলই, এবার সব চেয়ে বেশি চমকে দিয়েছে ইলিশ৷ বরফের থেকে বের করে আনা মাছের আগুনে দাম৷ চার থেকে পাঁচশো গ্রামের মাছ বিকোচ্ছে কেজি প্রতি হাজার টাকায়৷ তাও অমিল৷ কলকাতার বাজারে যদিও কিছু ইলিশ মিলছে, জেলায় তাও নেই৷ আসলে গত তিন বছর ধরে বাংলাদেশের ইলিশ আসছে না৷ আর এই সময় রাজ্য সরকারের আইন অনুযায়ী সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ থাকে৷ তাই জোগান কম৷ যেটুকু মাছ হিমঘর থেকে আসছে তার দাম চড়া৷ পাশাপাশি বর্ষা কম হওয়ায় ভেড়ির মাছ এখনও তেমন উঠছে না৷ আজ শুক্রবার জামাইষষ্ঠীর দিন শাশুড়িদের কপালে ভাঁজ৷ দুপুরে বা রাতে খাবার টেবিলে বসে জামাইরাও যে খুব খুশি হবেন তাও বলা যাচ্ছে না৷
নিয়ম অনুযায়ী এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জুনের মধ্যভাগ পর্যন্ত নদী থেকে সাগরে জেলেদের মাছ ধরা নিষিদ্ধ৷ এই সময় যে হেতু প্রজননের সময় তাই এই সিদ্ধান্ত কয়েকবছর আগে থেকেই লাগু করেছে সরকার৷ ফলে টাটকা সামুদ্রিক মাছ পাতে পড়ার কোনও আশা নেই৷ ইলিশ যেটুকু বাজারে আসছে তা হিমঘরের৷ কলকাতা লাগোয়া কিছু হিমঘর বর্ষার সময় ইলিশ মজুত করে রাখে কম দামে৷ সেই মাছ পরে ছাড়া হয় বাজারে৷ অর্থাত্ আজ জামাইদের পাতে পড়বে গত বছরের ইলিশ৷ যার দাম কেজি প্রতি হাজার টাকা ছুঁয়েছে এবার৷ তাও কিনছে হুজুগে তথা মৎস্যমুখী বাঙালি৷ নামখানা ফিসারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তা বলেন, আমরা এখন মাছ তুলছি না৷ জমানো মাছেই জমিয়ে খেতে হবে জামাইদের৷ রাজ্যে প্রায় ৩০টি হিমঘর তার জোগান দিচ্ছে আপাতত৷
রাজ্যে ভেড়ির প্রথম পর্যায়ের মাছ উঠেছে৷ একটু জলদি যারা চাষ শুরু করেছিলেন তাঁরা মাছ তুলতে পেরেছেন৷ তবে সব ভেড়িতে তো জল নেই৷ বিশেষ করে যে সব এলাকা বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল সেখানে চাষ পুরোদমে শুরুই হয়নি৷ কেন না এখনও সেভাবে বৃষ্টি হয়নি যা সব ভেড়ি ভরিয়ে দিতে পেরেছে৷ ফলে জোগান কম৷ আর একটি বিষয় এবারের বাজারের উল্লেখযোগ্য দিক৷ গলদা বা বাগদা চিংড়ির চেয়ে ভেনামির রমরমা৷ যা বাংলার মাছ বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে৷ যেমন তেলাপিয়ার পর লাইলনটিকা, পমফ্রেটের পর একই দেখতে মোটা পেটের সামুদ্রিক ‘বাউল’ এবং এখন জাপানি পুঁটিকে প্রায় সরিয়ে রূপচাঁদ৷ তেমনই বাজারে বাংলার চিংড়িকে হারিয়ে দিয়েছে সমদর্শনের ভেনামি৷ তাও সেই মাছ কেজি প্রায় চার থেকে পাঁচশো টাকা৷ জামাইষষ্ঠীর বাজারে আম-জামের কদর বরাবর ছিলই৷ এবার মাছের বাজারে চাহিদার সামান্য পরিবর্তনের কারণ হিসাবে দিঘা ফিশারম্যান ও ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা শ্যামসুন্দর দাস বলেন, “মাছ ধরা এখন বন্ধ৷ পমফ্রেট, ইলিশ নেই৷ চিংড়ির জোগান কম৷ তাই যা মিলছে তাই দিয়ে জামাইয়ের রসনা তৃপ্তিতে খামতি রাখতে চাইছেন না কেউ৷ ফলে দাম তো বাড়বেই৷”
আর একটি বিষয় শাশুড়িদের মাথায় রাখতে হচ্ছে এবার৷ মিষ্টি দোকানে গিয়ে সুগার ফ্রি সন্দেশ থেকে নানা রকম চাইতে হচেছ তাঁদের৷ মিষ্টি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, তাঁরাও নতুন সমস্যার মুখোমুখি৷ ডায়াবেটিক মানুষ যে হারে বাড়ছে তাঁদের সেদিকে তাকিয়ে বদলাতে হচ্ছে সব কিছু৷
হোক না ইলিশ হাজার টাকা, জামাইষষ্ঠীর আগে এটাই বোধহয় মিষ্টি খবর৷
২| ১০ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪
হিন্দুস্তানি বলেছেন: হা হা হা-- দারুন বলেছেন- আপনাকে ধন্ন্যবাদ এমন রশিক মন্তব্য করার জন্য। সব্বদা ভালো এবং
সুস্থ্য থাকুন।
৩| ১০ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: ইলিশ নিয়ে কথাবার্তা দুই বাংলায় মজার মজার কথা বলা হয় লেখা হয়। আমার খুব ভাল লাগে। আপনার লেখা আজ প্রথম চোখে পড়ল। লেখার স্টাইলটা দারুণ, বেশ লাগল! পুরোনো ঝানু লেখক মনে হচ্ছে। আপনাকে স্বাগতম। ভাল কথা কিছু মনে করবেননা, কারো মন্তব্যের উত্তর দেয়ার সময় মন্তব্যকারীর ঘরের উপরে ডান দিকে একটা সবুজ রংএর তীর চিহ্ন পাবেন, সেটাতে ক্লিক করলে আপনার জন্য উত্তর দেয়ার ঘর আসবে তাতে লিখলে ঠিক হত, এই আর কি। ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
৪| ১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪
বিজন রয় বলেছেন: হায়রে ইলিশ!!!
৫| ১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: সময়ে সব সয়ে যায়।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১৯
বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: ইলিশের দেশ বাংলাদেশে যদি পিচ্চি সাইজ কেজিপ্রতি হাজার টাকায় বিক্রি হয়, ভারতে তো দ্বিগুন তিনগুনই হবার কথা। অস্বাভাবিক কিছু দেখছি না। অতীতের মাছে ভাতে বাঙ্গালীর মাছের আকাল দুই বাংলাতেই একই দাদা। মাছে ভাতে রবাদটাও বদলাবার সময় হয়ে গেছে ব্রয়লারে ইরিতে বাঙ্গালী হয়ে গেছি আসলে।