মঙ্গলে এ বার মিলল দৈত্যাকার ‘চামচ----

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৬

বুদ্ধমূর্তি, নারীমূর্তি, সভ্যতার ‘নিশ্চিত’ প্রমাণস্বরূপ গোটা তিনেক স্তম্ভ পেরিয়ে মঙ্গলের বুকে এ বার দেখা মিলল এক দৈত্যাকার চামচের! কন্সপিরেসি থিওরিস্টদের আশা আরও কিছুটা বাড়িয়ে সেই চামচের ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। সম্প্রতি মার্স রোভারের যান্ত্রিক চোখে ধরা পড়েছে সেই ছবি।
লাল গ্রহের বুকে প্রাণ ছিল এবং হয়ত এখনও আছে, কন্সপিরেসি থিওরিস্টদের এই দাবি বহু দিনের। প্রাণ যে এক কালে ছিল, তা নিয়ে প্রায় নিশ্চিত বেশির ভাগ বিজ্ঞানীই। সাম্প্রতিক কিছু প্রমাণকে হাতিয়ার করে কন্সপিরেসি থিওরিস্টদের দাবি, মঙ্গলের সেই বাসিন্দারা ছিল রীতিমতো সভ্য। দিন কয়েক আগে নাসা প্রকাশ করে তিনটি স্তম্ভের ছবি। নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর প্রায় একই মাপের এই স্তম্ভ তিনটিকে সভ্যতার ‘সুনির্দিষ্ট’ প্রমাণ বলে দাবি করতে থাকেন তাঁরা। নাসা অবশ্য সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে।
সভ্যতার স্তম্ভের রেশ কাটার আগেই হল মঙ্গলে চামচে দর্শন। লাল গ্রহে অবশ্য এর আগেও এই ধরনের চামচের অস্তিত্ব মিলেছিল। নাসার প্রকাশিত ফুটেজ দেখে বিষয়টি প্রথম নজরে আসে এক কন্সপিরেসি থিওরিস্টের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিটি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “চামচেটা নিশ্চই সবাই দেখতে পেয়েছেন। এটা নিশ্চই ওই গ্রহের প্রাচীন বাসিন্দাদের ফেলে যাওয়া।” এর পর ছবিটা ভাইরাল হতে একেবারেই বেশি সময় নেয়নি। বিষয়টি নিয়ে নাসার তরফেও এখনও কিছু জানানো হয়নি।

লাল গ্রহের সেই চামচ। ছবি সৌজন্য নাসা। বছর খানেক আগে পাওয়া এই ছবিটিকে বুদ্ধদেবের মুর্তি বলে দাবি করেছিল কন্সপিরেসি থিওরিস্টরা। পাথুরে মঙ্গলের গুহা থেকে কি লাল গ্রহের কোনও বাসিন্দাকে উঁকি মারতে দেখতে পাচ্ছেন? সোশ্যাল মিডিয়া কিন্তু দেখতে পেয়েছিল। পাথরের আড়ালে কি লুকিয়ে পড়ছে মঙ্গলের কাঁকড়া? লাল গ্রহে ছিল ডাইনোসর। এই ছবি দেখিয়ে তা ‘প্রমাণ’ করে দিয়েছিলেন কন্সপিরেসি থিওরিস্টরা। লাল গ্রহে রয়েছে কুকুরের মতো প্রাণীও। পরে অবশ্য নাসা জানিয়ে দিয়েছিল এটা নিছকই একটা পাথর। পাহাড়ের গায়ে ওটা কিসের ছাপ? পাথুরে মাটিতে কি ওটা পায়ের ছাপ? ছবিটি পোস্ট করে প্রশ্ন তুলেছিলেন কন্সপিরেসি থিওরিস্টরা। হেঁটে বেরাচ্ছে লাল গ্রহের অদ্ভুত প্রাণী। এই ছবিটি দেখিয়েও দাবি করা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। লাল গ্রহের পাথুরে মাটিতে হেঁটে বেরাচ্ছে লেজওয়ালা ব্যাঙ।
সু: আনন্দবাজার

১ টি +২/-০