![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশ ছাড়ার হুমকি দিয়ে একের পর এক গুলি চালিয়ে খুন করা হল এক ভারতীয় ইঞ্জিনিয়রকে। গুরুতর আহত আরও এক ভারতীয়-সহ দু’জন। আমেরিকার কানসাসে ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার রাতে। (শ্রীনিবাস কুচিভোতলা)
জানা গিয়েছে, বছর বত্রিশের শ্রীনিবাস কুচিভোতলা হায়দরাবাদের বাসিন্দা। কানসাসের গার্মিন ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করতেন তিনি। বুধবার রাতে অলোক মাদাসানি নামের এক বন্ধুর সঙ্গে কানসাসের ওলাথের স্থানীয় এক পানশালায় গিয়েছিলেন শ্রীনিবাস। অলোকও পেশায় ইঞ্জিনিয়র। সূত্রের খবর, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ওই পানশালায় যান শ্রীনিবাস ও অলোক। হঠাৎই এক ব্যাক্তি পানশালায় ঢুকে তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি ছুড়তে শুরু করে। ‘মধ্য প্রচ্যের মানুষ আমার দেশ থেকে বেরিয়ে যাও’ বলে বারবার চিৎকার করছিলেন ওই ব্যাক্তি।
(অ্যাডাম পুরিনটন)
পুলিশ সূত্রে খবর, মার্কিন নৌবাহিনীর প্রাক্তন সদল্য অ্যাডাম পুরিনটন(৫১) নামের ওই ব্যাক্তির ছোড়া গুলিতেই মৃত্যু হয় শ্রীনিবাসের। গুরুতর জখম হন অলোকও। তাঁদের বাঁচাতে এসে গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় বাসিন্দা, ল্যান গ্রিলট। অলোক ও গ্রিলটকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ঘটনার পাঁচ ঘন্টা পর মিসৌরি এলাকার অন্য একটি পানশালা থেকে গ্রেফতার করা হয় অ্যাডামকে। মিসৌরির এই পানশালার এক কর্মী পুলিশকে বলেন, মধ্য প্রাচ্যের দুই ব্যাক্তিকে গুলি করার কথা স্বীকার করেছেন অ্যাডাম। ভারতীয় দূতাবাসের দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের চেষ্টায় শ্রীনিবাসের দেহ ভারতে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় টুইট করে শ্রীনিবাসের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
দুইদিন আগের আর ও একটি ঘটনা --
নামের শুরুতে মহম্মদ! দেখে ঢুকতেই দিল না আমেরিকা-------নামটাই যেন খুব সন্দেহজনক!
মহম্মদ দিয়ে শুরু। পাসপোর্ট হাতে নিয়েই তাই বাঁকা চোখে তাকিয়েছিলেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক মহিলা অফিসার। তার পর টুলের উপর দাঁড়ানো অবস্থায় হাঁটু পর্যন্ত প্যান্ট নামিয়ে তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালালেন অন্য দু’জন। মিলল না কিছুই। তখনকার মতো বিমানে উঠতে দিলেও একটু ক্ষণ বাদেই নিউ ইয়র্কগামী বিমান থেকেই নামিয়ে দেওয়া হল ব্রিটিশ মুসলিম শিক্ষক মহম্মদ জুহেল মিয়াকে (২৫)।
১৬ ফেব্রুয়ারি, আইসল্যান্ডের রাজধানী রেকিয়াভিকের ঘটনা। তার পরের দিনই ব্রিটেনে ফিরে গিয়েছেন স্কুলশিক্ষক জুহেল মিয়া। কিন্তু অপমানটা ভুলতে পারছেন না আজও। শুধু মুসলিম বলেই কি তাঁকে এ ভাবে হেনস্থা করা হল— কিছুতেই উত্তর পাচ্ছেন না অঙ্কের তরুণ শিক্ষক। তাঁর কথায়, ‘‘চট করে মাথা গরম করাটা আমার স্বভাব নয়। কিন্তু বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও যে ভাবে বিমান-ভর্তি লোকের সামনে আমাকে নামিয়ে দেওয়া হলো, মানতে পারছি না। আমি কি অপরাধী! বিমানে আমার স্কুলের বাচ্চারাও ছিল। ভাবতে পারছেন, ওদের চোখেও কতটা ছোট হয়ে গেলাম!’’ তল্লাশির পরে জুহেলকে বিমানে উঠতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিমান ওড়ার কিছু ক্ষণ আগে কয়েক জন নিরাপত্তারক্ষী গিয়ে তাঁকে সটান নেমে যেতে বলেন। জানানো হয়, আমেরিকায় তাঁর প্রবেশ নিষেধ। কেন? মার্কিন প্রশাসনের কাছে এর জবাবদিহি চেয়েছেন তাঁর স্কুল কর্তৃপক্ষও। উত্তর মেলেনি এখনও।
হোয়াইট হাউসে এসেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান, ইরাক-সহ সাতটি মুসলিম দেশ থেকে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। মার্কিন ফেডেরাল কোর্টের রায়ে আপাতত তা আটকে গিয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি যে বদলায়নি, জুহেলের ঘটনায় তা ফের স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছে সোশ্যাল মিডিয়ারও একটা বড় অংশ। ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় প্রথম থেকেই মুসলিম-বিদ্বেষের স্পষ্ট গন্ধ পাচ্ছিলেন অনেকে। এ ক্ষেত্রেও ঠিক সেটাই হয়েছে বলে অভিযোগ জুহেলের। তাঁর কথায়, ‘‘আমার সাত পুরুষের কেউ ওই সাত দেশের নয়। আমি কখনও ওই সাতটি দেশের একটাতেও যায়নি। গত বছরও আমার ভাই ফ্লোরিডা থেকে ঘুরে এসেছে। বুঝতে পারছি না, কেন আমার সঙ্গে এমনটা হল।” জুহেল জন্মসূত্রে বাংলাদেশি। তবে জন্ম বার্মিংহামে। তাঁর পড়াশুনো আগাগোড়া ইংল্যান্ডেই। স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে তিনি শিক্ষামূলক ভ্রমণে আইসল্যান্ড গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁদের নিউ ইয়র্কে যাওয়ার কথা। শেষ পর্যন্ত জুহেলকে ছাড়াই বাকিদের আমেরিকা যেতে হয়। আইসল্যান্ড থেকে তাঁর ব্রিটেনে ফেরার ব্যবস্থা করে জুহেলের স্কুলই।
(ব্রিটিশ শিক্ষক জুহেল মিয়া।)
সু;-- আনন্দবাজার।
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ট্রাম্প একটা অাবাল
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭
পথে-ঘাটে বলেছেন: মুসলমানদের প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ অনেক আগে থেকেই। তবে ভারতীয়দের প্রতি বিদ্বেষটা নতুন। ভারতীয়দের প্রতি আমেরিকানদের ক্ষোভের কিছু কারণও রয়েছে। যেমন, চাকরির বাজার ভারতীয়দের দখলে চলে যাচ্ছে। এর কারণও আছে। আমেরিকানদের তুলনায় ভারতীয়দের বেতন কম দিলেও চলে। যার কারণে কোম্পানি গুলো ভারতীয়দের অগ্রাধিকার দেয়। তাছাড়া ভারতীয়দের দখলদারি মনোভাব তো আছেই।