![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজস্ব সংবাদদাতা
ঢাকা |
৮ অক্টোবর, ২০১৭, ০৩:২৮:০২
শেষ আপডেট: ৮ অক্টোবর, ২০১৭, ০৩:৩৪:২৬
ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যেই থাবা বসিয়েছে মারণখেলা ব্লু-হোয়েল। এ বার ঢাকাতেও কি হাজির হয়েছে মৃত্যুদূত সেই নীল তিমি?
বৃহস্পতিবার রাতে নিজের পড়ার ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত দেহ মেলে নামী স্কুল হোলিক্রসের ছাত্রী অপূর্বা বর্ধন স্বর্ণা (১৩)-র। তার পরে নানা বিষয় খতিয়ে দেখে স্বর্ণার বাবা ঢাকার প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী সুব্রত বর্ধনের আশঙ্কা— ‘ব্লু হোয়েল’ গেমের শিকার হয়েছে তাঁর কন্যা। স্বর্ণার মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি চিরকুট। তাতে লেখা, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’ তার পাশে একটি স্মাইলি— গেমটির কিউরেটরের নির্দেশে যা আঁকতে বাধ্য হয় খেলোয়াড়েরা।
বাবা জানিয়েছেন, প্রথম শ্রেণি থেকে ক্লাসে প্রথম হওয়া স্বর্ণা বদলে যেতে থাকে ক্লাস এইটে উঠে। ওই বছরেই পড়াশোনার কথা বলে বাবার কাছ থেকে একটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন নিয়েছিল ওই কিশোরী। বাবা বলেন, ‘‘মেয়ের আচরণ থেকে আমাদের সন্দেহ হয়েছিল, এমন কোনও কিছুতে সে আসক্ত হয়ে পড়েছিল— যা থেকে সে বেরিয়ে আসতে পারছিল না।’’ এর পরে দিন পনেরো আগে বাবা-মা স্বর্ণার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে দেখতে চাইলে সে অভিমানে কান্নাকাটি শুরু করে। তার পরে তার এই অপমৃত্যু। বাবার কথায়, বিভিন্ন সময়ে তাঁরা মেয়ের শরীরে নানা কাটা ছেঁড়ার দাগ দেখতে পেয়েছেন। কিন্তু তা যে এই মারণ খেলার কারণে হতে পারে, তা কখনওই ভাবতে পারেননি তাঁরা। সুব্রতবাবু জানিয়েছেন, ‘ব্লু হোয়েল’ গেমের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগ থাকলে তিনি তা করবেন।
সূঃ--আনন্দ বাজার ( কপি পেস্ট)
২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:০২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: জানুন ব্লু হোয়েল কী?
ব্লু হোয়েল সোশ্যাল মিডিয়াভিত্তিক একটি ডিপওয়ে গেম। যেসব কম বয়সী ছেলেমেয়ে অবসাদে ভোগে তারাই সাধারণত এতে আসক্ত হয়ে পড়েন। ভারতে ব্লু হোয়েলে আসক্ত হয়ে আত্মঘাতী কয়েক তরুণের সুইসাইডাল নোটে লেখা হয়েছে, ব্লু হোয়েলে ঢোকা যায়, বের হওয়া যায় না।
জানা যায়, ব্লু হোয়েল গেমে ৫০টি ধাপ রয়েছে। ৫০টি ধাপ ৫০ দিনে অতিক্রম করতে হয়। প্রথমদিকের ধাপগুলোতে সহজ কিছু থাকে। এর প্রতিটি ধাপ একাধিক কিউরেটর দ্বারা চালিত হয়। কিউরেটরদের নির্দেশ মতো গেমের এক একটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। গেমটির বিভিন্ন ধাপে ঝুঁকিপূর্ণ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, ব্লেড দিয়ে হাতে তিমির ছবি আঁকা, সারা গায়ে আঁচড় কেটে রক্তাক্ত করা, ভোরে একাকী ছাদের কার্নিশে ঘুরে বেড়ানো, রেললাইনে সময় কাটানো, ভয়ের সিনেমা দেখা ইত্যাদি। চ্যালেঞ্জ নেয়ার পর এসব ছবি কিউরেটরকে পাঠাতে হয়।
ব্লু হোয়েলের ২৭তম দিনে হাত কেটে ব্লু হোয়েলের ছবি আঁকতে হয়। একবার এই গেম খেললে কিউরেটরের সব নির্দেশই মানা বাধ্যতামূলক। সব ধাপ পার হওয়ার পর ৫০তম চ্যালেঞ্জ হলো আত্মহত্যা। এই চ্যালেঞ্জ নিলে গেমের সমাপ্তি।
২০১৩ সালে রাশিয়ায় এই গেম তৈরি হয়। রাশিয়ায় শুরু হলেও এই গেমের শিকার এখন এশিয়ার অনেক দেশ। সাধারণভাবে গোপন গ্রুপের মধ্যে অপারেট করা হয় এ গেম। এক্ষেত্রে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপের মতো জনপ্রিয় স্যোশাল প্লাটফর্মকে কাজে লাগায় এডমিনরা।
২০১৬ সালে রাশিয়ায় ব্লু হোয়েল গেমের কিউরেটর সন্দেহে ফিলিপ বুদেকিন নামের ২২ বছরের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেরায় ফিলিপ স্বীকার করে, এই চ্যালেঞ্জের যারা শিকার তারা এই সমাজে বেঁচে থাকার যোগ্য নয়। তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে আমি সমাজ সংস্কারকের কাজ করছি।
ব্লু হোয়েলে আসক্তদের চিনবেন যেভাবেঃ
যেসব কিশোর-কিশোরী ব্লু হোয়েল গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছে তারা সাধারণভাবে নিজেদের সব সময় লুকিয়ে রাখে। স্বাভাবিক আচরণ তাদের মধ্যে দেখা যায় না। দিনের বেশিরভাগ সময় তারা কাটিয়ে দেয় স্যোশাল মিডিয়ায়। থাকে চুপচাপ। কখনও আবার আলাপ জমায় অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে। গভীর রাত পর্যন্ত ছাদে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় অনেককে। একটা সময়ের পর নিজের শরীরকে ক্ষত-বিক্ষত করে তুলতে থাকে তারা।
৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:১৩
আবু আফিয়া বলেছেন: জনাব নূর মোহাম্মদ নূরু সাহেবকে ধন্যবাদ, বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়ার জন্য।
৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫২
সুমন কর বলেছেন: ব্যাপারটি আজই জানলাম !! বিরক্তিকর !!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জঘন্যতম এই মৃত্যু খেলা বন্ধ হোক।