![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুমি সিপাহী, তোমার ল্যান্স নায়েকের হুকুম না মানলে তোমার কোর্টমার্শাল হবে,,,
আমার দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখো, যেভাবে জখম হয়েছি তাতে আমি আর বাঁচবো না। যেভাবে রক্তপাত হচ্ছে, তাতে এখনই আমার সারা শরীর ঝিমঝিম করছে, চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। আমাকে সহ নিতে গেলে তোমরা দুজনও মারা পড়বে। তিনজন মারা যাবার চেয়ে দুজন বেঁচে থাকা ভালো নয় কি ? নান্নু মিয়ার জখম গুরুতর নয়, ও বেঁচে যাবে। কিন্তু আমি যে বাঁচবো না। সে তো তুমি বুঝতে পারছো। আমার কথা শোন। আর দেরী করো না। জানো না, যুদ্ধক্ষেত্রে এক মুহুর্ত নষ্ট করার অর্থ কি ? দেখছো না, কিভাবে শত্রুর গোলাগুলি ছুটে আসছে ? ওরা এগিয়ে আসছে ? যাও তাড়াতাড়ি যাও। দেরী করে সকলের সর্বনাশ করো না মোস্তফা। এখনই রওনা হও।
এভাবেই সেদিন সঙ্গীদের বাচাঁতে গিয়ে সম্পূর্ণ একাকী পাক হানাদার বাহিনীর ত্রিমুখী আক্রমনের মুখে শহীদ হন, বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ,,,
জম্ম তার নড়াইল জেলার মহেশখোলা গ্রামে,, আমানত শেখ ও জেনাতুন নেছার আদরের ছেলে ছিল সে, জম্ম ২৬ এপ্রিল, ১৯৩৬ সালে। যুবক বয়সে গায়ক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে সে, অল্প বয়সে বাবা মাকে হারিয়ে বন্ধুদের নিয়ে যাত্রা পালা করে বেড়াতেন তিনি,,, বিয়ের পর সংসারের দায়িত্ব কাধেঁ এসে পরলে, যোগ দেন ই.পি.আর ( ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসে) এ ১৯৫৯ সালে। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে, দেশকে রক্ষা করার জন্য মুক্তি বাহিনীতে যোগ দেন তিনি, ৮ নং সেক্টরে যশোরে সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যান তিনি, তবে তার সে চলা থমকে যায় ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, হানাদার বাহিনীর গোলার আঘাতে, সেদিন নিজের জীবনের পরোয়া না করে সঙ্গীদের জীবন বাচাঁন তিনি,,
তার আত্মত্যাগ বৃথা যায় নি, আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ,একটি মানচিএ,,,
নূর মোহাম্মদ নামক পাগলারা প্রতিদিন জম্মায় না,, প্রতিটি দেশে জম্মায় না,, এরা ক্ষণজন্মা,,,
©somewhere in net ltd.