![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
...................................
ভার্সিটির গেটে দাড়াতেই . বাতাশের বেগে আমায় টপকে গেটে ডুকে গেলা সাদা গাড়িটা। আজ কাল গাড়িগুলোও ছুটছে বিমানের গতিতে. মনে হয় এসব গাড়ির জন্ম হয়েছে আকাশে উড়ার জন্যে , হয়তো ভুলে করে মাটিতে নেমে এসেছে।
মেয়েটা নেমেছে গাড়ি থেকে , হয়তো এরকম মেয়ে আমি আগে কখনো দেখিনি, হয়তো সৃষ্টিকর্তা ডানা দুটো দিতে ভুলে গেছেনে , তা না হলে এ মেয়েরে এখানে থাকার কথা না। পৃথিবীর ধুলো বাতাস শুধু মানব সম্প্রদায়ের জন্যই তৈরী করা হয়েছে।
মেয়েটার ডানা নেই বলেই হয়তো এত ভালো লাগছে, ডানা থাকলে হয়তো এততো সুন্দর লাগতো না । অতি রুপবতী মেয়েরা ঠিক যেরকম থাকে তাতেই ভালো লাগে তাদের । যদি কোন রুপবতী ( -২.০) পাওয়ারে উত্তল লেন্সর চশমা চোখে পড়ে তাতেও তাকে ভালো মানাবে, মনে হবে ভাগ্যিস এ মেয়ে অন্য সব মেয়ের মত না. সানগ্লাসটা শুধু ওর চোখেই মানায় । আন্য কেউ পড়লে হয়তো এতটা মানাতো না ।
ওহ্ বলতেই ভুলে গেছি , মেয়েটা হচ্ছে রূপা । মাত্রই ভার্সিটিতে উটেছে। দুধে আলতা গায়ের রং। দুধে আলতা বলা ঠিক হবে , দুধের সাথে আলতা মিশারে বিশ্রী একাটা রং তৈরী হয়। মেয়েটা দেখতে মোটেও বিশ্রী নয়। হেলেন নামের কোন এক নাক বোচা নােকবোঁচা রমনীর হাসির জন্যে যদি ট্রয় নগরী ধ্বংশ হয়ে যেতে পারে। তাহলে পুরো পৃথিবী ধ্বংশ করা এ রমনীর চোখের ইশারার ব্যাপার। শুধু চোখ বন্ধ করবে আর খুলবে, ততক্ষনে পৃথিবী আর নিই। ভাগ্যিস এখনো চোখ বন্ধ করেনি।
সবাই যেকোন ছলে তার সাথে কথায় জড়িয়ে যায়। কেউবা খুচরা মূলের পাইকারি জোকস দিয়ে তার সাথে গভীরতার গভীর পর্যায়ে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করছে । আরার বেশী উৎসুক জনতারা নিজ হাতে করে হ্যান্ড নোট করে কিংবা এসাইনমেন্ট নিয়ে আসে তার জন্যে । রূপা হচ্ছে সেই ধরনের মেয়ে যার কনো কোন কিছু করতে আপত্তি বাঁধে না।
সবাই জানে , এ মেয়ের বিয়ে হবে ইউএস কিংবা ইউকে তে থাকা কোন মায়াবী সুঠাম দেহী পুরুষের সাথে। তাও অজানা এক মায়ায় সাবাই আটকে যেতে বাধ্য।তাদের এ মায়া এড়ানোর কোন নিয়ম নেই, আর সৃষ্টিকর্তা নিয়মের এদিক ওদিক পছন্দ করে না।তাইতো কেউই মায়া এড়িয়ে চলতে পারছে না।
রুপা আমার সামনে এসে বসতে বসতে বললো কেমন আছো?
সবাই যেমন রুপাকে তুমি করে বলে , ঠিক তেমনি রূপাও সাবাইকে তুমি করে? আন্তরিকতার সাথে মাথা নারিয়ে হাসলাম.
এইযে মিস্টার আপনকে কিছু জিজ্ঞেস করেছিলাম??
ও হ্যা বলুন ? কি যেনো??
এতক্ষন কোথায় ছিলেন যে আমার কথাটা পর্যন্ত শুনেন নি?
ও হ্যা আপনি? পৃথিবীতে কি এমন কোন মহাপুরুষ আছে যে আপনার কথা শুনে জাবাব না দিয়ে থাকবে!
রূপা বিভ্রান্ত হয়ে গেলো. হয়তো কেউ কোনদিন তাকে অপনি করে বলেনি! ধাক্কার তো লাগলো তার কাছে কথাটা. ধাক্কাটা সামলে উঠতে বেশীক্ষন লাগলো না ।
অনেক দিন আপনার সাথে কথা বলার ইচ্ছা?
তোহ বলে ফেলো .. আছি আমি উড়ে যাইনি.
আমি কি বিষয়ে কথা বলবো জানতে চাবেন না ?
.না চাইবো না . কারন অতীরুপবতী মেয়েরা তাদের রূপের অহংকারী হয়, তারা যায় চায় তারে চারপাশ ডজন খানেক পুরুষ থাকুক. তাদের এ নিয়ম দু একজন যদি ভেঙ্গে ফেলে তাহলে তাদের কাছে এটা বিশাল অন্যায় । তুমি মনর হচ্ছে যে এ বিশাল অন্যায়টা আমি করেছি. গায়ে পড়ে কথা বলতে যাইনি , ফোন করিনি , ফেইসবুকে নক করিনি. তোমার রূপের অহংকার এ লেগেছে.
রূপা ২য় ধাক্কা সামাল দিয়ে উঠলো , বললো আমি মোটেও সে ধরনের মেয়ে না। তোমার নাকি অলৌকিক ক্ষমতা জাতীয় কিছু আছে। ভবিষৎ বলতে পারো । আমার কাছে সত্যি করে বলো সব! এসব ফালতু কথায় বিশ্বাসী না আমি!
হ্যা আছে ।
কি ধরনে ক্ষমতা?
যেমন কয়েক দিন পর মধ্যেই তোমার মন ভীষন রকম খারাপ হবে ! নিজের সময়টা একাকিত্বে মাঝে কাটাতে চাইবে!
শুনো এই সব কাকতালীয় কথা আমায় বলে লাভ নেই! সামনে সেমিস্টার ফাইনালের রেজাল্ট দিবে , আর সবাই জানে যে আমার পরীক্ষা ভালো হয়নি!হয়তো তুমিও। জেনোছো কারো কাছ থেকে!
হ্যা হতে পারে!
তাহলে তোমার কোন ক্ষমতা নেই মেনে নিলে ?
তোমার টিপ এর পাতায় সতেরটি টিপ আছে, না না ১৬টি একটি তো তোমার কপালে . দুহাতে রয়েছে তেইশতি কাঁচের চুরি, গত কাল থেকে একটি খুজে পাচ্ছো না। আমি আসি।
রুপা আনমনে বসে আছে, আমি যে চলে এসেছি সে দিকে লক্ষ নেই তার .. সে টিপ আর কাঁচের চুড়ির হিসেব মিলাতে ব্যাস্ত।
এর পর থেকে আর দীর্ঘদিন ভার্সিটি যাওয়া নেই. । জানি রুপা আমাকে খুজবে । না পাওয়ার প্রতি আমাদের জন্মান্তরের আকর্ষন। হয়তো এটাও সৃষ্টিকর্তার নিয়মের একটা।!
তিন মাস পর রূপার ফোন/
কোথায় ছিলেন এতদিন?
স্বপ্নচিরকুটে,আমার কল্পনার একটা যগৎ যে কেউ কেউ চাইলে স্বপ্ন চিরকুটে যেতে পারে না। স্বপ্ন চিরকুটে যাওযার অধিকার শুধু মাত্র অামার প্রিয় জনদেরই আছে। তুমি চাইলো তোমায়ও নিয়ে যাবো একদিন.
বাদ দাও তো অদ্বুত কথা।
তুমি কি জানো তোমায় আমি মিস করেছি!
সারাটাক্ষন ফোন হাতে নিয়ে বসে থাকি!
ভার্সিটির প্রতিটা জ্বীর্ন স্বীর্ন রাস্তায় খুজি তোমায়!
হ্য জানি আমি! হ্যালো হ্যালো বলে ফোন কেটে দিলাম।
আমাকে আর ৮-১০ টা ছেলের মত হলে হবে না আমাকে হতে হবে মহাপুরুষ । মহাপুরুষদের কারো মায়ায় জন্মাতে বারন আছে। মহাপুরুষদের প্রেম বালোবাসা ,আনন্দ বেদনা. মায়া মমাতা এগুলো থেকে দুরে থাকার নিয়ম।
আমি হেটে চলছি সোডিয়াম আলোর নীচে, পেছন থেকে রূপা নামের কোন ছায়া বার বার ডাকছে আমায় । আমি হেটেই চলছি আমায় যে মহাপুরুষ হতেই হবে।
......................................................
ছবিঃ ইন্টারনেট
২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫৯
দলছুট শালিক বলেছেন: হিমুর আমার কাছে অন্য রকম একজন। তাই হিমুর চরিত্র, বলার ভংগিমা সবার থেকে আলাদা হবে। একটা সময় ছিল হিমুর উপন্যাসগুলো দিয়ে আমার দিন কাটতো। তাই হিমুর চরিত্রগুলো প্রায় মুখস্তই বলতে পারেন। আপনার লেখাটা নিয়ে আরো আগাতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭
রিয়াদ হোসেন সুভ্র বলেছেন: ভালো হয়নি