ইংরেজদের ঘৃনা আর হীন মানসিকতার ছাপ হাজারদুয়ারীর সিম্বল ৷

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২

ইংরেজদের ঘৃনা আর হীন মানসিকতার ছাপ হাজারদুয়ারীর সিম্বল ৷

মুর্শিদাবাদের নাম উচ্চারণ করলেই সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে হাজারদুয়ারির কথা। যারা মুর্শিদাবাদ জীবনে একবারও গিয়েছেন, হাজারদুয়ারি না দেখে তারা ফেরেননি।
মুর্শিদাবাদ শহরের সেরা আকর্ষণ হাজারদুয়ারি । ১৮৩৭ সালে নবাব নাজিম হুমায়ুন খাঁয়ের জন্য ৮০ ফুট উঁচু তিনতলা গম্বুজওয়ালা এই প্রাসাদটি নির্মিত হয়। আদপে ৯০০টি দরজা হলেও আরও ১০০টি কৃত্রিম দরজা রয়েছে প্রাসাদে।

তবে হাজারদুয়ারির প্রবেশ দারে যে সিম্বল টি রয়েছে তা ইংরেজদের ঘৃনা আর হীন মানসিকতার ছাপ এটা নিসন্দেহে বলা যায় ৷
ইংরেজরা হাজারদুয়ারী নির্মাণের ক্ষেত্রেও দেখিয়েছে হীন মানসিকতা ৷হাজারদুয়ারীতে যে ব্রিটিশ সিম্বল টি রয়েছে তা তাদের হীন মনসিকতারই পরিচয় বহন করে ৷
সিম্বলটির অর্থ ব্যাখ্যা করে জানা গেছে হাজারদুয়ারী সিম্বল টি মুলত নির্মিত হয়েছিল মীর জাফরের পঞ্চম বংশধর পরাধীন নবাব হুমাউন জার সময়কালে ৷মাছ বাইবেল সিংহ ঘোড়া এবং শিকলের সমন্বয়ে নির্মিত সিম্বলটির ব্যাখ্যা রয়েছে ৷সিম্বলের ওপরের অংশে যে মাছটি দেখা যায় তা হল ভাল কিছুর প্রতীক ৷তাই তারা মাছ দিয়েই সিম্বল টি শুরু করেছেন ৷এর পরেই রয়েছে তাদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেল ৷বাইবেল টি রয়েছে একটি দন্ডের ওপরে ৷দন্ডটি নকশা ইংল্যান্ডের বাকিংহাম প্যালেসের নকশার অনুরুপ ৷এরপর সিম্বলের বাম পাশে রয়েছে একটি সিংহ এর বিপরীত দিকে রয়েছে একটি ঘোড়া ৷ইংরেজরা নিজেদের সিংহের মতই শক্তশালী মনে করতেন, আর বাঙ্গালীদেরকে ঘোড়ার সাথে তুলনা করতেন ৷সবচেয়ে দুঃখজনক হলো সিম্বলের ঘোড়াটি, শিকল দিয়ে বাধা ৷নবাব সিরাজউদ্দৌলার পর যারা মসনদে বসেছেন সবাই ছিলেন পরাধীন ৷তাই ঘোড়াটি কে শিকল দিয়ে বেধে পরাধীনতাকেই বোঝানো হতো ৷
তথ্যসুত্রঃ-ইন্টারনেট ৷

৫ টি +১/-০