![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেহেতু তুমি আমাকে চিনো না, সেহেতু তা অজানাই থাক ।
ছেলেটা ফোন করল মেয়েটাকে। মেয়েটা ফোন রিসিভ করলনা। ছেলেটা আবার ফোন করল মেয়েটাকে। মেয়েটা ফোন রিসিভ করেই দ্রুত গতিতে বলল, 'বাবু আমার বিয়ে হচ্ছে। আমি এখন বিয়ের পিঁড়িতে। মোবাইলটা অফ করে রাখছি এখন আর ফোন দিওনা, ফোন দিলে বিয়েতে ডিস্টার্ব হবে। বাই'।
মেয়েটা ফোনটা রেখে দিল। ছেলেটা ঠিক বুঝলনা এটা কী হল! ওরতো এখন কলেজে থাকার কথা, ও তাহলে বিয়ের পিড়িতেঁ কেন? ছেলেটা প্রথম চার মিনিট নিশ্চুপ হয়ে রইল। তারপর নিজের মোবাইলটা থেকে আবার ফোন দিল মেয়েটাকে। আশ্চর্য! সত্যিই মোবাইলটা বন্ধ!
ছেলেটা দ্রুত গতিতে মেয়েটার সবচেয়ে কাছের বান্ধবী লুবনাকে ফোন দিল। লুবনাও ফোন রিসিভ করছেনা। ছেলেটা আবার ফোন দিল। লুবনা ফোনটা রিসিভ করেই দ্রুত গতিতে বলল, 'তন্ময় ভাইয়া তরীর বিয়ে হচ্ছে, বরযাত্রী এসে গেছে। আপনি পরে ফোন দেন। বাই।'
তন্ময়ের মাথায় আর কিছু আসছেনা। সে বুঝতেও পারছেনা কেন হঠাৎ করে তার প্রেমিকা অন্য একজনকে বিয়ে করে ফেলছে। কী এমন করেছে সে যার জন্য এরকম একটা শাস্তি পেতে হচ্ছে তাকে? হঠাৎ করেই তন্ময়ের মনে পড়ল গতকাল রাতের কথা। রাতের খাবার খেয়েছে কিনা তা তরীকে জিজ্ঞেস করতে ভুলে গিয়েছিল তাই সে খুব মন খারাপ করেছিল। কিন্তু শুধুমাত্র এই কারনে তরী অন্য কোন ছেলেকে বিয়ে করবে তা তন্ময়ের বিশ্বাস হচ্ছেনা। তাহলে কি সে আরো কোন বড় ভুল করেছে?
ইয়েস! মনে পড়েছে। তরী তন্ময়কে মালিহার সাথে কথা বলতে নিষেধ করেছিল। তন্ময় তরীর অগোচরে মালিহার সাথে একবার কথা বলেছে। তাহলে কি তরী সেটা বুঝে ফেলেছে? 'ধুর! কী ভুল করলাম আমি?' তন্ময়ের এখন নিজের চুল নিজেরই ছিড়তে ইচ্ছে করছে। কিন্তু কিচ্ছু করার নেই। আগে বিয়েটা থামাতে হবে। কিন্তু লুবনা যেভাবে বলল বরযাত্রী চলে আসছে তাতে করে কি এখনো বিয়ের বাকি আছে?
তন্ময় রিকশা নিয়ে ছুটে চলল তরীদের বাসার দিকে। রিকশা দ্রুত যাচ্ছে কিন্তু তন্ময়ের মনে হচ্ছে রিকশাটা আরো দ্রুত যেতে পারে কিন্তু কেউ আটকে রেখেছে। 'মামা জোরে জোরে... দ্রুত চালাও...' তন্ময় রিকশাওয়াকে তাড়া দিয়ে মোবাইলটাথেকে আবার ফোন দেয় তরীকে। নাহ্ এখনো বন্ধ! আবার ফোন দেয়... আবার দেয়.... বন্ধ... বন্ধ... বন্ধ....
তরীর বাসায় এসে দেখে বাসায় কেউ নেই, দরজায় তালা। তারমানে? বিয়েটা কী কমিউনিটি সেন্টারে হচ্ছে? কিন্তু কোন কমিউনিটি সেন্টারে? তন্ময়ের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। সে কিছুতেই বুঝতে পারছেনা সে এখন কী করবে। সে পাগলের মত শহরের দিকে ছুটতে থাকে।
ছুটছে তো ছুটছে .. ছুটছে.. ছুটছে
হঠাৎ তন্ময়ের মোবাইলে তরীর ফোন।
-তুমি এটা কী করলা তরী?
-কোনটা?
-এখনো জিজ্ঞেস করছো কোনটা? আমি না হয় একবার মালিহার সাথে কথা বলেছিলাম কিন্তু তাই বলে তুমি আরেকজনকে বিয়ে করবে?
-বিয়ে? আরেকজনকে? ওহ হো। আরে বোকা ওটাতো আমাদের কলেজের প্রোগ্রামের নাটকের দৃশ্য। তুমি যখন ফোন দিছিলা আমি তখন বিয়ের দৃশ্যের রিহার্সেল করছিলাম।
-কী? সত্যি? তারমানে তুমি সত্যি সত্যি বিয়ে করনাই? হুররে...
-বিয়ে করছি কিনা সেটা বাদ দাও.. তুমি আগে বল মালিহার সাথে কথা বলছো কেন?
©somewhere in net ltd.