![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের সম্পর্কে বলার মত তেমন কোনো যোগ্যতা এখন পর্যন্ত অর্জন করতে পারি নি। যদি কখনো পারি তখন ভেবে দেখব।যেহেতু আমি কোন নিয়মিত লেখক নই কাজেই লেখায় ভুলত্রুটি থাকতেই পারে। সেক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা কাম্য।
এক.. দুই.. তিন.. চার... নাহ কোন ক্রমিক নং গুনছি না। হিসেব কষছিলাম জীবন থেকে দেখতে দেখতে কিভাবে ২১ টি বছর চলে গেল! এই এতো একটা লম্বা সময়ে কি পেলাম আর পেলাম না সেদিকে দৃষ্টি দিয়ে আর হতাশা বাড়াতে চাই না। তবে না পাওয়ার লিস্টটা ক্রমশ যে দীর্ঘ হবে সে বিষয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।
আজ বলতে চাই আমার কিছু কথা। আমার বললে অবশ্য ভুল হবে বলা যেতে পারে আমার মনের কিছু কথা। খুব সাবলীলভাবে আমার বলে ফেললেও প্রকৃত অর্থে এই মনের উপর অধিকাংশ সময়ই আমার কোন প্রকার নিয়ন্ত্রণ থাকে না। জানি না এর পিছনের সুত্র আবিষ্কার করতে অদূর ভবিষ্যতে নিউটন গ্যালিলিও এর মত কেউ জন্মাবেন কিনা। যাকগে সেসব কথা। যা বলছিলাম আমার অবস্থাটা যদি আমাকে কেউ অল্প কথায় ব্যাখ্যা করতে বলে তবে আমি এক মুহূর্ত না ভেবেই বলে দিব অনেকটা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়তে যাওয়া বাসের মতই।
কেন এরকম মনে হয় সেটার কারণ আমি নিজেও জানি না। আর যেটুকু অনুধাবন করি তা বিশ্লেষণে আমি সত্যি অপারগ। লেখার মাধ্যমে আত্মিক অবস্থার বাস্তব রূপরেখা চমৎকারভাবে তুলে ধরার অসাধারণ ক্ষমতাটি বোধ হয় স্রষ্টা আমাকে দেননি। যারা পারেন সেটা আমার দৃষ্টিতে তারাই জীবনে সবচেয়ে সুখী। কারণ কারোর কাছেই তাদের গিয়ে ধার ধারতে হয় না। দুঃখ, আনন্দ, বেদনা শেয়ার করার জন্য ভালবাসার অভিনয় করতে থাকা লোকগুলোর শরণাপন্ন হতে হয় না।
তবে আমি জ্ঞানীদের মত নিজেই নিজের সোয়াট এনালাইস্যিস করতে না পারলেও আমারও কিছু পার্সোনাল ভিউ আছে। প্রথমটাই যদি বলতে চাই তাহলে বলব শখের (হবি) কথা। এটা খুব কমন একটা জিজ্ঞাসা। ছোটবেলার মত এতো ঘন ঘন না হলেও এখনো প্রত্যেক সেমিস্টারের শুরুতে ইন্ট্রোডাক্টরি ক্লাসে এসে এই পানির মত কঠিন কুয়েশ্চানটির সামনে দাঁড়িয়ে নিজের সাথে প্রতারনা করতে হয়। পানির মত কঠিন বললাম এই কারণে যে ছোটবেলায় যখন হবি কি জিনিস তাই ভালভাবে বুঝতাম না তখন পড়িমরি করে এই কঠিন প্রশ্নের উত্তরে এটা ওটা বলে মুরুব্বিদের সামনে থেকে দৌড়ে পালাতাম। আর আজ যখন বুঝি আমার হবি আসলে কি তখন সেটা বলা কেবল অবান্তর নয় অপ্রাসঙ্গিকও। এখন যদি বলি আমার হবি হচ্ছে ক্রিকেট খেলা, লাইনটা শেষ করার আগেই তো আমার নিজেরই হাসি পায়। যে জিনিসটা গত ৪/৫ বছরে একবারও করতে পারি নাই সেটা আবার হবি হয় কি করে!! তখনই আসলে এক ধরনের ডিলেমায় পড়ে যাই।
নিজের সাথে ডিজিটাল প্রতারণা করে আজ ছাইপাঁশ লেখাটাকেই হবি বানিয়ে নিয়েছি যেটার প্রতি আমার কোন কালেই কোন আগ্রহ ছিল না। ফলাফলটাও তাই বোধ করি এমনই। আফসোস করি না। কারণ ধরেই নিয়েছি আমি কেবল আমার নিজের প্রয়োজনেই লিখি। কারোর ভাল লাগা না লাগাটা এখানে মুখ্য বিষয় নয়। হতদরিদ্র বাবা যেমন তার ছোট মেয়েটিকে বাতাসা খাইয়ে রসগোল্লার দুঃখ ভুলায় আমিও তেমনি বেচারা মনটাকে শান্তনার ছাইপাঁশ কপচিয়ে কনভিন্স করার চেষ্টা করি।
২৬ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:০৯
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো। ব্লগে স্বাগতম।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:০৪
ড্রীমার বলেছেন: carry on.. xpress it. u'll feel. better. don't think about da reactions of other people.