নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয় আহমেদ

Hridoy Ahmed

স্বপ্ন দেখি একদিন সিনেমা বানাবো। সিনেমাতে বাঁচবো, সিনেমাতে মরবো।

Hridoy Ahmed › বিস্তারিত পোস্টঃ

কালজয়ী বাঙালি নির্মাতা \'অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়\'র জন্মদিনে শ্রদ্ধা

১৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ৮:২৪



অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় একজন বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার । বাংলার খ্যাতনামা সাহিত্যিক  বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় (বনফুল) তাঁর বড় ভাই ছিলেন।

অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জুন  পিতা ডাঃ সত্যচরণ মুখোপাধ্যায়ের কর্মক্ষেত্র ও স্থায়ী বাসস্থান বিহারের পূর্ণিয়া বিভাগের কাটিহার জেলার মণিহারীতে। মাতা মৃণালিনী দেবী । এঁদের আদি পৈতৃক  নিবাস ছিল পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার শিয়াখালায়। অরবিন্দের পড়াশোনা কাটিহারে। স্থানীয় স্কুল থেকে ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে  ম্যাট্রিক পাশ করার পর চলে আসেন শান্তিনিকেতনে। সেই সময় কলাভবনে তাঁর সহপাঠী ছিলেন সত্যজিৎ রায়। বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন তিনি কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরামর্শ মতো সাহিত্য পাঠ করতেন। নাটক গল্প ইত্যাদিতে তাঁর আগ্রহ বাড়তে থাকে । শান্তিনিকেতনে বিজ্ঞান-পাঠ শেষ করে ভর্তি হন  ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু মন পড়ে থাকে নাটক, গল্প, সিনেমায়। তৃতীয় বর্ষে কলেজের ভিতরেই তাঁর পরিচালিত নাটক দেখে কবি ও লেখক অন্নদাশঙ্কর রায় বলেন -

" ঢুলু, তোমার আর্টের লাইনে যাওয়াই ভালো। ওটাই তোমার ঠিক জায়গা।"

প্রসঙ্গত 'ঢুলু' ছিল অরবিন্দের ডাক নাম। পরবর্তীকালে চলচ্চিত্র জগতে তিনি 'ঢুলুদা' বা 'ঢুলুবাবু ' নামেই পরিচিত হন। কলকাতা'য় ডাক্তারি পরীক্ষা দিতে এসে বিমল রায়ের  'উদয়ের পথে' সিনেমা দেখে আরো বেশি উৎসাহিত হন।

শেষ পর্যন্ত চতুর্থ বর্ষে ডাক্তারি পড়ায় ইতি টেনে চলে এলেন চলচ্চিত্র জগতে। প্রথমে অর্ধেন্দু মুখোপাধ্যায়ের সহকারী হিসাবে কাজ শুরু  করেন ।  পরে কলকাতার বীরেন সরকারের নিউ থিয়েটার্সে যোগ দেন বিমল রায়ের অ্যাসিস্টান্ট হিসাবে । সেখানে হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায় তাঁর সহকর্মী ছিলেন । পরে নিজেই বড়দা বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের (বনফুল) গল্প নিয়ে 'কিছুক্ষণ' ছবিটি করেন। প্রথম ছবির পরিচালনা তেই মুন্সিয়ানার ছাপ রেখেছিলেন । ছবিটি রাষ্ট্রপতি পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়। এরপর একের পর এক ছবি করেছেন তিনি। আহ্বান, নতুন জীবন, পিতাপুত্র, নায়িকার ভূমিকায়, ধন্যি মেয়ে, নিশিপদ্ম, মৌচাক অগ্নীশ্বর'র মতো ছবি আজও তাঁকে স্মরণীয় করে রেখেছে। তিনি মোট ২৬ টি পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি, তিনটি টেলিফিল্ম ও একটি ধারাবাহিকের পরিচালনা করেন। বাংলার 'নিশিপদ্ম' ছবিটি হিন্দিতে 'অমর প্রেম'র চিত্রনাট্য তিনি রচনা করেন এবং ফিল্মফেয়ার এডওয়ার্ড পান।

শেষ বয়সে অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের শরীর ভাল যাচ্ছিল না। শয্যাশায়ী ছিলেন ২০১২ খ্রিস্টাব্দ হতে বার্ধক্যের কারণে। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ১০ ই ফেব্রুয়ারি (২৬ শে মাঘ ১৪২২ বঙ্গাব্দ) ৯৬ বৎসর বয়সে কলকাতায় নিজ বাসভবনে প্রয়াত হন।

অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের কয়েকটি চলচ্চিত্রের নাম-

- কিছুক্ষণ (১৯৫৯)

- আহ্বান (১৯৬১)

- নতুন জীবন (১৯৬৬)

- পিতাপুত্র (১৯৬৯)

- নায়িকার ভূমিকায়

- নিশিপদ্ম (১৯৭০)

- ধন্যি মেয়ে (১৯৭১)

- মৌচাক (১৯৭৪)

- অগ্নীশ্বর (১৯৭৫)

- অজস্র ধন্যবাদ (১৯৭৬)

- মন্ত্রমুগ্ধ (১৯৭৭)

- পাকা দেখা (১৯৮০)

- শহরের ইতিকথা (১৯৮৩)

- হুলস্থুল

- বর্ণচোরা

- কেনারাম বেচারাম  

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.