নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রিয়জনের ধারালো তরবারিতে নিহত হওয়ার চেয়ে স্বাদের আর কি হতে পারে

Sulaiman hossain

সামুতে যা প্রকাশযোগ্য নয় তা আমার ব্যক্তিগত ব্লগে লিখে রাখি যেমন আত্মজীবনি,কবিতা ইত্যাদি https://hridoyeralo.blogspot.com/

Sulaiman hossain › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাহাড়ি ভ্রমণ

১২ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৬:৪৪


ছবিটি চ্যাট জিপিটি দিয়ে তৈরি করা

একদিন পাহাড়ি জঙ্গল ভ্রমণে বের হলাম।গাড়িতে ভ্রমণ করার থেকে হেটে হেটে ভ্রমন করা বেশি সাচ্ছন্দ্যের।ভ্রমন করতে করতে পাহাড়ের তলায় একটি লেক খুজে পেলাম।লেকের পানি ছিল সচ্ছ স্ফটিকের মত।আমরা তৃপ্তি সহ পান করলাম। তারপর সামনে এগুতে থাকলাম।লেকের পাশে একটা ভিডিও শুটিং ও করলাম।তারপর এক পাহাড়ে উঠার সিদ্ধান্ত নিলাম। পাহাড়টি ছিল ঘন সবুজ গাছগাছালী জঙ্গলে ভরপুর।এবং প্রচুর বেতল গাছ।যার গায়ে প্রচুর কাটা রয়েছে,পাতার সাথেও কাটা।এর ভেতর দিয়ে হাটতে গেলে কাটার খোঁচা লাগা স্বাভাবিক। পাহাড়ি জঙ্গল ভ্রমন বিপজ্জনক। যেহেতু সাথে আমার খালাত ভাইও ছিল।ওর নাম হল নূর।আমি নিজের জন্য ভয় না পেলেও ওর জন্য ভয় পেতাম।একসময় নূর হাতি দেখার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করল।আমি এতে অনাগ্রহী ছিলাম।কারন হাতি আক্রমন করতে পারে। তারপরও এগুতে থাকলাম জঙলার ভিতর দিয়ে।হাতির পায়ের বড় বড় ছাপ দেখে আমি ভীত হচ্ছিলাম।একসময় বেতল গাছ থেকে গাছের কাটাকে ফাকি দিয়ে একছড়া বেতল ছিড়লাম।বেতল নূরের আম্মা মানে আমার খালার প্রিয় ফলগুলোর একটি।তো বেতলের ছড়াটি ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখলাম।

তারপর এক উচু পাহাড়ে উঠলাম,জঙ্গল সরাতে সরাতে।সাপের কথা আমাদের মনেই ছিলনা।পাহাড়ে যে বড় বড় সাপ আছে সেটা দাদার কাছে শুনেছিলাম। ভাগ্য ভাল সাপ আমাদের সামনে পরেনি।কারন আমাদের হাতে কোনো লাঠি ছিলনা।
তারপর যেদিক দিয়ে এসেছিলাম আবার সেপথ ধরলাম। পথে কিছু পাহাড়ি উপজাতির সাক্ষাৎ পেলাম।তারা আমাদেরকে দেখে ভয় পেল,এবং আমাদেরকে বলল,এখান থেকে চলে যান।এখানে বড় বড় হাতি আছে। ওড়া জঙ্গলের মধ্যে লাকড়ি সংগ্রহ করে।
আমরা ওদের সাথে কথা না বাড়িয়ে চলে এলাম।যেই লেক থেকে পানি পান করেছিলাম সেই লেক থেকে এবার ওজু করলাম।নূর ও ওজু করে নিল।কারন আসরের সময় ঘনিয়ে এসেছিল।
লেকের পাশ দিয়ে চলে গেছে দুই তিন সারি লাল ইটের রাস্তা।রাস্তার দুই পাশে ঘন সবুজ গাছগাছালী তে ভরপুর পাহাড়ি জঙ্গল, রাস্তা গুলোকে আরো বেশি চমৎকৃত করে তুলেছিল।দুই একটি পাহাড় পরিষ্কার করে লোকজন ঘরবাড়ি বানিয়েছে। আমরা রাস্তা পার হয়ে এরকম একটি পরিষ্কার পাহাড়ে উঠলাম। তারপর ভিডিও করলাম।পাহাড় থেকে কর্ণফুলী নদীর মোহনা দৃষ্টিগোচর হয়।আমরা অনেক্ক্ষণ সেখানে বসে নদী দেখছিলাম।ইতিমধ্যে আমার মাইক্রোফোনের মাথায় যে তুলো থাকে সেটা হারিয়ে গেল। সেটা খুঁজতে খুঁজতে প্রায় সন্ধা ঘনিয়ে এল।আমরা পাহাড় থেকে নিচে নেমে এলাম।


মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১:৫২

আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: সুন্দর ভ্রমণকাহিনী। সাথে কিছু ছবি দিলে আরো ভালো লাগতো।

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:১৫

Sulaiman hossain বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই,আপনার কথামতো একটি ছবি দিয়ে দিলাম,

২| ১৩ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৭

শায়মা বলেছেন: ভ্রমনের সময় ছবি তুলোনি ভাইয়া?

লেখাটাতো চ্যাট জিপিটি না কাজেই সত্যি ছবি হলে বেশি ভালো লাগতো!

১৩ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

Sulaiman hossain বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।ভিডিও করেছিলাম কিছু।ভিডিওতে আমার ছবি আছে।

১৩ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৩

Sulaiman hossain বলেছেন: আপনার কথা রাখতে ভিডিও থেকে কিছু ছবি আপলোড করছি

৩| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:৩৮

শায়মা বলেছেন: গুড!! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.