![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামুতে যা প্রকাশযোগ্য নয় তা আমার ব্যক্তিগত ব্লগে লিখে রাখি যেমন আত্মজীবনি,কবিতা ইত্যাদি https://hridoyeralo.blogspot.com/
এমন ধোঁকা যদি মনে আসে তাহলে,এরকম জবাব দেওয়া যায় ----
জাহান্নামে যদি যাই ও,তারপর ও নেক আমল ছেড়ে দেওয়া উচিত হবেনা।তাছাড়া জান্নাতিও হতে পারি,জাহান্নামি ই হবো এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই,জাহান্নামে গেলেও কয়েকদি জ্বালিয়ে পুরিয়ে হয়ত বের করে দেওয়া হবে,অথবা জাহান্নামের ভিতরেই নেক আমলের বিনিময়ে শাস্তি একটু কমিয়ে দেওয়া হতে পারে, সুতরাং নেক আমল ছেড়ে দেওয়া কোনো বুদ্ধিমানের কাজ হবেনা।তাছাড়া নেক আমল যারা করে, এবং যারা নেকআমল করেনা তারা উভয়ে সমান নয়।নেক আমলকারি যদি জাহান্নামেও যায়,তারপরেও বদ আমলকারির থেকে কিছুটা আরামে থাকবে।উল্লেখ্য যে মুমিন ব্যাক্তি জাহান্নামে গেলেও,তার ইমানের কারনে আলাদা একটা সম্মান থাকবে।
জাহান্নামের ভিতর কাফেররা মুমিনদেরকে নিয়ে ঠাট্টা করবে,কাফেররা বলবে তোমাদের ইমান কোন কাজে এল,তোমরাও তো আমাদের সাথে জাহান্নামে জ্বলতেছো।মুমিনরা বলবে, আমরা আমাদের পাপ এবং কিছু ত্রুটি বিচ্যুতির কারনে জাহান্নামে পরে গিয়েছি।হয়ত আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে মাফ করবেন,জাহান্নাম থেকে উদ্ধার করবেন তার অপার রহমতে।
কাফেররা মুমিনদেরকে নিয়ে হাসি তামাশা করার একপর্যায়ে আল্লাহ তায়ালা মুমিনদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করার অনুমতি দিবেন,ফেরেশতারা হুকুম পালন করবে।
এরপর কাফেররা আফসোস করবে, হায় আমরা যদি ইমানদার হতাম তাহলে আমরাও আজকে ওদের মত জাহান্নাম থেকে বের হতে পারতাম।
হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী (রহ.)এর কিমিয়ায়ে সায়াদাতের আশা (রজা)অধ্যয়ে একটি কাহিনী পরেছিলাম,আমি স্মৃতি শক্তি থেকে লিখছি,কিতাবের পুরোপুরি উদ্ধৃতি নয়।তিনি হাদিস শরিফ থেকেই লিখেছিলেন----
কেয়ামতের দিনের একটি অংশ দুইজনকে বিচার করার জন্য ডাকা হবে,যারা হিসাব ছাড়াই জাহান্নামে গিয়ে পরেছিল।হয়ত তাদের জীবনের কোনো এক ফাক ফোঁকরে কোনো একটা ভাল কাজ ছিল,যেটা আল্লাহ তায়ালার খুবই পছন্দ হয়েছিল।তাদেরকে সামনে দাড় করানো হবে,তাদের দুইজনকেই জিগ্যাসাবাদ করা হবে।তোমরা কি এইসমস্ত গুনাহকে অশিকার করো।মোটকথা হিসাবে তারা ধরা খেয়ে যাবে।এবং তাদেরকে বলা হবে,(এই সমস্ত গুনাহ নিয়ে তো জান্নাতের আশা করতে পারো না)যাও জাহান্নামে চলে যাও।
আল্লাহ তায়ালা যখন তাদেরকে জাহান্নামে যেতে বলবেন,আদেশ শুনে একজন জাহান্নামের দিকে দ্রত দৌড় দিবে,আরেকজন আদেশ পালন করবে তবে,কিছুদূর গিয়ে আবার পেছনে ফিরে ফিরে তাকাবে আল্লাহর নূরের দিকে। তাদের অবস্তা দেখে আল্লাহ তায়ালা আবার তাদেরকে ডাক দিবেন। তারা নিকটবর্তী হলে বলবেন,তোমাদের এমন করার কারন কি?অর্থাৎ একজন দ্রুত দৌড় দিলে জান্নামের দিকে।আরেকজন ধীরে ধীরে যাচ্ছিলে,এবং বারে বরে পেছনে তাকাচ্ছিলে।
যে ব্যাক্তি দ্রুত দৌড় দিয়েছিল দৌযখের দিকে সে বলবে,
ইয়া এলাহি।দুনিয়াতে তোমার হুকুম আহকাম থেকে গা বাঁচিয়ে চলতাম,যার কারনে আজকে আমার এই করুন পরিনতি।আজকেও যদি আপনার হুকুম অমান্য করি,তাহলে আমার ভয় হয় এর থেকে আরো বেশি বিপর্যয়ের সম্মূখিন হয়ে না যাই।এজন্য দ্রুত দৌড় দিয়েছিলাম।
--আচ্ছা!
আর তুমি এভাবে পিছনে ফিরে ফিরে তাকাচ্ছিলে কেন?
দ্বিতীয়জন বলবে, হে এলাহী! আমি তো আপনার দয়া মায়ার দিকে তাকিয়ে আশান্বিত ছিলাম।আমাদের উপর আপনার দয়া হয় কিনা।হুকুম পালনের উদ্দেশ্য যদিও জাহান্নামে যাচ্ছিলাম।কিন্তু আপনার দয়া মমতার প্রতিও আমার ভরসা ছিল।
তাদের উভয়ের কথাবার্তা শুনে দয়াময় আল্লাহর দয়ার সুমুদ্র জোশে আসবে।এবং তিনি তাদের উভয়কে জান্নাতের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার হুকুম করবেন।
(কিমিয়ায়ে সায়াদাতের রজা অধ্যায় দ্রষ্টব্য)
©somewhere in net ltd.