![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামুতে যা প্রকাশযোগ্য নয় তা আমার ব্যক্তিগত ব্লগে লিখে রাখি যেমন আত্মজীবনি,কবিতা ইত্যাদি https://hridoyeralo.blogspot.com/
আমি সাধারনত ভ্রমন করতে ভালবাসি।যখনইআমি পতেঙ্গা খালুর বাসায় বেরাতে যাই,সাধারনত ভ্রমন করাই আমার উদ্দেশ্য থাকে।পতেঙ্গা ভ্রমন করার মতো অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে।
কয়েকটি হল---
১।পতেঙ্গা সুমুদ্র সৈকত
২।নৌবাহিনীর ঘাটি
৩।শাহ আমানত ✈ বিমানবন্দর
৪।কর্ণফুলী নদীর মোহনা
৫।কর্ণফুলী বঙ্গবন্ধু ট্যানেল
৬।সবুজে ঘেরা পাহাড়
তো আমার পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত সবচেয়ে বেশি ভালো লাগতো।
এখানে সকালে ভাটা এবং সন্ধায় জোয়ার হয়।সুতরাং বিকালের দিকে ভ্রমন আনন্দদায়ক।সূর্যাস্তের ☀ মনোরম দৃশ্যও দেখা যায়।সেই সাথে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ভ্রমন প্রিয়াসু মানুষ।
আমার রুচি এবং প্রকৃতি অন্যদের থেকে একটু আলাদা।অন্যরা সাধারণত দলবেধে ভ্রমন করতে ভালবাসে,আর আমি একা একা ভ্রমন করতে ভালবাসি।বেশিরভাগ মানুষ মানষিক প্রশান্তির জন্য ভ্রমন করে,আর আমি সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমা, অপরুপ সৌন্দর্য দেখতে ভ্রমন করি।তো পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতেও অপরুপ সৌন্দর্য এবং অপার নিদর্শন প্রত্যক্ষ করলাম।
যেহেতু আমি বিকালের দিকে গিয়েছিলাম সেহেতু সেখানে যা দেখেছিলাম তা হল----
১।মানুষের প্রচুর ভীর ছিল,বিভিন্ন জায়গা থেকে ভ্রমন করতে এসেছিল।
২।সূর্যাস্তের অপরুপ মন কারা সৌন্দর্য আমার হৃদয়কে ছোয়া দিয়েছিল।
৩।জোয়ার আসতে শুরু করেছিল।
৪।সেখানে ফাস্টফুড সহ খাওয়া দাওয়ার অনেক আইটেম দেখতে পেলাম,
যেমন কাঁকড়া ভাজা,চিংড়ি ভাজা ইত্যাদি।
বিভিন্ন লোক সীবোট নিয়ে সুমুদ্রের মধ্যে ঘুরতে যাচ্ছিলো।
আমি যেহেতু মানুষের অতিরিক্ত ভীর পছন্দ করিনা,সেহেতু সুমুদ্রতীর ধরে হেটে হেটে বহুদূরে যেতে থাকলাম, যেখানে মানুষজন নাই।তারপর আসরের আজান দিল আসে পাশে কোনো মসজিদ ছিলনা।সুতরাং আমি সুুমুদ্রতীরে একটি পাথরের উপর নামাজ পরে নিলাম।
আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত ছিলাম,তারপর আবার পেছনের দিকে হাটা শুরু করলাম।
মাগরীবের নামাজ একটি পাথরের উপরেই পরে নিলাম,যদিও জোয়ারের কারনে পাথরটি তলিয়ে যাচ্ছিলো বার বার,এজন্য মাগরিবের নামাজ আমাকে তিনবার পরতে হয়েছিল।
পানির ভেতর দিয়ে হাটতে ভালই লাগছিল তারপর কিছুটা অন্ধকার ঘনিয়ে এল।আমি একটি পাথরের উপর বিশ্রম নেওয়ার জন্য বসে পড়লাম।
একটু পরে একটি বালক চা নিয়ে এল বিক্রির জন্য,আমি দশ টাকা দিয়ে এককাপ নিয়ে নিলাম।
আঁধো আঁধো অন্ধকারে সুমুদ্রের তীরে ফুরফুরে বাতাশে মনে প্রানে এক অনাবিল প্রশান্তি ছুয়ে যাচ্ছিলো।তারমধ্যে এককাপ রং চা যেন প্রশান্তির ছোঁয়া আরেকটু বনড়িয়ে দিল।আমি মন খুলে গান গাওয়া শুরু করলাম।
©somewhere in net ltd.