নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমাকে খুঁজে ফিরি

হুয়ায়ুন কবির

হুয়ায়ুন কবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরাজয়

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০০



পরাজয়
(হুমায়ুন কবির)

উচ্ছসিত আবেগ নিয়ে উদ্দেশ্যের পথে যাত্রা
আশার আলোতে বাঙময় চকচকে চোখ,
এইতো আর ঘণ্টাখানেক লাগবে হয়তোবা।
বাবা’র চিঠিটা পকেটেই আছে-
স্বপ্নের পৃথিবী গড়ে দেবে প্রাপক সে জন।
আজকের সবকিছুই অসম্ভব সুন্দর, সুখ জাগানিয়া –
স্বর্গের সুখানুভূতি কি এমনই হয়?

পাশের চেয়ারে বসা তরুণীর কোলে ঘুমন্ত শিশুটি চিৎকার করে উঠে,
খিদে লেগেছে নাকি সোনা বাবুর?
মমতা ঝরানো কণ্ঠে মায়ের ঝলমলে অস্ফুট হাসির শব্দ
বুকে জড়িয়ে ধরে মৃদু কণ্ঠে আশ্বস্ত করেন-
আমার লক্ষ্মী সোনা, চাঁদের কণা,
ভয় পাচ্ছ কেন, আমি আছিতো।
চারপাশের সবকিছুই অর্থহীন,
শুধু মা আর সন্তানের আমৃত্যু বন্ধনের স্বর্গীয় বহিঃপ্রকাশ।

হঠাৎ, একটা বোতল; আগুনের স্ফুলিঙ্গ সাথে নিয়ে
উড়ে আসে বাসের ভিতর,
সবখানে ছড়িয়ে যায় আগুনের লেলিহান শিখা
প্রতিটি মানুষ যেন এক একটা অগ্নিগোলকে পরিণত হয়ে যায় মুহূর্তেই।

জ্বলন্ত শরীর নিয়ে ছুটোছুটি আর তীব্র চিৎকার
অসার স্নায়ুকে সচল করে দেয়া বন্য আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠে ধরনী।
অসহনীয়, অসহ্য কাতরতা।

দরজা, জানালায় হুড়োহুড়ি
শুধু ঠায় বসে থাকেন মা
সন্তানকে বুকে আগলে ধরে।
যেন পুড়ে ছাই হয়ে যাক জগৎ সংসার
তবু সন্তান আমার থাকুক যন্ত্রনাহীন।

দরজার কোণ দিয়ে বেরুতেই অজান্তে চোখ চলে যায়
সন্তান কোলে তরুণী মায়ের পাণে।

পুড়তে থাকা শরীরের সকল ব্যাথা ভুলে অগ্নিগর্ভে পিছু ফিরে আসা,
দু’জনকেই আড়াল করে ঠেলে দেয় রাজপথে
জ্বলন্ত কিছু বেঁচে থাকার আকূতি ভরা মানুষের ভিড়ে।
যন্ত্রণা আর অবসন্ন শরীর নুয়ে পড়ে
জ্বলন্ত বাসের মাঝখানে।

ছাই হতে হতে স্বপ্ন বোনার মন্ত্রের চিঠিটা
ছুঁয়ে দেখতে খুব ইচ্ছে হয়
পুড়ে যাওয়া হাতটা পৌঁছে না বুক পকেট পর্যন্ত।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০১

হুয়ায়ুন কবির বলেছেন: পরাজয়

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩

আলমগির কবির বলেছেন: অপূর্ব

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.