নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বারবার ১/১১!

হুমায়ুন কবীর হুমা

হুমায়ুন কবীর হুমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

৮-ই মার্চ

০৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০

তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর পুরুষদের অবস্হা অতি করুন । আমরা নগরের বাইরে চোখ দিলেই তা বুঝতে পারি । দরিদ্রতা ও অশিক্ষা অসুস্হ রাজনীতির সূতিকাগার যেখানে মানবিক প্রথার চর্চা ব্যাহত হয় । ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী-জাত-লিঙ্গ নানা বৈষম্যের ভেতর লৈঙ্গীক বৈষম্য একটি প্রধানতম বৈষম্য যার শিকার পৃথিবীর ৭০ শতাশং নারী । এবং এই লৈঙ্গিক বৈষম্যই বিভিন্ন মোড়কে পৃথিবীর দেশে দেশে সবচেয়ে তীব্র ও ভয়ংকর ভাবে চলছে ইতিহাসের ব্যাপক সময় জুড়ে।

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে প্রণোদনা দিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় নিয়ে আসার একটি পরিক্ষিত পদ্ধতি রয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে খাদ্যের বিনিময়ে কাজ বা শিক্ষা এবং বিনা-মূল্য শিক্ষা-চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয় । রয়েছে জন সচেতনতা মূলক বিভিন্ন কর্মসূচি। কারন যাই হোক না কেন যারা পিছিয়ে আছে তাদের সমতায় আনার প্রয়াস।

একজন বিখ্যাত মানুষ বলেছিলেন,"বাংলাদেশের নারীরা হচ্ছে দাসের দাস" যেহেতু এ দরিদ্র দেশের পুরুষরা নিজেরাও হাজার বৈষম্যের শিকার আবার সে বৈষম্য-গ্রস্তরাই আবার হয়ে উঠে নিপীড়ক স্বাভাবিক ভাবেই পরিস্হিতি ভবাবহ । তাই সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমাদের বিশেষ ব্যবস্হা গ্রহন অতি জরুরী। নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নানা রকম পদক্ষেপ নিতেই হবে। সামাজীক সচেতনতার কিছু সীমাবদ্ধতা আমরা দেখতে পাই সেই সীমাবদ্ধতাগুলো আবার তথাকথিত মহান অনুভূতির শৃঙ্খলে বন্দী যা সর্বস্তরের বৈষম্যকে অতিক্রম করতে পারেনা ।তাই সামাজীক সচেতনেতার পাশাপাশি দরকার শক্তিশালী আইন ও তার যথাযথ প্রয়োগ।

বাংলাদেশের নারীদের মানবিক উন্নয়নের সূচকের খবর আমরা জানি, সবচেয়ে ভালো জানে নারীরা নিজে । সার্বিক পরিস্হিতি দেখে নির্দ্বিধায় বলা যায় নারীদের অবস্হা ভালো না । ৩৬৪ দিন যদি হয় অবহেলার তবে ১ দিন হোক প্রতিবাদের,৩৬৪ দিন যদি হয় বর্বরতার তবে একদিন হোক সচেতনতার , ৩৬৪ দিন যদি হয় নির্যাতনের তবে ১ দিন হোক এর বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশের। ৩৬৪ দিন যদি হয় নিগৃহের তবে ১ দিন হোক ভালোবাসার ,যদি ৩৬৪ দিন হয় নিশ্চুপতার তবে ১ দিন হোক আওয়াজ তোলার, নতুন আইন তৈরি ও তার বাস্তবায়নের ।সবার কাছে প্রকাশিত হোক মানুষের তথা নরীর তথা আমাদের আর্ত-চিৎকার । আর এইভাবেই একদিন পৃথিবীর ৩৬৫ দিন হয়ে উঠবে নারীর তথা মানুষের।

নারী প্রথমে মানুষ পরে নারী, যেমন পুরুষ প্রথমে মানুষ পরে পুরুষ। লৈঙ্গিক পরিচয় মানুষের মুখ্য নয় যার ভিত্তিতে করা যাবে মানুষকে নির্যাতন বা অবহেলা। লৈঙ্গিক পরিচয়ে যে কোন নির্যাতনই অগ্রহনযোগ্য ও শাস্তিযোগ্য। মানুষের সার্বিক মুক্তি তার প্রধান অংশকে অন্ধকারে রেখে সম্ভব নয়। নিশ্চুপ থেকে কোন মুক্তি অর্জিত হয় না এর জন্য প্রয়োজন সংঘবদ্ধ হওয়া, আওয়াজ তোলা, নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য লড়াই করা। মনে রাখতে হবে, নারী পৃথিবীজুড়ে লৈঙ্গিক বৈষম্য তথা শ্রেণী বৈষম্যের শিকার আর এ অবস্হার পরিবর্তনের জন্য তাকে যুদ্ধ করতে হবে।

৮ এ মার্চ হোক নারীর সমবেত হওয়ার দিন, ৮-ই মার্চ হোক তার অধিকার আদায়ের শুরুর দিন,আত্ম উপলব্ধির দিন জাগরণের দিন । ৮-ই মার্চ হোক নারীর প্রতি অন্যায় না করার সকল পুরুষের শপথ নেওয়ার দিন , ৮-ই মার্চ হোক পৃথিবীর সবার কাছে একটি পরিচিত দিন, চমৎকার সুন্দর ১টি দিন । পৃথিবীর আয়ুতে নারীর জন্য ১ টি দিন যা পুরুষ পায়নি যে ১ দিনের জন্য কোন এক সময়ে পুরুষ প্রজাতি দুঃখ পাবে লজ্জিত হবে এবং আর কখনোই তারা ভুল করবেনা, সেদিন ৮-এ মার্চ হয়ে উঠবে উৎসবের দিন । নারী তথা মানুষের সকল আধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হোক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.